আল্লাহর হুকুম অমান্য করায় বানরের রূপান্তরিত হওয়া জাতি

 

আজকের এই পোস্টটি আমরা আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি আল্লাহতালার হুকুমকে অমান্য করার জন্য বানরের রূপান্তরিত হওয়া জাতি সম্পর্কে কিছু কথা |আপনারা যারা জানেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এই অবাধ্য জাতির ব্যাপারে জানতে হলে আপনাদেরকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটি সাথে থাকতে হয় তাহলে আপনারা জানতে পারবেন এই অবধি অবাধ্য জাতি



বানরের রূপান্তরিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে | চলুন তাহলে আজকে দেরি না করে আমরা আমাদের  বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি |

 পোস্ট সূচীপত্র

ভূমিকা 

প্রিয় পাঠক, আমরা এই আটটি গেলাম আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি আল্লাহর হুকুম অমান্যকারী জাতি যারা বানরে রূপান্তরিত হয়েছে এদের সম্পর্কে কিছু কথা আপনারা যারা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনেছেন এই জাতি সম্পর্কে তারা আপনাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদেরকে এই অবাধ্য জাতি সম্পর্কে জানাবেন তাদের কাছে শেয়ার করবেন।

দাউদ ( আ) গুণাবলী

 আসুন আমরা পোস্ট থেকে জেনে নেই দাউদ আলাই সাল্লাম এর গুণাবলী সম্পর্কে কিছু কথা |  দাউদ আ  একজন নবী ছিলেন | তুমি ছোটবেলা থেকে অনেক সাহসী ছিলেন আরে সাহসিকতা এবং বীরত্বের জন্য সবাই পছন্দ করতেন আল্লাহতালা তিনার ভিতরে কিছু গুণ বা মোজেজা দান করেছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উনি লোহাকে বলি বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করতে পারতেন তিনি এত সুন্দর কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে যে সমস্ত পশুপাখিনের তেলাওয়াতে মুগ্ধ হয়ে যেতে | তিনি একজন রাজা ছিলেন তিনি রাজ্য শোষণ করতেন কিন্তু তিনি রাজ্যের কোষাগার থেকে কোন পারিশ্রমিক নিতেন না তিনি নিজেই লোহাকে মোমের মতো বলিয়ে বিভিন্ন  বর্ম তৈরি করতেন বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতে | তিনি রাজা হিসেবে মানুষের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য ছিলেন তিনি মানুষের কাছে সৎ এবং নিষ্ঠাবান একজন মানুষ ছিলেন তিনি যে রাজ্যের কোষাগার চেয়ে কিছু নিতেন না নিজেই তার কষ্টের উপার্জিত টাকা দিয়ে জীবন যাপন করতে এই বিষয়টা নিয়ে আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন  এবং আল্লাহতালা এটা নিয়ে গর্ব করছে | আর তিনার কোরআন শরীফে পড়ার যে কন্ঠ ছিল এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই যে সমস্ত সৃষ্টি জগৎ তার তেলাওয়াত শুনে মুগ্ধ হয়ে বাতাস থমকে যেত পাখি বন্ধ করে দিয়ে শূন্যে থেমে থাকতো পাহাড় গাছপালার আলাদা রূপ দেখা যেত তার তেলাওয়াত শুনে সমস্ত সৃষ্টি জগত আল্লাহতালার জিকিরে মশগুল করতেন শনিবারে | 

শনিবার মাছ ধরা নিষেধ কেন

 আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই শনিবারের দিন কেন মাছ ধরা বন্ধ রাখতে আল্লাহতালা হুকুম করেছিলেন এ সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নিন শনিবারের দিনটা ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন অর্থাৎ এই দিনে ইবাদত করার হুকুম ছিল এই দিনে দাউদ আলাই সালাম এর জাতিকে ইবাদত করার হুকুম দেওয়া হয়েছে এমনকি দাউদ আলাই সাল্লাম কোরআন তেলাওয়াতে মুশকুল থাকতেন এবং তেলাওয়াত শুনে সমস্ত সৃষ্টি জগত মোহিত হয়ে যেতেন এটা আমরা জানি এই দিন সাগরে কিনারায় এসে মাঝরাতে তেলাওয়াত শুনে এই জন্য সপ্তাহে শনিবার মাছ ধরা এই জাতির জন্য নিষিদ্ধ ছিল কারণ তারা এই দিনে নদীর তীরে এসে দাউদ আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোরআন তেলাওয়াত এই জন্য মাছ ধরা নিষেধ | 

আল্লাহর নাফরমানি ছড়িয়ে পড়া

আসুন আমরা আল্লাহর নাফরমানি এ জাতির মধ্যে চরম পর্যায়ে বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে একটি কথা জেনে নিন |এই জাতির জন্য শনিবারের দিন কে ইবাদতের জন্য নির্ধারিত করা উচিত এবং এই দিন তাদের কোন কিছু বিধি নিষেধ দেওয়া হয়েছিল | এমনকি মূসা আলাইহিস সালামের জামানাতেও তার জাতিকে শনিবারের দিন ইবাদত  করার জন্য আল্লাহতালা আদেশ দিয়েছিলেন নবীর মাধ্যমে | যেহেতু দাউদ আলাই সালাম এর জাতির উপরে শনিবারে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় |এই বিধি নিষেধের কারণেই তাদেরকে বলা হয়েছিল যে শনিবার বাদে তোমরা অন্যান্য দিন মাছ ধরবে | আল্লাহ তা'আলা দাউদ আলাই সালাম এর মাধ্যমে তার জাতিকে শনিবারের সীমালংঘন  যাতে না করে এর জন্য আল্লাহ তাআলা তাদের কাছ থেকে ওয়াদা নিয়েছে। 

সাগর উপকূল থেকেই তারা জীবিকা নির্বাহ করতেন তাদের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ হতো | আল্লাহর হুকুমে তারা শনিবার বাদে  সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতে মাছ ধরত এবং শনিবারে তারা ইবাদতে মশগুল থাকতো | সমুদ্রে শনিবারে মাছ না ধরার কারণে সমুদ্রে মাছের পরিমাণ বেড়ে গেল প্রচুর মাছ হতে লাগলো। সমুদ্র উপকূলে অতিরিক্ত মাছ হওয়ার কারণে আল্লাহতালা তাদেরকে পরীক্ষায় ফেলেন |কিছু অসাধু লোক লোভে পড়ে শয়তানের ধোকায় পড়ে তারা বুদ্ধি আকল এবং এবং  এবং শনিবারে আগের দিন শুক্রবার জাল ফেলে বা পাশে গর্ত করে কেনেল করে রাখতো এবং মাছগুলো যখন শনিবারে দিন দাউদ আলাই সাল্লাম এর কোরআন তেলাওয়াত শুনতে আসতো একত্রিত জমা হতো তখন তারা জালে বা গর্তে আটকা পড়তো কেনেরা আটকা পড়তো এবং যারা মাছ ধরার জন্য এই অন্যায় কাজ করেছিল তারা রবিবারে এসে মাছগুলো ধরতো |এভাবে আল্লাহ তায়ালা কথাকে অমান্য করে তারা সীমালংঘন করবে  |এবং তাদের উপরে নেমে এলো আল্লাহ তায়ালার আজাব |

আল্লাহ তাআলার আজাব

আসুন আমরা  এই পোস্ট থেকে জেনে নিন  অবাধ্যদের উপরে আল্লাহ তায়ালার আজাব কিভাবে নেমে আসে সম্পর্কে কিছু কথা | যখন অবাধ্যতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল তখন সে শহরে তিন ধরনের লোক বসবাস করে একজন ছিল এরকম যে নিজেরাই অবাধ্য ছিল |  দ্বিতীয় ব্যক্তিরা এরকম ছিল নিষেধকারীকে বাধা দিতে | দ্বিতীয় ব্যাক্তিরা এরকম ছিল  তারা তাদের সাথে যুক্ত ছিল না এমনকি তাদেরকে নিষেধ করত | এবং আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে উদ্দেশ্য করে এরশাদ করেন যখন তাদের একশ্রেণীর লোক এ কথা বলেছে আল্লাহ যাদেরকে আজাবে পতিত করবে বা তাদেরকে  ধ্বংস করে দেবে তবে তাদেরকে ভালো উপদেশ কেন দাও |তারা এই কথা বলেছিল যে সৃষ্টিকর্তার কাছে যাতে দায়ী থাকতে না হয় এবং যাতে তারা সাবধান হইতে  পারে এইজন্য | 

এত সতর্কতা করার পরও যখন মানুষ আল্লাহ তাআলার কথা কে শুনলেই না সমাজের মানুষগুলো আল্লাহতালার কথাকে মানলো না তখন আল্লাহ তা'আলা  অসম্ভব রেগে গিয়ে কঠোর সাজা দিলেন তাদেরকে মানুষ থেকে  দিবানর ও শুকুর পরিণত করলেন |সেই প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন যারা শনিবারে সীমালংঘন করেছিল মাছ ধরা বন্ধ করে নাই তোমরা জানো কারা কারা আমি তাদেরকে আজাব দিয়ে বানরের পরিণত করেছি | কিছু আয়াতের মধ্যে এই জাতিকে বানর বানানোর কথা আছে আবার কিছু আয়াতে কারিমাতে শুকর পরিণত করার কথা উল্লেখ করা আছে | 

একজন সাহাবী এ প্রসঙ্গে বলেন এই জাতির যুবকদেরকে বানিয়ে দেয়া হয়েছিল বানর এবং বৃদ্ধদের কে বানিয়ে দিয়েছিলেন শুকুর | এই আজাবে উপচিত হওয়ার পর অর্থাৎ বানর ও শুকুর হওয়ার পর তারা তাদের প্রতিবেশী অথবা আত্মীয়-স্বজনদেরকে চিনতে পারতো এবং তারা তাদের কাছে এসে অঝোরে অশ্রু ঝরায় কান্নাকাটি করতো আহাজারি করতো | কয়েকটি তাফসীরের কিতাবে এরকম উল্লেখ আছে যারা যারা অবাধ্যদেরকে নিষেধ করেছিল তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা আজাব থেকে রক্ষা করেন  আর যারা এই কাজে লিপ্ত হয়ে গেছিল তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা  সাজা দেন আজাবে পতিত করেন | আর যারা এই অবাধ্য তাই লিপ্ত হয়নি এবং কাউকে নিষেধাজ্ঞাও করেনি বা সতর্ক করেনি এই ব্যাপারে কোরআন শরীফে সেরকম কোন কথা উল্লেখ নাই তবে মুফাসসির দের মতে আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছে | 

আজাবে মৃত্যুবরণ

আসুন আমরা জেনে নিই এই অবাধ্য জাতি যারা বানর ও শুকর হয়ে গেছিল তাদের মৃত্যু সম্পর্কে কিছু কথা | এই বানর হওয়ার বা সুপুর হওয়ার তৃতীয় দিন পর মৃত্যুবরণ করেন | তারা সবাই মারা যান তারপরে তারা নির্বংস হয়ে যায় তাদের কোন কিছুই বাকি থাকে না | আর আল্লাহতালা যাদেরকে ধ্বংস করে দেন তাদের কোন চিহ্নই রাখে |

ওই অবাধ্যদের বংশধর  ইহুদীরা

 আসুন আমরা এ পোস্ট থেকে জেনে নেই ওই সময়ের অবাধ্য যারা বানর ও শুকুর হয়ে গেছে তারা কি ইহুদিদের বংশধর বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা | নবীদের সময় থেকে মানুষের মাঝে এই ধরনের ধারণা ছিল যে ওই সময়ে বানর সুখের বংশধর হয়তো ইহুদীরা |এই বিষয়টি নিয়ে যখন একজন সাহাবী রসূলুল্লাহ সাঃ কে জিজ্ঞেস করেসেসময়ের অবাধ্য জাতি যারা বানর ও শুকুর হয়ে গেছিল তারা কি এ সময় ইহুদিদের বংশধর | আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এরশাদ করলেন আল্লাহতালা কোন জাতিকে যখন ধ্বংস করে দেন তাদের বংশ দুনিয়াতে একটাও বাকি রাখেন |

এটা তো তাদের অবাধ্যতার কারণে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে শাস্তি হিসেবে তাদেরকে বানর ও শুকর বানিয়ে ছিল আর এটা তো আগে থেকেই আছে |

শেষ কথা

 আমরা এই পোস্ট থেকে জানতে পারলাম  দাউদ আ এর অবাধ্য জাতির আল্লাহ তাআলার হুকুমকে অমান্য করার জন্য তাদের কি শাস্তি হয়েছিল সে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পেরেছি এই পোস্ট থেকে | শুধু এই জাতি আল্লাহ আজাবে বানর শুকুর হয়েছে এটা না যুগে যুগে যত জাতি আসবে এবং আল্লাহর অবাধ্যতা করবে আল্লাহ তা'আলা চাইলে তাদেরকে যেকোনো শাস্তি দিতে পারে এটা আল্লাহ তায়ালার এখতিয়ার  ভুক্ত | আর আমাদেরকেযেটা করতে হবে আল্লাহ তাআলার হুকুমকে মানতে হবে এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া সৎকাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করতে হবে | অন্যদের কাছে আমাদেরকে বেশি থেকে বেশি প্রচার করতে হবে আল্লাহ তাআলার কাছে মাফ চাইতে হবে ধন্যবাদ |


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url