মাতা পিতার জন্য সন্তানেরকরণীয় খেদমত সম্পর্কে আলোচনা

অনেকেই জানিনা যে জানিনা যে পিতা-মাতার খেদমত কিভাবে করতে হবে তাহলে আজকে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য | আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাদেরকে জানাবো মা-বাবার খেদমত সম্পর্কে বিস্তারিত 

আলোচনা করব আপনারা এই আর্টিকেলটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন এবং ভালোলাগা বিষয়গুলো আপনাদের পরিচিত মানুষদের কাছে শেয়ার করুন চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নিন আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিষয় সম্পর্কে |

 পোস্ট সূচিপত্র: পিতা মাতার জন্য সন্তানের খেদমত 

 ভূমিকা

 প্রিয় পাঠক আসুন আমরা আজকের এই  আর্টিকেল থেকে জেনে নিন  মা-বাবার খেদমত সম্পর্কে কিছু কথা মা বাবার খেদমত কিভাবে করতে হবে তাদেরকে কিভাবে দেখভাল করা লাগবে তাদের কিভাবে সন্তুষ্ট করতে হবে এ সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেই জানতে হলে আপনারা আমাদের সাথে এই আর্টিকেল এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন আশা করি | চলুন তাহলে দেরি না করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা জেনে নিন |

 বাবা-মা নিয়ে কিছু কথা

 আসুন আমরা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিই মা-বাবা সম্পর্কে কিছু কথা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের পর দুনিয়ার জমিনে সর্বাধিক সম্মানের অধিকারী সন্তানের কাছে তার বাবা-মা হাদিস পাকের  বাবা হল উত্তম জান্নাত

 আর মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের | সন্তানকে লালন পালন বাবা-মার যে কষ্ট হয় সেটা বলে বোঝানো যাবে বাবা নিজের সন্তানকে লালন পালন করতে গিয়ে যে কষ্ট সহ্য করে যে নিজের সন্তানের চাহিদা পূরণ করার জন্য নিজের চাহিদাকে বাদ দিয়ে সন্তানের চাহিদা এবং ইচ্ছাকে পূরণ করে আর মায়ের তো দুধের দাম শরীরের চামড়া কেটে স্যান্ডেল বানালেও হবে | এজন্য বাবা-মার সাথে সব সময় শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে কথা বলে তাদেরকে কষ্ট না দেওয়া তাদেরকে সম্মানের সবচাইতে উঁচু জায়গায় রাখা | কেউ যদি বাবা মাকে কষ্ট দেয় তার আচরণের দ্বারা চলাফেরা দ্বারা কখনোই দুনিয়াতেও শান্তি পাবে না এমনকি মৃত্যুর পরেও শান্তি পাবে দুনিয়াতেও কষ্ট ভোগ করবে মরার পরেও কষ্ট সে যত বড়ই আল্লাহর ওলী হোক না কেন মা বাবার সাথে খারাপ ব্যবহার করুন স্বয়ং আল্লাহতালা নিজেই মা-বাবার মর্যাদা এজন্য মা বাবার সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করা তাদেরকে সন্তুষ্ট করা মা-বাবাকে সন্তুষ্ট করতে পারলে সন্তান দুনিয়াতেও শান্তি পাবে এবং পরকালে গিয়েও শান্তি পাবে | কেউ যদি বাবা-মার দিকে নিত নজরে তাকায় তবে সে হজের সব লাভ করে যতবার তাকাবে ততবার হজের সওয়াব পাবে | 

পিতা মাতার হক 

 আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই পিতা-মাতার হক সম্পর্কে কিছু কথা জানতে হলে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন ইনশাল্লাহ চলুন তাহলে মাতা পিতার হক সম্পর্কে জেনে নিন | 

১ | সম্মান ও শ্রদ্ধা করা

২ |  অত্যাধিক ভালোবাসা 

৩ | মান্য করা                                        

৪ |  সুখ শান্তির চিন্তা করা

৫ | প্রয়োজন পুরা করা

৬ | সেবা যত্ন করা

 ৭ | দূরে থাকলে দেখা-সাক্ষাৎ 

সম্মান ও শ্রদ্ধা

 আসুন আমরা জেনে নিই এই পোস্ট থেকে বাবা আমাকে সম্মান ও শ্রদ্ধার ব্যাপারে অল্প কিছু কথা পৃথিবীতে আল্লাহতালা বাবা মাকে অনেক সম্মানিত করেছে সন্তানের কাছে সর্বাধিক সম্মানীয় শ্রদ্ধার পাত্র একমাত্র তার বাবা মা এজন্য বাবা মাকে সম্মান করা তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার না করা তাদেরকে খুব নরম ভাষায় কথা বলা কথা বলার আগে তাদেরকে সালাম করা আমি তাদেরকে শ্রদ্ধার শ্রদ্ধার চরম পর্যায়ে রাখতে হবে আমি যতই বলি না কেন শেষ করা যাবে না এক সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাম এর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেছে যে সবচাইতে শ্রদ্ধার পাত্রকে নবীজি সা বললেন তোমার মা ভাবি আবার জিজ্ঞেস করলেন তারপরে নবীজি বললেন তোমার মা স্বামী আবারো জিজ্ঞেস করলেন তারপরে কে নবীজি বললেন তোমার মা তারপরে সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন নবীজি বললেন এরপরে তোমার বাবা | তাহলে এটা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে দুনিয়াতে সর্বাধিক সম্মানের পাত্র শ্রদ্ধার পাত্র একমাত্র বাবা-মা |

অত্যাধিক ভালোবাসা

 আসুন আমরা জেনে নিই এই পোস্ট থেকে মা-বাবাকে ভালোবাসা সম্পর্কে কিছু কথা বাত্রা সমস্ত কিছুর চাইতে নিজের বাবা-মার প্রতি ভালোবাসা অত্যাধিক হইতে হবে  |আল্লাহ এবং আল্লাহর নবীকে ভালোবাসার পর দুনিয়ার জমিনে সবচাইতে বেশি ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য হল আপনার বাবা-মা বাবা মাকে যে যত ভালবাসবে আল্লাহ তা'আলা তাকে ভালবাসবে আর যে সন্তান বাবা মাকে ভালবাসবে আল্লাহ তা'আলা তার দুনিয়াতে সচ্ছলতা ও সম্মান দান করবে সম্মানিত রিজিক দান করবে এবং পরকালেও শান্তিময় জায়গা সন্তানকে পুরস্কার হিসেবে | এজন্য বাবা মাকে ভালোবাসার কোনো বিকল্প নাই  আসুন আমরা বাবা মাকে ভালোবাসি নিজেদের সন্তান-সন্ততির চাইতেও বেশি ভালোবাসি নিজের সন্তানকে যদি আমি একটা কিছু কিনে দিই এটা চকলেট কিনে দিই এটা চিপস কিনে দিই। তার চাইতেও বেশি ভালবাসি মা বাবাকে তাহলে আমরা তাদের নিক নজর ও তাদের দোয়া পাব |

মান্য করা

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই মা-বাবাকে মান্য করার ব্যাপারে কিছু কথা সর্বাধিক মা-বাবাকে মান্য করতে হবে তাদের কথার দাম দিতে হবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে আমরা দৈনন্দিন চলা ফেরার জন্য ভালো থাকার জন্য পীর সাহেবের কাছে মুরিদ হয়  কিন্তু আমাদের আসল পীর সাহেব তো আমাদের মা-বাবা মাথার উপরে রাখা এবং তাদেরকে মান্য করা |

সুখ শান্তির চিন্তা করা

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই বাবা-মার সুখ শান্তি সম্পর্কে কিছু কথা বাবা মা তার জীবন দশায় নিজের সন্তানের জন্য সুখ শান্তির চিন্তা করছে করেছে তার ছেলে কিভাবে ভালো থাকতে পারে ভালোভাবে চলতে পারে এসব কথা চিন্তা করে বাবা মা নিজের সুখ শান্তিকে বিসর্জন দেয় | এজন্য যে সন্তান জীবিত অবস্থায় তার মা-বাবাকে পেল এবং মা বাবার খেদমত করলো সুখ শান্তির চিন্তা করল যে মা বাবা যাতে ভালোভাবে থাকতে পারে সুখে শান্তিতে থাকতে পারে এই কথা চিন্তা করে সুখ শান্তির ব্যবস্থা করুন তো সে সবচাইতে ভাগ্যবান | আর যে মা-বাবাকে পেল কিন্তু তাদের সুখ শান্তির ব্যবস্থা করতে পারল না তাদের দেখভাল করলো না সে সবচাইতে কপাল পোড়া কথা কে চিন্তা কর যে ছোটবেলায় আমার বাবা-মা আমার সুখ শান্তির জন্য কত কিছুই না করছে তা থেকে যদি আমরা একটা ভাগ করতে পারি তাহলে কতই না সৌভাগ্যের অধিকারী হয়ে যাবে আমরা |

 মা-বাবার প্রয়োজন পুরা করা

  আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই মা বাবার প্রয়োজন পুরা করার ব্যাপারে কিছু কথা সন্তান সব সময় একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো বাবা-মার কখন কি প্রয়োজন পড়ে যাতে বলতে না হয় যে বাবা আমার এই জিনিসটা প্রয়োজন তুমি আমাকে এনে দাও যদিও বলে তবে যথাসাধ্য চেষ্টা করা সমর্থ্য না থাকলেও কষ্ট করে হলেও মা-বাবার জন্যই জিনিস ওই প্রয়োজনটা পূরণ করা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জিনিসের প্রয়োজন কোন পছন্দের জিনিস খেতে চাইলে এনে দেওয়া অসুখ মোটকথা মা বাবার যা যা প্রয়োজন নিজ স্বার্থ মতো সেগুলোকে পুরা করার চেষ্টা করা যেমন কিনা ছোটবেলায় আমরা বিভিন্ন আবদার করতাম আর বাবা-মা গুলা চেষ্টা করত পূরণ করার জন্য আমাদের প্রয়োজনগুলোকে আগে রাখত তেমনি ভাবে বাবা-মার প্রয়োজন গুলোকে আগে  পূরণ করা |

সেবা যত্ন করা

 আসুন আমরা এ পোস্ট থেকে জেনে নেই বাবা-মার সেবা যত্ন সম্পর্কে কিছু কথা জানতে হলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে এই আর্টিকেলটিতে থাকবেন ইনশাআল্লাহ |  বাবা মার সেবা যত্নের ব্যাপারে কোন কথাই চলে না  অসুখ হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া ওষুধ কিনে খাওয়ানো তাদের শরীরের দিকে খেয়াল রাখা তাহলে কখনো অসুস্থ থাকে কখন সুস্থ থাকে এই বিষয়গুলো দেখভাল করা মানে যে  অসুস্থ হলে ডাক্তার দেখি ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি নিজেকেও বাবা-মার সেবা যত্ন করা যেমন মাথা ব্যথা হাত পা ব্যাথা করলে নিজের হাতে টিপে দাও অসুস্থই বিছানায় পড়ে থাকলে তার পাশে বসে সেবা যত্ন করা যেমন নাকি ছোটবেলায় সন্তান অসুস্থ হলে বাবা-মা সুস্থ করার জন্য যেরকম ব্যাকুল হয়ে যেত সেভাবেই বাবা-মায়েরও যত্ন করতে হবে সেবা করতে হবে |

দূরে থাকলে দেখা সাক্ষাৎ

 আসুন আমরা জেনে নেইই মা-বাবার থেকে দূরে থাকলে তাদের দেখা-সাক্ষাৎ বা খোঁজখবর কিভাবে নিতে হবে এ সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নিন বাবা-মা যদি দূরেও থাকে তাহলে সন্তানের করণীয় হচ্ছে অন্তত অবসর সময় বা ছুটির সময়গুলো এসে বাবা-মার দেখাশোনা করা তাদের সঙ্গে  সময় কাটানো  এমনকি ফোনের মাধ্যমে খোঁজ খবর নেওয়া তাদের শরীর কেমন আছে তাদের কি প্রয়োজন আমি যদি সেখানে নাও থাকতে পারি তো আমার উপার্জিত কিছু টাকা তাদেরকে দেওয়া তাহলে তাদের বিভিন্ন প্রয়োজন  পূরণ করতে পারবে এবং তাদের জীবনযাত্রা সহজ হবে কষ্ট পেতে হবে না | আর যে সন্তান তার চাইতে বেশি কষ্ট ভোগ করবে এমনকি তার সন্তান হলে তাকে ঐরকম কষ্ট দিবে এজন্য দূরে থাকলেও বাবা মার খোঁজখবর নিবেন সাধ্যমত যদি আসতে নাও পারেন তাহলে বিভিন্নভাবে টাকা পয়সা দিয়ে তাদের প্রয়োজনগুলোকে পুরা করার চেষ্টা করবেন আশা করছি | বাবা-মার সুস্বাস্থ্যের জন্য আল্লাহ কাছে দোয়া প্রার্থনা করা তাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য দান সদকা করা |

শেষ ভাবনা

 আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানতে পারলাম  মা-বাবার জন্য সন্তান কি ধরনের খেদমত করবে এ সম্পর্কে কিছু কথা মা বাবা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এমন একটি রহমত যেটা বলে বোঝানো যাবে না যার মা-বাবা আছে সে অনেক ভাগ্যবান আর যদি মা বাবাকে দেখভাল করে তাহলে সে আরো ভাগ্যবান হবে আর আজকের আর্টিকেলটি আমরা আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি মা-বাবার খেদমত সম্পর্কে কথা এই আর্টিকেল থেকে যারা উপকৃত হয়েছেন তারা অন্যদেরকেও উপকৃত হওয়ার জন্য সুযোগ করে দেবেন বেশি বেশি শেয়ার করবেন |

 লিখার মধ্যে থাকলে মাফ করবেন মাফ করা বহুত বড় গুন এজন্য ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।