বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন - বজ্রপাত নিয়ে কবিতা

আপনি কি বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন গুলো জানতে আর্টিকেলটি পড়ছেন? তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলটি পড়ছেন। আজ আমি এই আর্টিকেলে বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন গুলো আপনাদেরকে জানাবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনি হয়তো জানেন না বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন হয়।
বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন - বজ্রপাত নিয়ে কবিতা
বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন গুলো জানতে হলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন গুলো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন - বজ্রপাত নিয়ে কবিতা

বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন

আজ আমি এই আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার্থে বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন গুলো নিয়ে তথ্য প্রদান করব। বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন ও বজ্রপাত নিয়ে কবিতা আপনি যখন জানতে পারবেন তখন আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে তা শেয়ার করতে পারবেন এবং আপনার ব্যক্তিত্ব একটি অন্য মাত্রায় যাবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন।

  • ঈশান কোণে বজ্রপাত।
  • আকাশ জুড়ে শুনি ওই বাজে তোমারি নাম, সকল তারার মাঝে।
  • কিছু মেঘ গুমোট করুক আকাশের মাঝে, সব মেঘকে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়তে নেই।
  • তোমার হাতের ছোঁয়ায় আগুন ছিল, দু নয়নে বজ্রপাত, মায়া দৃষ্টিতে মাতাল হয়ে, আজ নির্ঘুমেতেই কাটছে রাত।
  • এই শহরে সমস্ত হৃদয় ভাঙ্গার যন্ত্রণাগুলো প্রকাশ পায় না, যদি প্রকাশ পেত তাহলে হয়তো সদ্যজাত প্রেমগুলো অকালে বজ্রপাতে মারা যেত।
উপরোক্ত আলোচনায় আমি বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন প্রকাশ করেছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

বজ্রপাত নিয়ে কবিতা

আজ আমি এই আর্টিকেলে বজ্রপাত নিয়ে কবিতা লিখব আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

বজ্রপাতের শুনে শব্দ শুকিয়ে গলা কাঠ,
ভয়ে ভয়ে তখন থাকি রেখে লিখা পাঠ।
বজ্রপাতের মহা হুংকার আধার করে মেঘ,
ভয়ের জগত করে সৃষ্টি বিশ্ববাসীর তরে
একলা থাকলে মরি তখন সান্তনা পাই মাকে পেলে
এসে মা বলে আমায় নেইতো ভয়ে যন্ত্রণা।
কখনো যদি মেঘ না ডাকে কিভাবে বৃষ্টি হবে?
বৃষ্টি হলে তবেই পুরো পৃথিবী সজীব রবে।

উক্ত আর্টিকেলটিতে আমি  বজ্রপাত নিয়ে কবিতা লিখেছি আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে।

বজ্রপাত নিয়ে কথা

এই আর্টিকেলটিতে আমি বজ্রপাত নিয়ে কথা বলবো কথাগুলো আপনাদের বজ্রপাত সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা দিবে। বজ্রপাত আল্লাহর সৃষ্টি ভয়ঙ্কর একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বাংলাদেশ সুনামগঞ্জে সবচাইতে বেশি বজ্রপাত হয়ে থাকে। প্রতি বছরেই বজ্রপাতে অনেক লোকের প্রাণহানি ঘটে এবং জমির ফসল, গাছপালা, পশুপাখি মারা যায়। 

বজ্রপাতের তাপমাত্রা প্রায় ৩০ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস যা সূর্যের তাপমাত্রা চাইতেও অনেক বেশি। অতীতে এত বেশি বজ্রপাত হতো না কিন্তু বর্তমান সময়ে বজ্রপাতের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে বড় বড় গাছ, উঁচু তালগাছ, বটগাছ ইত্যাদি কেটে ফেলা হচ্ছে। বজ্রপাতে সবচাইতে বেশি প্রাণহানি হয় মাঠে ঘাটে কাজ করা কৃষক শ্রমিকদের। বজ্রপাতের সময় জানালার গ্রিল বা সিঁড়ির রেলিং থেকে দূরে থাকতে হবে। 

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে বাড়ির ছাদে বজ্র নিরোধক দন্ড লাগাতে হবে এবং মাঠে-ঘাটে থাকা বড় গাছ রক্ষা করতে হবে। বজ্রপাতের সময় আমাদেরকে বাড়ির ভিতরে আশ্রয় নিতে হবে আর যদি বাইরে থাকা হয় তাহলে নিচু হয়ে বসে যেতে হবে তবে সাবধানতা অবলম্বন করলে এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না - গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে

বাড়ির সমস্ত টিভি, ফ্রিজ ও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের কানেকশন খুলে রাখতে হবে শুধু তাই না সেগুলো ধরে রাখা যাবে না। বাড়ির বাইরে থাকলে উঁচু গাছের নিচে বা একসঙ্গে অনেকজন থাকা যাবে না, নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে থাকতে হবে। বজ্রপাতের সময় টুকু আমরা যদি সাবধান থাকতে পারি তাহলে প্রাণহানি থেকে রক্ষা পাব। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বজ্রপাত নিয়ে কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন।

বজ্রপাত নিয়ে হাদিস

আপনি কি বজ্রপাত নিয়ে হাদিস জানতে আর্টিকেলটি পড়ছেন? তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলটি পড়ছেন? আল্লাহ তা আলা বজ্রপাত সৃষ্টি করেন মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য ও শাস্তি দেওয়ার জন্য। বজ্রপাত নিয়ে আল কোরআনে একটি সূরা আছে সূরাটির নাম রাদ যার অর্থ হচ্ছে বজ্রপাত। আয়াতটিতে আল্লাহপাক বলেছেন বজ্রপাত সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য। 

বজ্রপাত যেখানে হয় সে জায়গাটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আবার অপরদিকে এর ভালো দিকও আছে বজ্রপাতের ফলে বৃষ্টি হয় যা মানুষের জীবনে কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে। বজ্রপাতের সময় নবীজি দোয়া করতেন। বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া বর্ণনা করা হলো আল্লাহুম্মা লা-তাক্বতুলনা বিগাজাবিকা, ওয়া লা-তুহলিকনা বিআজা-বিকা, ওয়া আ-ফিনা-ক্বাবলা জা-লিকা। 

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের জাম খাওয়ার ১০টি উপকারিতা

অর্থ হলো যে হে আল্লাহ আপনি আমাকে আপনার গজব দিয়ে হত্যা করে দিবেন না এবং আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দেবেন না এসবের আগে আপনি আমাকে পরিতান দিন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বজ্রপাত নিয়ে হাদিস ও বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

বজ্রপাত নিয়ে মজার কথা

আমি এই আর্টিকেলে বজ্রপাত নিয়ে মজার কথা গুলো আলোচনা করলাম আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। বজ্রপাত নিয়ে মজার কথা কথাগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো। 

  • বিদ্যুতের গতি আলোর গতির সমান যা প্রতি সেকেন্ডে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল।
  • বজ্রপাত যেখানে আছে পড়ে সেখানকার তাপমাত্রা প্রায় ৫৪ হাজার ফারেনহাইট হয়।
  • বিদ্যুতের তারে পাখি বসলেও ইলেকট্রন সক করে না কারণ মাটির সঙ্গে কানেকশন থাকে না। তবে দেখবেন ৩৩ হাজার ভোল্ট কারেন্টের তারে পাখি বসেনা।
  • দুটি সম চার্জ পরস্পরকে বিকর্ষণ করে, আর বিপরীত চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে।
  • বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ুতে তার বেঁধে প্রথম কৃত্রিমভাবে বজ্রপাত ঘটিয়েছিলেন। বজ্রপাত দন্ডের ধারণা সেখান থেকেই আসে।
আর্টিকেলটিতে আমি বজ্রপাত নিয়ে মজার কথা গুলো তুলে ধরেছি আশা করি তথ্যগুলো আপনাদের জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করবে।

বজ্রপাত নিয়ে উক্তি

এই আর্টিকেলটিতে আমি বজ্রপাত নিয়ে উক্তি গুলো উল্লেখ করব আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। নিম্নে বজ্রপাত নিয়ে উক্তি গুলো বর্ণনা করলাম।

আজি রন সাজে নীলাম্বর হতে রবি গেল ঢাকি,
কালতোমসি বারিদের আড়াল হইতে অশনির ঝলকানি মারিলো উকি।
বারিদের অশনি গর্জন শুনিয়া সবাই ফিরিয়া গেল ঘর,
নাহি ভরসা করিবার কেহজন কারো উপর।
মাতাল তাণ্ডবের ন্যায় লীলা খেলায় মাতালো আজ এ বিশ্ব ভুবন,
ধরিত্রী হলো অন্ধ,
কারো উপর পড়িলোবাজ আবার কারোউর ভাঙ্গিলো স্কন্ধ।

উপরোক্ত আলোচনায় আমি বজ্রপাত নিয়ে উক্তি উল্লেখ করলাম আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।

বজ্রপাত নিয়ে কিছু কথা

আজ আমি এই আর্টিকেলে বজ্রপাত নিয়ে কিছু কথা বলবো আশা করি কথাগুলো আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক। প্রতিবছর এই এপ্রিল থেকে জুন মাস এ সময়ে আমাদের দেশে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতে প্রতিবছরই অনেক প্রাণহানি ঘটে, ফসল, গৃহপালিত পশুপাখি এবং গাছপালার ওপরেও এর খারাপ প্রভাব পড়ে। 

আরো পড়ুনঃ হার্ট ভালো রাখার জন্য যে ৫টি খাবার খাওয়া দরকার

অনেক সময় বসতবাড়িতেও বজ্রপাত হতে শোনা যায় তাই এই বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন। আমি এই সতর্কতা গুলো উল্লেখ করলাম আশা করি উপকৃত হবেন।

  • বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, খোলা মাঠে বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
  • ধান ক্ষেতে বা খোলা মাঠে থাকলে বজ্রপাতের সময় দ্রুত পায়ের আঙ্গুলে ভর দিয়ে কানে আঙ্গুল দিয়ে বসে পড়ুন।
  • যত দ্রুত সম্ভব কংক্রিটের ভবন বা দালানের নিচে আশ্রয় গ্রহণ করুন। টিনের ঘর বা টিনের চালের নিচে আশ্রয় নিবেন না।
  • উঁচু গাছ, কারেন্টের তার বা খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
  • বাসায় থাকলে বাসার গ্রিলের পাশে থাকবেন না বা সিঁড়ির রেলিং ধরে থাকবেন না।
  • খোলা মাঠে থাকলে এক জায়গায় বেশি লোক থাকবেন না, একসঙ্গে অনেকে থাকলে সবাই নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করুন।
  • বজ্রপাত থেকে নিজের বসতবাড়ি রক্ষা করতে হলে বাড়ির ছাদে বজ্র নিরোধক দন্ড লাগাতে হবে।
উপরোক্ত সতর্কতা গুলো মেনে চললে আমরা বজ্রপাতের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিজেকে ও নিজের পরিজনদেরকে নিরাপদে রাখতে পারব। উক্ত আলোচনাটিতে আমি বজ্রপাত নিয়ে কিছু কথা উল্লেখ করেছি আশা করি কথাগুলো আপনারা মেনে চলবেন।

উপসংহার

পরিশেষে এ কথা বলে শেষ করবো যে, বজ্রপাত, ঝড়, ভূমিকম্প সবই খুব ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমরা সচেতন থাকলেই এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে পারবো। এই আর্টিকেলটিতে বজ্রপাত নিয়ে ক্যাপশন এবং বজ্রপাত নিয়ে কবিতা এছাড়াও বজ্রপাতের অনেক বিষয় নিয়ে আমি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি এবং আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি আশা করি আলোচনাটি আপনাদের উপকারে আসবে।

আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি খুশি হয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url