নবজাত শিশু দেখা শোনা নিয়ে ঘরোয়া কিছু টিপস

 

এমন কোন দম্পতি নাই যে সন্তানের জন্য লালায়িতলা আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো নবজাত শিশু নিয়ে ঘরোয়া কিছু টিপস সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব |অনেকেই আপনারা জানেন বিশেষ করে এই যুগের মানুষের | আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো কিভাব


নবজাত শিশুর ঘরোয়া কিছু টিপস যেটা আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে | জানতে হলে আমাদের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ওই পোস্টে থাকবেন আশা করছি চলুন তাহলে দেরি না করেই জেনে নিন |

পোস্ট সূচীপত্র:নবজাত শিশু দেখাশোনা নিয়ে ঘরোয়া কিছু টিপস

 ভূমিকা

 প্রিয় পাঠক, আজকের এই পোস্টটিতে আমরা নিয়ে এসেছি নবজাতক শিশুর ঘরোয়া কিছু টিপস সম্পর্কে। আপনারা যারা শুদ্ধ বাবা-মা হয়েছেন বা হতে চলেছে তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ | এজন্য আজকের পোস্টটিতে আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন তাহলে  আপনারা কাঙ্খিত বিষয়টি খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন চলুন তাহলে দেরি না করে |

গর্ভবতী মায়ের দেখাশোনা

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই গর্ভবতী মায়েদের দেখাশোনা সম্পর্ক | প্রতিটা মা-বাবার সন্তান সন্ততি  চাই এবং সন্তান হলো আল্লাহ তাআলার বিশেষ নেয়ামত | দাম্পত্য জীবনে বাচ্চাকাচ্চা জন্ম নেওয়া জীবনে অপূর্ণতা পূর্ণতায় রূপান্তরিত | একটি পরিবার বাচ্চা জন্ম নেওয়া সবারই কাম্য সবাই বাচ্চার জন্য লালায়িত থাকে | 


বাচ্চা যখন মায়ের গর্ভে আসে তখন থেকেই মায়ের দিকভাল এবং গর্ভের সন্তান যাতে  গর্ভেই সুন্দর হবে লাগিত পালিত হয় এজন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য মাকেই সবসময়  সচেতনতা অবলম্বন করতে হয় | নিয়মমাফিক খাওয়া-দাওয়া পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে ঠিকমতো ঘুমাতে হবে এবং গর্ভের শিশু যাতে  সুস্থভাবে সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে এজন্য মাকে নিজে থেকে সচেতন হতে হবে তাহলে বাচ্চা সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে  মায়ের গর্ভ |


বাচ্চা পেটে আসার পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে ডাক্তার যেভাবে বলে সেভাবে চলতে হবে যে সমস্ত খাবার খেতে বলে সে সমস্ত খাবার খেতে হবে এবং প্রতিনিয়ত চেকআপ করতে হবে এবং গর্ভে থাকাকালী ৬ মাস পর বাচ্চা সুস্থ আছে চেকআপ করতে হবে | এবং বাচ্চা সুন্দর এবং সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার জন্য ভালো ভালো খাবার খেতে হবে ভিটামিন জাতীয় খাবার  আমিষ  জাতীয় খাবার খেতে হবে | 


আরো কিছু ধাপ অবলম্বন করতে হবে যেগুলো আমাদের জন্য খুবই জরুরী গর্ভবতী মা সবসময় খেয়াল রাখবে যে তার যেন কোনো রকম ঠান্ডা জনিত রোগ বা সর্দি কাশি এগুলো না হয় এজন্য তাকে সচেতন থাকতে হবে | বিশেষ করে অতিরিক্ত পানি লাড়াঘাটা করা যাবে না প্রয়োজন  অনুযায়ী পানি ব্যবহার করি কারন যদি  গর্ভবতী মহিলার সর্দি কাশি ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে তাহলে বাচ্চার  সর্দি কাশি হবে। 


যদি কোন গর্ভবতী মহিলার হাই প্রেসার লো প্রেসার অথবা ডায়াবেটিস ইত্যাদি হয়ে থাকে তাহলে তাকে আরো বেশি সচেতন থাকতে হবে নতুবা এই সমস্ত রোগ গর্ভে থাকা বাচ্চারও হতে পারে এবং এগুলো হতে দেখা যায়।  এজন্য যে সমস্ত গর্ভবতী মহিলার ডায়াবেটিস প্রেসার  ইত্যাদি রোগ থেকে থাকে তাহলে তাকে খুবই সচেতন থাকতে হবে | 


বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদেরকে গর্ভে সন্তান থাকা অবস্থায় দুর্যোগ করা ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকতো আবার একেবারে কাজ করা বন্ধ করে দিলে চলবে না সে যতটুকু কাজ করে করতে হবে | আবার এমন ভাবে কাজ করা যাবে না যেভাবে কাজ করলে নিজেরও ক্ষতি হয় গর্ভের সন্তানেরও ক্ষতি হতে পারে সে দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে  এবং যখন ডেলিভারির সময় আসে তবে সেই সময়টা বেশি সচেতন থাকতে হবে |

বাচ্চা জন্মের পর

 আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই বাচ্চা জন্মের পর কি করতে হবে  |বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর তাকে পরিষ্কার করা লাগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে এবং তার দাড়ি কাটতে হয় |যদি তার খোদা লেগে থাকে তাহলে তাকে কুটুর দুধ খাওয়াতে হবে অনেক সময় বাচ্চা জন্ম নেওয়ার  কিছুক্ষণ পর বা তারও বেশি সময় পর পায়খানা করে ফেলে সেটাও সুন্দরভাবে পরিষ্কার করা | এবং তাকে নরম বিছানা  করে ঘুমপাড়ানি তারপর মা সুস্থ হয়ে গেলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো কেননা বাচ্চার জন্য মায়ের বুকের দুধ সবচেয়ে উত্তম |


 মুসলমান হলে  এরপর বাচ্চার ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দিতে হবে এবং মুখে মিষ্টি  জিনিস  একেবারে হালকা করে মধু অথবা খেজুর মুখে চিবিয়ে ওই লালাটা বাচ্চার মুখে দেওয়া নেককার ব্যক্তি বা কোন আলেমের হলে ভালো হয় | 


এরপর বাসায় নিয়ে আসা খুব সুন্দর ভাবে তাকে রাখা তার জন্য একটি ঘর নির্ধারিত করা এবং বাচ্চাকে খুব ভালোভাবে পরিচর্যা করা | তাকে গোসল করানো গোসলটা এমনভাবে করাইতে হবে যাতে বাচ্চা ঠান্ডা না লেগে যায় পারলে তাকে গরমের মধ্যে রাখা যাবে না আবার ঠান্ডা ও লাগানো যাবে শরীর ঘেমে গেলে  গায়ে ঘাম বসে সর্দি কাশি জনিত রোগ হতে পারে | বিশেষ করে বাচ্চাকে খুবই যত্ন নিতে হবে এবং বাচ্চার মাকেও খুবই যত্ন নিতে হবে এ সময় বা মাচ্চার মাকে ভালো ভালো পুষ্টিকর খাবার খেতে দিতে হবে এবং বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না |


মা যদি ভালো ভালো খাবার খেয়ে সুস্থ থাকে তাহলে বাচ্চাও সুস্থ হবে কারণ মা যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে | এজন্য বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য  মায়ের স্তনে যাতে দুধ থাকে এইজন্য তাকে সব সময় ভালো ভালো দিতে হবে |


শীতের সময় বাচ্চাকে বেশি যত্ন নিতে হবে কোনভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবেনা এই জন্য যে ঘরে বাচ্চা থাকবে সে ঘর যতো উষ্ণ গরম থাকে। শীতের সময় হাওয়া বাতাস অতিরিক্ত চলাচল যাতে করতে না পারে এজন্য বেশিরভাগ সময় দরজা জানালা লাগিয়ে রাখতে হবে এবং সামর্থ্য থাকলে ঘরে এবং ব্যবস্থা করতে হবে | এবং সকাল বিকাল রাত্রে বাচ্চাকে উষ্ণ গরম তাপ দিতে হবে  তাহলে বাচ্চা ঠান্ডা জনিত গ্রুপ থেকে সুরক্ষিত থাকে। বাচ্চার ঠান্ডা লাগবে না  বাচ্চা সুস্থ থাকবে আর যদি বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যায় ঠান্ডা লেগে যায় তাহলে বাচ্চার জন্য কষ্ট হবে এবং পরিবারের লোকজন সকলে সব সদস্য পেরেশান হয়ে থাকে | এজন্য বিশেষ করে শীতের সময় মা এবং সন্তান দুটোই রাতে সুস্থ থাকে এজন্য সচেতন হতে হয় |


 বিশেষ করে মাকে শীতের সময় ঠান্ডা লাগানো যাবে না তাহলে বাচ্চারও ঠান্ডা লেগে যাবে শুধু যে বাচ্চা পেটে থাকাকালী আমাকে ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে  এটানা |বাচ্চা হওয়ার পরও  শীতের সময় মাকে সচেতন হত অতিরিক্ত পানি রানাঘাটা করা যাবে না পানি থেকে দূরে থাকতে হবে | এমনকি গোসল করতে হবে হালকা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে পিপাসা লাগলে হালকা উষ্ণ গরম পানি খেতে হবে | মোটা কাপড় গরম কাপড় পরিধান করতে হবে এই সমস্ত জায়গায় বাতাস লেগে যাতে ঠান্ডা লেগে না যায় এদিকে খেয়াল রাখতে হয় | তাহলে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যাবে কেননা বাচ্চা তো মায়ের বুকের দুধ খায় এই জন্য মায়ের থেকেই সন্তানের শরীরে ঠান্ডা জনিত বা অন্যান্য রোগ হয় 

নবজাতকের যত্ন নেওয়া

 থেকে জেনে  আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই নবজাতকের কিভাবে যত্ন নিতে হবে সেই সম্পর্কে কিছু কথা | সন্তান বাসায় জন্ম নেওয়া মানেই আনন্দ উৎসবে যদি কেউ শোনে যে অমুকের বাসায় বাচ্চা হয়েছে তাহলে আত্মীয় স্বজন এলাকা বাসি সবাই খুশি ও আত্মীয়-স্বজনরা দেখতে আসে অনেকে  বিভিন্ন রকমের উপহার নিয়ে আসে বাচ্চার জন্য | যখন কোন বাসায় নতুন অতিথি জন্ম নেয় তখন সে বাচ্চার যত্ন নেওয়া অবশ্য হয়ে যায় এজন্য বাচ্চাকে যত্ন নিতে হলে বাচ্চাকে এমন একটা ঘরে রাখতে হবে যে ঘরটা নীল সেখানে মানুষের আসা যাওয়া কম হয় এবং বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো  অবশ্যই |


 যখন বাচ্চাকে কোলে নিবে তখন যাতে হ্যান্ডওয়াশ অথবা সাবান দিয়ে বাচ্চাকে কোলে নিব | ঘরে কোনোরকম চিৎকার চেঁচামেচি শব্দ না করা | যেহেতু বাচ্চা নরম হয় এই জন্য তাকে খুব সচেতনতার সাথে কোলে নেওয়া সচেতনতার সাথে তাকে দুর্বল করা |এমনকি নজর নবজাতককে ঠান্ডা থেকে দূরে রাখা গরম পরিবেশে আবহাওয়াতে রাখা এবং এবং তাকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে অথবা পরে ঠিকা দেওয়া |


শিশুর ৩০ দিন হলে

 আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই শিশুর ৩০ দিন হল কি ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে সে সম্পর্কে জেনে নিন | এক-দেড় ঘণ্টা পরপর নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো এবং বাচ্চা ঘুমিয়ে গেলে সেই রাতে শান্তি মত সুন্দরভাবে ঘুমায়তে পারে সেই ব্যবস্থা করা | যেহেতু ছোট বাচ্চা দুধের বাচ্চা এজন্য সবসময় তারা মা দের সাথে ঘুমানো জন্য স্বাচ্ছ এজন্য বাচ্চাকে দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়ানোর সাথে সাথে মা কেউ ঘুমায় | 


বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো এর পরিবর্তে মধু চিনি পানি ইত্যাদি এগুলো বাচ্চাকে না খাওয়ানোই ভাবে এবং বাচ্চা ঠিকমত মায়ের স্থানে মুখ দিয়ে দুধ খেতে পারছি কিনা এটা খেয়াল রাখা | এবং যেভাবে খাওয়ালে বাচ্চার জন্য সুবিধা হয় বাচ্চা সুন্দরভাবে ভালোভাবে খেতে পারে সেভাবে খাওয়ানো | এমনকি এটা খেয়াল রাখা যে খাওয়ার সময় বাচ্চা শব্দ করছে কিনা আবার এটা খেয়াল রাখা যে স্থলে মুখ দেওয়ার সময় যাতে বাচ্চার ঠোঁট উল্টিয়ে না যায় |


অনেক সময় বাচ্চার মুখ থেকে স্থান বার বার ছুটে যায় এবং বাচ্চার খাওয়াতে ব্যাঘাত ঘটে যার ফলে বাচ্চা, কান্নাকাটি করে এ জন্য মায়েদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে বাচ্চা সুন্দরভাবে বুকের দুধ খেতে পারে এইজন্য যেভাবে তাদের মুখে  স্তন ধরলে অথবা যেভাবে খাওয়ালে বাচ্চার খেতে সুবিধা সেভাবে তার মুখে  স্তন ধরে রাখা |


শিশুর বয়স ১ থেকে ৬ মাস

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই শিশুর বয়স যখন এক থেকে ছয় মাস তখন  বাচ্চার জন্য  মায়ের করনীয় কাজ গুলি। মাকে বুকের দুধ বাচ্চাকে ঘনঘন খাওয়াতে হবে এমনকি বুকের দুধ খাওয়ানোর পরিমাণ বাড়াতে হবে অন্য কোন খাবার খাওয়ানো চলবে না এমনকি পানি খাওয়ানো যাবে না | বাচ্চা ধনে মুখ লাগিয়ে দুধ ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা সেটা খেয়াল রাখতে হবে দরকার হলে তার পজিশন চেঞ্জ করে দিতে হবে |বাচ্চাকে কিছু সময় বেশি নিয়ে দুধ খাওয়াতে হবে যাতে বাচ্চা বেশি করে খেতে পারে |


 বাচ্চার ৬ থেকে ৯ মাস

 বাচ্চার ৬ থেকে ৯ মাস হয়ে গেলে পরিবারে যে সমস্ত রান্না হয় সে সমস্ত খাবার খাওয়া | এই বয়সে বাচ্চাকে মাছ গোস্ত ডিম শাকসবজি নরম খিচুড়ি ইত্যাদি খাবার খাওয়ান অভ্যস্ত করা | আমাদের ঘরে তো মোটামুটি পরিমাপ করে খাওয়ানোর মতো বাটি থাকে এজন্য বাচ্চাকে একটি গোল বাটিতে প্রায় এক পোয়া পরিমাণ করে প্রতিদিন কমসেকম দুই বেলা বিভিন্ন রকম নাস্তা যেমন সুজি নরম খিচুড়ি আলু সিদ্ধ করা পাকা পেঁপে, কলা , হাবু ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো |

বাচ্চার নয় থেকে বারো মাস

 বাচ্চার যখন নয় থেকে বারো মাস বয়স হয়ে যাবে তখন থেকে তাকে বিভিন্ন রকম পুষ্টিকর খাবার  খাবার নিজের হাতে  খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে | কার খাওয়ার আইটেমের মধ্যে মাছ মাংস ডিম কলিজা ভুনা শাকসবজি ইত্যাদি খাওয়ার খাওয়াতে হবে কোন সমস্ত খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে | বিভিন্ন রকম পুষ্টিকর খাবার ফল-ফলাদি আপেল আঙ্গুল দিয়ে দানা সেদ্ধ ডিম সুপ ইত্যাদি বাচ্চাকে খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে | 


শিশুর বয়স ১২ থেকে ২৪ মাস

যখন শিশুর বয়স ১২ থেকে ২৪ মাস হয়ে যাবে তখন থেকে বাদ থেকে ঘরের খাবার খাওয়ালে তো অভ্যাস করতে হবে এবং তাকে নিজের হাতে খাওয়ানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে নিজের হাতে যাতে খায় সেজন্য তাকে তাগিদ করতে হবে | এবং তাকে পুষ্টিকর খাবার গরুর দুধ দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়াতে হবে বিভিন্ন রকম ফল ফলাদি আমি জাতীয় খাবার শর্করা জাতীয় খাবার ভিটামিন জাতীয় খাবার এমনকি  যে সমস্ত খাবার গুলো হয় সেগুলো খাওয়ানোর চেষ্টা করা বা অভ্যাস তৈরি করা  দিনের ভিতরে দুই তিনবার খাওয়ানো চায় |


শিশু যথাসময়ে পরিমাণ মতো দুধ পাচ্ছে কিনা 

শিশু যথা সময় পরিমাণ মতো দুধ পাচ্ছে কিনা এই বিষয়টি আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে  |ঠিকমতো পরিমান মত শিশু দুধ পাচ্ছে কিনা এটা বুঝতে হলে বাচ্চার স্বভাবগত কিছু পরিবর্তন দেখতে হবে না যেটার কারণে বোঝা যাবে যে বাচ্চা এবং পরিমাণ মতো দুধ পাচ্ছে কিনা | শিশু খেলাধুলা করা শিশু সব সময় হাসিখুশি ও আনন্দিত থাকা বেড়ে যাওয়া শিশু সুস্থ সবল থাকা এমনকি দিনে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় বার এসব করা এই ভালো লক্ষণগুলো থাকলে বোঝা যাবে শিশু পরিমাণ মতো দুধ পাচ্ছে |


মায়ের বুকের দুধ যে ভাবে বাড়বে

 মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য মাকে সবসময় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে টাইম মতো নিয়মমাফিক খেতে হবে। খাবার গুলো খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে সে ধরনের খাবার খেতে হবে। মাছ  গোশত ডিম ফলমূল শাকসবজি খেতে হবে তার সাথে সাথে পরিমাণ মতো খেতে হবে  তাহলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে | এর সাথে সাথে কোন রকম টেনশন করা যাবে না সে খুশি থাকতে হবে এবং নিজেকে সচেতন রাখতে হবে তাহলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার সন্তান তার চাহিদা অনুযায়ী বুকের দুধ ভালো |


শিশুদের অপছন্দনীয় খাবার

 শিশুরা যে সমস্ত খাবার অপছন্দ কর সে সমস্ত খাবার না খাওয়া এবং পেট ভরে গেলে তাদেরকে জোর করে না খাওয়ান এতে করে শিশুর সমস্যা হতে পারে এমনকি খাবার পাকস্থলীতে গিয়ে বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে | এজন্য বাচ্চাকে সব সময় পুষ্টিকর খাবার দিতে হয়  |


 শিশুদেরকে যে খাবার খাওয়াবেন না

 শিশুদেরকে যে সমস্ত খাবার খাওয়ানো চলবে না যেমন চকলেট, চুইংগাম ,পটেটো, জুস  ইত্যাদি ধরনের খাবার যেগুলো বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায় সে সমস্ত খাবার খাওয়ানো যাবে না |আর তাকে এ সমস্ত খাবার থেকে দূরে রাখত এবং ভালো খাবারের প্রতি উৎসাহিত করতে হয় এবং যে খাবার খাওয়ালে ক্ষতি হবে তার থেকে অনীহা সৃষ্টি করতে হবে |

অসুস্থ হলে করণীয়

 শিশু অসুস্থ হয়ে গেলে করণীয় তাকে সুস্থ করার জন্য শিশু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে শিশু ডাক্তার যেভাবে বলে সেভাবে শিশুর যত্ন নিতে হবে | তাছাড়া শিশুকে ঘন ঘন মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে যেহেতু অসুস্থতার কারণে বাচ্চাদের শরীর খারাপ থাকবে খাবারের রুচি থাকে না শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ওজন কমে যায় এজন্য তাকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে একবারে খেতে না পারলে বারবার তাকে খাওয়াতে হবে এবং কমসে কম এক থেকে দুই সপ্তাহ পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে | যাতে করে তার ওজন আগের মত স্বাভাবিক হয়ে যায় সে পর্যন্ত তাকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে |

বাচ্চার ডায়রিয়াই করণীয়

 বাচ্চার ডায়রিয়া হলে করণীয় কাজগুলি প্রথমে শিশু ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে এটার কোনো বিকল্প নেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী  রোগের মাত্রা অনুযায়ী বাচ্চাকে ওষুধ খাওয়াতে হবে।  বাচ্চাকে ঘন ঘন স্যালাইন খাওয়াতে হবে |বিশেষ করে বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে ভাতের মার কাঁচা কলার ভর্তা ডাবের পানি এমনকি মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না |

জ্বর হলে করণীয়

 বাচ্চার জ্বর হলে করণীয় হলো যে যখন বাচ্চার জ্বর ১০০° বেশি হবে তখন বাচ্চাকে প্যারাসিটামল খাওয়ানো। এমনকি তাকে হালকা গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে সমস্ত শরীর মুছে দিতে হবে এমনকি তাকে ঠান্ডা জায়গায় রাখা যাবে না  এবং একজন শিশু ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে চেকআপ করে ওষুধ খাওয়াতে হয় |


উপসংহার

 আজকের এই পোস্ট থেকে জানতে পারলাম আমরানবজাত শিশুকে দেখভাল করার জন্য ঘরোয়া কিছু টিপস আর্টিকেলে তুলে ধরায়। আপনারা যারা জানেন না বা নতুন বাবা-মা হয়েছে তাদের জন্য আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এজন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলযে এই আর্টিকেলটি সুন্দরভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন তাহলে আপনাদের জন্য অনেক উপকারী হয় এবং প্রিয়জন আত্মীয়-স্বজনের কাছে শেয়ার |

 

 এবং ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন তার সাথে বাচ্চাকে সুস্থ রাখার জন্য ঘরের প্রাথমিক চিকিৎসার সামগ্রী লাগবে |







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url