হযরত মুসা (আ) এর মুজেজাওয়ালা লাঠি সম্পর্কে আলোচনা

 

 আমরা অনেকেই নবী মুসা আঃ সম্পর্কে জানি তিনার একটি লাঠি ছিল যে লাঠিটির কুদরতি লাঠি ছিল এই লাঠি সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের কাছে কিছু কথা তুলে ধরবো। আপনারা যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই পোস্টে থাকেন তাহলে আপনার উপকৃত হবেন | এবং যারা জানে না তাদেরকে আপনাদের ভালো লাগার


বিষয়গুলো জানালে তারাও উপকৃত হবে এবং আপনাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছেও শেয়ার |

  পোস্ট সূচিপত্র:হযরত মুসা (আ) এর মসজিদে ওয়ালা লাঠি 

 ভূমিকা

 প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি মুসা আঃ সালামের লাঠির মোদের সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটা আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এজন্য আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন আশা করছি | আজকে মুসা আলাই সালাম এর মুছে যাওয়া লাঠি অর্থাৎ কুদরতি লাঠি সম্পর্কে কিছু কথা চলুন তাহলে দেরি না করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই |

লাঠি সাপ হয়ে যাওয়া

  আসুন আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিন লাঠি সাপ হয়ে যাওয়া সম্পর্কে কিছু কথা মুসা আলাই সালাম আল্লাহ তায়ালার পয়গম্বর তিনি ৫ জন বড় রসূলদের মধ্যে একজন | মুসা আলাই সালাম কে বানী ইসরাইলদের নবী করে পাঠানো হয়েছে তিনি বানিশাইলদের কাছে আল্লাহর  আল্লাহ তাআলার বাণী পৌঁছাইতেন অর্থাৎ  তিনি আল্লাহতালার হুকুমের উপরে উঠানোর জন্য আল্লাহতালার প্রতি ঈমান আনার জন্য সব সময় মানুষকে আহ্বান করতেন | একসময় আল্লাহ তাআলা মূসা আঃ কে জিজ্ঞেস করছে তোমার হাতে ওটা কি মূসা আলাইহিস সালাম বলছে এটা আমার লাঠি আল্লাহতালা মুসালা সালামকে বলেন তুমিও লাঠিকে ছেড়ে দাও মুসা আ লাঠিটাকে ছাড়া মাত্র  সবচেয়ে বড় অজজ্ঞর সাপে রূপান্তরিত হল মুসা আঃ কে বললেন তুমি ভয় পেয়ো না আমি আছি | আল্লাহতালা মুসালেঃ সালামের কাছে জানতে চাইলেন যে তুমি লাঠি দিয়ে কি কর মুসা আলাই সাল্লাম লাঠির উপকারিতা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালাকে বললেন এবং আল্লাহতালা বললে তোমার এই লাঠিটা ছেড়ে দাও সাপের রূপান্তরিত হয় মুসা আঃ আল্লাহ তাআলা বলেন তুমি ভয় পেয়ো না সবটাকে ধরো তিনি আল্লাহর হুকুমে সাপটিকে ধরলেন সাতটি আবার লাঠিতে পরিণত হয়ে গেলেন | মুসা আঃ বুঝতে পারলেন যেটা আল্লাহ তাআলার হুকুমে হয়েছে তিনার বিশ্বাস আরো বেড়ে গেল এবং সে বানী ইসরাইলের মধ্যে দাওয়াত দিতে থাকলেন | 

ফেরাউনের জাদুকরদের পরাজিত

আসলে আমরা পোস্ট থেকে জেনে নিই মুসা আলাই সাল্লাম ফেরাউনের জাদুকরদেরকে কিভাবে পরাজিত করেছে সে সম্পর্কে কিছু কথা |একসময় ফেরাউন ও লোক লস্কর রা সিদ্ধান্ত নিল যে তারা   হযরত মূসা আ  এবং তার ভাই হারুন আ  পরাজিত করার জন্য যাদুকরদেরকে ডেকে জাদু দেখাবে। এবং তাদেরকে অপদস্ত করবে এবং তারা যেন মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকতো তাদের প্রতি মানুষের যে প্রভাবটা ছিল এই প্রভাবটা নষ্ট করার জন্য | আজ থেকে তাই তিন হাজার বছর আগের ঘটনা  মুসা আলাই সালাম জাদুকরদের কে আল্লাহতালার কুদরতে পরাজিত করে | একসময়  ফেরাউন তার রাজ্যে আনন্দ উৎসব ও বিভিন্ন মূর্তি পূজার আয়োজন করলেন এবং তারা উৎসবে মেতে উঠলেন এইভাবে যে যাদুর মাধ্যমে তারা মুসা আঃ কে পরাজিত করবেন  |তিনি সবাইকে ডাকলেন সবাই সেখানে আসলো  মুসা আলাই সালাম ও উপস্থিত হলেন ফেরাউন প্রায় ১২হাজার জাদুকর কে তার সভায় উপস্থিত করেন উদ্দেশ্য | এবং সেখানে সারা দুনিয়ার বড় বড় জাদুকররা উপস্থিত হন এবং সবচাইতে বড় পাঁচ জন জাদুঘর সে সময়ের উপস্থিত ছিলেন | মুসা আলাইহিস সাল্লাম তাদেরকে এ বলে দাওয়াত দিলেন যে তোমরা এক আল্লাহতালার দাসত্ব কর তোমরা যে মূর্তি পূজার পূজা করো, সে পূজা তোমাদের কোন উপকারে আসতে পারে না তার নিজস্ব কোন ক্ষমতা নাই আর আল্লাহতালা এক অদ্বিত তোমরা তার উপাসনা কর তার সাথে কাউকে শরিক করিও না | এই কথা বলে মূসা আঃ ওই সবার ভিতর প্রতিযোগিতার মধ্যে দাওয়াত দিলেন এবং তাদের পরিণতি যে খারাপ এটার ব্যাপারেও তাদেরকে সতর্ক করবেন | জাদুকরদের জাদু যে মিথ্যা প্রচেষ্টা ভেলকিবাজি, এ সম্পর্কেও তিনি তাদেরকে বুঝিয়ে বললেন | সেই সবার মধ্যে বড় হাজার জাদুকরের মধ্যে প্রধান পাঁচ জন জাদুকর ফেরাউনের দরবারে আগেই পৌঁছেছিল এবং তারা খোঁজ পেয়েছিল যে মুসা আঃ যখন ঘুমায়  তখন লাঠি সাপ হয়ে পাহারা দেয় | তারাই এটা ভালো করে জানত যে ঘুমন্ত অবস্থায় কোন জাদু কাজ করে না | সে সভাই মুসা আলাই সাল্লাম ফেরাউনের লোকজনকে আগে শুরু করতে বলে | তারা তাদের জাদু দেখাতে শুরু করে এবং মাটিতে দড়ি ও দ্বন্দ্ব রেখে তাদের যাদুবিদ্যা শুরু করে জড়বস্তু দলীয় দণ্ডগুলো হঠাৎ করে সাপের মতো নড়াচড়া করতে থাকে অর্থাৎ তাদের ভিতরে যান চলে আসে এরকম মনে হচ্ছিল  এবং দড়িগুলো  সাপের মতো নড়াচড়া করছিল জাদুকরদের একটা কৌশল আছে যেটা রুদ্র তাপের কারণে এরকম হয়ে থাকে। এবং সবাই থাকা ফেরাউন লোকজন মনে করছিল যে তারা বিজয় হয়ে যাবে তারা বিজয় হাসে হাসছিল |  এই অবস্থায় মুসা আঃ আল্লাহর নির্দেশে তার লাঠি সবাই স্থানে ছেড়ে দেয় বা নিক্ষেপ করে এবং আল্লাহ তায়ালার কুদরতে লাঠিটি অযোগ্যর সাপে পরিণত হয় বিশাল এক সাপ। এসব দেখে সবাই ভয় আতঙ্কিত হয় কম্পিত হয় এবং এই সাপ জাদুকরদের সমস্ত ভেলকিবাজি কে গিলে ফেলে | এত বড় সাপ দেখে অনেকেই বেহুশ হয়ে যায় | সমস্ত জাদুঘর এটা দেখে বুঝতে পারে যে এটা জাদু না এটা অলৌকিক ঘটনা মুসা আঃ সত্যি আল্লাহতালার নবী এবং তারা এটা বুঝতে পারে সাথে সাথে তওবা করে সেজদায় পরি মুসলমান হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঈমান আনে আর এটা দেখে ফেরাউন তাদেরকে বলে যে তোমরা যদি ঈমান থেকে ফিরে না আসো তাহলে আমি তোমাদেরকে হত্যা করব হাত-পা কেটে ফেলবো কিন্তু তারপরও তারা ঈমান ছাড়ে না |

যখন যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয় তখন তারা ঈমান আনে আসরের ওয়াক্তে ফেরাউন তাদেরকে হাত পা কেটে ফেলে এবং হত্যা করে সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে ঈমান আনার কারণে তারা মাগরিবের পরে বেহেস্তবাসী হয়ে যায় |

ফেরাউন ও তার বাহিনী পানিতে ডুবে মারা

 আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই ফেরানো ফেরাউন ও তার বাহিনী পানিতে ডুবে কিভাবে মারা গেছিল সে সম্পর্কে কিছু |  একবার ফেরাউন  রাগান্বিত হয়ে চিন্তা করে যে মুসা আলাই সালামকে হত্যা করবে এবং সে তার সমস্ত লস্করকে ঠিক করে মুসা আলাই সালাম খবর পেয়ে তার কওমের লোককে নিয়ে তিনি বের হয়ে যান রাস্তায় চলতে চলতে ফেরাউনের লাশ করো মুসা আঃ সালামের পেছনে ধাওয়া করে  মুসা আঃ তার লস্কর নিয়ে চলতে চলতে পথিমধ্যে দেখে যে সামনে নীলনদ লস্কর সহ থেমে যায় | মুসা আঃ সালামের সঙ্গীরা তাকে বলে হে মুসা নবী আমরা তো ধরা খেয়ে গেছি আমরা তো ধরা খেয়ে গেছি মুসা আঃ তার সঙ্গীদেরকে বলে চিন্তা করো না আমার সাথে আল্লাহ আছে | আল্লাহতালার নির্দেশে মুসা আলাই সাল্লাম তার লাঠি পানিতে আঘাত করে তিনি চাইলে ওই পরিস্থিতিতে অন্য কিছু করতে পারতেন। কিন্তু তিনি আল্লাহর নির্দেশে পানিতে আঘাত করবেন এবং সে পানি ফেটে পানির মধ্য দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়ে গেল। তার সাথে বারোটি  গোত্র ছিল। বারোটি আলাদা আলাদা রাস্তা হয়ে গেল এবং সে রাস্তার সাথে একে অপরকে দেখার জন্য জানানোর মত হয়ে গেল | এবং তারা সে রাস্তা ধরে চলতে শুরু কর আর ফেরাউন তাদেরকে বুঝতে পারে যে এটা তো একমাত্র সৃষ্টিকর্তারই কাজ হবে। কিন্তু তুমি বুঝতে দিল না এবং বলল যে এই রাস্তাটা আমি করেছি | তিনি বুঝতে পারেন যে এটা তে আমার ক্ষতি হবে কিন্তু আল্লাহতালা এখানে কুদরত খাটায় এবং ঘোড়ার বাহিনীর মধ্যে সামনের ঘোড়া মাদি ঘোড়া আল্লাহর কুদরতে হয়ে যায় এবং মাদি ঘোড়া ও পুরুষ ঘোড়া একে অপরের চাহিদা সৃষ্টি করে আল্লাহ তাআলার কুদরতের দ্বারায় এবং সেই চাহিদায় যেহেতু সামনের ঘোড়ামাদি  ঘোড়া ছিল আর পিছনেরটা পুরুষ ভরা ছিল এইজন্য ঘোড়াটা আকৃষ্ট হয়ে আর পিছনে পিছনে এটা আল্লাহ আল্লাহতালার কুদরতি হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত পানিতে যে রাস্তা হবে রাস্তাতে নেমে যায় এবং নদীর মাঝখানে আল্লাহতালার কুদরতে পানি আবার মিলে যায় আল্লাহ পানিকে হুকুম করে যে পানি তুমি আগের মত হয়ে যাও আমি আগের মত হয়ে যায় আর ফেরাউনের সহ তার সমস্ত লস্কর  মৃত্যু বরণ করেন | 

লাঠির আঘাতে বারটি ঝরনা

আসুন আমরা পোস্ট থেকে জেনে নেই মুসা আঃ এর লাঠির  মোবারকের আঘাতে বারটি ঝরনা হয়ে যায় কুদরতি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা |মুসা আলাই সালাম যখন ফেরাউনের অত্যাচারে তার কম কে নিয়ে নীলনদ পার হয়ে চলে আসে আমরা এই ঘটনাটা জানলাম এর আগের পয়েন্টে সেখানে ফেরাউন তালাশ কর নীল নদের পানিতে ডুবে মারা যায় এবং মুসা আলাইহিস সালাম পার হয়ে চলে আসে আসার পর সেখানে উইনে মুসা নামক জায়গাতে তারা বসবাস শুরু করে তবে সেখানে পানির অভাব দেখা দিলে সবাই বিচলিত হয়ে পড়ে মুসা আলাই সালাম নিজে চিন্তিত হয়ে পড়ে | মূসা আঃ আল্লাহতালার হুকুমে সেখানে লাঠির আঘাতে ঝর্ণার সৃষ্টি হয় আল্লাহর কুদরতে তিনি আল্লাহর হুকুমে জমিনে বারোটি আঘাত করে এবং তার সাথে থাকা বারটি গোত্রের জন্য আলাদা আলাদা বারটি নহর সৃষ্টি হয় এবং সেখান থেকে তারা প্রাণের প্রয়োজন মেটায় এভাবে আল্লাহতালার কুদরতে মূসা আঃ এর লাঠি মোবারক বারোটি ঝরনা সৃষ্টি হয় এবং সবাই পানির প্রয়োজনকে মেটায় | 

মুসা নবীর আল্লাহ তাআলাকে প্রশ্ন 

আসুন আমরা মুসা আঃ সালাম কে প্রশ্ন করেছেন সে প্রশ্ন সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন মুসা আলাই সালাম একবার আল্লাহ তালাকে প্রশ্ন করেছিল সেই প্রশ্নটা অসুস্থতার ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলা বলেছিলেন যে আমি তোমার জায়গায় হলে সুস্থতা চাইতাম কারণ সুস্থতা অনেক বড় নিয়ামত অসুস্থ হলেই মানুষ বুঝতে পারে সুস্থতার দাম কত এই জন্য সুস্থ থাকা অবস্থায় এক আল্লাহতালার হুকুমকে পুরা করা আল্লাহ তায়ালার হুকুমের উপরে নিজের জীবনকে ওঠানো রাসুলুল্লাহ সাঃ এর তরিকায় জীবন যাপন করা এটা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব এটাই আমাদের উদ্দেশ্য | দুনিয়াতে আমাদের সাথে কিছুই যাবে না যাবে শুধু ঈমান আর আমল এজন্য নবীদের ঘটনাগুলো কোরআনের বর্ণিত হয়েছে এই ঈমানের বিষয় সমস্ত নবীদের সাথে জড়িত আছে ঈমানের এজন্য আমাদেরকে ঈমান আনতে হবে তাহলে আমাদের দুনিয়ার জীবন ও মৃত্যুর পরের জীবন সুখময় হবে |

শেষ ভাবনা

আজকের এই পোস্টটিকে আমরা জানতে পারলাম মুসা আঃ সালামের লাঠি মোবারক এর মোজেজা সম্পর্কে আপনারা যারা এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে আছেন তারা অন্যদেরকেও এ বিষয়ে জানাবেন আপনাদের আত্মীয়-স্বজনদেরকে জানাবেন বেশি বেশি শেয়ার করতে বলবেন তাহলে তারাও এই আর্টিকেল থেকে উপকৃত হবে বেশি বেশি শেয়ার করবেন কমেন্ট করবেন লাইক দিবেন ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন ধন্যবাদ। 





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url