ইসলামের চারজন বিশিষ্ট খলিফার সম্পর্কে আলোচনা

 


আমরা অনেকেই জানিনা মুসলমানদের চার খলিফা খেলাফত সম্পর্কে আসুন তাহলে 
এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য | এখানে চারজন খলিফা খেলাফত আমল সম্পর্কে 
 বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে জানতে হলে আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকবেন।আসুন
 তাহলে জেনে নেওয়া যাক  |
পোস্ট সূচিপত্র: চারজন খলিফার খেলাফত আমল 
 ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আসুন তাহলে জেনে নিন আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিই
 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সারনিধে এসে ওই জমা সোনার মানুষের
রূপান্তরিত হয় |একেক জন আকাশের নক্ষত্র হয়ে গেছিল যাদের নাম শুনলে 
রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলা হত | মূলত যাদেরকে অনুসরণ করা হবে তারা
 যেন সৎপদ প্রদর্শক হয় সঠিক রাস্তা অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার সাথে পরিচয়
 করানেওয়ালা হয় আল্লাহর সাথে সম্পর্ক করনেওয়ালা হয় .
নবীজির সান্নিধ্য
 আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর সান্নিধ্য লাখ লাখ
 মানুষ পেয়েছি এবং তিনার সার নির্দেশে মানুষ সঠিক পথ পেয়েছি তাদের
 মধ্যে এই চারজন অন্যতম  |উম্মত্তদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ ছিল  সাহাবী
 আজমাঈনগণ  |নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহবত পাওয়ার
 কারণে তাদের চরিত্র গঠন এমনভাবে হয়েছিল যে তাদের মত মানুষ পৃথিবীতে 
 আর একটাও আসবেনা তাদের সাথে কারো তুলনা হয়। কারণ তারা রাসূলুল্লাহ 
 এমন ভাবে মানতেন যে তাদের সই সম্পদ আত্মীয়-স্বজন বউ বাচ্চা এমনকি 
 নিজের জীবনের চেয়েও বেশি প্রাধান্য দিতে জান চলে গেলেও নবীকে কেউ
 কষ্ট দিতেন নাবা তার কথাবাতিলের কথা কি কেউ অজ্ঞা রাজ্য করতেন না |
উনার কথামতো আল্লাহর হুকুমকে মেনে সবআল্লাহর হুকুমকে মেনে সবচেয়ে
 খারাপ জাতি ভালো জাতিতে রূপান্তরিত হয় | তাদের মধ্যে চারজন ব্যক্তি ছিল
 সবচাইতে উৎকৃষ্ট | চারজনের মধ্যে ছিলেন হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক ( রাদি)
ওমর( রাদি) ওসমান( রাদি) আলী( রাদি)এই চারজন সাহাবী ইসলামের যুগে
 খেলাফত পেয়েছিলেন | তাদেরকে খোলাফায়ে রাশেদিন বলা হয়  নবীজির
 পর এই চারজন সাহাবী পর্যায়ক্রমে 30 বছর ইসলামিক শাসন  আমল 
প্রতিষ্ঠিত করেন তাদের শাসন আমল সম্পর্কে কিছু জানা অজানা কথা
 তুলে ধরা হলো |
 আবু বক্কর সিদ্দিক রাযি
মোহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পর মুসলমানদের প্রথম খলিফা নিযুক্ত হন
আবু বক্কর সিদ্দিক রাদি তিনি ছোটবেলা থেকেই রাসূলুল্লাহ সাঃ এর দোস্ত
 ছিলেন |আবু বক্কর সিদ্দিক রাজি সর্বপ্রথম মুসলমান হন হুজুর সাঃ যখন
 নবুওয়াত প্রাপ্ত হন তারপর তিনি দাওয়াতের মেহনত শুরু করলে তিনার
 আহ্বানে আবু বক্কর সিদ্দিক রাঃ প্রথম মুসলমান হন তারপর তিনিও ইসলামের 
 দাওয়াত দিয়ে তার পরিবারের লোকদেরকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করে |
আবু বক্কর সিদ্দিক রাদি মেয়ে আয়েশা রাদি কে  বিয়ে করেন  সেই সূত্র
নবী করীম সাঃ এর শ্বশুর হচ্ছেন আবু বক্কর সিদ্দিক রাদি |
যুবক বয়সে আবু বক্কর সিদ্দীক রাদি একজন  বণিক হিসেবে জীবনযাপন 
করতেন  তার আয়ের উৎস ছিল | তিনি বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন
ইয়েমেন থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য শেষে ফেরত আসার পথে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
 আলাইহি ওয়াসাল্লামের  ইসলাম প্রচারের খবর পান |এরপর তিনি ইসলাম ধর্ম
 গ্রহণ করে নেন |এরপর তিনি অন্য সকলকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য
 দাওয়াত দেন |
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর খুব কাছের খুব ঘনিষ্ঠ মানুষ ছিলেন হযরত আবু বক্কর রাজি
ইসলামী দাওয়াতের প্রথম যুগে ইসলাম প্রচার করার জন্য কাফের মুশফিকদের 
 নির্মম নির্যাতনের সময়গুলোতে আবু বক্কর সিদ্দিক রাদি নবীজির পাশে ছিলেন |
হিজরতের সময়আবু বক্কর সিদ্দিক রাদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লামের   সফর 
 সঙ্গী ছিলেন | মদিনা মনোয়ারা তে হুজুর সাঃ এবং আবু বকর সিদ্দিক রাদি
একসাথে ছিলেন  |আর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিহাদ গুলিতে তিনি অংশ নিয়ে ভূমিকা
 পালন করেন | হুজুর সাঃ এর অফাতের পর তিনি প্রথম খলিফা নিযুক্ত হন এবং
এবং মুসলমানদের এনে দেন সুশাসন | দুই বছরেরও বেশি সময় তিনি খেলাফত
 স্থায়ী ছিল | এই অল্প সময়ের শাসন আমলে টিনাকে প্রচুর খারাপ পরিস্থিতির ভিতরে
 কাটাতে হয় এবং তিনি তা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন পেরেছিলেন। তিনি
 বিভিন্ন জিহাদে অংশগ্রহণ করেছিল | একজন নিজেকে নবী দাবি করেছিল  এজন্য
 এজন্য তাকে রিদার যুদ্ধে দমন করেন | আবু বক্কর সিদ্দীক রাদি ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে
  শাসানীয় ও বাইজান টাইম দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করে | এই অভিযানের 
 ফলে মুসলমান শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল কয়েক দশকের মধ্যে | আবু বক্কর সিদ্দিক রাদি
 প্রথম কোরআন মাজীদ কে বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্নভাবে লিখে যান এবং উত্তরসূরি হিসেবে
 ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে সঁপে দিয়ে যান| 
তিনি অত্যন্ত নরম মেজাজের এবং সৎ স্বভাবের মানুষ ছিলেন চলাফেরা খুবই সাদামাটা ছিল।
 তিনি তিনার স্ত্রী এবং সন্তান-সন্ততির কাছে খুব ভালো স্বভাবের মানুষ ছিলেন মোটা কাপড়
 পরিধান করতেন বাহ্যিক কোন জাঁকজমক রংচংকা মনোভাব ছিল না | নবীর পরে যদি উত্তম 
 উত্তম চরিত্রের কোন মানুষ থেকে থাকে সেটা হলো আবু বক্কর সিদ্দীক রাদি | 
আবু বক্কর সিদ্দিক রাদি  উফাত কাল ছিল 634  সালের ২৩ শে আগস্ট ২২ শে জুমা দিউস সানি
১৩ হিজরি ইন্তেকাল করেন | সালামের রোজা মোবারক এর পাশেই তিনার রওজা মোবারক |
 হযরত ওমর রাযি
আসুন আমরা জেনে নিই  ইসলামের দ্বিতীয় খলিফার  সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের সাথে
  এই আর্টিকেলটির শেষ পর্যন্ত থাকবেন ধন্যবাদ | আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ওমর
 রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  দ্বিতীয় খলিফা ছিলেন | ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু জন্ম গ্রহণ 
 করেছিলেন কুরাইশ বংশের আদ্য গোত্রে ৫৮৩ খ্রিস্টাব্দে | 
কুফরি যুগে যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম মানুষকে আল্লাহ তাআলার দিকে দাওয়াত দিতেন
 কাফের গোশতিকরা তিনার সত্য দাওয়াতকে সহ্য করতে পারতেন না নবীজিকে কষ্ট দিতেন।
 এমনকি তিনাকে  হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে এমনকি একথা বলা হয়েছিল যে মোহাম্মদ
 সাঃ কে হত্যা করতে পারবে তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে | এই ঘোষণা শুনে কাফেররা নবীকে
 হত্যা করতে( নাউজুবিল্লাহ) কেউ সাহস পায়নি কিন্তু ওমর নবীজিকে হত্যা করার জন্য রাজি
 হয়ে যান এবং সে সবসময় চিন্তা করে নবীজিকে কিভাবে হত্যা করা যায় | নবীজিকে হত্যা
 করতে গিয়ে তিনি তার বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পেয়ে নবীজির হাত ধরে ইসলাম
 ধর্ম গ্রহণ করেন | দেখেন সৃষ্টিকর্তার খেলা যাকে হত্যা করার জন্য তরবারি নিয়ে আঘাত
 করার জন্য দৌড়িয়ে আসলেন আবার তার হাতেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলো |
 তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর খোলা তরবারি নিয়ে ইসলামের পক্ষে ঘোষণা করলেন
 আজ থেকে প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত প্রচার করা হবে| ওমর রাদি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ
 করার কারণে মুসলমান আরো শক্তিশালী হয়ে উঠল।  ওমর রাদি কাফের থাকা কালীন কেউ
 প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত দিতে পারত না |  ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ইসলাম ধর্ম
 গ্রহণ করার পর তিনি প্রকাশ্যে কাবা ঘরের সামনে কালেমার বাণী অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার 
একত্ববাদ ও নামাজের কথা প্রকাশ্যে সজোরে  ঘোষণা দিলেন | ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর
 সব সময় নবীজির  সংস্পর্শে থাকতেন এবং তিনি ইসলামের জ্ঞান ও শরীয়ত  বিধি-বিধান
 শিখতে শুরু করেন | এবং তিনি দ্বীন সম্পর্কে অনেক দক্ষ হয়ে যান আর সব সময় তিনি
 রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সঙ্গে থাকতেন তিনার ভালো দিনগুলো খারাপ দিনগুলোতে সব সময়
পাশে থাকতে সাহায্যকারী হিসেবে | তার নবীজির প্রতি এত মহব্বত এত ভালোবাসা ছিল
 যে আর কোন জিনিসের প্রতি এত মোহাব্বত আর ভালোবাসা চেনার ছিল না|  মূলত
 প্রকৃত মুসলমান যে হবে তারতো নবীর প্রতি ভালোবাসার মহাব্বত এত বেশি হবে যে  নিজের
 জানের চাইতেও অধিক মহব্বত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সালামের প্রতি হতে হবে তাহলে সে পাক্কা 
 ঈমানদার | তিনি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সঙ্গে বিভিন্ন জিহাদে অংশগ্রহণ করে যেমন উহুদ খাইবার খন্দক
 হোসাইন প্রভৃতি যুদ্ধে যোগদান করেন এবং বীরত্ব সাথে যুদ্ধ করে | 
প্রথম খলিফা আবু বক্কর সিদ্দিক রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহুর ওফাতের পর দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে
 ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু নিযুক্ত হন | তিনি অর্ধ পৃথিবী শাসন করতে তিনি সর্বকালের সেরা
 শাসক হিসেবে পরিচিতি লাভ করে | তিনি অর্ধ দুনিয়ার শাসক হওয়া সত্বেও খুবই সাদামাটা জীবন 
 যাপন করতেন  |টিনার খেলাফত কাল ছিল( ৬৩৪ - ৬৪৪) দশ বছরের কিছু বেশি সময় খেলাফতের 
 দায়িত্ব পুঙ্খানুপুঙ্খ পালন করে গেছে | তিনার শাসনামলে দ্বীন ইসলামের প্রচার প্রসার ব্যাপক হয়ে যায় |
 ভাইজেন টাইম ও  শ্সানীয় সাম্রাজ্যের অর্ধেকের বেশি মুসলমানদের দখলে চলে আসে  |কোরআন হাদিসের 
 জ্ঞান ছিল অপরিসীম  তিনার কৌশল বিচক্ষণতা ও বিজ্ঞান সমগ্র আরবের কাছে হয়ে উঠেছিলেন বিখ্যাত | 
তিনি ২৬ শে জেল হজ 23 হিজরীর 644 খ্রিস্টাব্দে শাহাদত বরণ করেন | তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রে
 শাহাদাত বরণ  করেন। 
 হযরত ওসমান ইবনে আফফান রাদি
আসুন আমরা জেনে নিই এই আর্টিকেল থেকে আরেকজন খলিফা হযরত ওসমান ইবনে আফফান রাদি
 সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা কথা না জানলে আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটিতে থাকবেন ধন্যবাদ |
ওসমান ইবনে আফফান মুসলিম বিশ্বে চার খলিফার মধ্যে তিনি তিন নাম্বার খলিফা ছিলেন | তিনি জন্মগ্রহণ
 করেন ৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে  হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হুজুর সাল্লাল্লাহু সালামের দুই মেয়েকে
 বিবাহ করেছেন এজন্য তাকে জুন নূর আইন বলে ডাকা হতো যেটার অর্থ হলো দুই নূরের মালিক |
ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু সাহাবীদের মধ্যে ছিলেন তিনি খুবই দয়ালু ও উদার মনের মানুষ ছিলেন
তিনি দ্বিতীয় খলিফা নিযুক্ত হওয়ার পর তিনার উদারতা ও দানশীলতা আরো বেড়ে যায় তিনি নিজ সম্পদ থেকে
 জনগণকে সাহায্য করতেন খাদ্য খাবারের ব্যবস্থা করতেন  | ইবনে কুতাইবা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন
 আফ্রিকা মিশর ত্রিবিশ রুম প্রথম পারস্য টিভি স্থান কিরমান আল আচারিয়া জর্দান মারুফ ওস্তাগার ইত্যাদি এলাকা
 বিজয় লাভ করে | আল্লাহর নবী বলেন যাকে দেখে ফেরেশতাদের লজ্জা পায় আমি তাকে দেখে কেন লজ্জা পাবো না? তিনি জীবজন্ত থাকা অবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন আল্লাহর নবী নিজেই ওসমান রাদি শাহাদত এর বিষয় বলে যান | ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ৬৫৭ খ্রিস্টাব্দে অষ্টআশি ৮৮ বছর বয়সে শাহাদাত বরণ করে 
 তিনার সিনায় কোরআনের এলেম পরিপূর্ণভাবে রক্ষিত ছিল কোরআনের তাফসীর সম্পর্কে ওনার জ্ঞান প্রচুর ছিল
 একবার আল্লাহর  নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওসমান ইবনে আফফান রাঃ সিনাই হাত রেখে দোয়া করেছেন  যাতে কোরআনের এলেম কিনার সিনায় পরিপূর্ণভাবে ঢুকে যায় | এবং রাসুলুল্লাহ সাঃ একটা কথা
 বলেছিলেন যে আসহাবে কাফের ব্যাপারে দুই একজন জানে তার মধ্যে ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু একজন | লিখার শেষ নামে কিছু আছে তার খেলাফতের সময়কাল  ১২ বছর হতে ২৬ দিন বাকি ছিল |
হযরত আলী রাদি
আসুন আমরা জেনে নিই হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মুসলিম বিশ্বের চরিত্র খলিফা সম্পর্কে
 কিছু জানা-অজানা কথা জানতে হলে আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকবেন ধন্যবাদ | চলুন দেরি না করে
 জেনে নিন মুসলিম বিশ্বে আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা চতুর্থ খলিফা ছিলেন |  তিনি নবী মুহাম্মদের রাসূলুল্লাহ
 সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর চাচাতো ভাই ছিলেন | তিনি আবু তালিবের ছেলে এবং নবীজির জামাতা ছিলেন তিনি
 মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সাঃ কলিজার টুকরা কন্যা ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহাকে বিবাহ করেছিলেন |
আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মক্কার কুরাইশ বংশের বুনহসীম গোত্রে ৬০০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন |
 তিনি শৈশবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তখন তার বয়স ছিল ১০ বছর বালকদের মধ্যে তিনিই প্রথম ইসলাম ধর্ম 
 গ্রহণ করেন | ইসলামের শুরু কাল থেকেই আলী রাদি ছিলেন নবীজির খুবই প্রিয় পাত্র | 
 ইসলামের চরম বিশ্বাস করতেন  |  তিনিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাম কে মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন এবং মানতেন
তিনি বদর খাইবার হুদাইবিয়া সন্ধি মনের যুদ্ধে হিয়ার মুখের যুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই করেছেন
 
তুমি আজীবন সাদাসিধা সহজ সরল জীবন যাপন করেছেন নিজ হাতে কাজ করে উপার্জন করেছেন
 খেয়ে না খেয়ে গরিব  অবস্থায় জীবন যাপন করেছেন ওসমানের আমলে চরম বিদ্রোহ বিদ্রোহ দেখা দিলে আলী রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন |
ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর উফাতের পর  পুরা আরবের অনুরোধে তিনি খলিফার দায়িত্ব নেন।
 আলী রাঃ   খেলাফতের দায়িত্ব পালন করে আট বছর ৮ মাস ২৩ দিন ১৭ই রজব ৪০ হিজরির ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে
 কুফা নগরীতে  ওফাত হয় | 
শেষ কথা
  আজকের এই আর্টিকেলটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ | আমরা
 এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারলাম মুসলমান বিশ্বের চার খলিফার নাম এবং তাদের শাসন আমল
 তারা যেরকম মানুষের প্রতি সদই দানশীল ও দয়ালু ছিলেন তেমনি শত্রুদের প্রতি ও কঠোর ছিলেন |
 তাদের শাসনামলের কথা আজও মানুষের মুখে শোনা যায়। বিভিন্ন কিতাবাদীতে সুস্পষ্ট অক্ষরে
 লিপিবদ্ধ করা আছে | তারা ছিল উত্তম অধীর চরিত্রের অধিকারী কারণ তাদের ওস্তাদ ছিল  আমাদের
 প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ তুমি আমাদের ওস্তাদ আমাদেরও পথপ্রদর্শক আমরা যদি তিনার 
 দেখানো পথে চলে আমরাও হেদায়েত পেয়ে | আজকে আর্টিকেলটি আপনাদের বন্ধুদের কাছে 
 বেশি বেশি শেয়ার করবেন আর কমেন্টে আমাদেরকে জানাবেন এবং উৎসাহিত করবেন।
 ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন ধন্যবাদ।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url