দাওয়াত ও তাবলীগ কি এবং কেন




প্রিয় পাঠক পাটিকা আপনারা কি জানেন দাওয়াতে তবলীগ কি কেন আমাদের দাওয়াত এ তবলীগের কাজ করতে কেন ।

তাবলীগ এর মেহনত কি এবং কেন

জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য | তাহলে আপনারা আমার সাথে থেকে শেষ পর্যন্ত 

এই পোস্টটিতে থাকেন |

আজকে দুনিয়াতে ইসলামের নামে কত ধরনের মেহনত চলতেছে সবাই সমস্ত মানুষকে তাদের দিকে  ডাকতেছে 

আর  তবলিগ ওয়ালারা মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকতেছে |আর এই সমস্ত মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকার 

উদ্দেশ্য হল মানুষ যাতে আল্লাহর হুকুম আর নবীর তরিকায় চলতে পারে  |তাহলে আজকে আমরা এই পোস্ট থেকে জানব আল্লাহর হুকুম আর নবীর তরিকা কি  |চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যায় |

পোস্ট সূচীপত্র :

ভূমিকা

আপনারা অনেকেই জানেন না দাওয়াতে তবলীগ এ মেহনত | অনেকে জানে অনেকে আবার ভুল বোঝো |

চলুন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো। দাওয়াতে  তবলিগ কি এবং কেন শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সাথেই থাকুন |

আজকে যে দাওয়াতের তবলীগের মেহনত এটা যেনতেন মেহনত না এই মেহনত আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং নবীদেরকে দিয়ে করায় | তাহলে চলুন নবীরা এই মেহনত কিভাবে করেছে আমরা জেনে নিন| 


নবীরা যেভাবে দাওয়াতের মেহনত করেছে 

আপনারা অনেকে জানেন  আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে লক্ষাধিক নবী-রাসুলদেরকে প্রেরণ করেছেন তাদের কাজ ছিল মানুষকে আল্লাহ তাআলার  দিকে আহবান করা | আদম আলাই সাল্লাম থেকে শুরু করে সমস্ত নবী মানুষকে আল্লাহ তাআলার দিকে দাওয়াত দিয়েছেন আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনিও এই দাওয়াতের মেহনত করছেন কোন সন্দেহ নাই  |আর দাওয়াত দিতে গিয়ে উনারা অনেক কষ্ট মোজায় করেছেন | 

নুহ আলাই সাল্লাম সাড়ে ৯০০ বছর দাওয়াত দিয়েছে | উনি দাওয়াত দিতে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে|

 কিনা আর দাওয়াত কেউ গ্রহণ করত না আবার অনেকে  কষ্ট নির্যাতন সহ্য করতে হতো | উনি রাস্তা দিয়ে চলল

 একটু পাথর মারা হত। পাথর মেরে রক্তাক্ত করে এমনকি পাথর দিয়ে তাকে আল্লাহর হুকুমে জিব্রাইল আলাই সাল্লাম তিনার কাছে আসত এবং পাথর ঢাকা শরীফ পাথরগুলোকে শরীর থেকে সুস্থ করতো | সুস্থ হওয়ার পরে

 তিনি আবার পূর্বের মতো মানুষকে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিত | মানুষকে কথা বলতো হে মানব সকল তোমরা

 এক আল্লাহকে মেনে নাও তো দুনিয়াতে সফলতা পাবে মরার পর আখেরাতের যে জিন্দেগি আছে সেখানেও সফলতা পাবে | কেউ চিনারি কথা বিশ্বাস করত না মানতো না এমন কি তার স্ত্রী সন্তানও তাকে মানতো না

 তাকে কটু কথা শুনাইতে | টিভি সাড়ে ৯ শত বছর দাওয়াত দিয়ে মাত্র ৮০ থেকে ৮২ টা লোক তার কথায়

মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে | এভাবেই সমস্ত নবী মানুষের দ্বারে দ্বারে বারে বারে গিয়ে আল্লাহর বাণী

কে তারা তুলে ধরেছে |সমস্ত আম্বিয়া আলাই সাল্লাম কে আল্লাহতালা আল্লাহর পরিচয় মানুষকে তুলে ধরা দায়িত্ব দিয়ে প্রতিনিধি হিসেবে পয়গম্বর হিসেবে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন তাদের কাজ ছিল মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়ে আল্লাহর রাস্তায় নিয়ে আসে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক করিয়ে দেয় | যখন সমস্ত নবীদের ব্যাপারেই কথা আছে যেমন ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম ঈসা ইউনুস আলাইহিস সালাম ইত্যাদি মানুষকে হেদায়েতের পথ দেখিয়েছেন |

চাই তাদের কথা কেউ শুনুক যায় আসে না। তারাও ছিল আল্লাহ তাআলার গোলাম আল্লাহর হুকুম মাননেওয়ালা পালন করনেওয়ালা | 

নবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর দাওয়াত 

যখন সমস্ত নবীর কথা আসছে তখন আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর কথা সবার আগে

 উনার মর্যাদাও সবার উপরে এত মর্যাদাপূর্ণ ছিল আমাদের নবী যখন  তিনার মায়ের গর্ভে ছিল

 মায়ের গর্ভে ছিল | টিনার মায়ের কোন কষ্ট হয় নবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম যখন ডিনার মায়ের গর্ভে ছিলেন | তখন থেকে উনি দুনিয়াতে ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত উনার মায়ের কোন কষ্ট হয় কথিত আছে হাদিস প্রমাণ

 উনার মায়ের শরীর দিয়ে উনার মায়ের ঘরে মেসকে আম্বরের গন্ধ বের হয় | যখন উনার মা রাস্তায় চলাফেরা করতো গাছপালা পাখি জড়ব বস্তু এবং জীব জানোয়ারও সালাম করতো আল্লাহতালার হুকুম। তার সম্মানে হত কারণ তিনি ছিলেন আল্লাহ তায়ালার সবচাইতে প্রিয় বান্দা প্রিয় দোস্ত। টিনার মত এত সম্মানী সর্বশ্রেষ্ঠ নবীকে আল্লাহতালা দ্বীনের খাতিরে দ্বীনকে সারা দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দ্বীন ইসলামকে সারা দুনিয়াতে ছড়ানোর জন্য আল্লাহতালা আমাদের নবীকে দিয়েও অনেক কষ্ট মোজাহাদা| আমাদের নবী কি পরিমান কষ্ট করেছে আসুন।

 আমরা এই পোস্ট থেকে ভালোভাবে জেনে নিন ভালোভাবে জানতে হলে পোস্টটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত 

থাকবেন 

আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ বা অন্ধকারের যুগ 

আমরা অনেকেই জানিনা যে আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ কাহাকে বলে| জানা থাকলেও আমাদের মনে নাই চলুন তাহলে আজকে আমরা এই পোস্টটিতে আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগের কথা জেনে নিন | আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগ অন্ধকারের যুগ এটা এমন একটা  নিকৃষ্ট বা খারাপ যুগ ছিল এই বড় বড় তার যুগের কথা শুনবে গা সিরিয়া | 

মানুষ এত বর্বর এত জাহেল যে এত পাষাণ হৃদয় ছিল যে তারা নিজের কন্যা সন্তানকে জিন্দা পুঁতে ফেলা মত ঘৃণিত কাজ  করত | কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে নাকি তারা মনে করত যে এটা আমাদের অমঙ্গল ও খারাপের জন্য তাই

 তারা নিজের কন্যা সন্তানকে জীবিত | কাবা ঘরের মতো পবিত্র স্থানে ৩৬০ টা মূর্তি রেখে উলঙ্গ হয়ে সারারাত তওয়াফ করত | আর এই তওয়াফ করাটাকে তারা উপাসনা বা ইবাদত মনে করত| তারা এত মূর্খ ছিল যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে যুক্তিযু গোত্রের ভিতর বংশের মধ্যে গন্ডগোল লেগে থাকে সে যদি না পারতো তোতার বংশের লোক সন্তান বা ভাই এদেরকে বলে যেত যে আমি তো পারলাম না তোমরা আমার প্রতিশোধটা নিও এরকম বর্বর ছিল |

এই বর্বর যুগে আল্লাহতালা আমাদের নবীকে প্রেরণ করবে |

মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর মানুষের কাছে গাওয়া 

এরকম বর্বর যুগে অন্ধকারের যুগে আমাদের নবী মুহাম্মদের রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে দাওয়াতের কাজ শুরু করলেন আসুন। তাহলে আমরা এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন | 

আমাদের নবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ছোট অবস্থায় থেকেই মানুষের কাছে বিশ্বাসী ছিলেন তিনি যা বলতেন মানুষ সেটাই বিশ্বাস করতো এবং তাকে সত্যবাদীতার জন্য আমানতদারী তার জন্য সবাই আলামিন বলে ডাকতে শুরু | তিনি এমন বিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন যে সবাই তাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে লাগলো টিনার কাছে অনেকে তাদের গচ্ছিত দামী দামী আমানত রাখতে এবং তিনি এই আমানতকে বলে হেফাজত করে রাখতো কোনো ক্ষতি হতে দিতেন না  |এভাবে আস্তে আস্তে যখন তার বয়স বাড়তে থাকলো উনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়াত তোফা এবং আল্লাহর হুকুমে তিনি মানুষের ময়দানে মানুষের কাছে আল্লাহ তাআলার বাণী পৌঁছাইতে শুরু করে|

মানুষকে বলতে থাকলেন যে হে মানব সকল তোমরা আল্লাহকে মেনে নাও তো সফলতা ও কামিয়াবি তোমরা দুনিয়াতেও পাবে এবং মরার পরে আখেরাতের জিন্দেগীতেও পাবে | তোমাদের কাছে আল্লাহ তাআলা আমাকে নবী হিসেবে পাঠিয়েছে। তোমরা আল্লাহ তাআলার দাসত্ব আর গোলামী কে মেনে নাও তোমরা আল্লাহকে রব বলে স্বীকার করো তাহলে তোমরা দুনিয়াতেও সুরক্ষিত থাকবে এবং আখেরাতেও যন্ত্রণাদায়ক আঘাত থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে চলে যাবে | তিনি যখন বিভিন্ন ভাবে মক্কার অলিতে গলিতে দাওয়াত দিতে শুরু করলেন তখন মানুষ তাকে বিভিন্ন রকম কষ্ট নির্যাতন যে নবীর  পবিত্র শরীর থেকে রক্ত ঝরাতে দ্বিধাবোধ করল | যখন নবীর  বিদ্রোহ করল তাকে হত্যা করার চেষ্টা করব তখন তিনি মক্কা ছেড়ে ভাবলেন তায়েফ আমার নানার দেশ সেখানে আমি বাণীকে তুলে ধরবো তারা আমার কথা বিশ্বাস করে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করবো। বলে কি তারা তো চিনার দাওয়াতকে গ্রহণ করলোই না উল্টা দেখে নানান ধরনের কথা বলতে লাগলো | এক জন এরকম বলল যে আল্লাহতালা তোমাকেই পেলেন তোমার মত এতিম গরিবকে পেলেন মুভি বানানোর জন্য আর কাউকে পেলেন না | এরকম কেউ বলল যে আমি তোমার কথা শুনবো না যদি তুমি সত্যিই নবী হয়ে থাকো তোমার কথা না শোনার কারণে আমার যদি ক্ষতি হয়ে যায় এরকম কথাও | শুধু তাই না যে নবী এত দামি মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ নবী তাকে না চিনে না জেনে না বুঝে। তাইববাসীরা নবীর পিছনে কিছু ছোট বাচ্চাকে লেলিয়ে দিল। আর এই কথা শিকায় দিল যে তোমরা পাথর নাও আর তার শরীরে আঘাত করে তার শরীরকে ক্ষতবিক্ষত | ওই ছোট ছোট বাচ্চা তাদেরকে যা শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই ভাবেই যে নবীর উপর আঘাত করছে রক্তাক্ত করছে শরীরের রক্ত গড়িয়ে পড়ে জুতা মোবারক লাগছে জুতা মোবারক আঠার মত আটকে গেছে মানুষ নবীকে চেনেনা কিন্তু  কিন্তু কুকুর নবীকে চিনতে পারে সে আর নবীকে কামড়ায় না। এত কষ্ট দেওয়ার পরও নবী তাদের জন্য বদদোয়া করে না বলে যে বড় বড় সব ফেরেশতা এসে বলছে যে আপনি বলেন ভুল  পাহাড় দিয়ে এমন একটা চাপ দিব যে দুই পাহাড়ের মাঝখানে পড়ে নিষ্পেষিত করে দেব |

 নবী চাইলে তাদের উপরে প্রতিশোধ নিতে পারত তুই যদি একবার হুকুম করতে তারাধুলিৎসাৎ হয়ে গেছে |

 কিন্তু আমাদের নবী তো মায়ার নবী দয়ার নবী রহমাতুল্লিল আলামিন তিনি তাদের জন্য বদদোয়া করেন নাই  |

 তাদের জন্য হেদায়েতের দোয়া করছেন | এই দোয়া করেছেন আল্লাহ তুমি তাদেরকে মাফ করে দাও তারা হয়তো আজকে  আমাকে ভুল বুঝেছে হয়তো তাদের পরে যারা আসবে হয়তো তারা আমার দাওয়াতকে কবুল করুক।

 আজ তাদের কষ্ট আর মুজাহিদার কারণে আজকে ইসলাম ধর্ম আমাদের পর্যন্ত পৌছিয়েছি |

তাদের কষ্টের কারণে আজকে আমরা মুসলমান হতে বলেছি যদি তারা দিনের দাওয়াত নিয়ে আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে না আসতো। তাহলে আজকে আমরা হয়তো কোন হিন্দুর ঘরে জন্ম নিতাম। আল্লাহর মেহেরবানী  যে আল্লাহ যদি তার প্রতিনিধি না পাঠাইতো আজকে আমাদের অবস্থা কি হতো? একটু ভাবা দরকারআজকে আমরা মুসলমানেরা কিভাবে চলাবো? আর কিভাবে চলছে আমাদের নবী চেয়েছিল আমরা কিভাবে দুনিয়াতে চলাফেরা করি আর আমরা কিভাবে চলছে |

নবীর পর দাওয়াতের কাজের দায়িত্ব কাদের

কে দুনিয়াতে চিরস্থায়ী না আজকে নবীরা কেউ নেই আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ শেষ নবী ছিলেন উনার পরে আর কোন নবী আসবে না। কিন্তু নবীর  কাজ কেয়ামত পর্যন্ত বাকি রাখার জন্য এই কাজের দায়িত্ব কাদেরকে দেওয়া হয়েছে আপনারা কি জানেন | যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের সাথে এই আর্টিকেলটিতে আপনার জন্য | আসুন তাহলে জেনে নিন নবীর পর এই কাজ করেছেন সাহাবা আজমাইন  তাবেঈন তাবে তাবেঈন পীর মাশায়েখ এই কাজ করেছেন | এছাড়াও আমরা নবীর উম্মত হওয়ার কারণে কোরআনে পাকে আল্লাহতালা আমাদেরকে এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন | সূরা আল ইমরানের ১১৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা'আলা  বলেন তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি তোমাদেরকে বাছাই করা হয়েছে বের করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য। তোমরা সাত কাজে আদেশ কর এবং মন্দ কাছ থেকে অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকো আর এই কথার সাক্ষ্য দাও যে আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে একজন।

এই আয়াতের দ্বারা বোঝা গেল যে আমরাও এই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত করবি হিসেবে আল্লাহতালা আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।আমরা তাহলে বুঝতে পারলাম এই পোস্ট থেকে যে আমরাও নবীর রেখে যাওয়া দিনের কাজ কাজের কর্মী আমরা  দায়ী আমরা|

দাওয়াতে তবলীগের ছয় নাম্বার কি  কেন 

দাওয়াতে তাবলীগের মধ্যে ৬ নাম্বার কি এবং কেন আসুন তাহলে আমরা এই পোষ্ট থেকে জেনে নিন। সাহাবায়ে একরাম রাদিয়াল্লাহু তা'আলা প্রথম অবস্থায় জাহেল ছিল মূর্খ ছিল তারা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কিছুই জানতো না।

 আমাদের নবী এ সমস্ত সাহাবীর উপরে দাওয়াত দিয়ে তাদেরকে মুসলমান বানায় এবং তিনার সঙ্গে চলাফেরা ওঠাবসা শিক্ষা গ্রহণ করে তিনারা অনেক গুণ অর্জন করেছে এর মধ্যে কয়েকটা গুনের উপরে আমরা যদি আমল করি তাহলে আমাদেরও দিনের উপরে চলা  অতি সহজ গুণগুলো হল |

১। কালেমা

২। নামাজ

 ৩। এলেম ও জিকির

৪। একরামুল মুসলিমী

৫। শহি নিয়ত

.৬। দাতে তাবলীগ

কালেমা

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ কালেমার  অর্থ আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম  আল্লাহর রসু  | 

আবিধানিক অর্থে কারো উপরে পরিপূর্ণ আস্থা থাকার জন্য  তার কথাকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করা |

দ্বীন ইসলামের পরিভাষায় ঈমান বলা হয় রাসুলের খবর কে  না দেখে একমাত্র ভরসা থাকার কারণে নির্দ্বিধায় 

 মেনে নেওয়া নাম হল ঈমান | 

আসুন তাহলে আমরা সহজ ভাবে জেনে নিই ঈমান কাকে বলে | আল্লাহ তাআলা সমস্ত সৃষ্টি জগতের মালিক এই কথা মনে প্রানে বিশ্বাস করা | যে আল্লাহর হুকুম ছাড়া কোন কিছুই হয় না | তিনি এসব কিছুর মালিক তিনি যা চান তাই হয় |সমস্ত কিছুর উপরে তিনি ক্ষমতাবান এই কথাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করার নামই হলো ঈমান | আর এই কথা যতক্ষণ  আমরা এ কথা মনে প্রানে বিশ্বাস না করতে পারবো ততক্ষণ আমাদের বেইমান আসবে না আর এই কথাটি যখন আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি নিব তখনই আমরা ঈমানদার | ঈমান কাকে বলে তা আমরা জানতে পারলাম এই আর্টিকেল থেকে |

  • কালেমার লাভ কি আসুন আমরা জানি কেউ যদি পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে এই কালেমা পাঠ করে আল্লাহ তাআলা তার পিছনে সব গুনাহ মাফ করে দিন | সে যদি কাফের হয় মুসলমান ধর্মের না হয়। তাকেও আল্লাহতালা মাফ করবে | 

নামাজ

আমরা জানি না যে নামাজ পড়ি কিসের জন্য কি উদ্দেশ্যে নামাজ পড়বো | আমরা মনে করি  আমরা যারা নামাজ পড়ি আল্লাহ তায়ালার হুকুম তাই নামাজ পড়ি |

 আসেন তাহলে আমরা আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিন নামাজ কি উদ্দেশ্য করতে হবে |

নামাজ পড়া উদ্দেশ্য হল আল্লাহ তাআলার কাছে নামাজ পড়ি প্রার্থনা করি চেয়ে  নেওয়া |

 কিন্তু আমরা এ বিষয়ে অনেকেই অজানা তাহলে আসেন আজকে আমরা এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন

আল্লাহর কাছে কিভাবে চাই | নবী মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ সাহাবা ইকরাম রাদিয়াল্লাহু তা'আলা শিখাই দিয়েছে

 যে কোন প্রয়োজন যে কোন সমস্যায় পড়লে নামাজ পড়ো আল্লাহ তায়ালার কাছে  চাও | ছোট্ট একটা ঘটনা

 একটা এক্সাম্পল দিন একজন মহিলা শুদ্ধ মুসলমান হয়েছে | মুসলমান হওয়ার পর তার একটা ছেলে মারা গেছে

 সে ভালোভাবে অজু করেছে অজু করার পর নামাজে দাঁড়িয়ে নামাজ শেষ করে আল্লাহতালার কাছে দোয়া করছি

আমি যে আল্লাহ আমি নতুন মুসলমান হইলাম আর তুমি আমার ছেলেকে দুনিয়া থেকে তুলে নিলে এই কথা আমার পূর্বের ধর্মের কওমের লোকরা শুনতে পেলেন আমাকে ধিক্কার দিবে এই কথা বলে যে তুমি মুসলমান হয়েছো তাই তোমার পূর্বে  রাগান্বিত হয়ে তোমার ছেলেকে বদদোয়া দিয়ে মেরে ফেলেছি। সে আল্লাহ তাআলার কাছে এভাবেই দোয়া করছি আর কান্নাকাটি করছে আর একথা বলছে যে একদিন তো তুমি আমার ছেলেকে জিন্দা করবে তুমি যদি আজকে আমার ছেলেকে জিন্দা না করো তাহলে আমি আমার গমের লোকের কাছ থেকে ছোট হয়ে যায়| আমি তাদেরকে মুখ দেখাতে পারব। তার জন্য তুমি আমার ছেলেকে জিন্দা করে দাও | এই দোয়া করার পর আল্লাহতালা তারপরে সন্তুষ্ট হয়ে তার ছেলেকে জিন্দা করে দিয়েছে |  সবাই আশ্চর্য হয়ে গেছে এরকম অনেক ঘটনা ও নজির আছে সবগুলো ঘটনা তুলে ধরতে গেলে অনেক সময় লেগে যাবে | তাই একটি ঘটনা তুলে ধরে আপনাদেরকে জানাইলাম যে নামাজের  কি ইবাদত কেন করবে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন |


  • নামাজের লাভ কেউ যদিপাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে পরে তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে বিনা হিসাবে জান্নাত দিবেন |

 এলেম ও জিকির  

আমরা অনেকেই জানিনা এলেম মানে কি আজকে আপনাদেরকে জানাবো এলেম কাকে বলে|  আসেন আমরা এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিনই এলেম কাকে বলে | 

আল্লাহ তাআলার কখন কোন আদেশ নিষেধ তা জানিয়া হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর তরিকায় পালন করার নাম হল  |  এলেম হইলো জ্ঞান যেমন আমি নামাজ পড়বো কিভাবে এটা আমাকে জানতে হবে নামাজের জ্ঞান অর্জন করতে হবে দৈনন্দিন যত আমল আছে এগুলা জেনে করার নাম হল |

জিকির

সব সময় আল্লাহ তায়ালার স্মরণ নিজ অন্তরে জন্ম দেওয়া | সর্ব অবস্থায় স্মরণ রাখা যে আল্লাহ তাআলা আমাকে দেখছেন আল্লাহ তাআলা শুনেছেন আল্লাহতালা আমার প্রত্যেকটা পরিকল্পনাকে জানেন | অর্থাৎ সর্ব অবস্থায়

 আল্লাহর ধ্যান নিজের দিলের ভিতরে এটার নামই হলো |


  • জিকিরের লাভ জিকির করতে করতে রাখে কেয়ামতের ময়দানে সে হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ |

এজন্য জিকির আমরা কয়েকভাবে করব যেমন সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আজিম ১০০ বার পড়া আস্তাগফিরুল্লাহ ১০০ বার করা দুরুদ শরীফ ১০০ বার করা

 ছোট ছোট দোয়াগুলো জায়গা বিশেষে ভরা যেমন ঘুমানোর দোয়া খানা খাওয়ার দোয়া মসজিদে যাওয়ার দোয়া মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়া বাথরুমে ঢোকার দোয়া থেকে বের হওয়ার দোয়া এরকম অনেক দোয়া আছে এগুলো জায়গা বিশেষে আদায় কর আমরা এই পোস্ট থেকে জানতে পারলাম জিকির  |

একরামুল মুসলিমীন

 আমরা অনেকেই জানিনা একরামুল মুসলিমিন কাকে| বলে আসুন আমরা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিন একরামুল মুসলিমীন কি|

একরামুল মুসলিমীন হল মুসলমান ভাইয়ের কি মত জানিয়ে গজল। প্রত্যেক মাখলুকের প্রতি সদয় হওয়া| চাই সে কুকুর হোক বিড়াল হোক যেমনই সেই হোক আল্লাহর সৃষ্টি কিনা এজন্য তার প্রতি সদা আচরণ করা | একটা ঘটনা আছে একজন মহিলা জেনাকারিনী মহিলা একজন একটা পিপাসিত কুকুরকে পানি খাওয়ানোর কারণে সে জান্নাতে চলে গেছে | আরেকটা ঘটনা আছে যেটা হলো একটা ভালো ঈমানদার মহিলা সে বিড়ালকে সারারাত বেঁধে রাখার কারণে তার যে কষ্ট হয় এই কষ্ট পাওয়ার কারণে সে মহিলাটা জাহান্নামি হয়ে যায় কারণ সে বিড়ালের সাথে ভালো আচরণ করে বিড়াল বিড়ালের তো জান আছে বিড়ালে তো আল্লাহতালা সৃষ্টি এজন্য সে ঈমানদার হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ তায়ালা তাকে জাহান্নামে | এজন্য ভাই আমরা সবসময় ছোট হোক বড় হোক যেমনই হোক না কেন সকলের সাথে সুন্দর ব্যবহার সুন্দর আচরণ করুন। আমাদের নবীর এই স্বভাব ছিল আমাদের নবী বলেন ছোট কে স্নেহ করা বড়কে সম্মান করা কোন আলেমদের তাজিম করা এই গুণ যার ভেতরে থাকবে না সে আমার উম্ম | এইজন্য আমরা যদি নবীর উম্মত হতে চাই তাহলে আমরা ছোটকে স্নেহ করবো বড়কে সম্মান করবো। আলেমদের তাজিম করবো। আর সব ধরনের সৃষ্টির মখলুকের সাথে আমরা ভালো আচরণ |

তাহলে আমরা এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারলাম একরামুল মুসলিমিন কাকে বলে |

সহি নিয়ত , 

আমরা অনেকেই নিয়ত কিভাবে করতে হবে এ সম্পর্কে আমরা জানিনা আজকে আপনারা আমার সাথে এই পোস্টে থাকুন তাহলে জানতে পারবেন নিয়ত করা কাকে বলে |হাদিসে আছে মানুষের সমস্ত আমল নিয়াতের উপরে নির্ভর করে যার নিয়াত যেমন হবে আমল করে সে ওরকমই সব পাবে | আমার যদি মেয়াদ লোক দেখানো হয় তাহলে আল্লাহ তাআলা বলবে তুমি যে আমল করেছো সে আমলের বদলা যাকে দেখানোর জন্য করেছে তার কাছ থেকে | আর যদি আল্লাহ তায়ালাকে রাজি খুশি করার জন্য আমল করে থাকি তাহলে তো আমলের বদলে আমরা আল্লাহর কাছেই পাব | এজন্যে অন্তরের নিয়তকে ঠিক করা যে আমি যে আমলগুলো করি সে আমলগুলো আল্লাহকে খুশি করার জন্য হচ্ছে কিনা | যদি আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য হয় তাহলে ভালো | নিয়তের ভিতরে গরমিল হয়ে গেলে অনেক সমস্যা গুনা হয়ে যাবে | এজন্য নিজের অন্তরের নিয়ত কে ঠিক করতে হবে কেউ যদি আল্লাহকে খুশি করার

নিয়তের লাভ 



কেউ যদি হাদিসে পার্কের মধ্যে আছে কেউ যদি একমাত্র আল্লাহ তালাকে রাজি খুশি করার জন্য সামান্য সুরমা খেজুরও দান করে আল্লাহ তাআলা এর সব বাড়াইতে বাড়াইতে পাহাড় | 

 দাওয়াতে তাবলীগ

আমরা যারা জানিনা যে দাওয়াতে তবলীগ এর কাজটা কি আসুন তাহলে আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই  |

আল্লাহর দেওয়া জান মাল সময় নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে এই জান মাল এবং সময়ের সঠিক ব্যবহার ব্যাখ্যা করার নাম দেওয়াতে  তবলীগ | এই তিনটা জিনিস জান মাল সময়ের ব্যবহার নবী মুহাম্মদের রসুলুল্লাহ সাঃ এর তরিকায় উনি যেভাবে বলেছেন সেভাবে আল্লাহর রাস্তায় খরচ করতে হবে এর নাম হল দাওয়াতে তবলিক | 


দাওয়াত ও তবলীগের লাভ, বলে এই রাস্তায় বের হয়ে একটা আমল করব আল্লাহ তায়ালা ৪৯ কোটি নেক আমলে সওয়াব দান করুন | এক টাকা খরচ করবে ৭ লক্ষ টাকা শক্ত করার সব আল্লাহ তা'আলা দান করেন | 


মসজিদে থাকা খাওয়া, মসজিদ আল্লাহ তায়ালার ঘর এখানে থাকা খাওয়া জায়েজ না | কিন্তু মুসাফির অনেক দূর থেকে সফল করে আসছে তাদের জন্য জায়েজ আছে | কেন নয় যদি মসজিদে থাকো দ্বারা মানুষের মধ্যে আল্লাহর হুকুম নবীর তরিকা আছে সুন্নত আছে খারাপ কাজ ছেড়ে দিয়ে দাড়ি টুপি পরিধান করে পাঞ্জাবি জুব্বা পরিধান করে যদি ভালো রাস্তায় দ্বীনের পথে চলে |

কেউ যদি মসজিদ পরিবেশে তিনদিন  লাগায় তাহলে সে বুঝতে পারবে তাবলীগের মেহনত | তিন চিল্লা অর্থাৎ ১২০ দিন আল্লাহর রাস্তায় সময় লাগায় মসজিদ পরিবেশে থাকে নিশ্চয়ই তার ভিতর থেকে খারাবি গোমরাহী অন্ধকার বাহির হবে | এবং তার দিনের ওপরে চলার একটা যোগ্যতা আসবে তার আমলের ভিতরে সব পয়দা হবে ভালোভাবে চলার একটা চাহিদা তার মধ্যে  ঈমান জাগ্রত হবে|  দ্বীন ইসলামকে মানা তার জন্য কত জরুরী এটা তার বুঝে আসবে | আল্লার হুকুম নবীর তরিকায় চলা এটা তার বুঝে আসবে।  আর সে এই নিয়মে চলবে |


 মসজিদে থাকার নিয়ম

আমরা জানি না মসজিদে থাকার নিয়ম কি আসুন আমরা জেনে নিন| মসজিদে থাকার নিয়ম হলো মোটা বিছানা করা। পশ্চিম দিকে পা করে না ঘুমানো। আর মসজিদের ভিতরে অনেক আদবের সাথে থাকা চলা হাসি কথা|

 মসজিদে শুধু আলোচনা হবে কিসের আলোচনা দিনের আলোচনা অনেক সময় আমাদেরকে মসজিদে তিন দিনের বেশি থাকতে হয় | কিন্তু একটা মসজিদে তিন দিনই থাকা  নিয়ম এর বেশি না থাকা | আমাদের নেশাপ গুলো হলো তিন দিন। দশ দিন চিল্লা তিন চিল্লা বিদেশ সফর পাঁচ মাস | আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের পেজের সাথে একটিভ থাকুন | 


শেষ ভাবনা 

এই পোস্ট থেকে আমরা জানতে পারলাম তবলিগ কি এবং কেন তুমি কাদের কাজ কাজ আমাদের দায়িত্ব আজকে আমরা এটা থেকে বুঝতে পারলাম | আপনাদের আরো কিছু জানার যদি থাকে আরো কিছু শেখার যদি থাকে তাহলে আমাদেরকে আমাদের পেজে নক দিও। আপনাদেরকে আমরা এ বিষয়ে আরো তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে দীর্ঘ আয়ু  দান করেন দ্বীনের পথে চলার তৌফিক দান |




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url