দৈনন্দিন ২২ টা আমল সম্পর্কে আলোচনা
আপনারা যারা প্রতিদিনের আমল সম্পর্কে এখনো জানেন না তাদের জন্য আমাদের এই পোস্টটি | আজকেরে আর্টিকেল থেকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো দৈনন্দিন পঞ্চাশটি আমলের উপকারিতা সম্পর্কে কিছুকিছু কথা আমল মানেই কাজ সম্পর্কে জানেন না কোন সময় কোন আমল টা করলে কি সব পাওয়া যাবে তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই জন্য আপনারা এই পোস্টটিতে শেষ পর্যন্ত থাকবেন এবং ভালো লাগা বিষয়গুলি অন্যদের কাছে জানাবেন শেয়ার করবেন লাইক দিবেন কমেন্ট করুন |
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
আর প্রিয় পাঠক আসুন আমরা জেনে নিই আজকের এই পোস্ট থেকে আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিষয় দৈনন্দিন ৫০ টা আমুল করলে কি সব পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে কিছু কথা | আজকের এই আর্টিকেল আমরা আপনাদেরকে জানাবো কোন আমল করলে কি লাভ কোন আমল করলে নেকি কতটি পাওয়া যাবে এ সম্পর্কে কিছু আলোচনা
আমল কাকে বলে
আসুন আমরা জেনে নিই আমল সম্পর্কে কিছু কথা আমল মানে হচ্ছে কাজ অর্থাৎ আল্লাহর হুকুমগুলোকে হুজুর সালুল্লাহ সাল্লাম যেভাবে বলেছেন সেভাবে নিয়মমাফিক প্রত্যেকদিন পালন করাকে আমল বলে আমল বিভিন্ন রকম হতে পারে এবং সেগুলো বিভিন্ন সময়ে আদায় করার নিয়ম আছে সে নিয়মগুলোকে সঠিকভাবে পালন করা এটাই হচ্ছে আমল | নিজে আমল সম্পর্কে কিছু কথা বলা হলো আসুন আমরা জেনে নিই |
দৈনন্দিন ২২ টি আমল
আসুন আমরা জেনে নিই দৈনন্দিন ৫০ টি আমল সম্পর্কে কিছু কথা যারা এই আমল গুলো করবে তারা কি সওয়াব পাবে তাদের কি লাভ হবে এ সম্পর্কে কিছু কথা আল্লাহতালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তারা এবাদতের জন্য ইবাদত দৈনন্দিন জীবনে মানুষ আল্লাহ এবাদত বন্দেগি কিভাবে করবে সেটা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ দেখিয়ে দিয়ে গেছেন কোরআন হাদিসে এই সমস্ত আমলের সমান এই আমল সমস্ত আমল গুলো কিভাবে করতে হবে বিস্তারিত তিনি উল্লেখ করেছেন এবং আমরা যদি আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য পেতে চাই আল্লাহ তাআলার অনুগত্যশীল বান্দা হতে চাই তাহলে আমাদেরকে নবী যেভাবে আমলগুলো দেখিয়ে দিয়েছেন সেভাবেই পুঙ্খানুপুঙ্খ আদায় করতে হবে তাহলে আমরা আল্লাহ নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা হতে পারব আল্লাহতালার প্রিয় বান্দা হতে পারব এবং এর পুরস্কার হিসেবে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জান্নাত দিবেন কেয়ামতের ময়দানে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ আমাদের জন্য সুপারিশ করবে | আর যারা হুজুর সাল্লাল্লাহু সালামের সুপারিশ পাবেন তারা কতই না ভাগ্যবান হবেন এজন্য আসুন আমরা জেনে নিই আজকের এই পোস্ট থেকে দৈনন্দিন ৫০ টা আমল সম্পর্কে কিছু কথা |
দৈনন্দিন ৫০ টি আমল
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিন দৈনন্দিন ৫০টি আমল সম্পর্কে কিছু কথা | চলুন দেরি না করে আমরা জেনে নিই এই আমলগুলো সম্পর্কে আজকে এই আর্টিকেলে আমলগুলো সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা
মুসলমানের জিন্দেগি ২৪ ঘন্টাই হলো বন্দি। মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা পুরোটাই চাইলে আল্লাহর বন্দীগতে কাটাইতে পারে কিন্তু তাকে সেই নিয়ম জানতে হবে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত এর মধ্যবর্তী সময়। মানুষ যা করে সেগুলো যদি সে আল্লাহর হুকুম আর নবীর তরিকা জেনে করে তাহলে তার ২৪ ঘন্টায় বন্দেগী হবে ইবাদত হবে এবং সে আল্লাহতালার নৈকট্য হাসিল করতে পারো সম্পর্কে আমরা জেনে নিন আর দেরি না করি চলুন তাহলে
রসুলের নামে দুরুদ পড়া
আসুন আমরা জেনে নিই রাসুলের নামে দরুদ পড়লে কি সব আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের নামে কেউ যদি একবার দরুদ পড়ে তাহলে সে ১০ নেকি পাবে তাহলে প্রত্যেকবার দুরুদ পড়লে কি পরিমাণ নেকি পাওয়া যাবে একটু চিন্তা করে দেখেন | রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পরে দুরুদ পড়া ওয়াজিব যে যতবার দুরুদ পড়বে সেই ততবারই পাবে দশটা করে নেকি পাবে এবং আল্লাহর নবীর সুপারিশ পাবে |
১ | তিন তসবি আদায়
আসুন আমরা জেনে নিই তিনটি আদায় স্মরণ করা সম্পর্কে কিছু কথা কেউ যদি দৈনিক সকল অধিকার এই তিন তসবি আদায় করে একাধারে তিন বছর তাহলে সে আল্লাহর আল্লাহর অলির খাতায় নাম লিখা হবে | এই তিন তসবি কিভাবে আদায় করতে হবে সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ 100 বার পড়া আস্তাগফিরুল্লাহ ১০০ বার পড়া এবং দুরুদ শরীফ ১০০ বার বার সকাল বিকাল |
২ | কালেমায়ে শাহাদাত
আসুন আমরা জেনে নেই কালিমায়ে শাহাদত অজুর পরে পাঠ করলে কি লাভ হয় পরিপূর্ণ হবে সুন্দর করে ওযু করার পরে কেউ যদি কালেমায় শাহাদত পাঠ করেন তবে সে জান্নাতের আটটি দরজা মধ্যে থেকে যেকোনো দরজা দিয়ে সে জান্নাতের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে |
৩ | আইতাল কুরসি পাঠ
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে আয়তাল কুরসি পাঠ করলে কি সব লাভ হবে | কোন ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় করার আইতাল কুরসি এখলাসের সাথে পাঠ করে সে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে প্রবেশ করবে |
৪| আসুন আমরা এই পোস্টে থেকে আরেকটি আমল যথা সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার ও আল্লাহু আকবার ৩৩ বার এবং একবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা রাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়ালা কুল এই দোয়াটি পাঠ করে তবে আল্লাহতালা তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেন এটা করতে হবে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে একই স্থানে বসে থেকে |
৫ | সুরা মুলক পাঠ
আসুন আমরা জেনে নিয়ে পোস্ট থেকে সুরা মুল্ক পাঠ করার ফজিলত সম্পর্কে |কোন ব্যক্তি প্রতিদিন সুরা মুলক পাঠ করে তাহলে সে কবরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে এবং কোন কবরবাসীর কবরের সামনে গিয়ে পড়লেও তার কবরে শাস্তি হালকা হয়ে যাবে |
৬ | বাজারে প্রবেশের
আসুন আমরা জেনে নিই এই পোস্ট থেকে বাজারে প্রবেশের সময় দোয়া পড়লে কি লাভ হয় এ সম্পর্কে কেউ যদি বাজারে প্রবেশ করে এই দোয়া পাঠ করে ( লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু রাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু
য়্যহয়ি ওয়া য়্যমিতু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই ইন কদির)১০ লক্ষ নেকি পাবে ১০ লক্ষ গুণাহ মাফ হবে এবং ১০ লক্ষ মর্যাদা বেড়ে যাবে |
৭ | বহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহিসু
আসুন আমরা এই পোস্টটিকে জেনে নিই এই জিকিরের ফজিলত সম্পর্কে কিছু কথা এই জিকির যে সকালে১০০ বার এবং বিকালে ১০০ বার পাঠ করবে সে সমস্ত মানুষের চাইতে মর্যাদাশীল হয়ে যাবে এবং তার জন্য জান্নাতে একটি গাছ রোপন করা হবে |
৮ | সুবহানাহি ওয়া বিহামদিহিল্লা
আসুন আমরা এই পোস্টে থেকে জেনে নেই এই জিকির করলে কি লাভ হবে? কেউ যদি এ জিকির প্রতিদিন করে কেয়ামতের দিন তার নাকি সবচাইতে বেশি হবে |
৯ | বাড়িতে প্রবেশের আগে সালাম
আসুন আমরা জেনে নেই এই পোস্ট থেকে বাড়িতে সালাম দিয়ে ঢুকলে কি হয় কেউ যদি বাসায় ঢোকার আগে সালাম দিয়ে প্রবেশ করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তার জান্নাতের জিম্মাদারী নিয়ে নেন আল্লাহ তাআলা তাকে নিজ দায়িত্বে জান্নাতে প্রবেশ করা যায় |
১০ | ৪০ দিন তকবিরওয়ালার
আসুন আমরা জেনে নিই এই পোস্ট ৪০ দিন তকবিরের সাথে নামাজ পরলে সব লাভ হবে তার জন্য দুইটি পরোয়ানা লাভ হবে একটা মুনাফিক থেকে মুক্ত অর্থাৎ ঈমানদার হবে দুই জাহান্নাম থেকে মুক্তি অর্থাৎ জান্নাত পাবে
তকবিরওয়ালার নিয়ম হল ইমাম সাহেব আল্লাহু আকবর বলে হাত উঠাবে মুক্তাদী ও তার সাথে সাথে হাত উঠাবে এবং হাত বাধবে |
১১ | নারীদের আমল
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই নারীদের কিছু কতিপয় আমল সম্পর্কিত এই চারটি আমল নারীরা করলেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে | পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, রমজানে রোজা রাখা, পর্দা করা, স্বামীর হুকুম মান্য করা | এ আমল গুলো করলে মহিলারা জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছে প্রবেশ করতে পারে |
১২ | আওয়াবিনের নামাজ
আসুন আমরা জেনে নেই এই আর্টিকেল থেকে আওয়াবীন নামাজ সম্পর্কে এনামসজিদ নফল নামাজ নফল নামাজ যারা আল্লাহতালার নৈকট্য হাসিল হয় এ নামাজ পড়তে হয় মাগরিবের সুন্নত নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নতের পরে দুই দুই করে চার রাকাত এই নামাজ নফল নামাজের লাভ হল ১২ বছরের গুনাহ মাফ হয় |
১৩ | ইশরাকের নামাজ
আসুন আমরা এই আর্টিকেল থেকে ইসরাকের নামাজ সম্পর্কে জেনে নামাজ সম্পর্কে জেনে নিন সাধারণ নামাজ হলো নফল নামাজ এটার সময় হল ফজরের নামাজের অর্থ শেষ হয়ে ২৫ মিনিট পর এই নামাজ পড়তে হয় দুই দুই চার রাকাত করে এই নফল নামাজ পড়তে হয় এই নামাজ পড়লে তোমরাও হজের সওয়াব পাওয়া যায় |
১৪ | ফরজ নামাজের পরে তসবি
আসুন আমরা জেনে কষ্টে গিয়ে প্রত্যেক ফরয নামাজের পরে তাসবিহ পড়লে কি সব। প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে নিজ স্থানে বসে কেউ যদি দশবার সুবহানাল্লাহ দশ আলহামদুলিল্লাহ ও দশবার আল্লাহু আকবার বলে তাহলে প্রত্যেক ফরজ নামাজে ৩০ বার হয় আর পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের হিসাব করলে দেড়শ বার হয় আর এর সোয়াব আল্লাহতালা বাড়িয়ে দিয়ে পনেরশো নেকি পাওয়া যায় |
১৫ | মাগরিব ও ফজরের আমল
আসুন আমরা এই পোষ্ট থেকে জেনে নিন মাগরিব বৈশাখ ছোট্ট একটা আমল যেটার বদলা জান্নাত আসুন তাহলে আমরা জেনে নিই কেউ যদি সাতবার এই তসবিটা পড়ে( আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্ন) মাগরিবের নামাজের পর এবং ফজরের ফরজ নামাজের পরে তাহলে তার জন্য পরোয়ানা লেখা হয় সে যদি মাগরিবে পড়ে তবে মাগরিব থেকে ফজর সময়ের মধ্যে মারা যায় তাহলে তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম এবং ফজর সাতবার এই তাসবীহ পড়লে মাগরিবের সময় মধ্যে মারা গেলে তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেওয়া হবে |
১৬ | পানি খাওয়ার সুন্নত
আসুন আমরা জেনে নেই পানি পান করার সুন্নত কয়টি। পানি আল্লাহতালার নিয়ামত এটা আমরা পিপাসা নিবারণের জন্য খেয়ে থাকি তো পানি খাওয়ার কিছু নিয়ম বা সুন্নত আছে যেমন ডান হাতে পানি খাওয়া বিসমিল্লা বলে পানি খাওয়া তিনি নিঃশ্বাসে পানি খাওয়া দেখে পানি খাওয়া ডান হাতে খাবার থাকলে বাম হাত দিয়ে ধরে ডান হাতের তালুতে ঠেকা দিয়ে পানি খাওয়া এবং খাওয়া শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা |
১৭ | খাবার খাওয়ার সুন্নত
আসনা বলে জেনে নেই খাবার খাওয়া সুন্নত সম্পর্কে কিছু কথা আল্লাহতালার হুকুম এজন্য সবসময় হালাল খাওয়া পানাহার করা উচিত হালাল খাবার খাওয়া একটা ইবাদত। হালাল খাবার খেলে সমস্ত ইবাদত কবুল হবে হারাম খাবার খেলে এবাদত কবুল হবে। এই জন্য হারাম খাবার পরিহার করা আর খানা খাওয়ার কিছু সুন্নত রয়েছে যা নিচে উল্লেখ করা হলো। বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া খাওয়ার আগে খাবার দোয়া পড়া আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার বলা ডান দিক দিয়ে খাবার খাওয়া একের অধিক বসা সমতল জায়গায় খাবার খেতে বসা মাথায় টুপি দিয়ে খাবার খাওয়া শরীরে কাপড় পরিধান করে করা থাল পরিষ্কার করে খাওয়া শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা |
শেষ ভাবনা
আমরা এ পোস্ট থেকে আজকে জানতে পারলাম প্রতিদিন কিছু আমল যেটা করলে আমরা অনেক সওয়াব পাব আর আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রতি রাজি হবেন খুশি হবেন আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারলে আমরা মৃত্যুর পরের যে জীবন সেই জীবনের শান্তি পাবো জান্নাতের ভিতরে অসীম সুখ শান্তি ভোগ করব | যারা দৈনন্দিন আমল সম্পর্কে জানেন না আজকের এই উপস্থিতি তাদের জন্য খুবই উপকার নিজেরাও মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং আপনাদের ভালোলাগা বিষয়গুলো আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের কাছে শেয়ার করবেন লাইক দিবেন কমেন্ট করবেন আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবে|
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url