আল্লার সৃষ্টি দশজন ফেরেশতার কাজ সম্পর্কে আলোচনা

 

আমরাসবাই ফেরেশতা সম্পর্কে  ফেরেশতা একই সৃষ্টি করেছে ফেরেশতা দেখতে ফেরেশতা দেখতে কেমন আজকে এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে ফেরেশতা সম্পর্কে সবকিছুএ পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে



ফেরেশতা সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত জানাবো  |জানতে হলে আমাদের সাথে এ পোস্টটিতে শেষ পর্যন্ত থাকবেন এবং ভালো লাগার বিষয়গুলি আপনাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে শেয়ার করবেন |চলুন তাহলে আজকেআর্টিকেল থেকে আমরা ফেরেশতাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিই | 

পোস্ট সূচিপত্র :দশ জন ফেরেশতার কাজ  সম্পর্কে

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব  ফেরেশতাদের সম্পর্কে | থ্রি স্টার এ দেখতে কেমন ফেরেশতাদেরকে কে সৃষ্টি করেছে ফেরেশতারা কার হুকুমে কাজ করে এদের সকল বিষয় আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব এই পোস্টটিতে আপনারা জানেন যারা জানেন না তাদের জন্য আজ আজকের এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ  হতে যাচ্ছে | চলুন আমরা জেনে নিই ফেরেশতাদের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু কথা |

ফেরেশতারা কার তৈরি

 সমস্ত সৃষ্টি জগতের স্রষ্টা হলো আল্লাহ তা'আলা পালনকর্তার রিজিকদাতা সমস্ত বিশ্বজগতের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা'আলা | আল্লাহতালা এই ফেরেশতাদেরকে সৃষ্টি করেছেন আর তাদেরকে তৈরি করা হয়েছে আল্লাহতালার তাজাল্লি অর্থাৎ নূর দ্বারা | ফেরেশতারা সবসময়  আল্লাহ হুকুম পালন করা | তারা এক মুহূর্তের জন্য বা এক পলকের জন্য আল্লাহতালার নাফরমানি করে না অর্থাৎ আল্লাহর হুকুমের বাইরে যায় না | তারা সবসময় আল্লাহর হুকুমে মশগুল থাকে কেউ সেজদায় থাকে কেউ জিকিরে থাকে এরকম বহু কাজে ফেরেশতার আছে।ফেরেশতারা বিবাহ করেন না তাদের বিয়ের কোন প্রয়োজন নেই তারাপুরুষ না নারীও না |  দুনিয়ার  কোন চাহিদা তাদের নাই তাদের সংখ্যা অসংখ্য  একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই জানেন |

ফেরেশতাদের ঈমান

আসুন আমরা জেনে নিই ফেরেশতাদের ঈমান সম্পর্কে কিছু কথা জানতে হলে আমাদের সাথে থাকেন | সর্ব অবস্থায় আল্লাহ তাআলার হুকুম মানে এটা তোদের ঈমানী দায়িত্ব |  নবীদের ঈমান বাড়তে থাকে এবং মানুষের ঈমান বাড়ে এবং কমে ফেরেশতাদের ঈমান কমেও না বাড়েও না এক স্তরেই থাক | 

ফেরেশতাদের দায়িত্ব কর্তব্য

 আসুন আমরা জেনে নেই ফেরেশতাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে কিছু কথা জানতে হলে আমাদের সাথে পোস্টটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন ইনশাআল্লাহ | ফেরেশতারা আল্লাহ তায়ালার হুকুমের মহতাজ তারা সর্ব অবস্থায় আল্লাহতালার হুকুম পালন করে এটা ছাড়া তাদের কোন কাজ নাই |কোন ফেরেশতা আল্লাহ তায়ালার হুকুমে সেজদায় থাকে কেউ রুকুতে থাকে কেউ বা বাতাসের দায়িত্বে থাকে কেউবা পানির দায়িত্বে থাকে এরকম ভাবে বিভিন্ন রকমের হুকুম ফেরেশতারাপালন করে থাকে এটা তাদের দায়িত্ব কর্তব্য |

ফেরেশতাদের কাজ কি

  আমরা এই পোস্টটি জেনে নেব ফেরেশতাদের কাজ সম্পর্কে কিছু কথা | ফেরেস্তারা আল্লাহ তায়ালার হুকুমে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আছেন কোন কোন ফেরেস্তা কি কি কাজে নিয়োজিত আছে এ সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম আসুন আমরা জেনে নেই এই সম্পর্কে।

এক জিবরাঈল আলাই সাল্লাম

আসুন আমরা জেনে নিই এই পোস্ট থেকে  জেনে নিন জিবরাঈল আলাইহিস সালামের কাজ বা দায়িত্ব সম্পর্কে

 আল্লাহতালার হুকুমে জিব্রাইল আলাই সাল্লাম আল্লাহ তায়ালার বাণী বা ওহী নবী-রাসূলগণদের কাছেনিয়ে যান |

অর্থাৎ  ছিলেন বাত্রা বাহক তিনি আল্লাহ তায়ালার বাণীকে আল্লাহর হুকুমে নবীদের কাছে নিয়ে যেতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নবীদের কাছে উনি এভাবে আল্লাহর বাণীকে পৌঁছেছে এটাই তার কারণ | এই  ফেরেস্তার ৬০০ ডানা আছে যে ডানা দিয়ে আল্লাহ তায়ালার হুকুমের বিভিন্ন স্থানে চোখের পলকে মুহূর্তের ভিতর গমন করতে পারে |

 ইসরাফিল আলাইহিস সাল্লাম

আসুন আমরা জেনে নিই ইসরাফিল আলাইহিস সালামের সম্পর্কে কিছু কথা | ইসরাফিল আলাইহিস সাল্লাম আল্লাহতালার হুকুমে সিংড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এটা তার দায়িত্ব | এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহতালার হুকুম না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সেই সিঙ্গায় ফুঁক দিবে না আল্লাহতালা যখন হুকুম করবে তখনই সিংড়ায় ফুল দিবেন এবং গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে |তিনি পুনরায় সিঙ্গায় ফুঁক দিবেন আর সমস্ত কবরবাসী কবর থেকে উঠবেন এবং হাশরের  ময়দানে সমস্ত কবরবাসী উঠবে | ইসরাফিল আলাইহিস সালামের ফুকে গোটা পৃথিবী তুলার মত হাসতে থাকবে |

মিকাইল আলাইহিস সাল্লাম

 আসুন আমরা জেনে নেই মিকাইল আঃ সালামের কাজ সম্পর্কে তিনি কোন দায়িত্বে নিয়োজিত আছে | আল্লাহতালার হুকুম বৃষ্টি বর্ষণ ও উদ্ভিদ জন্মানোর কাজে নিয়োজিত আছে | তিনি আর অন্য কোন কাজ করেন না আল্লাহতালার হুকুমে এ কাজ গুলোই করে | মিকাইল আলাই সাল্লাম নৈকট্যপ্রাপ্ত  একজন ফেরেশতা |তিনি আল্লাহতালার হুকুমে কোথায় কখন কয় ফোটা বৃষ্টি হবে কম হবে না বেশি হবে বর্ষণ করে থাকেন | এবং কোথায় কোন উদ্ভিদ জন্মগ্রহণ করবে কোন রাষ্ট্র হবে কোন গাছটা মারা যাবে কোন গাছটাই ফল দিবে | কোন গাছটা জীবিত থাকবে  কিছুর দায়িত্বে নিয়োজিত আছে বিকেল আলাই সালাম | 

আজরাইল আলাইহিস সালাম

আসুন আমরা জেনে নেই সালামের দায়িত্ব বা কাজ সম্পর্কে | সালাম আল্লাহর হুকুমে মানুষের মৃত্যু দূত হিসেবে নিয়োজিত আছে | তিনি আল্লাহ তাআলার নৈকট্য প্রাপ্য | তিনি একি স্থানে বসে বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন দেশের মানুষের জান কবজ করতে পারে কারণ তিনি আকারে এত বড় যে পৃথিবীটা তার কাছে প্লেটের মতো |  তিনি যান কবজ করতে কোন দ্বিধা বোধ করেন না চাই সে ধনী হোক চাই সে গরিব হোক বড় শক্তিশালী হোক ক্ষমতাশালী হোক রাজা-বাদশা সরকার সকলেরি যান কবজ করে আজরাইল | এই জন্য তাকে মৃত্যুর ফেরেশতা বলা হয়| 

ভাগ্য লেখায় নিয়োজিত ফেরেশতা

আসুন আমরা জেনে নেই ভাগ্য লেখা ফেরেশতা সম্পর্কে কিছু কথা | বাচ্চা যখন মাতৃগর্ভে থাকে তখন থেকেই একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করা হয় যে ফেরেশতা আল্লাহ তালার হুকুমে মায়ের গর্ভে থাকা বাচ্চার ভাগ্য লিখে|

আল্লাহ তাআলার হুকুমে সে ফেরেশতা মানুষের মানুষের ভাগ্য আয় নেক কাজও পাপ কাজ লিখার দায়িত্বে 

 থাকে | তিনি সর্ব অবস্থায় আল্লাহর হুকুমে সমস্ত মানুষের ভাগ্য লিখেন তিনি কাজে নিয়োজিত থাকেন অন্য কোন কাজ কাকে দিয়ে আল্লাহতালা করান না | 

 কেরামুন -কাতিবুন 

আসুন আমরা জেনে নিই এই পোস্ট থেকে কেরামান আতিকুল ফেরেশতা সম্পর্কে কিছু আলোচনা |আল্লাহ তাআলার হুকুমে কে ফেরেশতারা মানুষের ভালো-মন্দ কাজ লিখেন। প্রতিটা মানুষেরই ডান পাশে এবং বাম কাঁধে এই দুই ফেরেশতা রয়েছে। ডান কাদের ফেরেশতা ভালো কাজ লিখেন বাম কাজের ফেরেস্তা মন্দ কাজ লিখেন |

এরা এমন ভাবে লিপিবদ্ধ করে যে একটাও ভালো কাজ এবং মন্দ কাজ লিখতে বাদ পড়ে না |এইসব ভালো ও মন্দ কাজগুলি আল্লাহর দরবারে কিয়ামতের দিন পেশ করা হবে এবং মানুষের জান্নাত জাহান্নামের ফায়সালা হবে এই  খারাপ কাজও মন্দ কাজের দরুন| ভালো কাজ বেশি হলে জান্নাতে যাব এবং খারাপ কাজ বেশি হলে জাহান্নামে |

আরশ বহনকারী ফেরেস্তা 

 আসুন আমরা জেনে নেই আরশ বহনকারী ফেরেশতা সম্পর্কে কিছু কথা |আল্লাহ তাআলার হুকুমে একদল ফেরেশতা আল্লাহ তায়ালার আরশ বহন করে | আরশ অর্থ চেয়ার বা কুরসী | কিয়ামতের দিবসে আল্লাহতালা যে চেয়ারটিতে বসবেন সে চেয়ারটিকে আরশ বলা হয় সেদিন আরশের ছায়া ছাড়া আর কিচ্ছু ছাড়া থাকবে না |

মুনকার নাকির

আমরা জেনে নেই মন কার নাকি এই দুই ফেরেশতা সম্পর্কে কিছু কথা | মুনকার নাকির এই দুই ফেরেশতা আল্লাহতালার হুকুমে কবরের সওয়াল  কারী ফেরেশতা তারা  মৃত ব্যক্তিকে যখন কবরে রাখা হবে দুজন ফেরেশতা

 উনি তো মৃত ব্যক্তিকে তিনটা প্রশ্ন করবে১| তোমার রব কে ছিল ২| তোমার দিন কি ছিল ৩| তোমার নবী কে ছিল|

 তারা দেখতে খুবই ভয়ঙ্কর হবে তাদের চেহারার আকৃতি গুলো কালো বর্ণের নীল চোখ ওয়ালা হবে। 

রিজওয়ান আঃ

আসুন আমরা জেনে নেই রিজওয়ান আঃ এর কাজ সম্পর্কে কিছু কথা | আল্লাহ রিজওয়ান আ সাল্লাম কে জান্নাতের দারোয়ান হিসেবে নিযুক্ত করেছে | তিনি জান্নাতের দারোয়ান হিসেবে পরিচিত আল্লাহ তায়ালা বলেন জান্নাতের দারোয়ান এর উপরে শান্তি বর্ষিত হোক এবং যাদের জান্নাতের ফায়সালা হয়েছে তাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হোক এবং তারা চিরস্থায়ী হোক এই শান্তিময় জান্নাতের ভেতরে |

শেষ কথা

 আল্লাহতালা তার দুনিয়াতে অসংখ্য ফেরেশতা তৈরি করেছেন যারা আল্লাহ তাআলার হুকুমে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আছেন | আজকে আমরা  এই পোস্ট থেকে বিস্তারিতভাবে ফেরেশতাদের কথা জানতে পারলাম এবং আমরা এই পোস্টটিকে যা কিছু শিখলাম তা আমাদের কাছে পছন্দ হলে আমাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদেরকে শেয়ার করব এবং শেয়ার করে তাদের উপকার করবো আর সবের অধিকারী হবো |

আসুন আমরা বেশি বেশি শেয়ার করি কমেন্ট করি এবং লেখার মধ্যে ভুল থাকলে ক্ষমা করবেন আশা করছি |


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url