আমরা অনেকে মেসওয়াকের মেসওয়াকের গুনাগুন বা ফজিলত সম্পর্কে জানিনা | যারা জানেন না আজকের পোস্টটি তাদের জন্য খুবই উপকারী হতে চলেছে। এজন্য আজকের পোস্টটি আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত

আমাদের সাথে থাকবেন এবং এই পোস্টে ভালোলাগা বিষয়গুলো আপনাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের কাছে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ |

 পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

 প্রিয় পাঠক, আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই মেসওয়াকের গুনাগুন ও ফজিলত সম্পর্কে কিছু কথা | আপনারা যারা  মিসওয়াকের গুনাগুন বা ফজিলত সম্পর্কে জানেন না কে আমরা এই পোস্টটি তাদের জন্য নিয়ে যারা যারা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে  এই পোস্টটিতে থাকবেন আশা করি  চলুন তাহলে দেরি না করে |

মিসওয়াক করা সুন্নত

 আসুন আমরা মেসওয়াক করা সুন্নত এ সম্পর্কে তথ্য জেনে নিন  মেসওয়াক করা হুজুর সা  সুন্নত গুলার মধ্যে একটি বিশেষ সুন্নত হলো মেসওয়াক করা |  হুজুর সা নিজেও মেসওয়াক করতেন এবং সাহাবীদেরকে মেসওয়াক করার জন্য উপদেশ দিতে  এমনকি জিব্রাইল আলাই সাল্লাম তিনার কাছে ওহী নিয়ে আসলে নবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সা মিসওয়াকের তাগিদ করতে | সাহাবী রা বলেন যে রাসুলুল্লাহ সাঃ যেভাবে মেসওয়াক করতেন তার মেসওয়াক করার কারণে আল্লাহতালা  ফরজ করে না দেয় |

জয়তুন অথবা নীল

আসুন আমরা জেনে নেই কোন গাছের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করতে হয় | হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জামানা থেকে জয়তুনের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করা  করা হতো | এবং সাহাবীরাও রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামের দেখে জয়তুনের ডাল দিয়ে এসব করতেন জয়তুন সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও নাযিল হয়েছে | পরবর্তীতে নিম গাছের ডাল মেসওয়াকের জন্য ব্যবহার পরে মানুষ | কেননা এই দুইটি গাছের ডালের ভিতরে যে গুনাগুন রয়েছে এটা দাঁতের জন্য খুবই উপকার এজন্যই দুই ধরনের ডাল দিয়ে আমি সব করার কথা বলা হয়েছে |

মেসওয়াকের সুন্নত নিয়ম 

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিন মেসওয়াক করার সুন্নতি কিছু নিয়ম সম্পর্কে | মিসওয়াক লম্বাই  এক বিঘত হওয়া লাগবে এবং চিকন হওয়া লাগবে কনিষ্ঠ আঙ্গুলের মত যখন মেসওয়াক করা শুরু করবেন তখন বিসমিল্লাহ বলে ডান দিক থেকে শুরু করা এবং বাম দিকে যাওয়া আবার বাম দিক থেকে ডান দিকে যাও আবার ডান দিক থেকে বাম দিকে যাও এভাবে মিসওয়াক করা উপর নিচ করা দাঁতের ভিতরে ভালোভাবে পরিষ্কার করা মুখের ভেতর যেমন জিব্বার ভিতরে এসব জায়গাগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার যাতে কোন রকম দুর্গন্ধ না থাকে |  

মিসওয়াক করার সময়

 আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিন কোন সময় মেসওয়াক করতে হয় বা মিসওয়াক করা উত্তম | নামাজের আগে অজুর সাথে মেসওয়াক করা সবচাইতে উত্তম | কোরআন শরীফ পড়ার আগে মেসওয়াক করে ওযু করা তারপরে কোরআন শরীফ পড়তে বসা উত্তম | ঘুম থেকে উঠে রেসওয়াক করা উত্তম | কারো সাথে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া করবে মেসওয়াক করে দেখা-সাক্ষাৎ করতে যাওয়া উত্তম | 

মেসওয়াকের ফজিলত বা গুনাগুন

 আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই মেসওয়াকের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু কথা  মেসওয়াক করার অনেক গুরুত্ব ফজিলত রয়েছে আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো মেসওয়াকের গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে জানতে হলে আপনারা আমাদের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন ইনশাআল্লাহ | মিসওয়াকের সত্তরেরও বেশি ফজিলত রয়েছে এর মধ্যে কিছু সংখ্যক ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হোক যেমন,

১ | আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি হাসিল হয়

২ | মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়

৩ |  শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়

৪ | মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়

৫ |  দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়

৬ | ফেরেশতারা আনন্দিত হয়

৭ | চোখের দৃষ্টির শক্তি বৃদ্ধি পায়

৮ | মিসওয়াক করলে নেকি হয়

৯ |  মেসওয়াক করা সুন্নত

 ১০ | আল্লাজিভ বা সুন্দর করে

 ১১ |  মুখ কে পবিত্র করে

১২ | মুখের জীবাণো দূর করে

১৩ | দাঁত পরিষ্কার করে

মিসওয়াকের নামাজ

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই মেসওয়াক করে নামাজ পড়ার ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন মেসওয়াক সাথে ওজু করে নামায পড়লে ৭০ গুন নেকী পাওয়া যায় |এজন্য নামাজের আগে মেসওয়াক করে ওযু করে নামাজ পড়তে হবে |

পুরুষের জরুরী সুন্নাত

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিয়ে পুরুষের জরুরী কিছু সুন্দর সম্পর্কে পুরুষের জরুরি সুন্নত হল ১০ টি যেমন,

মাথায় টুপি দেওয়া

গোঁফ  ছোট করা

 গাড়ি লম্বা রাখ

হাত পায়ের নখ কাটা

 মেসওয়াক করা

 গুপ্ত অঙ্গের লোম কাটা

ঢিলা ঢালা প্রসব করা

নাভি হইতে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ঢাকিয়া

ওসবই ঢিলা ব্যবহার করা বা টিস্যু

 পায়খানায় কুলুপ অথবা টিস্যু ব্যবহার করা

মহানবী সাঃ এর সুন্নতি তরিকা উপরে জীবন যাপন করা এটা আমাদের জন্য জরুরী কেউ যদি হেদায়েত পেতে চায় সে যেন রাসূলের অনুসরণ কর অর্থাৎ তিনি যেভাবে জীবন যাপন করতে বলেছেন সেভাবে জীবন যাপন করা | এজন্য  কেউ যদি আল্লাহকে মানতে চায় সে যেন নবীকে মানে যে নবীকে মানতে চায় সে যেন নবীর সুন্নত হবে সে জান্নাতে যেতে  পারবো |

আল্লাহর নবীর সুন্নত যে যত মানুষ আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের প্রিয় বান্দা হতে পারবে এবং আল্লাহতালার সাথে তার সম্পর্ক খুবই গভীর হবে। আল্লাহতালা নিকট পাইতে হইলে সুন্নত করতে হবে মানুষ যখন বলবে তখন সে বিভিন্ন গুনাহ খারাপ কাজ হতে বিরত থাকতে পারে যেমন, কেউ যদি টুপি এবং জুব্বা পাগলি ইত্যাদি পরিধান করে চলাফেরা করে আল্লাহতালার ইবাদত করে তাহলে সে চাইলে অন্য সাধারণ মানুষের মতো সে গুনাহ করতে পারবে না নির্লজ্জ বেহায়া কাজগুলা করতে পারবেনা বাহ্যিকভাবে তার সুন্নতি লেবাস বাধা দেবে। তার অন্তরের মধ্যে একটা উপলব্ধির সৃষ্টি করবে আমার দ্বারা এই সমস্ত কাজ করা যাতে না হয় এবং তার ঈমান তাকে বাধা |

 আসুন আমরা আল্লাহর নবীর সুন্নত আঁকড়ে ধরি তার নবীর দেখানো রাস্তায় ছবি এবং তার প্রতিটা কাজকে অনুসরণ অনুকরণ  করি তাহলে আমরা  দুনিয়াতেও সম্মানিত হব এবং আখেরাতেও সম্মানিত হব এই জন্য চলুন আমরা সবাই আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পথ অনুসরণ অনুকরণ তাহলে আমরা হেদায়েতকে পেয়ে যাব আর হেদায়েত পেয়ে গেলে আমরা সফলকাম হবে নচেৎ ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে | 

শেষ ভাবনা

 পরিশেষে আমরা জানলাম মেসওয়াক সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু কথা মেসওয়াক করলে কি উপকার পাওয়া যায় সম্পর্কে জানতে পারব | এজন্য আমরা বেশি থেকে বেশিএবং এই পোস্টটি পড়ে  আমরা নিজেরা উপকৃত হয়েছে এজন্য অন্যদের উপকার করার জন্য বেশি বেশি শেয়ার করো  ধন্যবাদ |