সুন্দরবনের পশুপাখির দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা



 আজকে আমরা আপনাদেরকে আর্টিকেল থেকে জানাবো সুন্দরবনের পশুপাখি ও কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে |

 সুন্দরবন বিশ্বের দরবারে একটি বৃহত্তর ম্যানগ্রোভব বলে বন নামে পরিচিত | আমার কাছে মনে হয় বিশ্বের অন্য সকল ম্যানগ্রোভবন হতে আমাদের এই সুন্দরবন অনেক  সুন্দর ও সমৃদ্ধশীল | আমাদের এই বনে প্রাকৃতিক




সৌন্দর্য জীববৈচিত্র্য সমাহার | আমাদের এই ম্যানগ্রোভবনের সৌন্দর্য দেখতে সারাবছর অসংখ্য পর্যটক আজকে আমরা তাদের সুবিধার্থেই এই আর্টিকেলটি লিখছি আশা করি আমার এই আর্টিকেল থেকে পর্যটক ভাই বোনেরা উপকৃত হবে| আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক  সুন্দরবনের তথ্যসমূহ জানতে হলে আমাদের সাথে এই পোস্টে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন ধন্যবাদ|

পোস্ট সূচিপত্র

ম্যানগ্রোভ বোন সুন্দরবন

 বাংলাদেশের সবচাইতে বড় বোন সুন্দরবন এটাকে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বলা হয় | সুন্দরবন বাংলাদেশসহ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ  ভারতে কিছু অংশ রয়েছে  |সুন্দরবন বাংলাদেশ বেশি অংশ রয়েছে আর ইন্ডিয়াতে কম অংশ রয়েছে বাংলাদেশে রয়েছে ৬০% আর ইন্ডিয়াতে রয়েছে চল্লিশ শতাংশ  |সুন্দরবনে রয়েছে অসংখ্য গাছপালা, পশুপাখি, জীবজন্তু, নদী-নালা খাল বিল  | পাখিদের মধ্যে একটি অন্যতম পাখি হচ্ছে সানবার্ড আর উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম উদ্ভিদ হচ্ছে সুন্দরী গাছ আর এই গাছের নাম অনুসারে সুন্দরবনের নাম রাখা হয়েছে। এছাড়াও সুন্দরবন পরিচিত বিশ্বের দরবারে রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর জন্য | এছাড়াও সুন্দরবনে পাওয়া যায়  যেমন, সিংহ, কুমির, শিম্পাঞ্জি ভাল্লুক, বানর,হরিণ ইত্যাদি অসংখ্য জীবজন্তু |সুন্দরবনের ভিতরে যে সমস্ত নদী নালা গুলো পাওয়া যায় সেগুলোতে মানুষ নৌকা গ্রহণ করে  খাল বিল নদী নালা গুলোতে পাওয়া যায় মাছ | সারাদিন সুন্দরবনের সৌন্দর্য সম্পর্কে লিখে গেলে সুন্দর্যের কথা লিখে শেষ করা যাবে না আসলে আল্লাহ তাআলার মেহেরবানী আমাদের মত বাংলাদেশ একটি ছোট দেশে আল্লাহতালা এত সুন্দর সুন্দর নিদর্শন প্রাকৃতিক পরিবেশ বন জঙ্গল সৃষ্টি করে রেখে |

 কোন কোন জেলায় সুন্দরবন অবস্থিত


 সান বার্ড

 সুন্দরবনের অসংখ্য পাখপাখালী রয়েছে তার মধ্যে সানবার্ড একটি অন্যতম পাখি এই পাখিটি প্রায় 95 প্রজাতির হয়ে থাকে | এই পাখি লম্বায় ৩.৬ ইঞ্চি হয় আকারে পাখি খুবই ছোট। হওয়ায় এই পাখির তুলনা করা হয় হামিং বার্ডের সাথে | আরে হামিং বার্ড চেনার উপায় হইল অন্যান্য পাখির তুলনায় হামিংবাদের ঠোঁট একটু বাঁকা হয় | 

রয়েল বেঙ্গল টাইগার




রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের জাতীয় পশু বলা হয় |  এই পশুটি সুন্দরবন এ পাওয়া যায় আরে এই রয়েল বেঙ্গল টাইগারের কারণে সুন্দরবনের পরিচিতি তথা বাংলাদেশের পরিচিতি ও বিশ্বের দরবারে পেয়েছি।১০৬ টি বাঘ ও চিতা পাওয়া প্রায় এক হাজার |

 শুধু তাই নয় বিভিন্ন লোগোতেও রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ছাপ পাওয়া যায় এমনকি আমাদের জাতীয় দলের জার্সির  লোগো রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাপ দেওয়া |

হরিণ

অন্য সকল প্রাণীর চেয়ে সুন্দরবনের সবচাইতে বেশি হরিণ দেখা যায় | হরিণ  একটি নিরীহ  প্রাণী কিন্তু খুবই ছটফটে স্বভাবে নির্দিষ্টভাবে কোন জায়গায় বসে থাকে না শুধু লাফিয়ে বেড়ায় হরিণ সুন্দরবনের এ প্রাণীর সংখ্যা প্রায় 5000 হাজার। এবং তার মাথার শিং এবং তার দেহে হরিণী কালার তার সৌন্দর্যকে কারো বাড়িয়ে তুলেছে | আর পর্যটকরা হরিণের লাফালাফি খেলা দেখতে পছন্দ করে আনন্দ পায় | আসলে সুন্দরবনে অনেক প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। এতগুলো প্রাণী সম্পর্কে তুলে ধরা মুশকিল এইজন্য কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রাণীর নাম উল্লেখ করা হলো | 

সুন্দরবনের কিছু দর্শনীয় স্থান

আসুন আমরা এই পোষ্ট থেকে জেনে নিই সুন্দরবনের কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। জানতে হলে  আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন আর বেশি বেশি করে বন্ধু-বান্ধবের কাছে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ | দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল |

 কাটকা 

আসুন আমরা জেনে নিই টাটকা দর্শনীয় স্থানের সুন্দর্য সম্পর্কে কাটকা সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে অন্যতম |

এর আশপাশে অনেক ছোট বড় গাছ রয়েছে | আর এখানে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যায় যে কারণে সুন্দরবন খুবই কাছ থেকে এর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় | কাল থেকে হরিণ দেখা যায় এছাড়াও নানান ধরনের জীবজন্তু দেখা যায় যেমন বন মুরগি উদবিড়াল বানর নানান ধরনের পাখি দেখতে পাওয়া যায় |  কোন কোন সময় রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখতে পাওয়া যায় |কোটকা টাওয়ার থেকে বন্যপ্রাণীদের বিচরণ দেখা যায় | বাঘ হরিণের শিকারের দৃশ্য দেখা যায় এবং এই সমস্ত দৃশ্য অপূর্ব মনোমুগ্ধকর মনে হয় | এখানে সারা বছর অনেক অতিথি আসে এখানে একটা রেস্ট হাউজও আছে |

 করম জল

সুন্দরবনের আরেকটি অত্যন্ত সুন্দর জায়গা যেটা করম জল নামে পরিচিত সুন্দরবনের মধ্যে গরম জল একটি উপভোগ করার মত জায়গা | কারণ করম জল সমুদ্র থেকে খুবই কাছে হওয়ার খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করে ফেরত আসা যায় | এখানে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক আসে ঘুরতে এখানকার অন্যতম আকর্ষণ হল হরিণ বানর কুমির বিভিন্ন প্রজাতির পাখি সরু নদী জেলের মাছ ধরা নৌকা ভ্রমণ ইত্যাদি | তরমুজল বাংলাদেশের অন্যতম কুমির প্রজনন কুমির প্রজনন কেন্দ্র |

কচিখালী

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই কচি খালি সম্পর্কে | সুন্দরবনের আরেকটি দর্শনীয় স্থান কচিখালী

সারা বছর সুন্দরবন কচিখালীতেপ্রচুর পর্যটকপর্যটক আসে| কাঁথি স্টেশন পর্যন্ত পায়ে হাঁটার রাস্তাও আছে |

এ রাস্তার আশার আশপাশে ঘন বন জঙ্গল দেখা যায় এই বন জঙ্গলে বাঘ হরিণ বানর বিষধর সাপ শুকুর ইত্যাদি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী দৃষ্টিগোচর হয় হিংস্র পশু পাখি থাকার কারণে মাঝেমাঝে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে মনের ভিতর ভয় জাগ্রত হয় |তবে যারা সাহসী তারা কথিকালি দর্শনীয় স্থানটি অনেক পছন্দ করে | আর পছন্দ হবেই না কেন যেখানকার প্রধান আকর্ষণ সমুদ্র সৈকত সেটা তো পছন্দ হওয়া সহজ স্বাভাবিক | এখানে সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ হয় পর্যটকরা এবং নিরিবিলি পরিবেশ পর্যটককে করে তুলে আরো প্রাণবন্ত এবং শীতল | 

হার বাড়িয়া

সুন্দরবনের আরেকটি দর্শনীয় স্থান ঘরবারিয়া চলনা আমরা হার্বারিয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে আসি এই তথ্য জানতে আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ | হাড়বাড়িয়া একটি সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ ঘরবাড়িয়ার অন্যতম আকর্ষণী হচ্ছে এখানে গোলাঘর যার একটি পুকুর সংলগ্ন ও কাঠের তৈরি ফুল ইত্যাদি এখানে রয়েছে এছাড়াও রয়েছে নানান প্রজাতির বন্য পশুপাখি ও উদ্ভিদ কাঠের তৈরি দুইটা ট্রেল আছে | আছে সারিবদ্ধ নারকেল বাগান যার সৌন্দর্যকে আরো মনোমুগ্ধকর সবুজ ময় সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি করেছে | এটা মনসা  মনসা থেকে আনুমানিক বিশ কিলোমিটার বাড়িয়া নামক একটা স্থানে অবস্থিত |

নীলকমল হরিণ পয়েন্ট

 আসুন জেনে নেই আজকের এই আর্টিকেল থেকে নীলকমল হরিণ পয়েন্ট সম্পর্কে। এটি সুন্দরবন একটি বিখ্যাত প্রশাসনিক কেন্দ্র এখানে সবচেয়ে বেশি হরিণ পাওয়া যায় তাছাড়া বাঘ কুকুর সিংহ উদ বিড়াল বর্ণের পাখি ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে লক্ষ্য করা যায় | পর্যটকরা অনেক ভিড় করে নীলকমলের মাঝামাঝি হয়ে গেছে একটি ছোট খাল |

 এখানে সব ধরনের পশুপাখি থাকার কারণে নীলকমল হরিন পয়েন্ট অনেক বিখ্যাত একটা জায়গা যেখানে পর্যটকরা আসতে পছন্দ বোধ করে এবং অনেক আনন্দ | পায় পর্যটকদের জন্য এখানে একটা রেস্ট  হাউজ রয়েছে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে যাতে তারা সেখানে রেস্ট করতে পারে |

দুবলার চর

 দুবলার চর সুন্দরবনের আরেকটি দর্শনীয় স্থান আসলেই দর্শনের স্থান সম্পর্কে এ আর্টিকেল থেকে আমরা বিস্তারিত জেনে | বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপটি মৎস্য শিকার এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের এক অন্যতম পরিচিত স্থান | মৎস্য শিকারীদের জন্য এটা অন্যতম স্থান প্রতিবছর এখানে সারা বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য জেলে আসে মাছ ধরতে

 জেলেরা অক্টোবর থেকে মার্চ মাস এ সময় পর্যন্ত বাড়িঘর করে স্থায়ীভাবে থেকে মাছ শিকার করে এবং এখান থেকেই সেই সমস্ত মাছ বাজারজাত করে | এখানে জেলেরা ট্রলার নিয়ে মাছ ধরে এবং প্রচুর মাছ শিকার করে যদি কেউ মাছ সম্পর্কে জানতে চান অভিজ্ঞতা নিতে চান তাহলে এই স্থানটি আপনাদের জন্য সর্বোত্তম স্থান |

 এছাড়াও এখানে রয়েছে একটি সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর আকর্ষণীয় সমুদ্র যে সৈকতের মজা নিতে এখানে হাজারো বেশি বিদেশি পর্যটক ভিড় করে |

 মন্দারবাড়ীয়া

আসুন আমরা সুন্দরবনের মন্দার বাড়িয়া অঞ্চলটির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য  জেনে নিন জানতে হলে আমাদের সাথে আর্টিকেলটির শেষ পর্যন্ত থাকবেন আশা করছি। ধন্যবাদ। মান্দারবাড়িয়া সুন্দরবনের জলধারা একটি অপরূপ স্থান এখানকার অটল অরণ্যে ছোট ছোট ক্ষুদ্র জীব থেকে শুরু করে রয়েছে হরিণ বন্য শুকুর বানর কুমির কচ্ছপ সাপ কাঁকড়া বাঘ ভাল্লুক সিংহ অসংখ্য জীব রয়েছে| আরো রয়েছে এখানে সমুদ্র সৈকত যার বিশাল বিশাল ঢেউ সত্যি খুব মনোমুগ্ধকর | এছাড়াও অপূর্ব সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক এই পরিবেশে জীববৈচিত্রের ভরপুর সমাহার রয়েছে এই দুর্গম  স্থানটিতে | এখানকার আরেকটি দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় দৃশ্য হলো সাগরের বড় বড় ঢেউ |

শেষ কথা

সুন্দরবন একটা দর্শনীয় স্থান যেখানে ভ্রমণ করতে মানুষ অনেক প্রথম পছন্দ বোধ করে যারা ভ্রমণ পিয়াসে আছেন তারা দেরি না করে আপনারা সুন্দরবন মেনে চলে যান আর আমাদের এই আর্টিকেলটি করে জেনে নিন সুন্দরবন সম্পর্কে। এবং নিজেদের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনকে বেশি বেশি শেয়ার করুন আর আমাদের সাথেই থাকো থাকুন আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যটি আমাদের এই আর্টিকেলে এই যে জানাবেন অবশ্যই ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন  ধন্যবাদ |


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url