চিকিৎসা শাস্ত্রী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর অবদান সম্পর্কে আলোচনা
মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয়, আর মানুষকে ঘিরেই সমস্ত সভ্যতা তৈরি হয়েছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমাদের মৌলিক চাহিদা যেমন খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা যোগাযোগ ব্যবস্থা এগুলো সব মৌলিক চাহিদা |
দৈনন্দিন জীবনে এই চাহিদাগুলো আমাদের বাধ্যতামূল এ সমস্ত চাহিদা পূরণ না হলে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে | খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান পরিবহন এগুলো তো লাগেই আবার শরীর সুস্থ না হলে আরেক বিপদ শরীরের কিছু হলেই এ ডাক্তার ওই ডাক্তার এই ওষুধ ওই ওষুধ বিভিন্ন দিকে ছুটাছুটি করতে হয় শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য| আসুন জেনে নেওয়া যাক চিকিৎসা শাস্ত্রী শাস্ত্রে মহানবী সাঃ এর অবদান সম্পর্কে |
পোস্ট সূচীপত্র
ভূমিকা
মানব কুল সৃষ্টির শুরু থেকে চিকিৎসা শাস্ত্রের আবির্ভাব ঘটে |জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এ সময়ের মাঝখানে চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম | ছোট থেকে ছোট বড় থেকে বড় রোগ নিয়ে মানুষ হলে মানুষ চিকিৎসা নাই মৃত্যু কালীন সময়েও মানুষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চিকি চেষ্টা করে চিকিৎসার মাধ্যমে। যেহেতু সুস্থতা অনেক বড় নিয়ামত এজন্য অসুস্থ হলে মানুষ বুঝতে পারে কেমন জ্বালা | সুস্থ থাকলে শরীর ভালো থাকে মন ভালো থাকে ফুরফুরা থাকে
আর শরীর খারাপ থাকলে মেজাজ মন সবই বিগড়ে যায় খারাপ হয়ে যায় |এজন্য পৃথিবীতে সুন্দর ভাবে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে হলে বাঁচতে হলে শরীর সুস্থ রাখতে হবে এজন্য চিকিৎসা শাস্ত্রের অবদান অপরিসীম |
প্রিয় পাঠক আসুন জেনে নিন চিকিৎসাশাস্ত্রে মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর অবদান সম্পর্কে | জানতে হলে এই পোষ্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ | চলুন তাহলে দেরি না করি আমাদের কাঙ্খিত বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করি |
চিকিৎসার সূত্রপাত
আসুন আমরা জেনে নেই চিকিৎসার সূত্রপাত সম্পর্কে কিছু কথা |পৃথিবীতে মানুষস্বাভাবিক ভাবেই মৌলিক চাহিদাগুলোপূরণ করার ব্যাপারে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে গেছে |চিকিৎসা শাস্ত্রের ব্যাপারেওতিনাদের প্রথম আবিষ্কার ছিল ঝাড়ফুঁক |
এরপর ওই মানুষের মাধ্যমে আবিষ্কার হয় গাছ গাছড়ার চিকিৎসা বিভিন্ন গাছ-গাছড়ার মাধ্যম দিয়ে রোগ ভালো করার পদ্ধতি মানুষ অবলম্বন করতে লাগলো |বর্তমান আধুনিক যুগে মানুষ এই ঝাড়ফুঁক ও গাছগাছরা পদ্ধতিতে চিকিৎসা গ্রহণ করে | গ্রহণ করে।
ইদ্রিস আলাইহিস সালামের সময়ের চিকিৎসা স্বাস্থ্য
নবী হযরত ইদ্রিস আলাইহিস সালামের যুগের তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের বিকাশ ঘটান |ইদ্রিস আলাই সাল্লাম ছিলেন প্রথম চিকিৎসাবিদ | চিকিৎসা বিষয়ক কাছে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ওই আসুন |
মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সাঃ এর অবদান
মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সাঃ সকল বিষয়ে তিনি মহাজ্ঞানীএটা পরিপূর্ণ বিশ্বাস করা যায় যে আল্লাহ তাআলার পরে যিনি সর্বাধিক বেশি জ্ঞান রাখেন তিনি হলেন আমাদের নবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু | তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে কালজয়ী অবদান রেখেছিলেন |টিনার মাধ্যমে চিকিৎসাশাস্ত্রে পরিপূর্ণতা আসে সমস্ত ডাক্তারের ডাক্তার চিকিৎসা শাস্ত্রে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী চীনের আগে পরে কোন বড় বিজ্ঞানী ছিল না কিয়ামত পর্যন্ত আসবেনা | কিনার উপরে নাযিলকৃত কোরআন মাজীদি সমস্ত সমস্যার সমাধান সমস্ত রোগের চিকিৎসা রয়েছে | কুরআন মাজীদে ৯৭ টি সূরারমধ্যে
৩৫৫ টি আয়াত চিকিৎসা সম্পর্কে আজ এই আয়াতগুলোতে মানবদেহের ছোট থেকে ছোট বড় থেকে বড় সকল বিষয়ে পরিপূর্ণ সমাধান দেওয়ার হয়েছে | মোহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক বিষয় বর্ণনা করেছেন চিকিৎসা শাস্ত্র
নিয়ে |রোগের লক্ষণ ও কিভাবে নিরাময় করতে হবে এর পদ্ধতিও বলেছে | উনি নিজ হাতে চিকিৎসা করেছেন এবং কিভাবে চিকিৎসা করতে নিজে চিকিৎসা শাস্ত্র আবিষ্কার করেছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন |
হুজুর সাঃ এর চিকিৎসা শাস্ত্রের বিষয়ে আশিটি পরিচ্ছেদ রয়েছে যেটা হাদিসের শ্রেষ্ঠ কিতাব বুখারী শরীফে লিপিবদ্ধ করা আছে | সব পরিচ্ছেদগুলোতেই আলাদা আলাদা রোগের নিয়ম ও প্রতিরোধ করার নিয়ম পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা আছে। আর তিনি নিজেই চিকিৎসা শাস্ত্রকে ধর্মের সাথে সংযুক্ত করেছেন | তুমি বিভিন্ন রোগের ব্যাপারে বিভিন্ন আমলের শিখিয়ে দিয়েছে। ছোট থেকে ছোট বড় থেকে বড় রোগের কিছু কোরআনে আমল উনি বিভিন্ন হাদিসের কিতাবে লিপিবদ্ধ করা আছে যেটা আমরা বিভিন্ন কিতাব থেকে পেয়ে থাকি আলেমদের কাছ থেকে জেনে থাকি |
আপনাকে দৈনন্দিন এই আমলগুলা করে থাকি এবং আমাদের রোগ মুক্তির পরানো পেয়ে থাকি আর রসুলুল্লাহ সাঃ এর কথা যে সত্য উনার কথা অনুযায়ী চললে ওনার কোথাও অনুযায়ী আমল করবে এটার প্রমাণ পাওয়া যায় এবং অন্তরে কথার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের মধ্যে চলে আসে |
হুজুর সঃ রোগ নিরাময়ে কিছু ব্যবস্থাপনা নিম্নরূপ , মুখের মাধ্যমে ওষুধ ব্যবহার, পেট ব্যথার জন্য ওষুধের ব্যবহার ,
রক্তক্ষম পদ্ধতি ইত্যাদি | মধু কালোজিরা খেজুর মান্না বা ব্যাঙের ছাতা কুন্তা বা উটের দুধ প্রভৃতি |
হুজুর আঃ প্রথম হাসপাতাল তৈরি করেন সেটা একটা অস্থায়ী হাসপাতাল |এই হাসপাতাল হাসপাতাল স্থায়ীভাবে তৈরি হতো জিহাদের ময়দান ময়দানে জখম সাহাবীদেরকে চিকিৎসা দিতেন সেবা সুস্থ করতেন |
অনেক সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সহবতে থেকে চিকিৎসা শাস্ত্রে দুঃখ হয়ে উঠেছিলাম তাদের মধ্যে একজন হল আলী রাজিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু |তৎকালীন সময়ে আমর ইবনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মিশরের গভর্নর নিযুক্ত হন এবং তিনি চিকিৎসা বিষয়ক ইয়াহিয়ার গ্রন্থ গুলি তিনি প্রথম রচনা করেন |এবং চিকিৎসা গবেষণায় নিয়োজিত হন |সে সময় তিনি গবেষণাও করে এবং কিছু পুষ্টিকাও তৈরি করেন |পরবর্তীতে চিকিৎসাবিজ্ঞান পুষ্টি গুলি আরবিতে লেখা হয়খালেদ বিন ইয়াজিদের তত্ত্বাবধানে বা উদ্যোগে |প্রথম পাবলিক লাইব্রেরীসিরিয়ার দামেস্কে তৈরি করা হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানী গ্রন্থ খলিফা ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ এর তত্ত্বাবধানে | সে সময়ে বিভিন্ন চিকিৎসাবি বিভিন্ন বিখ্যাত গ্রন্থ লিপিবদ্ধ করেন | সে সময় সর্বপ্রথম প্রচুর অর্থ খরচ করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে
নানান ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কর | চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি ঘটে আব্বাসী আমলে |সে সময় বাগদাদকে রাজধানী বলা হতো বাগদাদ এত বড় হাসপাতাল ছিল য শহরের অন্যতম বড় বড় শহরগুলোতে হাসপাতাল তৈরি হয়েছিল | এবং চিকিৎসার জন্য পুরুষ ও মহিলা আলাদা আলাদা ইউনিট তৈরি করা হয়েছে |
নবম শতকে কিছু মুসলমান মৌলবীগণ সভ্যতার বাস্তবিক চিত্রে চিকিৎসা শাস্ত্রের ঝান্ডার বহন করেছে।
নবম শতাব্দী থেকে প্রায় একাদশ শতাব্দীর প্রায় কিছু বেশি অংশ ধরে এই মৌলভীগণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্বর্ণযুগের পরিণত করেছিল |এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন , ইবনে সিনা, আলী আক্তারাবী আর রাজী |
ইবনে সিনা
আমরা জেনে নিই চিকিৎসা বিজ্ঞানী ইবনে সিনার কিছু জানা-অজানা কথা জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন |
ইবনে সিনা একজন সর্বকালের বিখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী ছিলেন |তিনি ৯৮০ থেকে ১০৩৭) জন্মগ্রহণ করেন |
তিনি আল-কানুন ফিট বিট চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিখ্যাত গ্রন্থ আনা হয়েছিল আরব জগতের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ কিতাব |
ইবনে সিনা ১৬ টি কিতাব লিখে জান এর মধ্যে ১৫ টি কিতাবে উনি রোগের কারণ বা লক্ষণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে লিপিবদ্ধ করে যায় | প্রাচীনকাল থেকেই এ পর্যন্ত এই কিতাব গুলি বিখ্যাত কিতাব হিসেবে পরিচিত এরকম আর দ্বিতীয় কোন কেতাব নাই | এই কিতাবটি ৫০০ খন্ডে ৮০০ পরিচ্ছেদে সমাপ্তি হয় এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের অতীতকাল বর্তমানকাল ভবিষ্যৎকাল যেন একসাথে লিপিবদ্ধ করা মনে হয় যে একই সুতোই গাধা |
আলী আক তারাবি
আলি আকতারাবি একজন গৃহ চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত তিনি ছিলেন মুসলিম খলিফা ১৮৩৯ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত উনি খলিফা মুতাওয়াক্কিলের গৃহ চিকিৎসক ছিলেন | খলিফার নির্দেশে তিনি একটি গ্রন্থ রচনা বা লিপিবদ্ধ করা
সেই কিতাবটির নাম ফেরদৌস কুল হিকমাএটি একটি বিখ্যাত গ্রন্থ | এই কিতাবটিতে , প্রাণীবিদ্যা এবং জ্যোতি বিজ্ঞান সম্পর্কে আলোচনা করা রয়েছেএই কিতাবটি রচনা করা হয়েছে ইরানি ব্রিক এবং ভারতীয় শাস্ত্রের উপরে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে | এই বইটি বহুল পরিচিত ও একটি বিখ্যাত বই হিসেবে বিখ্যাত আছে |
আর রাজী
আসুন আমরা এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিই আর রাজি চিকিৎসা শাস্ত্রী কেমন ভূমিকা রেখেছেন সে সম্পর্কে।
আর রাজি মুসলমানদের মধ্যে একজন বিখ্যাত চিকিৎসাবিদ তিনার সম্পূর্ণ নাম হচ্ছে আবু বক্কর মোহাম্মদ বিন জাকারিয়া আর রাজী | তিনি প্রায় ২০০ অধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন বা লিপিবদ্ধ করেছে তার মধ্যে অর্ধেকের বেশিই রয়েছে চিকিৎসা শাস্ত্রের ব্যাপারে। তিনি বিভিন্ন রোগের বিষয়ে বেশ কিছু বই লিখেছেন মানুষের কিডনি থেকে শুরু গলব্লাডারে কি কারনে পাথর হয় সে সম্পর্কে একটি কিতাব লিখেছেন যেখানে বিস্তারিত চিকিৎসার তথ্য লিপিবদ্ধ করা আছে |আলজুদারি আল হাসবা নামক কিতাবে লাশ কাটার বিষয়ে তিনি ইস্পষ্ট ধারণা লিপিবদ্ধ করে করেন
এই কিতাবটি অনুবাদ করা হয় লাতিন ও ইউরোপের সব ভাষা ভাষায় |ইংরেজিতেও ৪০ বার এই বইটি অনুবাদ করে প্রকাশিত করা হয় তাই একে সর্বশ্রেষ্ঠ অবদান হিসেবে ধরা হয় আল হাবি | এই গ্রন্থটিতে সব ধরনের রোগ সম্পর্কে পরিপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে প্রায় বইটি বিশ খন্ডের |রোগ সম্পর্কে তিনি এই বইটিতে আরব সিরিয়া ইরান গ্রিক ও ভারতীয় চিকিৎসা সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা এরপর নিজের অভিজ্ঞতা ও নিজের মতামত ব্যক্ত করে যান |
আলী আল মাওসুলি
আসুন আমরা এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিই আলী আল মাওসুলি
একজন বিখ্যাত চক্ষু চিকিৎসক ছিলেন |তিনি আবিষ্কার করেছিলেন চক্ষু চিকিৎসা তিনি চোখের ছানি অপারেশনে অভিজ্ঞ ছিলেন। সে সময়ে জগতের সর্বপ্রথম চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন অকপটে |ডিনার একটি কিতাব চক্ষু চিকিৎসায় খুবই মূল্যবান ও সারা জাগানো একটি গ্রন্থ যার নাম তাজকিয়াতুল কাহালিন |এই কিতাবটিতে প্রায় চোখের রোগের লক্ষণ ১৩০ টি এবং ঔষধ বা প্রতিকার এর বিষয়ে ১৩৪ টি ঔষধ সম্পর্কে লিপিবদ্ধ করা আছে | তিনি চোখের সাথে সাথে মস্তিষ্কের রোগ পেট সংক্রান্ত রোগের বিষয়েও পরিপূর্ণ সমাধান তুলে ধরেছে তুলে ধরেছেন |
চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি সারা জাগানো ইতিহাস মুসলমানদের রয়েছে | একটা সময় মুসলমান চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কেই না আরো বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী এবং বিশ্বের ভিতর অন্যতম ছিলেন এখানে তো শুধু চিকিৎসা সম্পর্কে বলা হয়েছে |কিন্তু অত্যন্ত কষ্টের সাথে বলতে হয় যে মুসলমান যখন ১৪ শতাব্দীতে ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তার তারপরে থেকেই চিকিৎসা শাস্ত্র সহ বিভিন্ন বিষয়াদিতে সব প্রায় সবকিছুতেই ক্ষমতা হারাইতে থাকে | এবং চুরি হয়ে যায় লুটপাট হয়ে যায়। অনেক পত্রিকা অনেক গ্রন্থ যেগুলোতে বিভিন্ন থিউরি লিপিবদ্ধ ছিল সম্পূর্ণটাই লুট হয়ে যায় হারিয়ে যায়| চেঙ্গিস খানের মঙ্গল সেনারা ১৩০০ শতকে মুসলিম সভ্যতার বিশেষ জায়গাগুলোতে ৩০ বছর ধরে ধ্বংসযজ্ঞ কার্যক্রম চালিয়ে যান তার সাথে তাতে অসংখ্য গ্রন্থ লিপিবদ্ধ পুস্তিকা নষ্ট হয়ে যায় |যদি এ সমস্ত থিউরি গুলা বিনষ্ট না হতো মুসলমানদের আবিষ্কার গুলো নষ্ট না করতো সভ্যতা আজকে কোথায় পৌঁছাইত সেটা আমাদের মস্তিষ্কে আশা দুর্বি সহ | , এই সভ্যতার যুগে আমরা যা কিছু দেখছি এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে। মুসলমান প্রচেষ্টার কারণে অথচ আমরা আমাদের সমাজে মুসলমানদের কে ছোট করে দে বিশেষ করে যারা দ্বীনদার পরহেজগার মৌলভী টাইপের মানুষগুলো অথচ ইতিহাস মুসলমানদের অবদান ছিল অপরিসীম |
চিকিৎসা বিজ্ঞান
আমাদের নবী মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সাঃ বিশ্বের সবচাইতে বড় চিকিৎসা বিচ্ছিন্ন তিনি ছোট থেকে ছোট বড় থেকে বড় রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে অতুলনীয় জ্ঞান | শুধু তাই নয় মহামারীতে কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে কিভাবে রোগ মুক্তি হবে এটাও তিনি বলে গেছেন এবং কোরআনের মাধ্যমে রোগ মুক্তির উপায় দেখাইছে | আসুন আমরা নবীজির দেখানো পথে চলি তার সুন্নতকে অনুসরণ করি তাহলে আমরা আমাদের দুনিয়ার জীবন সুন্দর হবে এবং মৃত্যুর পরের জীবন সুন্দর হবে শরীর থেকে ছোট ছোট থেকে ছোট বড় থেকে বড় রোগ থেকে মুক্তি পাবো রসুলের দেখানো পথে যদি চলে। সাংসারিক জীবন রাষ্ট্রীয় জীবন সবকিছুই আমাদের সুন্দর হবে যদি রসুলের দেখানো পথে আমরা চলতে পারি |
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা এই আর্টিকেলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমরাই আর্টিকেল থেকে জানতে পারলাম চিকিৎসা বিজ্ঞান বা চিকিৎসাশাস্ত্রে মুসলমানদের কি অবদান ছিল
পৃথিবীর শুরু লগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত দুনিয়াতে যত কিছু আবিষ্কার হয়েছে তা মুসলমানদের থেকেই শুরু হয়েছে দুনিয়াতে উন্নতির অগ্রযাত্রায় এক বিরাট ভূমিকা পালন করে গেছে মুসলমানরা চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ক আর্টিকেলটি আমরা যদি করি তাহলে আমরা বুঝতে পারবো মুসলমানদের অবদান কত এই জন্য আপনারা আপনাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধবকে এই আর্টিকেলটি বেশি বেশি শেয়ার করবেন নিজে পড়বেন অন্যকে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে ধন্যবাদ।
মানুষ মাত্রই ভুল লেখার মধ্যে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ। আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন দান করেন |
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url