ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবার - ময়মনসিংহ জেলার জনপ্রিয় খাবারের তালিকা

ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবার বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন স্বাদের হয়ে থাকে। এই পোস্টে সেই ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবার এর বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবার গুলো অনেক এলাকায় নিজেদের ধরনের জনপ্রিয় ও প্রচলিত খাবার হিসেবে পরিচিত।
ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত কিছু খাবারের মধ্যে চাল কুমড়ার মোরব্বা, গরুর মাংসের শুটকি, মৌসুমী পিঠা, মন্ডা, চ্যাপার পুলি, মিডুড়ী, খুদের ভাত, মৌসুমী পিঠা, ডালপুরী এবং সিঙ্গারা বিদ্যমান। ময়মনসিংহ জেলার লোকেরা খুবই ভোজন রসিক হয় বলে সেখানে অনেক ধরনের বিখ্যাত খাবার বেশ জমে উঠেছে।

পেইজ সূচিপত্র

ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবার কোনটি

ময়মনসিংহ জেলার মানুষ খুবই ভজন রসিক হয়। এই জেলায় খুবই বিখ্যাত খাবার তৈরি করা হয়, যার মধ্যে একটি হচ্ছে খুদির পিঠা। এই খুদির পিঠা বানানোর জন্য ঢেঁকিতে ধান বানার পর যেই চাল নেওয়া হয়, সেইগুলোকে মূলত খুদি বলা হয়। এই খুদি চাল গুলো দিয়ে ভালো করে পেঁয়াজ, মরিচ দিয়ে মিশিয়ে তৈরি করা হয় খুদির পিঠা।

প্রথমে এই খুদি, পেঁয়াজ, মরিচ এবং লবণ এর সাথে সামান্য পরিমাণে জিরার গুড়া মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখা হয়। এরপর চুলার উপর মাটির পাত্রে কলাপাতা বিছিয়ে বিভিন্ন উপকরণ মিক্স করে কলাপাতার উপরে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর হালকা আঁচে পাত্রটির মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়।


ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবার এই অবস্থায় কিছুক্ষণ পর খুদির পিঠা তৈরি হয়ে যায়। পিঠা ভেঙে এক এক করে সকলের হাতে দেওয়া হয়। ময়মনসিংহ জেলার জনপ্রিয় খাবারের তালিকার বিখ্যাত আরেকটি ঐতিহ্যবাহী খাবার রয়েছে যার নাম হচ্ছে কবাক। এই কবাক খাওয়ার জন্য সকলের জিভে জল চলে আসে।

ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবার কবাক তৈরি করার জন্য যেই সকল উপকরণ প্রয়োজন হয় যেমন মোরগ, কাঁচা মরিচ, লবণ, সরিষার তেল, পেঁয়াজ, আদা ইত্যাদি। এইগুলো একসাথে মিশিয়ে একটি মন্ড তৈরি করে নিতে হয়। মন্ড তৈরি হয়ে যাওয়ার পর মজাদার মোরগ ভর্তা অথবা কবাক খাওয়ার জন্য তৈরি হয়।

কবাক চুলার আগুনে ভালোভাবে পুড়িয়ে চুই পিঠার সাথে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এছাড়াও ভুইত্তা কলার পিঠা এবং নকশী পিঠাও ময়মনসিংহ অঞ্চলে খুবই বিখ্যাত। এছাড়াও গরুর মাংসের শুটকি, চ্যাপার পুলি, লাউয়ের টক খাটাই, চাল কুমড়ার মুরব্বা এবং মণ্ডা সহ আরও কিছু বিখ্যাত খাবার রয়েছে।

ময়মনসিংহের বিখ্যাত খাবারের তালিকা গুলো কি

ময়মনসিংহ জেলার প্রত্যেকটি অঞ্চলের মানুষের রান্নার পদ্ধতি একেক রকম এবং খাবারের স্বাদও ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যার ফলে ময়মনসিংহ জেলার জনপ্রিয় খাবারের তালিকার একই খাবার সব জেলাতে যদিও তৈরি হয়, তারপরেও অঞ্চলভেদে সেই খাবার বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।

ময়মনসিংহ জেলায় আঞ্চলিকভাবে যেই সকল খাবার তৈরি করা হয়, অনেকেই সেই সকল বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে পরিচিত নয়। চলুন সেই সকল বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে কিছুটা জেনে নিই।

১। মিডুড়ীঃ
ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবার এর মধ্যে মিডুড়ী একটি। এটি একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের ডেজার্ট আইটেম হিসেবে এই মিডুড়ী প্রচলন এখনও রয়েছে।

বর্তমানে এই মিডুড়ী ফিরনি বা পায়েস হিসেবে খাওয়া হয়। অনেকে দুধ, পোলাওয়ের চাল, সাবুদানা, নারিকেল এবং খেজুরের গুড় মিক্স করে এই মিডুড়ী তৈরি করে থাকে যা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।

২। কবাকঃ
ময়মনসিংহ জেলার জনপ্রিয় খাবারের তালিকা এর মধ্যে রাজকীয় একটি খাবার হল কবাক। এই খাবার শুধুমাত্র ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষ খেয়ে থাকে। ময়মনসিংহ জেলার বাহিরে এই খাবার পদ্ধতি জানা না থাকার কারণে অনেকে এর রেসিপি তৈরি করতে পারে না।

কবাক মূলত দেশী মোরগ দিয়ে করা হয়। দেশি মোরগের চামড়া ও পশম পরিষ্কার করে মশলা মেখে শিকে উঠোনের চুলায় পুড়তে দেওয়া হয়। সেই মোরগটিকে ভালোভাবে বেশি করে পেঁয়াজ, মশলা ঢেঁকিতে কুটে সরিষার তেল মেখে গরম ভাত বা পিঠার সাথে পরিবেশন করা হয়।

৩। ম্যারা পিঠাঃ
ময়মনসিংহ জেলার সবচাইতে বিখ্যাত একটি পিঠার নাম হচ্ছে ম্যারাপিঠা। এই পিঠা সাধারণত শীতকালে অনেক বেশি তৈরি করা হয়। শুধু তাই নয় এই পিঠা বানানো খুব সহজ বলে শুটকি ভর্তা দিয়ে গরম গরম শীতের সকালের খাবারে পরিবেশন করা হয়।

৪। চ্যাপা শুটকিঃ
নিয়মিত খাদ্য তালিকায় চ্যাপা শুটকি ময়মনসিংহের খুবই বিখ্যাত একটি প্রিয় খাবার। তারা বেশিরভাগ সময় যেকোন রান্নাতে শুটকি ব্যবহার করে থাকে। বাজারে চ্যাপার শুটকির দাম বেশি থাকায়, তারা নিজেরাই মাটির হাঁড়িতে কাঁচা পুঁটি মাছকে এক বিশেষ পদ্ধতিতে কিছুদিন রেখে শুটকি তৈরি করে নেয়।

৫। গরুর মাংসের শুটকিঃ
ময়মনসিংহ জেলার জনপ্রিয় খাবারের তালিকা এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার স্থানীয় লোকেরা গরুর মাংসের শুটকি অনেক বেশি খেয়ে থাকে। কুরবানীর সময় ময়মনসিংহের বেশিরভাগ বাড়িগুলোতে গরুর মাংসের শুটকি তৈরি করে শুকাতে দেওয়া হয়।

এই গরুর মাংসের সাথে হলুদ ও লবণ মেখে সেইগুলো লোহার তারের মধ্যে ভরে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। তারপর যখন ভালোভাবে শুকিয়ে যায়, তখন সারা বছর সংরক্ষণ করে এই গরুর মাংসের শুটকি খেয়ে থাকে।

৬। মুক্তাগাছার মন্ডাঃ
মুক্তাগাছার মন্ডা ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবার এর একটি। মুক্তাগাছার মন্ডা রাম গোপাল পাল সর্বপ্রথম তৈরি করেছিলেন। আর এই মন্ডা শুধুমাত্র ময়মনসিংহেই পাওয়া যায়।

এই মিষ্টির স্বাদ, গন্ধ ও উপাদান ঠিক না রাখলে এই মিষ্টি তৈরি করা সহজ নয়। মুক্তাগাছার মন্ডা তৈরীর মূল উপাদান ছানা, চিনি ও গুড়। এই মন্ডা শুধুমাত্র ময়মনসিংহ জেলাতেই পাওয়া যায়।

৭। খুদের ভাতঃ
ময়মনসিংহ জেলার মানুষের খুবই প্রিয় একটি খাবার হচ্ছে এই খুদের ভাত। পেঁয়াজ, মরিচ ও রসুন ভালোভাবে বেজে ধুয়ে রাখা খুদ দিয়ে এই খুদের ভাত তৈরি হয়। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পোলাওর মত ঝরঝর করে এই খুদের ভাত রান্না করা হয়।

মাঝে মাঝে কেউ অল্প ডালও ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু হলুদ ব্যবহার করা হয় না। অনেক রকমের ভর্তা খেয়ে থাকে। এর সাথে শুটকি ভর্তা, মরিচ ভর্তা, ধনেপাতা, আলু ভর্তা এবং কালোজিরা যেকোন ধরনের ভর্তা ভাত দিয়ে খেতে সুস্বাদু হয়।

ময়মনসিংহ জেলা কোন খাবারের জন্য বিখ্যাত

ময়মনসিংহ জেলা অনেক ধরনের খাবারের জন্যই বিখ্যাত যার মধ্যে মিডুড়ী, খুদের ভাত, কবাক, মুক্তাগাছার মন্ডা, ম্যারা পিঠা, জাকির মিয়ার টক মিষ্টি জিলাপি, লাউয়ের টক খাটাই, সিঙ্গারা, চ্যাপার পুলি, গরুর মাংসের শুটকি, চাল কুমড়ার মুরব্বা, চ্যাপা শুটকি, ভুইত্তা কলার পিঠা এবং নকশী পিঠা রয়েছে।

ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। ময়মনসিংহ জেলার জনপ্রিয় খাবারের তালিকার মধ্যে বেশিরভাগ খাবারই শুধু ময়মনসিংহ জেলাতেই পাওয়া যায়। যারা ভোজন রসিক হয়ে থাকেন, তারা এই অঞ্চলের খাবার গুলোর রান্নার পদ্ধতি জেনে তৈরি করে খেতে পারেন।

ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত জাকির মিয়ার টক মিষ্টি জিলাপি স্বাদের কম্বিনেশনে তৈরি করা হয়। প্রায় দুই যুগ ধরে এই বিখ্যাত টক মিষ্টি জিলাপি তৈরি হয়ে আসছে। সাধারণত জিলাপি তৈরি করতে আটা ময়দা ব্যবহার করা হলেও বিখ্যাত এই টক মিষ্টি জিলাপি তৈরি করার জন্য চালের গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়।


ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবার জাকির মিয়ার টক মিষ্টি জিলাপি তৈরি করতে মাষকলাইয়ের ডাল এবং ময়দা ব্যবহার করা হয়। ময়মনসিংহ জেলায় ম্যারা পিঠা তৈরি করার জন্য যেই ধরনের উপকরণ লাগে তা খুবই সহজ। চালের গুঁড়ো পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে রুটির কাই তৈরি করতে হয়। 

তারপর সেই কাই দিয়ে ছোট ছোট বলের মতো তৈরি করে নিতে হয়। বলগুলো ইচ্ছেমতো তৈরি করা যায়। সেটি চ্যাপ্টা, লম্বা অথবা যেকোন আকারের সাইজ আপনি করতে পারবেন। তারপর সেই ম্যারা পিঠাকে ভাপে সিদ্ধ করতে হয়। যেকোন টাইপের ভর্তা দিয়ে খেতে পারেন। তবে ঝাল শুটকি ভর্তা দিয়ে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিখ্যাত একটি খাবার

ময়মনসিংহ জেলার জনপ্রিয় খাবারের তালিকার মধ্যে গরুর মাংসের শুটকি একটি। ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবার এর মধ্যে মানুষের গরুর মাংসের শুটকি বেশ পছন্দ। এই অঞ্চলের বিখ্যাত খাবারটির উপকরণগুলো হলো -
  • আপনাকে গরুর মাংসের শুটকি হাফ কেজি নিতে হবে।
  • হাড় ছাড়া গরুর মাংস ছোট টুকরা করে কেটে নিয়ে সুতা দিয়ে লবন ও হলুদ গুঁড়া মাখিয়ে নিতে হবে।
  • পেঁয়াজকুচি, আদা বাটা এবং রসুন বাটা এক টেবিল চামচের মত নিতে হবে।
  • সেই সাথে মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া এবং ধনিয়া গুড়া মিশিয়ে এর মধ্যে জিরার গুড়া মিক্স করতে হবে।
  • আপনি চাইলে কাঁচা মরিচ ব্যবহার করতে পারেন।
  • এর মধ্যে এলাচ, দারুচিনি টুকরা এবং রসুনের কোয়া মিশিয়ে নিতে পারেন।
  • পরিমাণ মতো লবণ এবং তেল নিয়ে হাফ কেজি মিশিয়ে নিতে পারেন।
  • প্রথমে আপনাকে গরুর মাংসের শুটকি ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
  • প্রেশার কুকার সামান্য পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিতে পারেন।
  • চুলা থেকে পানি ঝরিয়ে প্যানে মশলা গুলো ভেজে নিতে পারেন।
  • মসলা গুলো ভালো করে বেছে নিয়ে রসুনের কোয়া বাগারে দিতে পারেন।
  • রসুন ভালোভাবে বাগাড়ে দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ও আধা রসুন বাটা দিয়ে কষিয়ে নিতে পারেন।
  • ভালো করে কষিয়ে নিয়ে পানি দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন।
  • যখনই পানি শুকিয়ে তেল উঠে আসবে তখন নামিয়ে নিতে পারেন।
  • ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিখ্যাত গরুর মাংসের শুটকি আপনি এইভাবে তৈরি করে নিতে পারেন।

ময়মনসিংহ জেলায় কোন খাবার বেশি জনপ্রিয়

ময়মনসিংহ জেলায় জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে মুক্তাগাছার মন্ডা, জাকির মিয়ার টক মিষ্টি জিলাপি, কবাক, গরুর মাংসের শুটকি, ম্যারা পিঠা, খুদের ভাত, চাল কুমড়ার মুরব্বা, নকশী পিঠা, লাউয়ের টক খাটাই, সিঙ্গারা, ডালপুরী, চ্যাপার পুলি, মিডুড়ী এবং চ্যাপা শুটকি বেশি খাওয়া হয়।

ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত রাজকীয় খাবার শুধুমাত্র এই অঞ্চলের মানুষরাই এই খাবার খেয়ে থাকেন। এই খাবারের রেসিপি খুবই বিরল হয়ে থাকে। তাই রাজকীয় স্বাদ হওয়ার কারণে এই খাবার অনেক বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়। কবাক মূলত দেশি মোরগ দিয়ে তৈরি করা হয়।


দেশি মোরগের চামড়া ও পশম ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর শিকে ভরে উঠোনের চুলায় পুড়তে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় মোরগ ভালো করে মশলা দিয়ে মিক্স করে সরিষার তেল মেখে রান্না হয়ে গেলে পিঠার সাথে পরিবেশন করা হয়।

ময়মনসিংহ জেলার জনপ্রিয় খাবারের তালিকা এর মধ্যে মিডুড়ী খুব বেশি খাওয়া হয়। বিশেষ করে ময়মনসিংহের প্রতিটি বিয়ে বাড়িতে, মিলাদে বা যেকোন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে ডেজার্ট আইটেম হিসেবে এই মিডুড়ী রাখা হয়।

তবে যদিও এই ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবার মিডুড়ী এখন অনেকটাই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ফিরনি বা পায়েস হিসেবে মিডুড়ী অনেকেই করে থাকে। দুধ পোলাওয়ের চাল, সাবুদানা, নারকেল, বাতাসা ও খেজুরের গুড় দিয়ে অনেক সুস্বাদু করে এই মিডুড়ী তৈরি করা হয়।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মন্ডা এত জনপ্রিয় কেন

ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবার মুক্তাগাছার মন্ডা খুবই জনপ্রিয় হয়ে থাকে। এর পিছনে অসংখ্য কারণ রয়েছে। কারণ ময়মনসিংহ জেলার জনপ্রিয় খাবারের তালিকার এই মিষ্টান্ন শুধুমাত্র বাংলাদেশের এই ময়মনসিংহ জেলায় পাওয়া যায়।

এই মিষ্টি এই জায়গা থেকেই নামকরণ করা হয়েছে মুক্তাগাছার মন্ডা। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার মন্ডা সবার কাছে কেন এতটা জনপ্রিয় হয়ে আছে চলুন সেই সম্পর্কে জেনে আসি।

১। ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায়, এই মুক্তাগাছার মন্ডা যিনি তৈরি করেছিলেন তার নাম ছিল রাম গোপাল পাল। যিনি সর্বপ্রথম এই মিষ্টি তৈরি করেছিলেন।

২। তাই শুরু থেকেই এই মিষ্টি শুধুমাত্র এই ময়মনসিংহ জেলাতেই পাওয়া যায়। অন্য অঞ্চলের যেকোন লোক যদি এই মিষ্টি তৈরি করতে চায়, তাহলে মিষ্টির স্বাদ, গন্ধ ও উপাদান যদি ঠিক না থাকে তাহলে এই মিষ্টি সঠিকভাবে তৈরি হবে না।

৩। মুক্তাগাছার মন্ডা শুধুমাত্র সঠিকভাবে ময়মনসিংহ জেলার এই অঞ্চলেই তৈরি হয়ে থাকে। যার কারণে এখানেই শুধুমাত্র এর সঠিক উপাদানে তৈরি মুক্তাগাছার মন্ডা পাওয়া যায়।

৪। এটি তৈরির গোপন পদ্ধতি এখনো পর্যন্ত এই অঞ্চলের ময়রা ছাড়া আর কেউ বলতে পারে না। কিন্তু এই মিষ্টির মূল উপাদান গুলো ছানা, চিনি ও গুড় দিয়েই তৈরি করা হয়। তাই ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার মন্ডা সবার কাছে এতটা জনপ্রিয় হয়ে আছে।

উপসংহার

আশা করছি এই পোস্ট থেকে ময়মনসিংহ জেলার বিখ্যাত খাবার, ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিখ্যাত একটি খাবার, ময়মনসিংহ জেলার জনপ্রিয় খাবারের তালিকা এবং আরও বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে রেসিপি জানতে পেরেছেন। বিস্তারিত জেনে ভালো লেগে থাকলে পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে পাশেই থাকুন। ২৫২৭৫ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url