ইসলামিক নিয়মে সন্তান-সন্ততি লালন পালনের পদ্ধত
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের দুনিয়ার জীবনে চলার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন | চলার জন্য বলতে গেলে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠা পর্যন্ত এবং ২৪ ঘন্টা কিভাবে জীবন চালাইতে হবে ব্যবসা চাকরি দৈনন্দিন যত কাজ আমার এটা কিভাবে আমি ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী চালাইতে পারব কোরআন হাদিস
আমাদেরকে শিক্ষা দেন | আজকে আমাদের এই প্রশ্নের উদ্দেশ্য যে আমরা আমাদের সন্তান-সন্ততিকে ইসলামী নিয়মে কি লালিত পালিত করতে পারে এই সম্পর্কে জানতে হলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সাথেই থাকুন |
পোস্ট সূচিপত্রঃ ভূমিক
সন্তান-সন্ততি আল্লাহতালার একটা বড় নিয়ামত |যে ঘরে আল্লাহ তা'আলা সন্তান-সন্ততি পাঠান চাই সে ছেলে হোক অথবা মেয়ে হোক সেই ঘরে। আল্লাহ তাআলার হুকুমে ছিল অথবা মেয়ে জন্ম নেয় এবং পরিবারের মানুষের কাছে একটি আলাদাই সুখ শান্তি। নিয়ে আসে সেই বাড়ির লোকজন অনেক আনন্দিত হয়। তাদের বাসায় একটা আলাদা উৎসবে খুব খুশি হয় নানা নানি দাদা-দাদি চাচা চাচি পরিবারের সমস্ত আত্মীয়-স্বজনের একটা অনুভূতি কাজ করে।
শুনুন তাহলে আমরা জেনে নিই কিভাবে নিজের সন্তান সন্তুকে ইসলাম নিয়ম লালিত পালিত করতে হয় | কিভাবে নিজের সন্তান-সন্ততিকে ইসলাম লালিত পালিত করবেন এই বিষয়টা জানতে আমাদের সাথে পোস্টে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন |
ইসলামিক নিয়মে সন্তান শুনতে চাই লালন পালন করার পদ্ধতি
আজকের এই আর্টিকেল আমরা আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে ইসলামিক নিয়মে সন্তান-সন্ততি থেকে লালন পালন করতে হয় | এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই পোস্টে আপনারা আমাদের সাথেই থাকুন |
শিশুর শারীরিক ও শরীর স্বাস্থ্যের পরিচর্যা
সন্তান দুনিয়াতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী সন্তানের কানে আজান আর ইকামত দেওয়া | তারপর তাকে গোসল দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা যেমন প্রথমে তাকে যেই পানি দিয়ে গোসল করা হয় সেই পানিতে হালকা লবণ দিয়ে গোসল করা হয় তাহলে শরীরে হওয়া বিভিন্ন ধরনের কুড়া গোটা ইত্যাদি রোগ জীবাণু এগুলো থেকে শুরু শিশু পরিত্রাণ পাবে মুক্তি পাবে | যদি শরীরে বেশি ময়লা থাকে তাহলে কয়েকদিন এভাবে গোসল করা দেখবেন বাচ্চা দর্জি বানাচ্ছে। মুক্তি পেয়ে যাবে |
আরো পড়ুন :শরীয়তের পরিভাষায়
স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে গোসল প্রতিদিন গোসল করানোর পর চার থেকে পাঁচ মাস বা তার চাইতে বেশি সময় ধরে বাচ্চার শরীরে সরিষার তেল মালিশ করতে হবে। এতে বাচ্চার শরীরের জন্য উপকার তেল মানুষের কারণে যে উপকারটা হবে সেটা হল বাচ্চাকে সর্দি কাশি ঠান্ডা জ্বর এই সমস্ত রোগ থেকে শরীর
মুক্ত রাখবে সহজে এই সমস্ত জ্বর সর্দি কাশি ঠান্ডা লাগা এগুলা ঘটে যাওয়া |
প্রতিদিন শিশুকে ভেজা কাপড় অথবা ন্যাকড়া দিয়ে মাথা কান গলা খুব ভালো হবে। পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং সর্ব অবস্থায় তার দেখভাল তার যত্ন নিতে হবে |
ছোট বাচ্চাদের তার মায়ের বুকের দুধ বাচ্চাদের জন্য খুবই উপকার। প্রতিদিন বাচ্চাকে তার মায়ের বুকের দুধ খাওয়া |
দুধ পান করানোর পূর্বে শিশুকে কোন মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য যেমন মধু বা নিজের মুখে জীবাণু খেজুর লাগিয়ে শিশু মুখের মধ্যে দিয়ে পরে দুধ খাওয়াতে হবে |
শিশুকে প্রয়োজনের বেশি দুধ খাওয়ানো যাবে না অর্থাৎ পেট ভরে গেল দুধ খাওানো বন্ধ করুন।
শিশুকে নিজেই দুধ খাওয়ানো হয় অনেকে আছেন। শারীরিক দুর্বলতার কারণে নিজে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে পারেনা সে ক্ষেত্রে মানুষ নির্ভরযোগ্য মানুষের মাধ্যমে বাচ্চাকে দুধ খাওয়া |
শিশুকে অতিরিক্ত বা পেট ভরে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন পেটে বাচ্চার পাকস্থলী দুর্বল হয়ে যেতে পারে, এমনকি বাচ্চা স্বাস্থ্যও খারাপ হবে |
বাচ্চা পেশাব পায়খানা করে দিলে আমরা এরকম করি শুধু ন্যাকড়া দিয়ে মুছে দিন এটা করলে বাচ্চার জন্য অসুবিধা হবে | বাচ্চার শরীরে ছোটখাটো বিভিন্ন রোগ ধরা যেতে পারে এজন্য আমরা আমাদের বাচ্চাকে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দিব এতে করে বাচ্চা জীবন মুক্ত থাকবে |
আর একটা বিষয় হলো যে বাচ্চাদেরকে নির্দিষ্ট সময় খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করা | হ্যাঁ এমনকি তাদেরকে সব ধরনের খাবারের প্রতি চাহিদা হয় সৃষ্টিকর্তা হবে |
একটা বিষয় মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত ভালোবাসা স্নেহের কারণে সন্তানকে কোন সময় প্রয়োজনে বেশি খাবার খাওয়াবেন না |এত করে বাচ্চার খাবার হজম নাও হতে পারে।
বাচ্চা একটু বড় হওয়ার পর আপনারা যে সমস্ত খাবার অভ্যস্ত ওই সমস্ত খাবারে বাচ্চাকে জাতীয় অভ্যাস তৈরি হয় এজন্য অল্প অল্প করে আপনার যে ধরনের খাবার খাব সে খাবার বাচ্চাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে |
এবং এবং বাচ্চা বড় হতে থাকলে সে যাতে নিজের হাতে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারে এটার জন্য আপনারা তাকে নিজ হাতে খাবার খায় এজন্য খেতে চেষ্টা করব |
বাচ্চাকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে | তাকে পেস্ট অথবা মেসওয়াক ব্যবহার করা হয় অভ্যস্ত করে তুলতে হবে ভালো খাবার খাওয়াতে হবে যাতে তার বৃদ্ধি বিকাশ পায় আরেকটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো সে যাতে বিলাসিতা নগ্ন না হয়ে যায় |
লক্ষ্য নেই একটা বিষয় আছে যেটা হলো বাচ্চার দিকে কেউ কেউ যদি তার সামনেই তার সুনাম করো তাহলে বাচ্চাকে বদ নজর থেকে বাঁচানোর জন্য ছোট্ট একটা আমল আছে সেটা হল সঙ্গে সঙ্গে কেউ যদি এ কথা বলে( মাশাআল্লাহ) তাহলে বদনজর কেটে যাবে।
বাচ্চাদেরকে বুকের দুধ দুই বছরের বেশি খাওয়ানো ঠিক না | হানাফী মাযহাবের ইমাম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনি বলেছেন বাচ্চাকে বুকের দুধ আড়াই বছর পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো যাব | তারপর যদি দুধ ছাড়তে না চায় তাহলে সূরা বুরুজ বেধে দিলে ইনশাআল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি দুধ খাওয়ার অভ্যাসটা ছেড়ে দেবো।
বাচ্চার খুব অল্প সময়ের ভিতরে দাঁত বের হয়ে যায় যদি ঠিক সময়ে দাঁত না বের হয় তাহলে আপনারা ডাক্তারের চিকিৎসাও নিতে পারেন এবং কোরআন থেকেও আমল করতে পারে সূরা কাফ করে পানিতে ফু দিয়ে খাওয়ালে অল্প সময়ের মধ্যে দাঁত বের হয়ে যায় সূরা কাফের আমলটা কিভাবে করতে হবে আপনারা আপনাদের মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছ থেকে কি জেনে নিলে ভালো হয় |
বাচ্চার পরিচর্যা কিভাবে করতে হবে তার নিয়ম
শিশুর পরিচর্যায় একটি খেয়াল রাখতে হবে যে যখন আমরা শিশুদের সাথে কথা বলবো তখন তাদের সামনে ভালো কথা বলা ভালো কিছু শিক্ষা দেওয়া তাদের সামনে বেহুদা খারাপ কথা না বলা। কারণ শিশুদের মন একদম ভিডিও ক্লিপ এর মত হয়। তারা কথা শুনে বুঝতে পারেনা কোনটা ভালো কথা কোনটা খারাপ কথা কিন্তু তাদের মনের ভিতর কথা আচরণের একটা ছাদ থেকে যায় |এজন্য তাদেরকে সবসময় ভালো শিক্ষা দেওয়া তাদেরকে সব সময় ইসলামের জ্ঞানের শিক্ষা দেওয়া তাদের সময় আল্লাহর জিকির করা কালেমা পড়া বিভিন্ন দুয়া তাকে ভালো কথা শিক্ষা দেওয়া তাহলে তাদের ছোটবেলা থেকেই ভালো কাজের ভালো কথা শিক্ষা দিলেন ছোটবেলা থেকে তাদের ভিতরে অভ্যাসটা তৈরি হবে আর যদি আমরা তাদের সামনে বেহুদা পচা গালিগালাজ ফাইসা কথা চিল্লাচিল্লি এ সমস্ত কাজ করে থাকি তাহলে তাদের সামনে আপনি সমস্ত খারাপ কথা গুলো ভেসে উঠবে, খারাপ আচরণগুলো ভেসে উঠবে এবং তারা এগুলো কিভাবে শিক্ষা নিতে থাকে। নাগালের বাইরে চলে যাবে এবং তারা বিভিন্ন খারাপ কাজে লিপ্ত হবে। ভালো কথা বলা ভালো আচরণ শিক্ষা দেওয়াহবে | উদাহরণস্বরূপ কয়েকটি দিক নির্দেশনা তুলে ধরা হলো
বাচ্চা যখন জন্ম নিবে জন্ম নেওয়ার সাথে সাথে কানে আযান এবং একামত দিতে হবে |ডান কানে আজান বাম কানে ইকামত চাইছে পুরুষ হোক বা মহিলা শিশুই জন্ম নেক |
শিশুদের সাথে অবহেলা খারাপ ব্যবহার করা চলবে না তাহলে তাদের মন নিষ্ঠুর ও খারাপ হয়ে যায়।
শিশুকে আদর সোহাগ করতে হবে তবে ভালবাসতে হবে তার যত্ন নিতে হবে | শিশুকে অতিমাত্রায় আদর সোহাগ করা যাবে না করলে দেখা যাবে যে অতিরিক্ত আদর্শ কে সে লাগামহীন হয়ে যাচ্ছে এজন্য তাকে আদর সোহাগ করতে হবে পরিমিত |
শিশুদেরকে সবসময়ই সুন্দরও পরিপাটি করে রাখতে হবে, সুন্দর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোষাক করাতে হবে তাহলে তাদের মন মানসিকতা আচরণ এগুলো সুন্দর হবে |
শিশু কিশোররা বেড়ে উঠলে তাদের কাজ তাদেরকে করতে তাহলে তারা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে |
স্যার একটা জরুরী বিষয় আপনারা যখন সহবাসে লিপ্ত হবেন এবং ছোট বাচ্চাদের সামনে সহবাস না করাই ভালো করলে যদিও তারা বোঝেনা পৃথিবীটা একটা প্রভাব তাদের উপরে করবে এজন্য এটা থেকে বিরত থাকায় ভালো ছোট বাচ্চাদের থেকে আড়ালে করা |
বাচ্চারা কোন কিছুর জন্য জিদ করলে বড় জিনিসটা শক্তভাবে চাইলে পারতপক্ষে তাদের যে পূরণ করা থেকে বিরত থাকবেন |না হলে তার মধ্যে যে একঘেয়েমি এ সমস্ত জিনিস গুলা রাগ কোন জিনিস চাইলে না পেলে রাগারাগি করা কান্নাকাটি করা এ সমস্ত অভ্যাসগুলা তার মধ্যে জন্ম নিতে থাকে। এ জন্য তার সব জেড পূরণ করা জরুরি না এত সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বিরত রাখা অতি অবশ্যই |
দুষ্টু অবাধ্য শিশুদেরকে খেলাধুলা করতে না দেওয়াই ভালো এতে তাদের স্বভাব আরো খারাপ হয়ে যাবে এবং তাদের সঙ্গম যাতে দুষ্টু ছেলেদের সাথে না হয় এজন্য পক্ষে চেষ্টা করা তারা যাতে সব সময় ভালো ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা ঘুরাঘুরি ওঠাবসা করতে পারে |
ছেলে মেয়ে তারা একসঙ্গে খেলাধুলা করার ব্যাপারে ছোটবেলা থেকেই সতর্ক থাকা কারণ ছেলেমেয়ে উভয় যদি একসঙ্গে খেলাধুলা করে তাহলে একে অন্যের স্বভাব তাদের মধ্যে তৈরি হতে পারে | এজন্য ছেলেমেয়ে একসাথে না খেলে আলাদা আলাদা কালার ব্যবস্থা করা |
শিশুদেরকে তাদের অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য আমরা কিছু কৌশল অবলম্বন করে থাকি যেমন বাঘ ভাল্লুক শিয়াল হিংস্র প্রাণীদের ভয় দেখায় দেখিয়ে ওই কাছ থেকে তাকে বিরত রাখে | এটা করা একদমই ঠিক না এতে তার ভিতরে ভয়-ভীতি সৃষ্টি হয় সে ভীতু প্রকৃতির হয়ে যায় |
শিশুরা কোন খারাপ বা অন্যায় কাজ করে বসলে খারাপ আচরণ খারাপ কথা বলে বসলে তাদেরকে সব সময় জাহান্নামের ভয় আজাবের এবং আল্লাহ তায়ালার ভয় তার মধ্যে তৈরি করতে | অনেক সময় ছোট বাচ্চারা হাসি-ঠাট্টার ছলে বিভিন্ন অন্যায় মূলক কথাবার্তা বাজে কাজ করে বসে গাড়ির কাজ কি সঠিক বলে মনে করবে |
বাচ্চাদেরকে ভালো কাজের অভ্যস্ত করার জন্য তাদেরকে ভালো কাজ করলে যে আল্লাহতালা পুরস্কার দেবেন আর খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য। তাদেরকে এটা বুঝাতে হবে খারাপ কাজ করলে আল্লাহতালা শাস্তি দিবেন অর্থাৎ জাহান্নামে দিবেন এটা তাদেরকে বুঝাইতে হয় শিখাইতে হবে |
এছাড়াও শিশুদের মধ্যে ভালো স্বভাব ভালো গুণ তৈরি করতে হলে তাদেরকে সব সময় ভালো মানুষ নেককার ব্যক্তি পীর-মাশায়েখ সাহাবীর এবং বীরপুরুষদের কাহিনী গল্প শুনাইতাম তাহলে তাদের মধ্যে তাদের স্বভাব চরিত্র বাচ্চাদের মধ্যে আসতে থাকবে |
আর প্রত্যেক পদে পদে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে দেখতেছেন তাদেরকে শুনতে চাই একথার বিশ্বাস তাদের ভিতরে নিয়ে আসতে হবে এর সাথে সাথে তাদের মধ্যে মুরুব্বী বড় ব্যক্তি বাবা মা দাদা-দাদি নানা নানি চাচা চাচি আরো সব বড় আত্মীয়-স্বজন পরিবারের। এদেরকে সম্মান করতে হবে এই শিক্ষা দিতে হবে |
শিশুদের শিক্ষা দীক্ষার জন্য বাড়ির লোকদের সচেতন হতে হবে | তার সাথে সাথে ভালো ও আদর্শ মানের শিক্ষক নির্বাচন পরিবারের লোকজনের করণীয় তাহলে শিশুর মধ্যেও আদর্শবান হওয়ার চেতনা জন্ম |
শিশুদের আদর্শবান হওয়ার জন্য করনীয়
শিশুদের আদর যত্ন করা এটা আমাদের করণীয় তাদের দেখভাল করা আমাদের দায়িত্ব | শিশুকে যত্ন নেওয়া সুন্নত শিশুরা যদি আদর্শ থেকে বঞ্চিত থাকে তাহলে বাচ্চাদের মানসিক বিকাশে বিকৃতি ঘটে |
বাচ্চাদের আদর সোহাগ করে যদি তার বাবা মা তাদের সন্তানদেরকে ছেলে হলে আব্বা মেয়ে হলে আম্মা বলে ডাকে তাতে কোন অসুবিধা নেই |
আদর সোহাগ করে বাচ্চাদেরকে ডাকতে গিয়ে তাদেরকে খোঁচা দেওয়া যাবে না ইঙ্গিতমূলক কোনো কথা বলা যাবে না কোনরকম উত্তপ্ত করা যাবে না |এর দ্বারা যদি বুঝতে পারেন যে বাচ্চা মন মানসিকতা অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে মানসিকভাবে সে কষ্ট পাচ্ছি তাহলে এই কাজ করাই ভালো |
বাচ্চাকে আদর্শ ভাব এর মাধ্যমে বাচ্চার নাম বিকৃতি করা বা রেগে গিয়ে তার নাম বিবৃতি করা ঠিক না |
সন্তানের ভালো অর্থপূর্ণ নাম রাখার নিয়ম
আমরা যারা মুসলমান তারা বেশিরভাগই সন্তানদের নাম আমরা সুন্দর এবং অর্থপূর্ণ রেখে থাকি |
আবার অনেকে না বুঝে ভুলবশত আমরা কিছু নাম রাখি যেগুলো অর্থপূর্ণ না অন্য ধর্মীয় মানুষদের সাথে মিলে যায় |
মূলত আমরা যারা মুসলমান আছি তারা সাধারণত নামগুলা গুণবাচক নাম রেখে থাকে যেমন আল্লাহ তাআলার সাথে নাম মিল করে নাম রেখে থাকি পীর মাশায়েক দ্বীনদার ব্যক্তিদের সাথে মিল করে নাম রেখে থাকি |
এবং আমরা বিভিন্ন জানাশোনা ব্যক্তি এখানে মসজিদের ইমাম বিভিন্ন আলেমদের কাছ থেকে ভালো নাম জিজ্ঞেস করে রেখে দেন |আর সন্তানের নাম নির্বাচনের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নাম বিভিন্ন সাহাবীদের নাম বিভিন্ন আল্লা ওয়ালা পীর মাশায়েকদের নামের সাথে মিল করে নাম রাখায় সবচাইতে ভালো এবং উত্তম |
আর মহিলাদের নাম বিশেষ করে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর স্ত্রী গন্ধের নামের সাথে মিল করে রাখা তার কন্যাদের সাথে মিল করে রাখা এছাড়াও মহিলাদের মধ্যে ওই সময়ে বা তার আগের সময় যারা দ্বীনদার ছিল বা মহিলা নবী ছিল যেমন হাওয়া আলাই সাল্লাম মারিয়াম আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাজের আলাই সাল্লাম এই ধরনের নামের সাথে মিল রেখে মহিলাদের নাম রাখা উত্তম |
চাই পুরুষ হোক চাই মহিলা হোক একের বেশি নাম রাখা যাবে কোন অসুবিধা নেই | যদি একাধিক নাম রাখতে চান তাহলে প্রত্যেকটা নাম উত্তম নাম ভালো নাম রাখতে হবে |
আর বাচ্চা জন্মের সপ্তম দিনে নাম রাখা মুস্তাহাব আমল |
বাচ্চাদের পোশাক পরিচ্ছেদ কেমন হবে
বাচ্চাদেরকে ছোটবেলা থেকেই সুন্নতি পোশাক বা ইসলামিক পোশাক পড়ানো ব্যাপারে অভ্যস্ত করতে হবে|
কালারিং পোশাক থেকে তাদেরকে প্রথম অবস্থা থেকেই দূরে রাখতে হবে তাদেরকে বুঝাইতে হবে মুসলমানদের জন্য মুসলমানদের নাই | তাদেরকে প্রথম থেকে সাদা পোশাক পরানো পাঞ্জাবি-পায়জামা টুপি পরানোর অভ্যাস তৈরি করা | আমরাও অতিরিক্ত ভালোবাসা জোসেফ বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন রং পোশাক ও দামি পোশাক পরিয়ে থাকে এটা না করা | তাদেরকে সুন্নতি পোশাকের অভ্যস্তকরা এতে করে তাদের ছোটবেলা থেকেই নেককার ঈমানদার ব্যক্তিদের সিফাত নিজের ভিতরে আসতে থাকবে চরিত্রবান হবে |
সন্তানকে যে সমস্ত খাবার খাওয়াবে
আসুন জেনে নিন সন্তানকে কি ধরনের খাবার খাওয়াবেন |আমরা বাবা মারা চেষ্টা করে থাকি যে আমার সন্তানকে সব সময় আমি কি সম্মত ভালো খাবার মানসম্মত খাবার | কিন্তু একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি ধনী হন বা গরিব হন বা মধ্যবিত্ত হয় একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে যে বাচ্চাকে বাচ্চাকে কি কর মানসম্মত খাবার দিবে |
কিন্তু মানসম্মত খাবার দিতে গিয়ে কষ্ট হবে সাধ্যের বাইরে চলে যাবে এরকম কাজ করা যাবে। এরকম হইলে হয়তো চেষ্টা করে আপনি এরকম করলে কিন্তু যদি বাচ্চা এরকম খবর অভ্যস্ত হয়ে যায় |আরে খাবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে প্রতিনিয়ত ভালো ভালো খাবারের বায়না করে বড়লোক হলে তো কোন কথাই নাই কিন্তু মধ্যবিত্ত বা গরীব হলে প্রতিনিয়ত এই খাবার ব্যবস্থা করা সম্ভব না | বড়লোক ব্যক্তি রায় সতর্ক থাকতে হবে এবং অতিরিক্ত বিলাসী জীবনে বিলাসী খাবার পোশাক আগে এই সমস্ত বিষয় থেকে শিশু বাচ্চাদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে এই সমস্ত বিষয়গুলো তাদের কোনরকম প্রভাব |
সন্তানকে সন্তান-সন্ততিকে টাকা পয়সা দেওয়ার ব্যাপারে নীতি
আসুন জেনে নেওয়া যাক সন্তানদেরকে টাকা পয়সা দেওয়ার ব্যাপারে আমাদেরকে একটু সতর্ক থাকতে হবে | অবৈধ কোন কোন বিষয়ে সন্তানকে টাকা পয়সা দেওয়া যাবে না দেওয়ার আগে সেটা পরীক্ষা করতে হবে যাচাই-বাছাই করতে হবে যে সে যে আমার কাছে টাকা নিচ্ছে বা কোন কিছু নিচ্ছে এটা কোন পথে খরচ করছে খোঁজখবর নিতে হবে |
সন্তানকে অবৈধ কাজে টাকা খরচ করতে দেওয়া ঠিক না যেমন আতশবাজি মরিচ ফটকা এই সমস্ত অবৈধ বিষয়ে টাকা পয়সা দেওয়া ঠিক না|
সব সন্তানকে বাবা-মার একই নজরে দেখা উচিত কোন কিছু যেমন পোশাকাদি খাবার এই সমস্ত বিষয়ে একই মাপের একই বাপের বা তাদের মধ্যে কোন বৈষম্য না করাই ভালো |
সন্তানকে টাকা পয়সা জমি জায়গা ইত্যাদি বাবা-মা সন্তানকে দিলে এটা বাবা-মার কর্তব্য | ছেলেদের হক ছেলেদের ছেলেমেয়েদের হক বাবা-মা তাদেরকে বুঝায় দিবে | কিন্তু একটা বিষয় হলো যে আমাদের কোন সন্তান যদি রোজগারের বিষয়ে একটু দুর্বল হয়। তাদেরকে সম্পত্তি একটু বেশি দিলে কোন দোষ নেইকোন ক্ষতি নেই যেহেতু সে অন্য ছেলে মেয়েদের তুলনায় কামাই রোজগারে দুর্বল হইতে পারে এই কারণে তাকে বেশি দিলে ক্ষতি হবে না উপকার হবে এবং সওয়াব পেয়ে যাবে |
বাচ্চা ও শিশুদের কে শিক্ষা বিষয়ক নীতিমালা
শিশুকে সর্বপ্রথম যে শিক্ষাটা দিবেন সেটা হল সে যখন কথা বলা শেখে তাকে কালেমা তাইয়্যেবার শিক্ষা দেবে |
শিশুকে লেখাপড়া করাবেন তার পাশাপাশি দ্বীনি কথাবাত্রা ঈমানের আলোচনা করবেন সাহাবীদের ঘটনা পীর মাশায়েকদের ঘটনা তাদের সামনে তুলে ধরবে। এবং ছোট ছোট দোয়া তাদেরকে মুখস্ত করাইবেন শেখ হবে |
বাচ্চা যখন সব ধরনের ভাষা কথাবাত্রা বলতে পারে বুঝতে পারে তখন তাকে প্রথমেই দ্বীনি শিক্ষা ও কোরআনে পাক শিক্ষা দেওয়া আমাদের কর্তব্য।
বাচ্চাদেরকে কোন বয়সে লেখাপড়া শুরু করা বা দ্বীনি শিক্ষা দেওয়া এই বিষয়ে কুরআন হাদিসের কেমন উল্লেখ নাই | এরপরও সাত বছর বয়সে থেকেই সন্তানকে নামাজ পড়ানোর নির্দেশ দিতে হবে | কিন্তু আমাদের সমাজে দেখা যায় যে তার কম বয়সে আমরা বাচ্চাদেরকে মক্তবে মাদ্রাসায় বা বিভিন্ন কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে পাঠিয়ে থাকে |নামাজের জন্য সাত বছর বয়স পড়াশোনা করানো যুক্তিসঙ্গত ও নিয়ম তান্ত্রিক উপযুক্ত সময় পড়াশোনা করানোর |
সন্তানের দাবি দাওয়া পূরণ করার নীতিমালা
আসুন আমরা জেনে নিই সন্তানের দাবী দাওয়া কিভাবে পূরণ করতে হবে আজকের এই আর্টিকেল থেকে |
সন্তানের সব দাবি মেনে নেওয়া উচিত নয় অনেক সময় বৈধ দাবিগুলো কিছু কিছু পূরণ করতে হয় |
যদি ছোটখাটো দাবিগুলো পূরণ না করা হয় যেটা বৈধ তাতে সন্তানদের মন ছোট হয়ে যেতে পারে মন খারাপ হইতে পারে।
সন্তানের সবচেয়ে পূরণ করতে নেই সব যে পূরণ করা হলো সে ক্ষেত্রে সন্তান একঘেয়েমি বা বদ স্বভাবের হয়ে যেতে পারে যখন তখন বৈধ অবৈধ সব জিনিসেরই বায়না ধরতে পারে এইজন্য যে পূরণ করতে গিয়ে সব ধরনের জেদ পূরণ করা যাবে না | প্রয়োজনে তাকে শাসন করতে হবে ভয় দেখাতে হবে না হলে হাতের নাগালে বাইরে চলে যাবে |
বাচ্চার জেদ থামাতে গিয়ে অন্য কোন জিনিসের বা কোন বস্তু পাতার কোনো পছন্দের জিনিস কিনে দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া বাওয়াদোবদ্ধ হওয়া এটা উচিত নয় | তাকে বিভিন্ন কৌশলে থামানোর জন্য যেটা আমরা করে থাকি বলে থাকি সেটাও মিথ্যা | আর বাচ্চাদের সামনে কোন ওয়াদা করে বসলে এটা পূরণ করা জরুরী হয়ে যায় |
শিশুদের শাসন করার নিয়ম বা পদ্ধতি
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিন কিভাবে বাচ্চাদেরকে শাসন করতে হবে |
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক যেমন
অনেক সময় আমরা বাচ্চাদেরকে নরম কথার মাধ্যমে বুঝাই এটি প্রথম অবস্থা যদি নরম কথায় বাচ্চা সংশোধন না হয় তাহলে একটু কঠোর হওয়া একটু শক্ত হয়ে তাদেরকে শাসন করা | আমরা অনেক সময় অতি ভালোবাসা অতি আদরে কারণে বাচ্চাদের ছোট ছোট ভুলাকে নজরে দিন না দেওয়ার কারণে দেখা যায় যে সে ওই ভুল কাজগুলার বা অবৈধ কাজগুলাই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। সে সময় যদি বাবা মারা তাকে শক্তভাবে বেশি শক্তির দ্বারা যে কোন ভাবে তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা না করে তাহলে এটা খেয়ানত হয়ে গেল এইজন্য কথায় আছে শৈশবে শাসন ফুল গাছে পানি দেওয়ার মতো |ফুল গাছে যেমন পানি দিলে ফুলের গাছ তরতাজা হয় গাছে ফুল ধরে তেমনি শৈশবে বাচ্চাদেরকে শাসন করলে। সেই শাসনের প্রভাবে বড় হয়ে সে ভালো মানুষের রূপান্তরিত।
বাচ্চাদেরকে শাসনও শাস্তির পদ্ধতি নিচে দেওয়া হল,
১|ধমক দেওয়া
২| তিরস্কার করা
৩| কথা শুনানো
৪ |ঘরের মধ্যে আটকে রাখা
৫| বেত বা লাঠি দ্বারা মারধর করা
৬ |ছোট ছোট বিভিন্ন শাস্তির ব্যবস্থা করা
৭ |কান ধরে উঠবস করানো
৮| বাইরে ঘুরতে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া
৯| ছুটি বন্ধ করে দেওয়া ইত্যাদি
এ শাস্তি গুলো সবচাইতে উত্তম পদ্ধতি শিশুদের মনে এর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে |
খেয়াল রাখতে হবে শাসন যাতে অতিরিক্ত না হয়ে যায় যদি মারধর বেশি হয়ে যায় তাহলে শিশুরা অভ্যস্ত হয়ে নির্লজ্জ বেহায়া হয়ে পড়ে | শাসন আর মারধরের ভয় তাদের মন থেকে উঠে পড়ে | এই জন্য সন্তানকে শাসন মারধরের ব্যাপারে একটা নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে থাকা উচিত |
অনেক মাকে কালীমগণ। বলেছেন যে মার দুধ ধরা শাসনের দ্বারা বাচ্চার হাত-পা ভেঙে চামড়ায় দাগ পরে কেটে যায় সে ধরনের মারধর করা শরীয়তে নিষেধ আছে।
পিতা বা সন্তানের শিক্ষক বা মাদ্রাসার ওস্তাদ এইরূপ বেপরোয়া মারধর যদি করে তাহলে তাহলে এদের এই ধরনের শাস্তি প্রদান করা বড় জুলুম |
আরেকটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে যদি মারধরের পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তাহলে তাকে আদর সোহাগ দিয়ে যাকে খুশি করতে হবে |
বকাবকি বা এমন কোন বাজে ব্যবহার করবেন না যে সীমা অতিক্রম করে ফেলে বা এমন কিছু বাজে গালাগালি করবেন না যাতে তার মস্তিষ্কের উপরে প্রভাব ফেলে | তার সামনে গালিগালাজ খারাপ ব্যবহার করা স উচিত নয় |
সন্তানকে সুচরিত্রবান ও দ্বীনদার বানানোর নিয়ম
আসুন তাহলে আমরা এই আর্টিকেল থেকে জেনে নেই যে সন্তানকে কিভাবে সু চরিত্রবান ও দ্বীনদার বানায় এজন্য এই কষ্টের শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকে |
আসলে বাবা-মার প্রচেষ্টাতেই একটা ছেলে বা মেয়ে সৎ নিষ্ঠাবান দ্বীনদার ঈমানদার হইতে পারে | এজন্য সন্তানের জন্মের পর থেকেই তাদের দ্বীনদার পরহেজগার বানানোর প্রচেষ্টা। মৃত্যু পর্যন্ত।
নিচে এর নিম্নরূপ দেয়া হলো,
মূলত সুসন্তান লাভের জন্য দ্বীনদার পরহেজগার নারীর সাথে বিয়ে করতে হবে |
ভালো নারীর গর্ভে সুসন্তান জন্ম নেওয়ার আশা করা যায়। এজন্য কথাই বলে বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলে পরিচয়।
পিতার কামায় যদি হালাল হয় সেই খাবার স্বামী স্ত্রীকে খেয়ে স্ত্রী যে সন্তান জন্ম দিবে আশা করা যায় সে সন্তান ভালো হবে | আর যদি হারাম খেয়ে স্ত্রী সন্তান জন্ম দেয় তাহলে তার সন্তান খারাপ হতে পারে |
অনেক ক্ষেত্রে সন্তান-সন্ততি খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণও এরকম হতে পারে যে এলাকার পরিবেশ বা খারাপ সঙ্গে চলাফেরা বাজে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার ক্ষেত্রেও হয়ে যেতে পারে |
সুসন্তানের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া প্রার্থনা বা কান্নাকাটি করা |
এরকমভাবে দোয়া চাওয়া যেতে পারে অর্থ
হে আল্লাহ তুমি আমাকে তোমার নিজ অনুগ্রহে আমাকে পবিত্র বংশধর দান করো |
অবশ্যই তুমি প্রত্যেকের প্রার্থনা শোনো |( সূরা আল ইমরান আয়াত , ৩৮ )
মায়ের গর্ভে যখন সন্তান আসে তখন থেকে মায়ের খেয়াল রাখতে হবে তার আচরণ |
মা যদি দ্বীনদার পরহেজগার হয় তাহলে বাচ্চার উপরে প্রভাব পড়ে কারণ বাচ্চা তো তার মায়ের গর্ভে থাকে| অনুরোধ মায়ের স্বভাব আচরণ যদি দ্বীনদার নেককার মহিলাদের মত না হয় সেটার খারাপ গর্ভে থাকা সন্তানের উপর |এজন্য গর্ভবতী মায়েরা সবসময় ভালো চিন্তাধারা ভালো কথাবার্তা জিকির আজগার নামাজ কোরআন তেলাওয়াত জানলে কোরআন তেলাওয়াত করা এ সমস্ত ভালো কাজ করলে এই ভালো কাজের প্রভাব তাদের সন্তানদের উপরে পড়বে এবং তারা নেককার ও সৎ চরিত্র |
বাচ্চা জন্মের পর পর তাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করাইতে হবে তার কানে আযানের ইকামত দিতে হবে এবং বুজুর্গ দ্বীনদার ব্যক্তির মুখের লালা অর্থাৎ মিষ্টি জাতীয় দ্রুত মুখে দিয়ে বাচ্চার মুখে দিতে হবে এতে করে বাচ্চার মধ্যে ওই বুজুর্গ ব্যক্তি স্বভাব জন্ম নিবে |
যদি এরকম হয় যে বাচ্চার মা বাদে অন্য কোন মহিলা দুধ পান করাতেই হয় তাহলে দ্বীনদার পরহেজগার মহিলা দেখে দুধ পায় |
শিশুকে রমজান মাসে রোজা রাখার ব্যাপারেও সাত বছর বয়স থেকে তাগিদ করতে হবে | রোজার জন্য নির্ধারিত কোন বয়সের কথা বলা হয়নি |
বাসায় একটা নামাজের পরে একটা সময় নির্ধারণ করতে হবে যে সময় বাড়ির সকলে মিলে দ্বীনি আলোচনা | বিভিন্ন রশিদ মূলক কথা সাহাবীদের কথা নবী রাসুলদের কথা বাড়িতে কিতাবে তালিম করা হাদিসের কিতাব পড়া বাড়িতেই সমস্ত আমল চালু থাকলে কোরআন হাদিসের আলোচনা করা এই সমস্ত আমল থাকলে বাসায় দ্বীনি পরিবেশ কায়েম হয়। এতে করে বাচ্চাদের সাথে সাথে পরিবারের অন্য সকল সদস্যদেরও তরবিয়ত হয় তাদের মধ্যেই বাণী চেতনা জেগে ওঠে ঈমানদার পরহেজগার হয়ে উঠ |
আর একটা কথা মনে রাখতে হবে যে সন্তান যাতে দ্বীনদার হয় নেক হয় ঈমানদার হয় এই জন্য সব সময় আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া চাইতে হবে |
সন্তানের জন্য পিতা-মাতার করা কয়েকটি দোয়া নিচে দেওয়া হবে
১. হে আমার প্রতিপালক আমাকে এবং আমার বংশের লোকদেরকে নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করেন করনেওয়ালা বানান হে আমার প্রতিপালক আমার দোয়া কবুল করো সূরা ইব্রাহীম ৪০
২. হে আমাদের রব আমার বিবি ও সন্তানকে আমাদের জন্য সুখের বানান এবং আমাদেরকে মুত্তাকিনদের সঙ্গে চলার চালান সূরা ফুরকান ৭৪
৩ .হে আল্লাহ আমাদের সন্তানদের ইসলা করে দেন আমি তোমার দিকে অগ্রসর হয়েছি এবং আমাকে অনুগত্য কারীদের মধ্যে শামিল করে ।
যাদের সন্তান মারা যায় তারা ধৈর্য ধারণ করা আর এটা মনে করা যে তাদের সন্তান মারা গেছে এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে ভালো কিছুর আলামত। বেঁচে থাকলে হয়তো ক্ষতির কারণ হইতো এটা মনে করে সবুর করা আর আল্লাহর হাতে ছেড়ে দেওয়া আল্লাহ আমাদের চাইতে বেশি ভালো জানেন |
এরকম মনে করা যে এ সন্তান যদি বেঁচে থাকত এর কারণে আমাকে অনেক কষ্ট অনেক সমস্যা অপমানের সম্মুখীন হতে | এই জন্য হয়ত আল্লাহতালা দুনিয়া থেকে উঠায় এটা মনে করা আর মন খারাপ না করা |
বরঞ্চ এটা মনে করা যে সন্তান মারা গেলে যে কষ্ট হয় ওই কষ্টটা না পেয়ে ধৈর্য ধারণ করলে সব হবে | আর যদি নাবালিক বাচ্চা মারা যায় কোরআন হাদিসের প্রমাণ আছে। যে ওই সন্তানের কারণে বাবা মা জান্নাতে যাবে |
যার কোন সন্তান নাই তার জন্য কিছু কথা
যার কোন ছেলে মেয়ে হয়নি তার জন্য কিছু বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো,
যাকে মনে করতে হবে তার যে সন্তান হয়নি এটা তার জন্য ভালো হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকেরই ভালো চান কল্যাণ চান এবং সৃষ্টির সকল রহস্য আল্লাহর জানা আছে | এ অনুযায়ী যার সন্তান হয়নি। বা আল্লাহ তাকে সন্তান দেয়নি, এটা তার জন্য ভালো এর মধ্যে তার কল্যাণ রেখেছে |
আর যদি তার সন্তান থাকতো তাহলে তাকে অনেক পেরেশানির ভিতরে থাকতে হতো চিন্তা ভাবনার মধ্যে দিন কাটাইতে হবে | সন্তান যেমন সৃষ্টিকর্তা দেওয়া একটা বিশেষ নিয়ামত তেমনি এটা মনে করা যে সন্তান আল্লাহতায়ালা আমাকে দেয়নি এটাও তারই নিয়ম |এজন্য সন্তান হয়নি তার জন্য না শুকরি মনোভাব রাখা যাবে না বরঞ্চ আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে।
সন্তান হচ্ছে না এই বলে স্ত্রী প্রতি খারাপ আচরণ করা যাবে না কারণ সন্তান হওয়া না হওয়া স্ত্রীর কোন হাত |
আল্লাহ তাআলা যাকে চান সন্তান দেন আর যাকে চান না তাকে নিঃসন্তান বানান এটা সম্পূর্ণ তারই খেলা।
এই জন্য স্ত্রীকে দোষারোপ না করা যার সাথে খারাপ ব্যবহার না করা | আল্লাহ তাআলার প্রতি অসন্তুষ্ট না হয়ে এরকম মনে করা যে আমার সন্তান হয়নি আল্লাহতালা এটার মধ্যেই আমার কল্যাণ রেখেছেন |
এজন্য আল্লাহ তাআলার কাছে সন্তান লাভের জন্য দোয়া করতে হবে দান সদকা করতে হবে |
শেষ ভাবনা
প্রিয় পাঠক আমরা এই পোস্ট থেকে জানতে পারলাম যে সন্তানদেরকে লালন পালন করলে সন্তান সৎ নিষ্ঠাবান। ঈমানদার হতে পারে |আমরা যদি সঠিকভাবে সন্তান-সন্ততিকে গাইডলাইন দিই তাহলে আমাদের সন্ধান নিশ্চয়ই সুসন্তান হিসেবে গড়ে উঠবে | আপনাদের আরো কিছু জানার থাকলে আমাদেরকে এই পোস্টে নক দিবেন এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি |
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url