রাজশাহী বিভাগীয় কিছু ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানে নাম সমূহ
সালামুআলাইকুম প্রিয় পাঠক আসুন আমরা জেনে নিই এই আর্টিকেল থেকে।চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক রাজশাহী বিভাগীয় শহরের কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে | রাজশাহীর কথা আসলে রাজশাহীর সৌন্দর্যের বর্ণনা না করে পাওয়া যায় | কারণ আমাদের দেশের মধ্যে সবচাইতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর শহর সুন্দর জেলা বলতে একটাই সেটা হলো আমাদের প্রাণের রাজশাহী |রাজশাহীর এই প্রাকৃতিক দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য আমাদেরকে মোহিত করে আসুন তাহলে দেরি না করে আমরা আমাদের বিষয় সমূহের দিকে এগোতে থাকে | শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সাথে এই পোস্টে থাকবেন ধন্যবাদ |
পোস্ট সূচীপত্র
ভূমিকা
আসুন জেনে নেওয়া যাক রাজশাহী সম্পর্কে কিছু কথা | সৌন্দর্যের দিক দিয়ে আমাদের রাজশাহী সহ অপরূপ
রাজশাহীতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোন কমতি নাই এখানকার রাস্তাঘাট যেমন সুন্দর তেমন প্রাকৃতিক পরিবেশ গুলো প্রাণ জুড়| রাজশাহী শহরের পাস ভেসে এঁকেবেঁকে বয়ে চলেছে বিশাল পদ্মা নদী |আর এই পদ্মা নদী ঘিরেই রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক পরিবেশ আছে আই বাদ আছে টিবাদ আছে মুক্ত মঞ্চ আছে পর্যটন এরিয়া | এই সমস্ত জায়গায় মানুষ বেড়াতে আসে তাদের অবসর সময়টাকে প্রাণবন্ত সুন্দর করতে আসে পরিবার পরিজন নিয়ে |
আসুন তাহলে জেনে নিন রাজশাহী বিভাগীয় শহরের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে | দর্শনীয় স্থানগুলো হল
রাজশাহী কলেজ
আসুন আমরা জেনে নিই রাজশাহী কলেজ সম্পর্কে কিছু জানা অজানা কথা, জানতে হলে আপনারা আমাদের সাথে এই পোস্টে শেষ পর্যন্ত থাকবেন ধন্যবাদ| রাজশাহী কলেজ পদ্মা নদীর পাশে রাজশাহী শহরের মধ্যে অবস্থিত |
একটি সুনামধন্য কলেজ | প্রাচীনতার দিক দিয়ে আমাদের এই রাজশাহী কলেজ তৃতীয় প্রাচীনতম কলেজ | এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭৩ সালে | আমাদের এই রাজশাহী ভবনগুলি বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির ইতিহাস বহন করে | আমাদের এই কলেজ অনেক সুন্দর এবং দৃষ্টিনন্দন বিল্ডিং গুলো লাল কালারের হওয়াতে চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য আরো ফুটে ওঠে | কলেজের মধ্যে রয়েছে সারি সারি ফুলের বাগান পুকুর খেলার মাঠ আর কলেজের পরিবেশ কে পরিচিত সুন্দর | পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে সুবিশাল পদ্মা নদী যে নদীর ধারে বসে অবকাশ যাপন করতে খুব ভালো লাগে। রাজশাহী কলেজের প্রধান গেট দিয়ে ঢুকতে চলে আসে লাল কালারের একটা বিশাল দুই তালা ভবন যেটাকে প্রশাসনিক ভবন বলা হয় | এই লাল ভবনটি ১৮৪৮ সালে নির্মিত হয় এই ভবনটি ব্রিটিশ ভারতীয়
স্থাপত্যের একটি অন্যতম নিদর্শন | এই ভবনে এক সময় রোমান গ্রন্থের জ্ঞান ও চারুকলা শিল্পের ভাস্কর্য |
করে হেমন্ত কুমারী নামে আরও দুইটা ছাত্রাবাস স্থাপিত হয় | মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাখ হানাদার বাহিনী
দখল করে চারটা ভবনকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে |
প্রশাসনিক ভবনের ডান পাশে রয়েছে একটি শহীদ মিনার |শহীদ মিনার অতিক্রম করে কয়েক ধাপ এগোলে ডান পাশে বৃষ্টি পড়বে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ শৈলীতে নির্মিত আরেকটি ঐতিহাসিক | এ ভবনটির নাম দেওয়া হয়েছে হাজী মুহাম্মদ মহসিন | এই ভবনটির নাম হাজী মোহাম্মদ মহসিন হওয়ার পেছনে একটা কারণ হলো যখনই ভবনটি তৈরি হয় তখন ছিল ১৮৮৮ সাল এবং এই ভবনটি তৈরিতে হাজী মুহাম্মদ মহসিন আর্থিক অনুদান দিয়েছেন | এই ভবনটি প্রথমে প্রাচীন মাদ্রাসা ছিল। পরে কলেজ ভবন হিসেবে ব্যবহারিত হয় |
হাজী মোহাম্মদ মহসিন ভবন থেকে এগিয়ে একটু দূরে চোখের সামনে পড়বে আরেকটি প্রাচীন দুই তালা লাল ভবন
এই ভবনটির সিঁড়ি আছে ১৬০ টাকারও বেশি | ইংরেজি বাংলায় লিখা ফুলার ভবন ১০০ বছর চেয়েও বেশি পেরিয়ে গেছে | মাঠের একদিকে যেটা দক্ষিণ পাশ বলা হয় গেলে অধ্যক্ষদের বসবাস করার ভবন দেখতে পাওয়া যাবে ভবনটি দোতলা উপমহাদেশের বিখ্যাত সব শিক্ষকগণ এই ভবনটিতে বসবাস করে গেছেন | এই ভবনটিও একই শৈলীতে নির্মিত হয়েছে যেমন আগের ভবনগুলো যে শৈলীতে নির্মিত হয়েছে |
এই ভবনগুলি বিভিন্ন সময় প্রাচীন- শৈলীতে বিভিন্ন ধাপে নির্মিত হয়েছে আর এই ভবনগুলি রাজশাহী কলেজের ইতিহাসের পরিচয় তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
সোনা মসজিদ
আসুন আমরা জেনে নিই রাজশাহী বিভাগের আরেকটি জেলার ঐতিহ্য প্রাচীন নিদর্শনাবলী সম্পর্কে | জানতে হলে আপনারা আমাদের সাথে আর্টিকেলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন ধন্যবাদ | চলুন জেনে নেওয়া যাক,
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রাজশাহী বিভাগীয় জেলার একটি জেলা থেকে পশ্চিমে প্রায় 40 45 কিলো দূরে অবস্থিত
সুন্দর্য ও প্রাচীনতার দিক দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অতুলনীয় | চাপাইনবাবগঞ্জের ধার ঘেঁষে এবং শহরের মধ্য দিয়ে
নদী বয়ে গেছে | চাঁপাইনবাবগঞ্জ উন্নতি দিক দিয়ে রাস্তাঘাট অনেক সুন্দর অনেক প্রাকৃতিক পরিবেশ গুলোও অনেক সুন্দর প্রাচীনতার দিক দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অন্যতম | এই জেলা প্রাচীনকাল থেকে অনেক ঐতিহাস গ্রহণ করে বেড়াচ্ছে আসুন আমরা জেনে নিই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহাসিক নিদর্শন সমূহের বিষয়|
প্রাচীন নিষেধ নিদর্শন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ছোট সোনা মসজিদ ছোট সোনা মসজিদ একটি প্রাচীন মসজিদ যা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পিরোজপুর গ্রামে অবস্থিত এটা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ শিবগঞ্জ থানার অধীনে | এই মসজিদটি নির্মাণ হয়েছে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ শাসনামলে (১৪৯৪-১৫১৯সালে নির্মিত হয়েছিল | এ মসজিদের চারদিকের প্রাচীন শিলালিপি কারুকার্য দিয়ে নির্মিত এই মসজিদের মাঝখানের ঘটকে শিলালিপির কারুকার্যে মসজিদে নির্মাণ সম্পর্কে সকল তথ্য লিপিবদ্ধ করা | মসজিদ ছোট সোনা মসজিদ তৈরি করা হয়েছে হোসেন শাহ স্থাপিত | এই মসজিদের বাইরে সোনালী রঙের একটি আস্তরণ ছিল সূর্যের আলো
যখন আস্তরণটির উপরে পড়তো তখন সোনার মতো ঝলমল ঝলমল করতো | আগে একটা প্রাচীন মসজিদ ছিল যেটা বড় সোনা মসজিদ নামে পরিচিত ছিল এটা গৌর গরীতে ছিল | এটা নির্মিত হয়েছিল সুলতান নুসরাত সাহেব
সময়ে এ মসজিদ আয়তন ছিল একটু বড় আয়তনে বড় হওয়ার কারণে স্থানীয় লোক গৌরনগরীর মসজিদকে বড় সোনা মসজিদ বলতো আর এ মসজিদকে ছোট সোনা মসজিদ বলে |
বাঘা মসজিদ
রাজশাহী বিভাগীয় জেলার একটা অঞ্চলের নাম বাঘা এ অঞ্চলটি অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন আছে | এবং অনেক ঐতিহাসিক বহন করে এই বাধা অঞ্চলটি | এখানে আমরা অনেকেই জানি অনেক পীর মশাই হুজুর গানের দিন এই অঞ্চলে এসে ইসলামী দাওয়াতের কাজ করে ইসলামকে ছড়িয়ে দিয়েছে পুরা বাঘাতে এবং পুরা রাজশাহী জেলার |
বাঘা মসজিদ রাজশাহী জেলা সদর থেকে প্রায় 40 কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব বাঘা উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক মসজিদ | প্রাচীনকালীন সময়ে সেখানকার মুসলিম বাদশা ছিল সুলতান নাসির উদ্দিন নুসরাত শাহ
তিনি ১৫২৩ খ্রিস্টাব্দের ৯৩০ হিজরী মসজিদটি নির্মাণ করে। মসজিদটি চুন শুরকি গাথুনি দ্বারা নির্মিত হয়েছে ভেতরে মেহরাব ও স্তম্ভ রয়েছে | মসজিদের বাইরে প্রাচীন শিলালিপি বিভিন্ন নকশা খচারিত আছে এবং চার কোণে চারটি গম্বুজ রয়েছে এই প্রাচীন মসজিদটির বাইরের কালার লাল হওয়ার কারণে আর নকসা খুশিতো শিলালিপি কারণে মসজিদটি সুন্দর্য আরো বেড়ে যায় এবং লাখো লাখো পর্যটকদের মনকে বিমোহিত করে প্রত্যেক বছর |
সারাবছর এই মসজিদটি এই মসজিদটি দেখতে দেশ-বিদেশের লাখো লাখো ভিড় করে | এই মসজিদটির সর্বমোট দশটা গম্বুজ ও ছয়টি স্তম্ভ বা পিলার রয়েছে | মসজিদটিতে মিরহাব রয়েছে চারটি ও একটি শিলালিপি রয়েছে | তুমি যাও মসজিদটির দৈর্ঘ্য হল ২২.৩২ মিটার প্রস্থ হলো বড় ফিট ১৮ মিটার এবং এর উচ্চতা হল ১৪ ফুট ৬ ইঞ্চি
এই মসজিদের দেয়ালের উচ্চতা দুই পয়েন্ট ২২পুর | মসজিদের প্রবেশ পথ পাঁচটা আছে চারটা মিনার এবং দশটা গম্বুজ আছে বাঘা২৫৬ বিঘা জমির উপরে অবস্থিত | মসজিদের পাশে কয়েক ধাপে বলে দেখা যাবে সেখানে আসা প্রাচীন সময়ে অনেক সুখী পীর বুজুর্গদের মাজার রয়েছে হাজার হাজার ভক্ত সেখানে ছুটে আসে তাদের মনোকামনা নিয়ে| ভক্তরা অনেক দূর দূরান্ত থেকে ছুটে এসে তাদের মনোকামনা পূর্ণ করার জন্য এ সমস্ত আল্লাহর দরবারে তাদের মনে কামনাকে প্রকাশ করে এবং আল্লাহর কাছ থেকে তাদের মনোকামনা পূরণ করার জন্য প্রার্থনা করি | পাশে একটা সুবিশাল দিঘী রয়েছে |
নাটোর রাজবাড়ী
আসুন আমরা এই পোস্টটি জেনে নেই নাটোর রাজবাড়ি সম্পর্কে কিছু কথা নাটোর রাজবাড়ী রাজশাহী জেলা শহর থেকে প্রায়ই আনুমানিক ৪০- ৪৫ কিলো দূরে | নাটোর জমিদার বাড়ি সম্পর্কে সারাদেশের মানুষ অবগত আছে এই নাটোর জেলার রাজবাড়িতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বর্ধিত ঘুরতে আসে বিভিন্ন স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠান থেকেও বনভোজনের আসে | এই নাটোরে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন ও দর্শনীয় স্থান আছে তার মধ্যে নাটোর রাজবাড়ি উল্লেখযোগ্য তাছাড়া আছে গণপূর্ত ভবন ও আছে পাটুল | সারা বছর এই এই জায়গাগুলোতে দর্শনার্থী পর্যটকরা ভিড় জমায় | নাটোর রাজবাড়ীটি নাটোর সদর উপজেলায় অবস্থিত এ রাজবাড়ীটি নির্মিত হয় ১৭০৬ থেকে ১৭১০ সালে | রাজবাড়ীটি মোট 120 বিঘা জায়গা নিয়ে এটিতে আছে ছোট বড় সহ আটটি ভবন |
রাজবাড়ীটিতে আছে দুইটি গভীর পুকুর যেটা আয়তনে অনেক বড় | সম্পূর্ণ এলাকাটি দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে এটা হল বড়তর আরেকটা হল ছোট তরফ |
উত্তরা গণভবন
আসুন জেনে উত্তরে গণভবন সম্পর্কে কিছু জানা অজানা কথা জানতে হলে আমাদের সঙ্গে এই পোস্টে শেষ পর্যন্ত থাকবেন ধন্যবাদ | দীঘা প্রতি জমিদার বাড়ির পরিচয় মানুষের কাছে হয়ে ওঠে উত্তরা গণভবন বা পশ্চিমাঞ্চলের গর্ভমেন্ট হাউজ নামে| এটা ১৮ শতকে নির্মিত একটি রাজা মহারাজাদের হিসেবে দীঘা প্রতি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজা দয়ারাম রায় ছিলেন যিনি নাটোরের রাজা রাম জিবনের দেওয়ান ছিলেন |
দীঘা প্রতি প্রাসাদ নির্মিত হয় ১৭৩৪ সালে দয়ারাম রাই প্রায় এটিকে ৩৪ একর জমির উপর নির্মিত করেন | তিনি প্রাসাদের শুধুমাত্র মূল অংশ এবং কিছু সংলগ্ন ভবন নির্মাণ করেছিলেন | এটি বাংলার বাংলাদেশের নাটোর শহর অবস্থিত নাটোর শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত | পরবর্তীতে স্বাধীনতার পর 1972 সালে ৯ই ফেব্রুয়ারি এই জমিদার বাড়িটি দীঘা প্রতি নাম পরিবর্তন করে উত্তরা গণভবন নামকরণ করা হয় |
পুঠিয়া রাজবাড়ী হাওর খান
আসুন তাহলে আমরা এই পোস্ট থেকে পুঠিয়া রাজবাড়ী ও হাওরখানা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন | পুঠিয়া রাজবাড়ি রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত | পুঠিয়ার মধ্যে পুঠিয়া রাজবাড়ী একটি নিদর্শন
যে নিদর্শন পুঠিয়ার ইতিহাসকে প্রাণবন্ত করে রেখেছে। এই পুটিয়ার রাজবাড়ি সারা বছর। অনেক পর্যটক আসে বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও প্রতিষ্ঠান থেকে বনভোজনের জন্য আসে। খুবই সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন এ রাজবাড়ি পুঠিয়ার রাজবাড়ি রানী হেমন্ত কুমারের বাসভবন নামে পরিচিত ছিল | ১৯৯৫ সালে রানী হেমন্ত কুমারী দেবী ইউরোপিয়ান শৈলীতে স্থাপিত আয়তাকার রাজবাড়ীটি নির্মাণ করে রাজবাড়ীটি দুই তলার বিশিষ্ট |
পুঠিয়ার আরেকটি অত্র তান্ত্রিক নিদর্শন এ ঘেরা এই স্থপতি নাম হাওর খানা। এটা রাজশাহী জেলায় অবস্থিত | পুঠিয়াতে ১৭ টি পত্র তান্ত্রিক নিদর্শন আছে এই নিদর্শনের মধ্যে হাওয়াখানা অন্যতম | এ হাওয়াখানাটি তিন কিলোমিটার পশ্চিমে, তারাপুর গ্রামে অবস্থিত | এই দুই তালা ভবনটি বিশাল একটা পুকুরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত |
নওগাঁ পাহাড়পুর
আসুন আমরা জেনে নিই নওগাঁ পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার সম্পর্কে। আজকে আমরা আপনাদেরকে এই পোস্ট থেকে জানাবো নওগাঁর দর্শনীয় স্থান পাহাড়পুর পুত্র তান্ত্রিক নিদর্শন সম্পর্কে। জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ | প্রত্যেক বছর এই পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার দেখতে সারা বাংলাদেশ থেকে প্রচুর দর্শনার্থী এবং বিদেশি পর্যটকরা আসে এই বৌদ্ধ বিহার নিদর্শন |
এই পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার অথবা শমপুর মহাবিহার নামে পরিচিতি যেটা বাংলাদেশের অবস্থিত একটি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ বৌদ্ধবিহার | এই বিহারটি ৭৮১ থেকে ৮২১ অষ্টদশ শতাব্দীতে শতাব্দীর শেষে বা নবম শতকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে | পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী এই বিহার টি প্রতিষ্ঠিত করে | এটি পত্র তান্ত্রিকবিদ এবং প্রবন্ধক স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম ১৯৭৯ সালে আবিষ্কার কর |
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার টি দ্বিতীয় বৃহত্তর বৌদ্ধ বিহার হিসেবে ইউনেস্কো দ্বারা প্রমাণিত করা হয়।
পাহাড়পুর বিহার টি ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বৌদ্ধদের জন্য ধর্ম প্রচার এবং গুরু শিক্ষার একটি প্রধান কেন্দ্র |
বাংলাদেশ চীন মায়ানমার মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি দেশগুলো থেকে বদ্ধবিহার শিক্ষা জ্ঞান অর্জন করতে এবং ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করতে আস্ত অনেক শিক্ষার্থী | পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ইউনেস্কোর দ্বারা বিশ্ব প্রাচীন বিহার স্থানের স্বীকৃতি পেয়েছে ১৯৮৫ সালে |
ডুবলহাটি জমিদার বাড়ি
আসুন আমরা জেনে নিই নওগাঁ দুবলহাটি জমিদার বাড়ি সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত থাকো | ধুবুলহাটি জমিদার বাড়িটি একটা ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে যদি সরকারিভাবে এটাকে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় তবে কালের সাক্ষী হয়ে এটা দাঁড়িয়ে থাকবে আমাদের সামনে | প্রতিবছর এখানে অনেক দর্শনার্থী যাই | এই জমিদার বাড়িটি নওগাঁ জেলা শহর থেকে ৫- ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে দুবলহাটি গ্রামে অবস্থিত
ইতিহাস থেকে জানা যায় যে নওগাঁর আর সকল জমিদারদেরজমিদার দেখছি, দুপুর হাটের রাজবাড়ির জমিদার ভরনাথ অধিক প্রতাপশালী ছিল। লোক মুখে জানা যায় যে দুলহাটির জমিদার প্রতিষ্ঠাতা জগত রাম একজন লবণ ব্যবসায়ী ছিল | বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে উনি দুবলহাটির পাশের গ্রামে বাস করতে | এবং বিল অঞ্চল কি যারা নিতেন ধীরে ধীরে একসময় তিনি অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে যায় | লোকমুখে শোনা যায় এই অঞ্চলে ফসল উৎপন্ন না হয় দুবলহাটি জমিদার কই মাছ দিয়ে কর পরিষদ করেন | 22 কাহন মাছ দিয়ে করপরিষদ করতেন |গুগোল হাটির জমিদার হরনাথ প্রজাদের উপরে অত্যাচার করত |রোজাদের উপর নির্যাতন অত্যাচার মূলক ও অপমান অপদস্ত জনক কিছু আদেশ তার রাজ্যে জারি করেন। এই আদেশে ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্রোহ শুরু করেন গরিব প্রজা |
কুসুম্বা মসজিদ
আসন আমরা জেনে নেই কুসুম্বা মসজিদ সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা কথা এ সম্পর্কে জানতে হলে আপনারা আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকবেন ধন্যবাদ | চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কুসুম্বা মসজিদে একটি প্রাচীনতম মসজিদ এটি একটি দর্শনীয় স্থান এখানে লাখো লাখো মানুষ এই মসজিদটি দেখতে আসে প্রতিবছর এখানে অনেক ভিড় হয়। কুসুম্বা মসজিদটি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলা মান্দা উপজেলায় অবস্থিত | এই মসজিদটি এই মসজিদটি কুসুম্বা গ্রামে অবস্থিত কুসুম্বা দিঘির পশ্চিম পাশে এই কুসুম্বা মসজিদ অবস্থিত বাংলাদেশের আগের টাকার মধ্যে এই মসজিদের ছবি ছিল | মসজিদটি নির্মাণ হয়েছে হিজরী ৯৬৬ সালে( ১৫৫৮ থেকে ১৫৬৯ খ্রিস্টাব্দে)| এটি নির্মাণ করেন শাসক গিয়াস উদ্দিন বাহাদুর শাহের আমলে সুলাইমান নামে একজন এটি নির্মাণ করেছেন |
আফগান শাসনামলের শুরু বংশের শেষ দিকের শাসক ছিলেন | মসজিদটির নান্দনিক কারুকার্য পর্যটকদের কে বিমোহিত করে এ মসজিদটি তিন গম্বুজ ওয়ালা মসজিদ | ভূমিকম্পে এই মসজিদের তিনটি গম্বুজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল 1897 সালে | পরবর্তীতে নির্মাণ করা হয়েছে প্রত্নতান্ত্রিক অধিদপ্তরের নির্দেশে | মসজিদের চতুর্দিকে ও পূর্ব পাশে দীঘির পারে ফুলের বাগান করা হয়েছে এবং আলোকসজ্জা করা হয়েছে |
বগুড়া মহাস্থানগড়
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিন বগুড়া মহাস্থানগড় সম্পর্কে | বাংলাদেশের পুরাকীর্তি বা অন্যনগর নামে অন্যতম অন্যতম বগুড়া মহাস্থান | এটি প্রায় বগুড়া শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার উত্তরে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত | মহাস্থানগড় বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রাচীনতম সভ্যতা এটি বাংলাদেশের বুকে একটা পত্র তান্ত্রিক নিদর্শন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে | প্রত্যেক বছর অসংখ্য পর্যটক দেশি-বিদেশি। সব ধরনের লোক এখানে ঘুরতে আসে | এই পুরো কীর্তি দেখে সবাই সেই প্রাচীন যুগে হারিয়ে যায় এবং প্রাচীনতাকে উপভোগ করতে থাকে | এই নগরীতে বহু পুরাতন আমনের ঐত্যান্তিক নিদর্শন রয়েছে বিভিন্ন ধরনের | পুরাতন সময়ে মহাস্থানগড় বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি ছিল | এই অঞ্চলটি গুপ্ত পাল এবং সেন মৌজ বংশ বর্গের প্রদেশ রাজধানী ছিল | এখানে অনেক হিন্দু রাজা ও অন্যান্য ধর্মের রাজা তৃতীয় খ্রিস্টাব্দ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত শাসন চালিয়েছে | এই মহাস্থানগড় একটি পর্যটন কেন্দ্র আর এটি সুন্দর্য পর্যটকদের কে আকর্ষণ করে এটা এমন একটি স্থান | মহাস্থানগড় সরকার সংস্কৃতি সংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছে ২০১৬ সালে |
মহাস্থানগড়ের পশ্চিমে করতোয়া নদী প্রবাহিত এবং এই নদীর তীরে ধ্বংসাবশেষ দেখা যায় |
শেষ ভাবনা
আজকে আপনারা আমাদের সাথে আর্টিকেলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আছেন এই জন্য অশেষ ধন্যবাদ | আপনারা যারা ঐতিহাসিক নিদর্শন পছন্দ করে তারা দেরি না করে এই সমস্ত জায়গায় আজি ঘুরতে যান অবসর সময় পরিবার-পরিজন অথবা বন্ধু বান্ধবের | আমাদের বাংলাদেশ এরকম অসংখ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় পরিবেশ এবং প্রাচীন নিদর্শন বলুন অনেক রয়েছে যেগুলো ঘুরাঘুরি করা দরকার আর এসব জায়গায় ভ্রমণ করলে মন ভালো থাকে| আজকের এই পোস্টটিতে আমার কোন লিখার মধ্যে ভুল ভ্রান্তি হলে আপনারা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আপনাদের মূল্যবান কমেন্ট করবে এবং নিত্য নতুন তথ্য জানতে আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ |
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url