পাইলস কাকে বলে পাইলসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা
আপনারা যারা পাইলস সম্পর্কে জানতে চান অথবা পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান আজকের এই পোস্টটি তাদের জন্য | আমরা এই পোস্টটিতে আলোচনা করেছি পাইলস কাকে বলে পাইলসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে অনেক মানুষ এই পাইলস রোগ নিয়ে অনেক কষ্টে আছে আজকের এই পোস্টটি আপনারা মনোযোগ দিয়ে করলে এই পোস্ট থেকে অবশ্যই উপকৃত হবে | যারা এ রোগ থেকে পরিত্রান পেতে চায় তাদের
জন্য আজকের পুষ্টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং যারা এ রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছে তারা আপনাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের কাছ প্রিয় মানুষের কাছে শেয়ার করে চলুন তাহলে দেরি না করে আমাদের মূল বক্তব্যে চলে যায় |
পোস্ট সূচীপত্র
ভূমিকা,
সারা বিশ্বে অধিকাংশ মানুষ পাইলস রোগের আক্রান্ত এটা যেন একটা কমন রোগ হয়ে উঠেছে | এবং এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভালো করার জন্য মানুষ বিভিন্ন চিকিৎসা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে রেজাল্ট খুব ভালো আসেনা | তবে চলুন জেনে আসি পাইল সম্পর্কে কিছু কথা এই আর্টিকালের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি আপনারা যদি আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকেন তাহলে আপনারা জানতে পারবেন ফাইল সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু আলোচনা এবং এটা আপনাদের জন্য অনেক ফলদায়ক হবে |
পাইলস কাকে বলে
আসুন আমরা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নেই পাইলস কাকে বলে সে সম্পর্কে কিছু কথা কিছু তথ্য আমরা জেনে নিন | হেমোরেড বা পাইলস কাকে বলে হিমুরেটকে পাইলস বলা হয়, মলদ্বারের চারপাশে ত্বকগুলো ফুলে ওঠে প্রসারিত হয় এমনকি মলদ্বারের ভেতরেও ফুলে ওঠে |
পাইলস কত প্রকার
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিন পাইলস কত প্রকার ও কি কি | সাধারণত আমরা অনেকেই পাইলস রোগে আপনার পাইলস দুই প্রকার হয়ে থাকে1 ভিতরগত পাইলস 2 বাহ্যিক পাইলস,
১ | ভিতরগত পাইলস
আসলে আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই ভিতর গতকাল সম্পর্কে কিছু কথা বলতে মলদ্বারের ভেতরের অংশে হয়ে থাকে ব্যথা করে না কিন্তু রক্ত বের হয় |
২ | বাহ্যিক পাইলস
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই বাহ্যিক ফাইল সম্পর্কে কিছু কথা মলদ্বারের বাইরের অংশের ত্বকে ফুলে ওঠা বা বৃদ্ধি পাওয়া যার কারণে রক্ত বের হয় কিন্তু ব্যথা করে না |
পাইলসের কারণ
আসুন আমরা এই পোস্টে থেকে জেনে নিন বাইশের কারণ সম্পর্কে কিছু কথা সাধারণত পাইলস হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ প্রথমত আমাদের অসাবধানতা অসচেতনতার কারণে আমাদের বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে আজকে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব পাইলস কি কারনে হয় |
১ | বংশগত কারণে কারণে পাইলস হয়ে থাকে
2 | অধিক সময় বাথরুমে মলত্যাগ করলো
৩ | গর্ভ অবস্থায়
৪ | পানি পথে সহবাস করলে
৫ | ডায়রিয়া হওয়ার কারণে
৬ | বয়স হয়ে গেলে চামড়া পাতলা হয়ে যাওয়ার কারণে
৭ | পায়খানা শক্ত হলে বা চাপ দিয়ে বের করলে
পাইলসের লক্ষণ
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই পাইলসের লক্ষণ সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হবে
মলদ্বার ফুলে যাওয়া এবং রক্ত পড়া
মলদ্বারের চাল চারপাশ চুলকায়
মলদ্বার ব্যথা করার
মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত গন্ধ হওয়া
মলদ্বারের বাইরের অংশ ফুলে ওঠা
প্রতিরোধক খাবার
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই পাইলস প্রতিরোধ করতে হলে যে সমস্ত খাবার আমাদেরকে খেতে হবে তা সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হল |
সবুজ শাকসবজি
মৌসুমী ফলমূল
লাল আটার রুটি
ঢেকি ছাটা চাল
সাবু বা বার্লি
এবং এই সমস্ত খাবারের সাথে প্রচুর পানি খেতে হবে পানি খেলে বল নরম হয় এবং মাল ত্যাগ করতে সুবিধা হয় এই জন্য পানি বেশি বেশি খেতে হয় |
পাইলসের প্রতিকার
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই পাইলসের প্রতিকার সম্পর্কে কিছু কথা চলুন তাহলে দেরি না করে |
পাইলসের রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য প্রথমত নিজেকে নিজের কেয়ার করতে হবে কেননা আমার শরীরের ভালো-মন্দটা আমি বুঝবো অন্য কেউ বুঝবে না এজন্য খাবারে সাবধানতা অবলম্বন করা |
আরো পড়ুন:খেজুরের দশটি উপকার
যেমন, ধূমপান করা চলবে না ধূমপান থেকে এড়িয়ে থাকতে হবে তৈলাক্ত খাবার পরিত্যাগ করতে হবে অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া চলবে না চা কফি ইত্যাদি খাওয়া চলবে না গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে | এরকম কিছু খাবার সবজি যেগুলো খেলে মল শক্ত হবে যেমন কাঁচা কলা খাওয়া যাবে না |বাইরের খাবার না খাওয়া দুধ বা চিনি ইত্যাদি খাবার না খাওয়া মসুরের ডাল বুটের ডাউল গরুর গোশত ইত্যাদি এ সমস্ত খাবার পরিহার করা | এবং এ সমস্ত বিধি নিষেধ মানার সাথে সাথে অতিরিক্ত পানি পান করত তাহলে অনেকাংশে পাইলসের ঝুঁকিপূর্ণ কমে যাবে |
চিকিৎসা সংক্রান্ত
আসল আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই পাইলস হলে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা নিম্ন রূপ | পাইলসের লক্ষণ দেখা দিলে বা আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আপনার পাইলসের সমস্যা হয়েছে বা যে সমস্ত লক্ষণ উপরে দেওয়া আছে সেসব লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তাহলে আপনাকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে এক্ষেত্রে আপনি চাইলে এলোপতি ব্যবহার করতে পারেন অথবা হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করতে পারেন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ সাপেক্ষে আপনারা পাইলসের চিকিৎসা দিবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক আপনারা চলবে তাহলে আশা করা যায় যে আপনার পাইলস ভালো হয়ে যেতে পারে |
এর পাশাপাশি আপনি চাইলে ঘরোয়াও কিছু উপায় ব্যবহার করতে পারেন সেটা উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ সাপেক্ষে |
আমাদের জন্য আর একটা লক্ষ্য নিয়ে বিষয় যে সেটা হচ্ছে বিশেষ করে আমরা দৈনন্দিন যে খাবারগুলো খাচ্ছি সেগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখা আমরা কি ধরনের খাবার খাচ্ছি আমাদের জন্য কি ধরনের খাবার খাওয়া প্রয়োজন কি ধরনের খাবার খেলে আমাদের শরীর ভালো থাকবে এই সমস্ত খাবার খাওয়া | আর যে সমস্ত খাবার আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকার সে সমস্ত খাবার আমাদেরকে পরীক্ষা করতে হবে তাহলে আমরা বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারে |
এবং আমাদেরকে দৈনন্দিন শরীরচর্চা বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে হবে পাশাপাশি পানি বেশি খেতে হবে বিশুদ্ধ পানি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার আর খাবারের ভিতরে মুখ বিশেষ করে আমাদেরকে বাইরের তৈলাক্ত খাবার মসলা জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করতে হবে | এমন না যে শুধু পাইলস হয়েছে এই কারণে আমি মেনে চলবো তা না সর্ব অবস্থায় আমার এগুলো নষ্ট জাতীয় খাবার বা তৈলাক্ত খাবার পরিত্যাগ করতে হবে | তাহলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে এবং বিভিন্ন বড় বড় রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন |
উপসংহার
আজকে আমরা আপনাদের সামনে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ তুলে ধরেছি পায়েল সম্পর্কে কিছু কথা আপনারা যারা জেনেছেন তাদের জন্য অনেক উপকারী এ বিষয়টি যারা জানেনা আপনাদের দায়িত্ব তাদেরকে জানান এবং সকলকে সচেতন করা কারণ সচেতনতাই আমাদের মূল লক্ষ্য | এই জন্য নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য নিজেকে ঠিক রাখার জন্য নিজের সচেতন থাকবেন অন্যকে সচেতন করার জন্য বেশি বেশি শেয়ার করবেন ধন্যবাদ |
এবং লিখার ভিতর কোন ভুল ত্রুটি থাকলে নিজ গুণে ক্ষমা করবেন
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url