পিরিয়ডের সময় মুড সুইং সম্পর্কে জেনে নিন

পিরিয়ডের সময় মুড সুইং সম্পর্কে আমরা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি পিরিয়ডের সময় মুড সুইং সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে পিরিয়ডের সময় মুড সুইং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
পিরিয়ডের সময় মুড সুইং
আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পিরিয়ড সম্পর্কে একটি মেয়ের সঠিক তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ পিরিয়ডের সময় মুড সুইং

ভূমিকা | পিরিয়ডের সময় মুড সুইং

আজকের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো পিরিয়ডের সময় মুড সুইং। এর সাথে সাথে মুড সুইং এর লক্ষণ এবং মুড সুইং কাদের হয় এই বিষয়ে সহ আরো যাবতীয় বিষয়ে একটা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। কাজেই আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের প্রত্যেকেরই জেনে রাখা প্রয়োজন। এই বিষয়গুলো আপনি তখনই জানতে পারবেন যখন এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

মুড সুইং এর লক্ষণ

মুড সুইং এর লক্ষণ সম্পর্কে এখন আমাদের আলোচনার বিষয়। মুড সুইং এর কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখে আমরা বুঝতে পারবো যে মেয়েটির মুড সুইং হয়েছে। কোন ধরনের কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে মেজাজের নাটকীয় পরিবর্তনকে মুড সুইং বলা হয়ে থাকে। মুড সুইং এর লক্ষণ গুলোর মধ্যে প্রথম যে লক্ষণটি সেটি হল হঠাৎ করে মন খারাপ হওয়া। কোন একটি কারণে হঠাৎ করে মন খারাপ হওয়া এটি মুড সুইং এর অন্যতম একটি প্রধান লক্ষণ। আবার রাগ হওয়াও মুড সইং একটি লক্ষণ। মুডসইং এর লক্ষণগুলো আরো ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে যেমনঃ কান্না করাও কিন্তু মুড সুইং একটি লক্ষণ।
মুড সুইং বলতে মূলত হঠাৎ করে মেজাজ এর পরিবর্তনকেই বোঝানো হয়ে থাকে। আর হাসিখুশি অবস্থা থেকে হঠাৎ কান্না পাওয়া মানে মেজাজ পুরোপুরি চেঞ্জ হয়ে যাওয়া। তাই কান্না করা মুড সুইং এর একটি লক্ষণ। আবার কোন বিষয় নিয়ে হঠাৎ রাগান্বিত হওয়াও মুড সুইং এর একটি লক্ষণ। হাসিখুশি থাকা অবস্থা থেকে কোন একটি বিষয় নিয়ে হুট করে রেখে যাওয়া মুড সুইং এর লক্ষণ এর মধ্যে পড়ে থাকে। আবার শুধু দুঃখ বিজরিত সময় নয় বরং রাগান্বিত বা কান্না বিজড়িত অবস্থা থেকে হাসিখুশি অবস্থায় ফিরে আসাও মুড সুইংএর লক্ষণ। এতক্ষণ আপনাদের মুড সুইং এর লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি মুড সুইং এর লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

মুড সুইং কাদের হয়

মুড সুইং কাদের হয় এখন আমরা এই সম্পর্কে জেনে নেব। মুড সুইং মূলত ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই হতে পারে। মোট সেম বলতে তৎক্ষণাৎ মনের পরিবর্তনকে বোঝানো হয়ে থাকে। তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি মুড সুইং হয়ে থাকে। তাছাড়া মুড সুইং যাদের হয় তাদের মধ্যে অন্যতম হলো যারা মানসিক চাপ এবং হতাশায় ভোগে। মানসিক চাপ এবং হতাশার জন্য মূলত মুড সুইং হয়ে থাকে। এটি মুড সুইং এর প্রধান কারণ। আবার যারা অস্থিরতা এবং অবসাদগ্রস্ত হয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রেও মুড সুইং হয়ে থাকে। এই সমস্যাগুলো যাদের মধ্যে দেখা যায় বেশিরভাগ তাদেরই মুড সুইং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তাছাড়া যারা মদ্যপান এবং নেশাগ্রস্ত হয় তাদেরও মুড সুইং হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আবার মেয়েদের ক্ষেত্রে মেনোপজ অবস্থায় পৌঁছে গেলে তাদেরও মোড সুইং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মেনোপজ অবস্থায় আগেও অবশ্য মুড সুইং হয়ে থাকে। তাছাড়া যাদের চিন্তাভাবনা একটু বাজে লেভেলের হয়ে থাকে তাদেরও মুড সুইং হওয়ার তীব্র আশঙ্কা থাকে। মূলত মুড সুইং বিষয়টি অনেকটাই মানসিক চিন্তাধারার সাথে যুক্ত থাকে। তাই অবশ্যই আমাদের চিন্তা চেতনা ইতিবাচক হতে হবে। এতক্ষণ আপনাদের সাথে মুড সুইং কাদের হয় এই সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আশা করছি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি মুড সুইং কাদের হয় এ বিষয়টি জানতে পেরেছেন।

পিরিয়ডের সময় মুড সুইং

পিরিয়ডের সময় মুড সুইং নিয়ে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। মেয়েদের পিরিয়ডের মুড সুইং কে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। সংক্ষেপে একে পিএমএস বলা হয়ে থাকে। মেয়েদের ইস্ট্রোজেন হরমোন উত্থান এবং পতনের ফলে পিরিয়ডের আগের সময় থেকে মূলত মোট সুইং হয়ে থাকে। এই মুডসুইং এর ফলে মেয়েদের মেজাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে ইস্ট্রোজেন হরমোন মেয়েদের ব্রেনের উপর একটি প্রভাব ফেলে যার ফলে পিরিয়ডের সময় মেয়েদের মোট সুইং হয়ে থাকে। মুড সুইং যেজন্য হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো সেরেটোনিন।
সেরাটনীনের মাত্রা কমে গেলে আমাদের হতাশা এবং বিষন্নতা সহ নানা ধরনের সমস্যা কাজ করে। এই কাজগুলো সাধারণত পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত হয়ে থাকে। যার প্রভাবে পিরিয়ডের সময় মুড সুইং হয়ে থাকে। মূলত নানা ধরনের সমস্যা জর্জরিত হওয়ার জন্য মেয়েদের পিরিয়ডের সময় মুডসইং এর সমস্যাটি দেখা যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারে অনিচ্ছা এবং পেটের পিসিতে টান ধরার জন্য তাছাড়া শরীরের অস্বস্তি এবং মাথা ধরার সমস্যার জন্য এই মুড সুইং হয়ে থাকে। এতক্ষণ আপনাদের পিরিয়ডের সময় মুড সুইং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনি পিরিয়ডের সময় মুড সুইং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

শেষ কথা | পিরিয়ডের সময় মুড সুইং

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে পিরিয়ডের সময় মুড সুইং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে এসেছে। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি কোথাও বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব আপনার সমস্যার সমাধান করার জন্য। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি একটুও উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করবেন। তাদের বিষয়টি জেনে রাখা প্রয়োজন। আর এরকম নিত্য নতুন সব আপডেট খবর সবার আগে পেতে হলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ। @25155

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url