মাউস কে আবিষ্কার করেন কত সালে

মাউস সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানি কিন্তু মাউস কে আবিষ্কার করেন কত সালে তা হয়তো অনেকেই জানিনা। মাউস কে আবিষ্কার করেন কত সালে এ বিষয়ে জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা হবে মাউস কে আবিষ্কার করেন কত সালে।
আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য হতে যাচ্ছে অতি গুরুত্বপূর্। কারণ আজকের আর্টিকেলে জানতে পারবেন মাউসের আবিষ্কারক সম্পর্কে। মাউস কে আবিষ্কার করেন তার সম্পর্কে আজকের পোস্টে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। চলুন তাহলে মূল আলোচনায় চলে যাই।

পোস্ট সুচীপত্র | মাউস কে আবিষ্কার করেন কত সালে

মাউস কত প্রকার

যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের প্রায় সবারই মাউসের প্রয়োজন অপরিসীম। এক কথায় বলতে গেলে মাউস ছাড়া কম্পিউটার সিস্টেম অচল। মাউসের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি দেখতে পাবেন ডেস্কটপ কম্পিউটারে। মাউস বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন মেকানিক্যাল মাউস, অপটিক্যাল মাউস, কর্ডলেস মাউস, ট্র‍্যাকবল মাউস ইত্যাদি। 
বিষয়টি জানতে হলে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। মাউস এমন একটা ডিভাইস যার মাধ্যমে কম্পিউটারের প্রায় সব ধরনের কাজ অনেক সুন্দর ভাবে করা যায়। অবশ্যই ল্যাপটপের ক্ষেত্রে মাউসের প্রয়োজন বেশি না হলেও ডেস্কটপ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে মাউস ছাড়া ডেস্কটপ কম্পিউটার একেবারেই অচল। 

মাউস এর বৈশিষ্ট্য

আপনি চাইলে মাউস দিয়ে কম্পিউটারে যাবতীয় কাজ করার পাশাপাশি কিবোর্ড দিয়ে যে কাজগুলো করা হয় সেগুলো আপনি মাউসের মাধ্যমে করতে পারবেন। তাহলে একবার ভাবুন যে কম্পিউটারের জন্য মাউস কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মাউস মূলত কম্পিউটারের একটি ইনপুট ডিভাইস। মাউসের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা কম্পিউটারের প্রেরণ করা হয়। এজন্য মাউসকে ইনপুট ডিভাইস বলা হয়। মাউসের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছ। মাউস মুলত কাজ করে রাইট বাটন এবং লেফট বাটন এই দুই বাটনের মাধ্যমে।

মাউস কে আবিষ্কার করেন কত সালে এই বিষয়ে সম্পর্কে আমরা একটু পরে জান।  তার আগে আমরা জেনে নেই মাউসের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি। মাউসের রাইট বাটন শুধুমাত্র কোন জিনিসের অপশন বা সেটিংস দেখার জন্য ব্যবহৃত হয। আর লেফট বাটনের মাধ্যমে অনুমতি প্রদান করা হয়। এছাড়া মাউসের লেফট বাটন চেপে ধরে কোন জিনিসের উপর টানলে সেই জিনিসটা সিলেক্ট হয়ে যায়। কোন ইন্টারফেস উপরে নিচে করার জন্য মাউসের স্ক্রল ব্যবহৃত হয়।

মাউস কে আবিষ্কার করেন কত সালে

দৈনন্দিন জীবনে মাউসের আমরা এত ব্যবহার করে থাকি কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে মাউস কে আবিষ্কার করেন কত সালে। আসলে আমাদের সবারই এই বিষয়ে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। প্রথম মাউস তৈরি হয়েছিল ১৯৬৩ সালে এবং এর কৃতিত্ব দেওয়া হয় উইলিয়াম ইংলিশ কে। তবে মাউস তৈরির ধারণা ছিল ডগলাস এঞ্জেলবার্টের। এইজন্য ডগলাস এঞ্জেলবার্টকে মাউসের জনক বলা হয়। উইলিয়াম ইংলিশ ১৯৫০ সালের শেষের দিকে স্টানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন।
মাউস তৈরির ওই সময়টাতে উইলিয়াম ইংলিশ এবং ডগলাস অ্যাঞ্জেল একসঙ্গে কাজ করছিলেন।মাউস তৈরির মূল ধারণা এবং পরিকল্পনা ছিল ডগলাস এঞ্জেলবার্টের এবং সেই ধারণা পরিকল্পনাকে বাস্তবে নিয়ে আসেন তারা দুজনেই। মাউস তৈরীর কারিগরির কাজ করেছিলেন উইলিয়াম ইংলিশ।

মাউসের লেফট বাটনের কাজ কি

একটি মাউস মূলত কাজ করে তিনটি বাটন এর মাধ্যমে। লেফট বাটন, রাইট বাটন এবং স্ক্রল বাটন। মাউসের রাইট বাটনের মাধ্যমে কম্পিউটারের সমস্ত জিনিসপত্রের অনুমতি প্রদানের জন্য সেটিংস নিয়ে আসা হয় এবং সেখানে অনুমতি প্রদান করার জন্য বা সিস্টেমে প্রবেশ করার জন্য মাউসের লেফট বাটন প্রেস করতে হয়। মাউস কে আবিষ্কার করেন কত সালে তা আমরা উপরে আলোচনা করেছি আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
মাউসের লেফট বাটন ব্যবহার করে কোন টেক্সট বা লেখাকে সম্পূর্ণ মার্ক করা যায় বা সিলেক্ট করা যায়। এছাড়া মাউসের উপরে যে চাকার মত একটা বাটন থাকে এটার মাধ্যমে কোন একটা ইন্টারফেস উপরে নিচে স্লাইড করা হয়। অর্থাৎ মাউসের লেফট বাটনের মাধ্যমে কোন জিনিসের ভিতরে প্রবেশ করা হয়। 

শেষ কথা | মাউস কে আবিষ্কার করেন কত সালে

প্রিয় পাঠক বন্ধুগন, আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মাউস কে আবিষ্কার করেন কত সালে এই বিষয় সম্পর্কে। এই বিষয়টি আমরা আমাদের আর্টিকেলে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছি আপনাদের বোঝার জন্য। তারপরেও যদি কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় জানতে ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। জব আইডি ২৫৫৯১.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url