হারিয়ে যাওয়ার রাস্তা নেই পানাম নগরী সম্পর্কে কিছু আলোচনা
আসুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা পানাম নগরী সম্পর্কে। কিছু বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন পানাম নগরী অতীতে জুলুসের নগরী ছিল | এখানে রাজা মহারাজাদের প্রতিনিয়ত আনাগোনা ছিল পানাম নগরী
ব্যবসায়ী নগরী নামে পরিচিত |পানাম নগরী বাংলাদেশের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত হাজার হাজার দেশী বিদেশী পর্যটক | চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের এই আর্টিকেল থেকে পানাম নগরী সম্পর্কে আজকেরে আঁটি গেলে আপনারা আমাদের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন ধন্যবাদ |
সূচিপত্র
ভূমিকা
আসুন আমরা জেনে নিই বাংলাদেশের অন্যতম হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন নগরী পানাম নগরী যেটা পূর্বে রাজধানী ধরা হতো | আজকের এই ধ্বংসযজ্ঞ পানাম নগরী প্রাচীনকালে একটা সময় জোসনার জুলুসের নগরী ছিল এখানে সব সময় ধনী ব্যবসায়ী রাজা মহারাজাদের আনাগোনা ছিল | বিভিন্ন রাজ্যের রাজা মহারাজা বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা আসতো তাদের ব্যবসার জন্য এই পানাম নগরী ব্যবসায়ীর জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল |
প্রণাম নগরী সম্পর্কে কি ছু আলোচনা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে পানাম নগরী অবস্থিত প্রায় সাড়ে চারশ বছরের পুরানো এই নগরী দেখলে মনে হয় সে সময়ে সুন্দর ছিল ছোট বড় বিভিন্ন রকমের বিভিন্ন শৈলীদের তৈরি লাল বিল্ডিং গুলো অনেক মন মুগ্ধতা ছিল |
১৩০০ সালে পানাম নগরী গঠিত হয় | এটা সোনারগাঁয়ে অবস্থিত একসময় বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও হয়ে ওঠার কারণে সোনারগাঁও থেকে এই নগরীর নাম পানাম নগরী হয়ে ওঠে |যেহেতু ধনী ব্যবসায়ীরা এখানে ব্যবসা করতে আসলো এজন্য তাদের ব্যবসার সুবিধার্থে মূলত তারাই এই পানাম নগরীটি তৈরি করে |সোনারগাঁ ১৬১১ সালে মুঘলদের শাসন অধিকারের এরপর তারা যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য ব্রিজ এবং সড়ক তৈরি করে সরাসরি যাতায়াতের ব্যবস্থা হয়ে উঠে|
নামকরণ ও ইতিহাস
আসুন আমরা জেনে নিই সোনারগাঁও নামকরণ ইতিহাস সম্পর্কে কথা জানতে হলে আমাদের সাথে এই পোস্টে শেষ পর্যন্ত থাকবেন ধন্যবাদ | লোকমুখে জানা যায় যে ঈসাখার স্ত্রী সোনা বিবি নামের অনুসরণে সোনারগাঁও নাম রাখা হয়েছে | বাংলাদেশের প্রাচীন জনপদ গুলোর মধ্যে সোনারগাঁও একটি অন্যতম প্রাচীন জনপদ হিসেবে পরিচিত। এখানে সংস্কৃতি শিল্পকলা ও সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে সোনারগাঁও টি সুনামধন্য জনপদ ছিল | আনুমানিক বারোশো সালে এই অঞ্চলে মুসলিমদের রাজত্বের সূচনা | সোনারগাঁ মধ্যযুগে মুসলিম শাসকের রাজধানী হিসেবে ছিল | দিল্লির সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসন আমলে ঢাকা বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয় | ঢাকা রাজধানী হওয়ার আগে পূর্ববঙ্গের রাজধানী হয়ে ওঠে সোনারগাঁ | প্রাচীন লোকো কথায় শোনা যায় যে স্বর্ণ গ্রাম অনুসারে সোনারগাঁও নাম হচ্ছে বা এখানকার নদীতে প্রাচীনকালে স্বর্ণ পাওয়া যায়। এই নাম অনুসারেও সোনারগাঁও নামকরণ হতে পারে | পানাম নগরী হিরে আছে পঙ্খিরাজ খান যেটা পানাম নগরীর সুরক্ষার জন্য। সাড়ে চারশো বছরের প্রাচীন মঠ এর পশ্চিম দিকে রয়েছে এস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নীলকুঠি | আরো আছে কাশীনাথের বাড়ি আর্ট গ্যালারী আছে পদ্মার বাড়ি | তাই বারোশো বছর আগে এখানে সুখী সাদেক দরবেশরা ধর্ম প্রচার করতে আসে | এখানে কিছু সুফিদের সমাজে রয়েছে | প্রাচীন মসজিদ ও এখানে লক্ষণীয় ও দর্শকদের জন্য |
ভবনগুলির বৈশিষ্ট্য
আসুন আমরা জেনে নিই পানাম নগরের ভবনগুলি সম্পর্কে। পানাম নগরীর ভবনগুলো ছোট লাল ইটের তৈরি কোন কোন জায়গায় এই ইমারত গুলি একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন কোথাও কোথাও আবার মিলে আছে |
ভবনগুলো রাস্তার দুই পাশে, দক্ষিণ উত্তর বিস্তৃত হয়ে আছে লম্বা একটি সড়কের দুই পাশে ভবনগুলি দৃষ্টিনন্দা এবং মন মুগ্ধকর এক পরিবেশ তৈরি করেছে। বিভিন্ন কারুকার্য ও নির্মাণশীল অনেক সুন্দর এই মারো গুলি দেখতে ভীষণ চমৎকার ট্রাই ৫২ টি ভবন নিয়ে পানাম নগরী গড়ে উঠেছে | এর মধ্যে আছে মন্দির ঠাকুর ঘর গোসলখানা নাজ ঘর দরবার কক্ষ ইত্যাদি |
ইমারত গুলি ও ইটের চুনসুর কি ও কাঠ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে হে ভবন গুলিতে কৃত্রিম দরজা জানালা যেটা তৈরি করা হয়েছে প্লাস্টিক সমগ্র দিনে | সমস্ত প্রাচীন বিল্ডিং এ চিনামাটি ভাষণের টুকরো ও বিভিন্ন কারুকার্য খচিত আছে কিছু কিছু জায়গায় অলংকারেরও ব্যবহার করা হয়েছে |
পানাম সেতু
পানাম সেতুটি সম্পর্কে আমরা আসুন হেয়ার্টিকেল থেকে জেনে নিন মুঘল আমলে পানাম সেতু নির্মাণ করা হয়েছে| এই সেতু পঙ্কিরাজ খালের উপরে নির্মিত হয়েছে এশি দুটি প্রায় সপ্তম দশকে নির্মিত হয়েছে | হবিগঞ্জ থেকে কিছুটা পূর্ব দিকে কোম্পানীগঞ্জ বাড়ি - মজলিসের পাকা রাস্তাকে সংযোগ করেছে এ সেতু তৈরি করে। এটি একটি দৃষ্টিনন্দন ও প্রাচীন শৈলীতে তৈরি এর গাঁথুনে ইট দিয়ে করা হয়েছে এটি একটি দৃষ্টি নন্দন সেতু | এই সূত্রটি দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৭৩ ফুট প্রস্থ হচ্ছে ১৪ ফুট আর এই সেতুটি ৩ খিলাল বিশিষ্ট একটু শুধু | এই সেতুটি কোম্পানিগঞ্জ নামে পরিচিত এটি একটি খাড়া সেতু প্রশস্ত এবং লম্বা |
লোকশিল্প ও জাদুঘর
আসুন আমরা জেনে নিই পানাম নগরীর পাশে গড়ে ওঠা লোকশিল্প ও জাদুঘর সম্বন্ধে আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক | এটি ১৬ হেক্টর জায়গা ঘিরে তৈরি হয়েছে লোকশিল্প ও কারুশিল্প | এখানকার জাদু ১৯৭৫ সালে জয়নুল আবেদিন প্রতিষ্ঠিত করে |এখানে লোকের সঙ্গে তোর মঞ্চ আছে সেমিনার কক্ষ আছে এবং চারুকলা গ্রাম রয়েছে
এই জাদুঘরে সুলতানি আমলের ব্যবহারিত বিভিন্ন অস্ত্রপাতি পোশাক বল্লম অলংকার আসবাবপত্র ইত্যাদি অসংখ্য প্রাচীনকালের সুলতানদের ব্যবহারিত জিনিস এই জাদুঘরে রয়েছে| এখানে বৈশাখ মাসে অনুষ্ঠিত হয় লোকশিল্প মেলা হিমেলায় প্রচুর মানুষ একত্রিত হয়।এই জাদুঘরটি সপ্তাহে 5 দিন খোলা থাকে আনুমানিক ১০ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত |
বাংলাদেশের তাজমহল
আসন আমরা জেনে নিই বাংলাদেশের তাজমহল সম্পর্কে কিছু কথা। এইতো তাজমহলটি ইন্ডিয়ার অন্যতম একটি নিদর্শন আগ্রার তাজমহল যেটা বিশ্বের দরবারে অন্যতম একটি পর্যটন স্থান | এখানে অসংখ্য দেশি-বিদেশি ভ্রমণ দিয়ে সেই পর্যটক এই আগ্রার তাজমহলটি সৌন্দর্য উপভোগ করতাম এর মনোরম পরিবেশ মানুষকে নিয়ে যায় অতীতের ঐতিহাসিক জগতে | এই আগ্রার তাজমহল অনুকরণ করেই তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জে এই তাজমহলটি| নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার একটি গ্রাম যে গ্রামটির নাম পেরব | এটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন | এটি ২০০৩ সালে নির্মাণ করা হয়েছে বাংলার তাজমহল টি আগ্রা তাজমহল করে তৈরি করা হয়েছে| যেমন আগ্রার তাজমহলে মার্বেল পাথর দেওয়া আছে তেমনি বাংলাদেশের এই তাজমহলে মার্বেল পাথর দেওয়া হয়েছে | তবে বাংলার তাজমহলটি আগ্রার তাজমহলের চেয়ে অনেক ছোট আহসান উল্লাহ হাবিব একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রযোজক পিরিতার স্ত্রী রাজিয়ার স্মরণে নির্মিত করেছেন তাজমহলের অভ্যন্তরে রয়েছে তাদের স্মৃতি সমাধি | নারায়ণগঞ্জ জেলার এটি একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান এখানে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক আসে এবং তাদের অবসর সময় ছুটির সময়টা উপভোগ করে প্রচুর দর্শনার্থী এখানে আসে স্কুল কলেজের বনভোজন প্রাতিষ্ঠানিক বনভোজন করতে হাজার হাজার দর্শন আছে এখানকার টিকিটের মূল্য হল মাত্র ১৫০ টাকা |
পাঁচ পীরের মাজার
আসুন আমরা জেনে নিই পীরের মাজার কোথায় অবস্থিত | ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে জেলাগুলোতে আনাচে-কানাচে প্রচুর পাওয়া যায় তারা বিভিন্ন দেশ থেকে এসে ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে যায় এবং সেখানে মৃত্যুবরণ করে এবং তাদের সমাজই বা মাজার পেশাব স্থানে তৈরি হয় এবং হাজার হাজার ভক্ত সে সমস্ত মজার গুলা জিয়ারতে যায় | এই বাজারটি ভাগলপুর উপজেলা অবস্থিত এখানে পাঁচ পীরের মাজার থাকার কারণে এটা পাঁচ পীরের মাজার নামে | এখানে একটি ছোট মসজিদ আছে যেটা অনেক প্রাচীর মসজিদ প্রায় মসজিদটি ১৬০০ সালে নির্মিত হয় এবং এই মসজিদের পাশেই পাঁচ আউলিয়ার মাজার রয়েছে | এই মাদারটি সপ্তাহে সাত দিন খোলা থাকে | সোনারগাঁয়ে আরো রয়েছে প্রাচীন মন্দির মসজিদ খানকা অসংখ্য ঐতিহাসিক নিদর্শনাবলী যা আপনাদের দেখলে আনন্দিত হবেন প্রাচীনতায় ফিরে যাবেন।
পাঁচ আউলিয়াদের নাম
হযরত শাহ সুলতান রহ
হযরত শাহ হাবিবুল্লাহ রহ
হযরত শাহা শাহাদত রহ
হযরত শাহ আলী রহ
সুলতান জালালুদ্দিন রহ
গোয়ালদি মসজিদ
আসন আমরা জেনে নিই গোয়াল গোয়ালদি মসজিদ সম্পর্কে। গোয়ালদি মসজিদটি প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে অনেক বিখ্যাত | গোয়ালদী মসজিদটিতে একটি গম্বুজ রয়েছে মসজিদটির দৈর্ঘ্য ২৯ মিটার এবং প্রস্থ প্রায়১৪ মিটার
এটি একটি ছোট আকৃতির মসজিদ এটির দেয়াল কি দিয়ে তৈরি এবং মসজিদের সামনের দিকে প্রাচীন নকশা করা রয়েছে |এই মসজিদটি সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন সাহেব আমলে নির্মিত হন এটা নির্মাণকাল ১৫১৯ সালে | এই মসজিদটি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও অবস্থিত রয়েছে | এই মসজিদটি মেজে মার্বেল পাথর বসানো আছে এবং দেয়ালে সুন্দর নকশা খচিত করা আছে এবং মসজিদটির ভেতরে তিনটি মেহরাব আছে | যেখানে পানাম নগরী ধ্বংস স্তূপে পরিণত হতে চলেছে সেখানে মসজিদটি এখনো অক্ষত হবে |
শেষ ভাবনা
আজকে অযত্ন ও অবহেলায় এ সমস্ত প্রাচীন নগরী কালের গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে যদি এ সমস্ত জায়গা গুলোকে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় তাহলে এই সমস্ত জায়গায় প্রচুর পর্যটক আনাগোনা হবে এখন যা যে পরিমাণ মানুষ যাচ্ছে
রক্ষণাবেক্ষণ হলে এ সমস্ত জায়গায় আরো অসংখ্য পর্যটক ভিড় করবে। এবং হারিয়ে যাবে প্রাচীন যুগে এবং ওই সময়ের স্বাদ নিতে থাকবে। আশা করি আপনারা আজকের এই পোস্টটিকে জানতে পেরেছেন হারিয়ে যাওয়া পানাম নগরী সম্পর্কে। আপনাদের আরো মূল্যবান তথ্য আমাদেরকে জানাবেন বন্ধু বান্ধবের কাছে বেশি বেশি শেয়ার করবেন আর আমাদের সাথেই থাকবেন | ক্ষমার দৃষ্টিতে হলে ক্ষমা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন কারণ মানুষ মাত্রই ভুল ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url