চারজন নারীর জীবন কাহিনী সম্পর্কে আলোচনা
আপনারা কি জানেন কোরানে বর্ণিত দুইজন ঈমানদার মহিলা ও দুজন বেইমান মহিলা সম্পর্কে কি আলোচনা করা হয়েছে যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে আজকে এ পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাবো দুই জন ঈমানদার এবং দুইজন বেইমান মহিলা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু কথা আপনারা যারা এই পোস্টটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আছেন তারা এ প্রশ্নের
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি অন্যদের কাছে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক এ সম্পর্কে কিছু কথা |
পোস্ট সূচিপত্র: ঈমানদার বেইমান নারী সম্পর্কে আলোচনা
ভূমিকা,
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি বিশ্বের দুজন ঈমানদার মহিলা এবং বেইমান মহিলা সম্পর্কে কোরআনে আলোচনা করা হয়েছে আপনারা যারা জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তাহলে দেরি না করে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই |
দুইজন ঈমানদার নারী
আসুন আমরা এ পোষ্ট থেকে জেনে নেই দুইজন ঈমানদার নারী সম্পর্কে কিছু কথা দুইজন নারীর মধ্যে একজন নারী হচ্ছে একজন মরিয়ম আলাইহিস সালাম দ্বিতীয় জন ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া চলুন এই দুইজন ঈমানদার নারী সম্পর্কে আমরা কিছু তথ্য জেনে নিই জানতে হলে আপনারা আমাদের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটিতে থাকবেন আশা করছি |
মরিয়ম( আ )
আসুন আমরা এই পোস্টে থেকে জেনে নিই মরিয়ম আলাইহিস সালামের কিছু কথা | মরিয়ম আলাইহিস সালাম একজন নারী যিনি ঈমানদার ছিলেন | তিনি একজন সত্যবাদী ও ধার্মিক ও সম্মান অধিকারী ছিলেন | তিনি খুব ছোটবেলা থেকেই বাইতুল মসজিদের খেদমত করতে |সেসময়ের নবী ছিলেন জাকারিয়া আ সে মারি আমাকে দেখে মারিয়ামের দায়িত্ব নিতে চান | এবং একটা মাধ্যম ব্যবহার করেছিলেন সেটা হল লটারি আর এই লটারিতে তিনবার জাকারিয়া আলাই সালাম এর নাম ওঠে এবং তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন | এবং এবং মারিয়াম আঃ এর থাকার জন্য তিনি সেখানে একটা কক্ষ নির্ধারণ করে দেন সে কক্ষটি তিনি থাকেন এবং সে কক্ষে তিনি ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতেন না | আর একটা বিষয় জাকার আঃ খেয়াল করতেন যখনই তিনি মারিয়ামের রুমে প্রবেশ করতেন দেখতে পেতেন সেখানে বে মৌসুমী ফল অর্থাৎ এমন কিছু ফল সেখানে দেখতে পেতেন সে ফলগুলোর মৌসুম তখন ছিল না জিজ্ঞেস করেন তুমি এসব ফল পেয়েছ কোথায় এগুলা তো এই সময় পাওয়ার কথা তখন মারিয়াম আঃ জবাব দেন যে আল্লাহ তাআলা আমাকে এগুলো দিয়েছেন তিনি যাকে চান তাকে অসীম রিজিক দান করেন | হঠাৎ করে একদিন মারিয়াম আলাইহিস সালাম পূর্ব দিক হয়ে কাপড় শুকাইতে ছিলেন বা মেলতে ছিলেন তখন হঠাৎ করে জিব্রাইল আলাই সাল্লাম তার সম্মুখে মানুষ রুপে আসলেন অতঃপর মারিয়াম আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভীতু সন্তুষ্ট হলেন তাকে আল্লাহর দোহাই দিয়ে বললেন যে তুমি যদি আল্লাহকে ভয় করে থাকো তাহলে আমার কোন ক্ষতি করো না জিব্রাইল আলাই সাল্লাম বললেন আমি তোমার প্রভুর প্রেরিত আমি তার হুকুমেই তোমার কাছে এসেছি এবং তোমাকে একটি পুত্র সন্তান দিতে এসেছি মারিয়াম বলেন এটা কিভাবে সম্ভব কেননা আমি তো ব্যভিচারিনী মহিলা না তাহলে এটা কিভাবে সম্ভব |এভাবেই সম্ভব তোমার পুত্র সন্তান হবে আর এটা আমার জন্য কোন ব্যাপার না তারপর জিব্রাইল আলাই সাল্লাম এর মারিয়াম আলাইহিস সালামের মুখে অথবা তার বুকের ফুঁক দিলেন এতেই তিনি সন্তান সম্ভাব্য হলেন | আর এই দৃষ্টান্তর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানব জাতির কাছে একটা নিদর্শন রেখে যেতে চাও যে আল্লাহ তায়ালা যা চান তাই করেন বাবা ছাড়াও সন্তান দিতে পারে বাপের দাঁড়াও সন্তান দিতে পারে মা ছাড়া আল্লাহতালা পৃথিবীতে সন্তান দিতে পারেন আল্লাহতালার কাছে কোন ব্যাপার না | অনেক লম্বা ঘটনা তিনি সন্তানসম্ভব হলেন ওই অবস্থায় তিনি অনেক দূরে চলে গেলেন একটি খেজুর গাছের নিচে আশ্রয় নেয় আল্লাহতালা তার তার কুদরতে খেজুর গাছের নিচ দিয়ে নহর প্রবাহিত করলেন। কিরে চিন্তায় পড়ে গেলেন যে হাই যদি আমার মৃত্যু হয়ে যেত তাহলে মানুষ ভুলে যেত আমার স্মৃতি কারণ সে তো সম্মানী এবং সম্মান এবং বংশের মেয়ে ছিল এই কারণে তার ভিতরে একটা লজ্জা একটা আত্ম সম্মানবোধ কাজ করছিল কারণ সে তো কুমারী ছিল এবং কারো সাথে মিলন করাই ছাড়া বাচ্চা পেটে আসে | আল্লাহ তাকে প্রতিশ্রুতি দেন সময়মতো বাচ্চা হয় এবং সেই বাচ্চাকে নিয়ে লোকালয়ে চলে যায় মানুষ নানা রকম প্রশ্ন করবে এভাবে লজ্জাবোধ করে তখন আল্লাহ তা'আলা তাকে এই পয়গম পাঠায় যে তোমার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিবে তোমার ওই গর্ভের সন্তান একদিন অথবা দুই দিনের বাচ্চা লোকালয়ে গিয়ে মানুষকে আল্লাহ তাআলার বড়ত্বের কথা বলে দাওয়াত দেয় তিনি বলে যে আমি আল্লাহর নবী আল্লাহ তায়ালা আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছে তোমাদেরকে এ কথা বলতে তোমরা যাতে আল্লাহ তায়ালাকে মানো আল্লার হুকুমের উপরে চলো | মহিলার পেট থেকে নবী হওয়া এটা শুধুমাত্র ঈমানদার মহিলার জন্যই সম্ভব আর আল্লাহতালা নবীদেরকে জন্ম দিয়েছেন ওই সমস্ত মদের মাধ্যম দিয়ে যারা দুনিয়াতে সবচাইতে চরিত্রবান মহিলা ছিল এবং পরিপূর্ণ ঈমানের অধিকারী ছিল |
ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই আসিয়া সম্পর্কে কিছু কথা আসিয়া বেইমান কাফের মূর্তিপূজক নিজেকে খোদা দাবি কারি আসিয়ার স্ত্রী ছিলেন | তিনি মুসা আলাই সালাম এর দাওয়াতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং নিজের স্বামীর বিরোধিতা ফেরাউনের মত একটা কাফের সে কেমন ছিল সে সবসময় নিজেকে খোদা দাবি করতে কিন্তু আসিয়া ইমান আনার পরে ফেরাউন কে কখনো খোদা বলে মেনে নেয় এই ফেরাউন নিজের স্ত্রীকেও শাস্তি দিতে ছাড়েনা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঈমান যে এনেছিল সেই ঈমানের প্রতি মৃত্যু শয্যাতেও সে অটল ছিল ইমামি হালতে মৃত্যুবরণ |
দুইজন কাফির নারী
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই দুইজন কাফের নারী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা |এই দুইজন নারী দুইজন নবীর স্ত্রী ছিলেন একজন ছিলেন নূহ আঃ এর স্ত্রী আর একজন লুত আলাইহিস সালাম এই দুইজন কাফের ছিলেন অর্থাৎ এরা তাদের বাপ-দাদারা যে শেরেকি এবং কুফুরিতে লিপ্ত ছিল তাতেই তারা বিশ্বাস করত তাদের স্বামী নবী হওয়া সত্ত্বেও তারা তাদের স্বামীদের কথা মানেন নাই অস্বীকার করছে কটাক্ষ করেছে আসুন তাদের সম্পর্কে কিছু আলোচনা নিচে উল্লেখ করা হলো |
ওয়াহিলা
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই ওয়াহিলা অর্থাৎ নুহ আলাই সাল্লাম স্ত্রী সম্পর্কে নবী হওয়া সত্ত্বেও তিনার স্ত্রী বেইমান ছিলেন তারা তাদের বাপ-দাদার ধর্ম অর্থাৎ তারা যে শিরক মূর্তিপূজার ভিতর লিপ্ত ছিল এ কাজগুলোই নুহ আলাই সাল্লাম এর স্ত্রী করত নুহ আলাই সালাম এত বুঝাই মানতো না | নূহ আঃ সালামের স্ত্রী কাকে কটাক্ষ করতো তিনি মানুষকে দাওয়াত দিতেন তো মানুষটাকে এরকম কষ্ট দিতেন যে পাথর মারতে মারতে তাকে রক্তাক্ত করে দিতে | তিনি সবাইকে সতর্ক করার জন্য মহা প্লাবনের কথা বললেন যে তোমরা যদি আল্লাহতালাকে না মানো তাহলে তোমাদের উপরে মহাপ্লাবন তোমাদের সবাইকে ধ্বংস করে দিলাম কেউ তার কথা শুনতেই না এমনকি তার স্ত্রীও তার কথায় কটাক্ষ করতো শ্রদ্ধেরশ সীমা ছাড়িয়ে গেল। তারা তাদের গুনাহ ও পাপাচারিতা লিপ্ত হয়ে গেল। এবং সীমা অতিক্রম করল আর আল্লাহতালা তাকে হুকুম দিল আপনি একটা কিস্তি তৈরি করুন আর সেখানে ঈমানদার মানুষগুলো আর প্রত্যেকটা প্রাণীর একজোড়া করে কিস্তিতে উঠিয়ে নিবেন আর আল্লাহর হুকুমে প্লাবন শুরু হয়ে গেল এবং নুহ আলাই সালাম এর স্ত্রী ও সন্তান সেই প্লাবনে ধ্বংস এই প্লাবনটি ছিল সবচাইতে বড় ধ্বংসাবশেষ এরকম ধ্বংসাবশেষ প্লাবন আর হয়নি।
আয়াইলা
আসুন আমরা এ পোস্টটিকে জেনে নেই লুত আঃ এর স্ত্রী সম্পর্কে কিছু কথা । লুত আঃ একজন নবী ছিল তা সত্ত্বেও তিনার স্ত্রী একজন কাফের ছিল তার স্ত্রী তার বাপ দাদার ধর্ম অর্থাৎ মূর্তিপূজা শেরেক কাজে লিপ্ত ছিল লুত আলাইহিস সাল্লাম তার গরমের লোককে সবসময় এই কাজগুলো করতে বাধা দিত এমনকি তার স্ত্রী কেউ নিষেধ করত তোমরা এই ধরনের শেরেকি ও গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকো নচেৎ আল্লাহতালা তোমাদের উপরে আজাব পাঠালাম তারা তো কথা শুনলেই না বিভিন্ন নিত্য নতুন খারাপ বলে যে তারা সমকামিতার মতো খারাপ কাজে লিপ্ত | এবং আল্লাহতালা ফেরেস্তা পাঠালেন লুত আলায়হি সাল্লামের কাছে এবং তাকে সতর্ক করতে বললেন তার কওমের লোককে কারণ অতিশীঘ্রই আল্লাহর পক্ষ থেকে আদাবের বার্তা নিয়ে এসেছিল এই ফেরেস্তাগুলো ফের ফেরেশতাগুলো আরো বলে আপনার স্ত্রী কেউ ছাড়া হবে না তবে একটা রাস্তা বলা যেতে পারে সেটা হলো যে ধ্বংসের সময় আপনারা কেউ থাকবেন না সেখান থেকে চলে যাবেন আর যে পিছন ফিরে তাকাবে আজাদ শুরু হয়ে গেল দুর্ধর্ষ সেই আজাব আর লুত আলাইহিস সালাম তার পরিবারকে নিয়ে পলায়নের সময় তার স্ত্রী পিছন ফিরে তাকায় এবং সেখানেই চিরতরে মূর্তি হয়ে যায় এখনো সে মূর্তিটা বিদ্যমান আছে কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে |
শিক্ষনীয় বিষয়
আসুন আমরা শিক্ষণীয় বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন এই চারজন মহিলার মধ্যে পার্থক্য এটাই হল যে দুইজন আল্লাহতায়ালার হুকুমের গোলাম ছিল আল্লাহ তালাকে রব বলে মেনে ছিল এজন্য আল্লাহতালা তাদেরকে দুনিয়াতে সম্মান দান করেছেন এবং মৃত্যুর পরেও তাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন | এই দুইজন ঈমানদার মহিলার মধ্যে একজন তো কাফেরের স্ত্রী ছিল | আর দুইজন নবীর স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তারা এক আল্লাহকে না মানার কারণে আজাবে পতিত হয় আল্লাহতালা এটা দেখাই দিয়েছেন চাইছে যে হোক না কেন সম্পদশালী হোক ক্ষমতাশালী হোক অর্থশালী হোক চাই সে নবীর স্ত্রী হোক। কিন্তু সে যদি আল্লাহকে না মানে আল্লাহ তালাকে শাস্তি স্বরূপ জাহান্নামে দিবেন |দুনিয়াতেও বেহেশত করবেন আর চাই সে কাফেরের স্ত্রী হোক না কেন যদি সেই ঈমানদার হয় আল্লাহকে মানলে বলা হয় তো সে দুনিয়াতেও ইজ্জত পাবে মৃত্যুর পরেও জান্নাতের মতো পুরস্কার পাবে |
শেষ ভাবনা
আমরা এ পোস্ট থেকে জানতে পারলাম চারজন মহিল সম্পর্কে দুইজন ঈমানদার ছিল আর দুইজন বেইমান ছিল আজকে আমরা কষ্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের আত্মীয়-স্বজনদেরকে জানাবো বন্ধুবান্ধবদেরকে জানাবো বেশি বেশি শেয়ার করব নিজেরা সতর্ক হব আল্লাহতালার কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাইবো আল্লাহ তায়ালা যেন সবাইকে মাফ করে দিও হেদায়েত দান করে আমীন |
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url