ব্রেন স্ট্রোক এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা

 


আপনারা সকলে স্ট্রোক সম্পর্কে অবগত আছে আপনারা সকলেই স্টোক সম্পর্কে জানেন আমরা আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি স্টক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আপনারা যারা জানেন না তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এই জন্য আপনারা সকলে মনোযোগ সহকারে শুরু


থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটিতে থাকবেন আশা করছি | চলুন তাহলে দেরি না করে আজকে মূল বক্তব্যে চলে যায় চলুন তাহলে দেরি না করে | 

পোস্ট সূচিপত্র: ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রতিকার 

 ভূমিকা

 প্রিয় পাঠক আশা করি ভালো আছো আমিও ভালো আছি এই জন্য আজকে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি  স্ট্রোক সম্পর্কে কিছু কথা জানতে হলে এ আঁটি গেলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন ইনশাআল্লাহ |

 ব্রেন স্টোক কি

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিন স্ট্রোক কাকে বলে স্ট্রোক বলতে আমরা বুঝি যে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ অথবা রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়াকে অথবা রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাও কে বোঝায় | যার কারণে মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষ মারা যায় বা কাজ করা বন্ধ করা দেয় | মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ গুলো যখন মারা যায় তখন শরীরের কার্যক্ষমতা ক্ষতি করে বা  ক্ষমতা হারিয়ে যায় |


স্ট্রোকের লক্ষণ

 আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিয়ে স্টকের লক্ষণ সম্পর্কে কিছু কথা | পুরুষ ও মহিলার উভয়ের ক্ষেত্রে স্ট্রোক তাই একই রকম তবে ব্রেন স্ট্রোক মহিলাদের সংখ্যা বেশি | সাধারণভাবে ব্রেন স্ট্রোকের কিছু লক্ষণ দেখা যায় সে সম্পর্কে নিজে উল্লেখ করা হলো |

এক চোখ অথবা দুই চোখেই ঝাপসা বা কালো অন্ধকার দেখা |

 কথা বলতে অসুবিধা হওয়া বা আটকে যাওয়া বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়া | 

হাঁটাচলা অথবা নিজের শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখতে অসুবিধা হওয়া |

হাসির সময় এক পাশের ঠোঁট নিচের দিকে ঝুলে যাওয়া |

 মাথা ব্যথা করাএকটি হাত অথবা একটি পা শক্তি কম অনুভব করা |

বমি অথবা অজ্ঞান হয়ে হঠাৎ করে উঠলে মাথা ব্যথা করা |

ব্রেন স্টোকের কারণ

আসুন আমরা এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো ব্রেন স্টোকের কারণ সম্পর্কে কিছু কথা জানতে হলে আমাদের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন আশা করছি | ব্রেন স্টকের কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো,

তামাক বা বিড়ি পান করা |

 অতিরিক্ত মদ্যপান করা |

 অতিরিক্ত রক্তচাপ হওয়া |

 ডায়াবেটিসের কারণেও হয় |

অতিরিক্ত টেনশন করা ঘরে বসে থাকা |

রাত্রি জাগরণ করা ঘুম না আসা |

ব্রেন স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রথমে আপনাকে আপনার জীবনযাত্রা পরিবর্তন করতে হবে | এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে তাহলেই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব | তবে  একবার ব্রেন স্টপ কেউ যদি করে খুব কম সংখ্যক মানুষ  স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে | স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব না সামান্যতম হলেও মানুষের ভিতরে দুর্বলতা থেকেই যায় | এমনকি তাকে বাকি সময়টা বাকি জীবনটা সতর্কতার সাথে কাটাইতে হবে কোন রকম টেনশন চিন্তাভাবনা করলে এভাবে বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে |

ব্রেন স্টোক নিয়ে কথা

 থেকে জেনে নিন ব্রেন স্টোক নিয়ে কিছু কথা | সারা বিশ্বে যখন করুণা মহামারী ছড়ায় এবং মানুষের জীবনযাত্রা বা কাজকর্ম দুর্বিষহ হয়ে পড়ে | তখন থেকে বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে টকের পরিমাণ বেড়ে যায় করুণা ভাইরাসের আগে বাংলাদেশে ব্রেন স্ট্রোকের পরিমাণ এতটা ছিল না | করোনা ভাইরাস সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে যাওয়ার পর আমাদের বাংলাদেশ বেশিরভাগ মানুষ ব্রেন স্টক  করে এমনকি খুব অল্প বয়সে যুবক ছেলেরা এই স্ট্রোকের শিকার হয় যেটা এত অল্প বয়সে করার কথা ভাবাই যায় কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ২৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মানুষের ব্রেন স্টক হয় এবং এর উপরের বয়সের লোকদেরও ব্রেন স্টক ঘটে বেশি | 


তবে  করোনা ভাইরাসের পর থেকে মানুষের ব্রেন স্টক হওয়ার কারণটা হলো এ ভাইরাস মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়লে মানুষ নিমেষে মারা গিয়ে শেষ হয়ে যাবে এজন্য এ ভাইরাস যাতে একে অপরের শরীরে ছড়াইতে না পারে এই জন্য সারা বিশ্বে প্রতিটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয় | এই লোকডাউনের ফলে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে না নিজের কর্ম আর এই লকডাউনটা লম্বা সময় হওয়ার কারণে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলে যার ফলে অধিকাংশ মানুষ স্টকে আক্রান্ত হয় এবং পারিবারিকভাবে বিভিন্ন রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয় |


আরো পড়ুন:পাইলস কাকে বলে


 এই করোনা মহামারীতে অনেক মানুষ ব্রেন স্টকে আক্রান্ত হয় তাদের কর্মস্থল বা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে না পারার কারণে কর্মস্থলে যেতে না পারার কারণে মানুষ বিভিন্ন টেনশন আর চিন্তায় পড়ে ব্রেন স্টোক করে বসে বিশেষ করে যাদের হাই প্রেসার বা ডায়াবেটিস রয়েছে এ সমস্ত মানুষগুলো এই মহামারিতে ব্রেন স্ট্রোক করে |


তবে করুণা মহমানীর আগ মুহূর্তে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক ছিল এবং কর্মস্থল বা কর্মীর জায়গাগুলো ঠিকঠাক ছিল মানুষ নিয়মিত কাজে ফিরত কাজ করত অফিস আদালত সব স্বাভাবিক চলত এই কারণে মহামারির আগে চোখের মতো দুর্ঘটনা খুবই কম ছিল দেখা যাবে যে এলাকা প্রতি একজন দুইজন খুঁজে পাওয়া মুশকিল ছিল | তবে করুণাময়ী থেকেই সারা বিশ্বে  ব্রেন স্ট্রোকের রোগী অনেক পাওয়া যায় সুস্থ সবল মানুষ আমরা দেখেছি কিন্তু করুনার পরে ঘরে অকেজো বস্তুর মত  পড়ে রয়েছে | আমার নিজের বাবাও করোনা ভাইরাসের সময় ব্যবসা বন্ধ থাকার কারণে চিন্তা ভাবনায় স্টক কর |


 এজন্য স্টকের জন্য প্রথমত আমাদেরকে কোন রকম টেনশন করা যাবে না কারণ টেনশনেই সবচাইতে বড় রোগ আর যাদের ডায়াবেটিস ভাই প্রেসার আছে এদেরকে তো আরো টেনশন করা মেয়েদেরকে সবসময় নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে | সুন্দর ও সুস্থ জীবন সকলের কাম্য তাই নিজেদের শরীর নিজেদেরকে যত্ন নিতে হবে | 

ব্রেন স্ট্রোকের প্রতিকার

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিন ব্রেন স্ট্রোক থেকে প্রতিকার সম্পর্কে কিছু কথা জানতে হলে আমাদের সাথে পোস্টে শেষ পর্যন্ত থাকবে চলুন তাহলে জেনে নিবেন |ব্রেন স্টোক প্রতিরোধ করার জন্য আমাদেরকে যে সমস্ত দিকগুলো খেয়াল করতে হবে সেগুলো হচ্ছে আমিষ বা চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না পরিহার করতে হবে মাদক অথবা অ্যালকোহল যুক্ত বা ধূমপান করা যাবে না | প্রতিদিন মিনিমাম ১ ঘন্টা ব্যায়াম করতে হবে এবং প্রতিদিন এমন ভাবে হাঁটতে হবে যাতে শরীর ঘামে মিনিমাম ৪০ মিনিট |


বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হবে একটু বয়স বেড়ে গেলে গরু বা খাসির গোস্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কোন বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা টেনশন মুক্ত থাকতে হবে সবসময় হাসিখুশি থাকতে হবে তাহলে  রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব | 


মিনিস্ট্রোক কি

 আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিইনি ঘনিষ্ঠক সম্পর্কে কিছু কথা মিনিট বলা হয় মস্তিষ্ক কিছু সময়ের জন্য রক্তক্ষরণ বা রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং পুনরায় আবার রক্ত সঞ্চালন শুরু হওয়া এই কারণে মিনিস্ট্রোক হয় |

 ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ এ সমস্ত কারণ থেকে মিনিস্ট্রোক  হয় | 

মিনি স্টকের লক্ষণ

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিন মিনি স্টক সম্পর্কে কিছু কথা জানতে হলে এ পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন | মিনি স্টকের লক্ষণ নিচে উল্লেখ করা হলো.

হঠাৎ কথা এড়িয়ে যাওয়া

 এক হাত এক পা ঝিমঝিম অথবা অবশ হয়ে যাওয়া |

 মাথা ব্যথা করা ঠোঁট একদিকে ঝুলে যাওয়া |

 শরীরের ভারসাম্য  কমে যায় চোখে অন্ধকার দেখা |

শরীরের ওজন কমে যাওয়া বা চলাফেরায় ভারসাম্য না থাকে |

এ সমস্ত উপসর্গ গুলো হলো মিনি স্টকের লক্ষণ আসলে মিনি স্ট্রোক যখন কারো হয় হওয়ার পরে তা আপনা আপনিই সেরে যায় এমনকি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেও সেরে যায় |


শেষ কথা

 আজকের এই পোস্ট থেকে আমরা জানতে পারলাম স্ট্রোক বা ব্রেন স্ট্রোক সম্পর্কে কিছু কথা এজন্য যে আমাদের শরীর অনেক দামি এই জন্য নিজের শরীরকে সুস্বাস্থ্য রাখতে হলে আমাদেরকে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং স্ট্রোকের মতো রোগ থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে উপরে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপরে খেয়াল রেখে নিজের উপরে যত্নবান হতে হবে | আপনারা যারা ব্রেন স্টোক সম্পর্কে জেনেছেন তারা অন্যদেরকে জানাবেন নিজেরা সতর্ক থাকবেন অন্যদেরকে সতর্ক করবেন আমাদের ভুল ত্রুটি গুলোকে মাফ করবেন ধন্যবাদ |


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url