বিকাশ এপ তৈরির ইতিহাস
বিকাশ এপ তৈরির ইতিহাস আমরা কয়জন জানি? আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ আছে যারা বিকাশ অ্যাপ সম্পর্কে জানেনা এমনকি বিকাশ এপ তৈরির ইতিহাস সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নেই। যেহেতু আমরা অনেকেই বিকাশ ব্যবহার করে থাকি তাই অবশ্যই আমাদেরকে বিকাশ এপ তৈরির ইতিহাস সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।
আপনি যদি বিকাশ এপ তৈরির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বিকাশ এপ তৈরির ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ বিকাশ এপ তৈরির ইতিহাস
- বিকাশ কত সালে আবিষ্কৃত হয়
- বিকাশ এপ তৈরির ইতিহাস
- বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার
- বিকাশ অ্যাপ থেকে সেন্ড মানি করার নিয়ম
- শেষ কথা
বিকাশ কত সালে আবিষ্কৃত হয়
আমরা যারা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে সাধারণত আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ বিকাশ ব্যবহার করে থাকে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা হল বিকাশ। এখন আপনি যদি বিকাশ ব্যবহার করে থাকেন এবং বিকাশ কত সালে আবিষ্কৃত হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আরো পড়ুনঃ বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার নিয়ম - বিকাশ একাউন্ট ব্লক হলে করণীয়
সাধারণত আমরা এখান থেকে বিকাশ এপ তৈরির ইতিহাস সম্পর্কে জানব তার আগে বিকাশ কত সালে আবিষ্কৃত হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেব। বিকাশ বাংলাদেশ এবং অন্যান্য কয়েকটি দেশের প্রতিষ্ঠান মিলে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। সাধারণত সর্বপ্রথম আমেরিকার মানি ইন মোশন এলএলসি এবং ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড এর যৌথ উদ্যোগে বিকাশ তার যাত্রা শুরু করে।
তবে পরবর্তীতে এই কোম্পানিগুলোর সাথে আরো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয় যার ফলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ উদ্যোগে বিকাশ বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা হয়ে ওঠে। প্রথম বিকাশ উদ্ভাবন করা হয় ২০১১ সালে। কিন্তু তখন বিকাশ এতটা জনপ্রিয় ছিল না কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষ যতটা প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হতে থাকে বিকাশ তত বেশি জনপ্রিয় হতে থাকে।
বিকাশ এপ তৈরির ইতিহাস
বিকাশের লেনদেনকে আরো সহজ করার জন্য বিকাশ অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। আমরা সকলেই জানি যে বিকাশ হল বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ স্থানীয় মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা। তবে আগে বিকাশ এতটা জনপ্রিয় ছিল না সাধারণত এখন ধীরে ধীরে বিকাশের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ মানুষ বিকাশের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন ধরনের এবং অনেক সময়ের কাজ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই করতে পারে। তাহলে চলুন বিকাশ এপ তৈরির ইতিহাস সংক্ষিপ্তভাবে জেনে নেই।
বিকাশ হলো একটি বেসরকারি কোম্পানি। সাধারণত বিকাশকে অর্থ আদান-প্রদান এর জন্য বেশি ব্যবহার করা হয়। বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে যে কোন লেনদেন খুব সহজেই এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে করা যায়। বিকাশ অ্যাপ গ্রাহকদের লেনদেনের ওপর সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে। এখন আপনি যদি এই অ্যাপস ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে।
এর সাথে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। আপনি বিকাশ অ্যাপ ইংরেজি এবং বাংলা দুইটি ভাষায় ব্যবহার করতে পারবেন। যাদের স্মার্টফোন রয়েছে সাধারণত তাদের জন্য মোবাইল অ্যাপস সব থেকে উপযোগী। এছাড়া এখানে নাম্বার ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থেকে কারণ আপনি যদি স্মার্টফোনের মাধ্যমে কিউআর কোড স্ক্যান করেন তাহলে খুব সহজেই নাম্বার চলে আসবে।
সাধারণত আপনি এই মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে কিউআর কোড স্ক্যান করে যে কোন স্থানের বিল পেমেন্ট করতে পারবেন। বাড়ির বিদ্যুৎ বিল গ্যাস বিল সহ অন্যান্য কাজগুলো খুব সহজেই এবং অল্প সময়ের মধ্যেই করতে পারবেন। সাধারণত ২০১৯ সাল থেকে বিকাশ অ্যাপ একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং নতুন ফিচার নিয়ে চালু করা হয়। এরা অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার
অনেক সময় আমরা আমাদের বিকাশের পিন ভুলে যাই। এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে যেহেতু আমরা বিকাশ এপ তৈরির ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করছি সেহেতু অবশ্যই হেল্প লাইন নাম্বার সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আপনার যদি স্মার্ট ফোন থাকে এবং আপনি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে খুব সহজে অ্যাপ থেকে সরাসরি চ্যাটিং অপশন থেকে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের সাথে কথা বলতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ 30+ bKash Offer 2023 - বিকাশ অফার ২০২৩ এইমাত্র পাওয়া
আপনি যদি পিন ভুলে যান অথবা আপনার বিকাশ যদি লক হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন দিয়ে লক খুলতে হবে। এছাড়া যদি আপনার মোবাইল ফোন হারিয়ে যায় এবং আপনি আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চান তাহলে বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার ১৬২৪৭ এ ফোন দিতে হবে। আপনি এ নাম্বারে ফোন দিলে যে কোন ধরনের তথ্য জানতে পারবেন এমনকি আপনার বিকাশ নাম্বার দিয়ে বিকাশ বন্ধ করে রাখতে পারবেন।
বিকাশ অ্যাপ থেকে সেন্ড মানি করার নিয়ম
যারা এই সময়কার মানুষ রয়েছে সাধারণত তারা অবশ্যই বিকাশ অ্যাপ থেকে সেন্ড মানি কিভাবে করতে হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানে। তবে যারা একেবারেই নতুন বিকাশ ব্যবহার করে থাকে সাধারণত তারা বিকাশ অ্যাপ এ সেন্ড মানি কিভাবে করে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে তাদের তেমন কোন ধারণা নেই। বিকাশ অ্যাপ থেকে সেন্ড মানি করার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
১। প্রথমে আপনাকে বিকাশ অ্যাপস google প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপরে আপনার নাম্বার দিয়ে বিকাশ অ্যাপসের মধ্যে লগইন করতে হবে।
২। বিকাশ অ্যাপ্সে লগইন করার পরে আপনি অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। সাধারণত এখান থেকে আপনাকে সেন্ড মানি অপশনের উপরে ক্লিক করতে হবে।
৩। সেন্ড মানি অপশনে ক্লিক করার পরে আপনি যেই নাম্বারে টাকা পাঠাতে চান সেই নাম্বারটি লিখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি আগে নাম্বারটি প্রিয় নাম্বারে যুক্ত করেন তাহলে কোন চার্জ কাটবে না।
৪। নাম্বারটি লিখার পরে আপনি কত টাকা পাঠাতে চান তার পরিমাপ লিখতে হবে। মনে করুন আপনি 1000 টাকা পাঠাতে চান তাহলে এক হাজার টাকা লিখুন।
৫। টাকার পরিমাপ রাখার পরে আপনাকে পিন নাম্বার দিতে হবে। পিন নাম্বার দেওয়ার সাথে সাথে টাকা পাঠানো কনফার্ম করতে আপনাকে নিচের অংশটি ট্যাব করে ধরে থাকতে হবে।
বিকাশ এপ তৈরির ইতিহাসঃ শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলে বিকাশ কত সালে আবিষ্কৃত হয়? বিকাশ এপ তৈরির ইতিহাস, বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার, বিকাশ অ্যাপ থেকে সেন্ড মানি করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আমরা বিকাশ অ্যাপস ব্যবহার করি কিন্তু এ বিষয়ে তেমন কোন ধারণা রাখি না তাই অবশ্যই আমাদেরকে এ বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ২টি উপায়ে কিভাবে বিকাশ পিন রিসেট করতে হয় জেনে নিন
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। ২৫৪২৭
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url