যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত সমূহ নিয়ে আলোচনা
আজকের এই পোস্ট থেকে আমরা জানবো যাকাত ফরজ হওয়া সম্পর্কে কিছু কথা আমরা যারা জানিনা তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে জানতে হলে আপনারা আমাদের সাথে শুরু
থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন আশা করছি এবং ভালোলাগা বিষয়গুলো আপনাদের বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনদেরকে জানাবেন আমাদের সাথে থাকবেন লাইক কমেন্ট শেয়ার করবেন ধন্যবাদ |
পোস্ট সূচিপত্র:যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত সমূহ
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আসুন আজকে আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিন যাকাত ফরজ হওয়ার ব্যাপারে কিছু কথা যাকাত একটি ফরজ হুকুম ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে যাকাত একটি হুকুম | আসুন আমরা জেনে নিই এই যাকাত সম্পর্কে চলুন তাহলে দেরি না করি |
কোন সম্পদের উপরে যাকাত ফরজ
আসুন আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই কোন সম্পদের উপরে যাকাত ফরজ তা নিম্নর,
ধরেন আপনার কাছে যদি স্বর্ণ থাকে - টাকা পয়সা ব্যবসাহিক পণ্য অথবা রুপা না থাকে তাহলে আপনাকে যদি স্বর্ণ এই পরিমাণ থাকে সাড়ে সাত তলা বা বেশি তাহলে প্রতিবছর তার ওপর যাকাত ফরজ হবে |
আপনার নিকট শুধু রুপা থাকে- অন্যান্য সম্পদ না থাকে তাহলে রুপার পরিমাণ যদি এরকম হয় সাড়ে 52 তোলা তাহলে প্রতিবছর তার উপরে যাকাত ফরজ হবে |
আপনার কাছে ধরেন টাকা পয়সা ব্যবসায়িক পণ্য সোনা রুপা তাহলে সবগুলোর আলাদা আলাদা যাকাত দিতে হবে না যেমন সাড়ে ৫২ তোলা রুপা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা টাকা পয়সা বা ব্যবসায়িক পণ্যর জন্য আলাদাভাবে দিতে হবে এরকম না |বরঞ্চ সোনা রুপা টাকা পয়সা দোকানের পণ্য মিলিয়ে সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সাড়ে ৫২ তোলার উপায় এগুলোর মধ্যে থেকে মূল্য দিলেই সমপরিমাণ আপনার উপর ফরজ হবে |
এখন আপনার কাছে কিছু স্বর্ণ কিছু রুপা অল্প ব্যবসায়িক পণ্য অল্প কিছু টাকা পয়সা থাকে তাহলে সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা সাড়ে সাত তলা স্বর্ণ দেখা হবে না বরঞ্চ আপনার সমস্ত সম্পদ অর্থাৎ টাকা-পয়সা শোনা রুপা এবং ব্যবসায়িক পণ্য মিলিয়ে যদি সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ হয় অথবা সাড়ে 52 তোলা রুপা থাকে তাহলে আপনার জন্য প্রতিবছর যাকাত ফরজ |
আপনার কাছে টাকা আছে কিন্তু স্বর্ণ রুপা বা ব্যবসাহিক পণ্য নাই তাহলে সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ ও সারে বা অন্য তোলা রুপা এই পরিমাণের যেকোনো একটি মূল্য পরিশোধ করতে হবে আপনাকে টাকা দিয়ে | অর্থাৎ প্রতিবছর আপনাকে টাকা দিয়ে যাকাত পরিশোধ করা ফরজ |
আপনার কাছে স্বর্ণ চান্দি বা টাকা পয়সা কিছু নয় কিন্তু ব্যবসায়িক পণ্য আছে তাহলে উপরে বর্ণিত যে পরিমাণ দেওয়া আছে সেই পরিমাণ একটি মূল্য পরিশোধ করতে হবে অর্থাৎ প্রতিবছর আপনার জন্য যাকাত দেওয়া ফরজ।
যদি আপনার কাছে স্বর্ণ চান্দি নাই কিন্তু টাকা পয়সা ও ব্যবসায়িক পণ্য রয়েছে তাহলে উক্ত পরিমানের একটি পরিমাণ প্রতিবছর যাকাত পরিশোধ করলেই হবে আপনার জন্য এটা ফরজ |
যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত
আসুন আমরা এই যাকাত ফরজ হওয়া সম্পর্কে কথা বুদ্ধিমান ও বালেক মুসলমান ব্যক্তির জন্য প্রতিবছর সাহেবের নেসাব যাকাত একবার আদায় করা ফরজ | অর্থের পরিমাণটাকে বলা হয় ( নেসাব) অর্থাৎ কি পরিমান অর্থ সম্পদ থাকলে আপনার উপর যাকাত ফরজ হবে এটাকে এটা ( নেসাব ) বলা হয় | এই সমপরিমাণ অর্থ সম্পদের মালিক কে বলা হয় সাহেবে নেসাব | আরেকটা বিষয় আমাদেরকে মনে রাখতে হবে নাবালেক গরিব পাগল এদের উপরে যাকাত ফরজ হবে না |
নেসাব পরিমাণ অর্থ সম্পদ থাকলে পুরো এক বছর পূর্ণ হলে যাকাত ফরজ হয়ে যায় | অর্থাৎ আপনাকে যাকাত আদায় করতে হবে |এক বছর না পার হওয়া পর্যন্ত যাকাত ফরজ হয় না |আর যাকাতআর যাকাত ফরজ হয়ে গেছি কিন্তু আদায় তাহলে অনেক গুনা হয়ে যাবে | যাকাতের ক্ষেত্রে বাংলা মাস অথবা ইংরেজি মাস না চাঁদের বছরের হিসাব করা হয় |
আপনার অর্থ সম্পদের প্রত্যেকটা অংশই পূর্ণ এক বছর পার করতে হবে এটা শর্ত নয় বরং নেসব পরিমাণ এর উপর বছর পূর্ণ হওয়া শর্ত অতএব বছরের শুরুতে যেই পরিমাণ ছিল নেশা বেরিয়েছে যাতে কম না হয়ে যায় | আবার যদি বৎসরে বছরের শেষে যদি পরিমাণ তার চেয়েও বেড়ে যায় তবে ওই বেশি পরিমাণ এর উপরে যাকাত ফরজ হবে
এখানে জানা গেল যে পূর্ণ এক বছর পরে অতিবাহিত না হওয়া সত্ত্বেও ওই বাড়তি সম্পদের উপরে যাকাত আসছে |
আপনার যদি বছরের শুরুতে মালেকে নেসাব হইএবং বছরের শেষেও মালেকে নিছাব থাকে কিন্তু মাঝখানে আবার কিছু কম হয়ে যায় |সুতরাং বছরের শুরুতে যে পরিমাণ ছিল নেসাবকম যেন না হয়ে যায় বছরের শেষে যদি বেড়ে যায় তাহলে ওই বেশি পরিমাণ যাকাত যোগ করতে হবে এবং এক বছর অতিবাহিত না হওয়া উপরেও যাকাত আসবে |
যেগুলোতে যাকাত হয় না
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই যে সমস্ত সম্পদ গুলোতে যাকাত দিতে হয় না সে সম্পর্কে কিছু কথা আসুন তাহলে জেনে নিন দেরি না করে |
ব্যবসায় পণ্য ছাড়া ঘরে যদি যেকোনো আসবাবপত্র কাপড় চোপড় থালা বাসুন হাড়ি পাতিল ফ্রিজ আলমারি শোকেস করার বই ইত্যাদি টেবিল থাকে তবে এদের উপরে যাকাত আসবে না |
কেউ যদি বাড়ি করার এবং সেখানে ভাড়াটিয়া রাখে বা জমি ক্রয় করে অথবা এই উদ্দেশ্যে বাড়ি ক্রয় করে যে আমি সেখানে ভাড়াটিয়া রাখ তাহলে এগুলোর উপরে যাকাত আসবে না তবে যদি কেউ বাড়ি বা জমি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে কিনা বেচা করে তবে জমি ও বাড়ির মূল্যের উপরে যাকাত দিতে হবে |
আপনার মিল ফ্যাক্টরি আছে সেই কারখানায় কোন কিছু উৎপাদন হলে সেই উৎপাদনের কাজে যেকোনো মেশিন ব্যবহার হলে বা আসবাবপত্র ব্যবহার হলে অথবা মিল ফ্যাক্টরিতে যে গাড়ি বা জন্মগ্রহণ ব্যবহার হয় তার মূল্যের উপরে যাকাত আসবেনা | তবে যাকাত আসবে যে কাঁচামাল কিনেছেন এবং সেই উৎপাদিত মালামালের উপরে |
আপনার এমন যানবাহন আছে যা দিয়ে ভাড়া খাটান যেমন অটো, অটো রিস্কা ,বেবি টেক্সি বাস ট্রাক স্টিমার লঞ্চ ইত্যাদি যা ভাই খাটানো হয় বা যা দিয়ে ইনকাম করা হয় তার উপর যাকাত আসে না | কিন্তু যারা এই সমস্ত পণ্যই বিভিন্ন শোরুমে বিক্রির ব্যবসা করে তাহলে যাকাত আসবে |
ধরেন আপনি পেশাজীবী আপনার কাজ চালানোর জন্য যে যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র ব্যবহার করে থাকেন তার মূল্য উপরে যাকাত দিতে হবে না বাসবে না | যেমন, কৃষকের ট্রাকটার ড্রিল মেশিন যাকাত আসবেনা |
আপনার যদি কারো কাছে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে হীরা মনিমুক্তা ডায়মন্ড ইত্যাদি দিয়ে থাকেন তবে তার মূল্যের উপরে যাকাত দিতে হবে না তবে এরূপ নিয়ত করে রাখলে যে সঞ্চয় করে রাখবো অথবা গচ্ছিত করে রাখবো পরবর্তীতে বিক্রি করার জন্য এবং নগদ অর্থ উপার্জন হবে এরূপ হলে যাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্থ হাতে পাওয়ার পর তার উপরে কোন যাকাত আসে না তবে যে টাকাটা কর্তৃপক্ষদের কাছে বাধ্যতামূলক নয় চাকরিজীবী স্বেচ্ছায় কর্তন করার পরে এটার উপরে যাকাত আসবে | এটা সরকারি চাকরিজীবী প্রভিডেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রে এই মাসআলা হয়ে থাকে | আর প্রাইভেট কোম্পানি ক্ষেত্রে টাকা হাতে পাওয়ার পরও যাকাত দিতে হবে | আবার এরকম সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে চাকরিজীবী যদি প্রাইভেট হান্ড্রেড টাকায় কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে অংশ থাকে তাহলে তার যাকাত দিতে হবে |
আমাদের বাংলাদেশে যাকাতের হিসাব বেশিরভাগ করা হয় টাকা দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের যারা যাকাত দেয় তারা টাকার পরিমাণ এর উপর ভিত্তি করে যাকাত দেয় যেমন এক লক্ষ টাকায় ২৫০০ টাকা যাকাত দেয় |
বিভিন্ন প্রাণীর যাকাত
আসুন আমরা বিভিন্ন প্রাণীর যাকাত সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নিন যে সমস্ত প্রাণীগুলো খামারে বা গাড়ি টানার কাজে বা বোঝা বহন করার জন্য ব্যবহার করা হয় এগুলোর কোনো যাকাত দিতে হবে না |
আপনার গরু মহিষ বা ছাগল বকরি যদি ব্যবসার উদ্দেশ্যে ক্রয় করলে অথবা ক্রয় করার পর ওই প্রাণী যদি বিক্রি করার উদ্দেশ্যে ক্রয় করে থাকেন তাহলে ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে গণ্য হবে এবং সেগুলোর মূল্য হিসাব করে যাকাত দিতে হবে | পশু ক্রয় করার পর যদি বিক্রি করার নিয়ত না থাকে পরে বিক্রি করার নিয়ত হয় কিংবা ওই মূল্য রেখে দিয়ে বাচ্চা কেনার নিয়ত থাকে বা পরে এরকম বাচ্চাকে নার নিয়ত থাকে সেসব ক্ষেত্রে এগুলো বাণিজ্যিক পণ্য ধরা হবে এবং এটার কোন যাকাত দিতে হবে না বা যাকাত আসবেনা |
গরু ছাগল মহিষ এগুলো যদি কেউ সখের বসে বা দুধের জন্য পালন করে থাকে তাহলে এগুলোর যাকাত আসবে তবে সেগুলো যাকাতের শর্ত এই হতে হবে সায়েমা এ সমস্ত গরু ছাগলকে নিজে খাবার দিতে হয় না মাঠে-ঘাটে চড়ে বেড়ায় ঘাস লতাপাতা খায় জীবন ধারণ করে তাহলে তাদের উপরে যাকাত দিতে হবে | তবে যাকাত দেওয়ার শর্ত হলো ছাগল ভেড়া হতে হবে চল্লিশটা আর গরু বা মহিষ ৩০টার কম হলে যাকাত আসবেনা
সাধারণত আমাদের বাংলাদেশে এরূপ গরু ছাগল ইত্যাদি পাওয়া যায় না তাই এগুলোর যাকাতের পরিমাণ অবিস্তারিত আলোচনা করা বাদ দিলাম কারণ আমাদের বাংলাদেশের ফার্মের গরু ছাগল গুলি হারমেরি খাবার খায়। সেগুলো শামেয়া নয় দুধের উদ্দেশ্যে বা বংশবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বা সকের বসে পালন করলেও সেগুলোর উপরে যাকাত আসবে না |
হাঁস-মুরগি ডিম দেওয়া অথবা তার বাচ্চার উদ্দেশ্যে কেউ যদি এগুলো পালন করে তাহলে যাকাত দিতে হবে না তবে যদি কেউ হাঁস-মুরগি তাদের বাচ্চা ক্রয় করে স্বয়ং এই উদ্দেশ্য করে যে আমি বিক্রি করব এই নিয়তে ক্রয় করে তাহলে সেটা বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে ধরা হবে এবং তার মূল্যের উপরে যাকাত দিতে হবে | যদি এসব পরিমাণ মাল হয়ে যায় |
কেউ যদি বিক্রির উদ্দেশ্যে মাছ চাষ করে তাহলে সেটা বাণিজ্যিক হিসেবে ধরা হবে এবং যাকাত আদায় করতে
তার মূল্য উপরে কি করে যাকাত আসবে |
যাকাত দেওয়া যাবে না কোন খাতে
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই কোন কোন খাতে বা কোন লোকদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে না দিলে যাকাত আদায় হবে না সে সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন |যার নিকট এসব পরিমাণ অর্থ সম্পদ থাকে তাকে যাকাত দেওয়া যাবে না |
যে ব্যক্তি যাকাত দেয় তার মাতা পিতা দাদা-দাদি নানা-নানি উপরে আর যত আছে এদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে না |যাকাতদাতার ছেলে-মেয়ে নাতি-নাতনী পোতা পৌএী ইত্যাদি নিচে যারা আছে তাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে না |
যাকাত যে দিবে স্বামী অথবা স্ত্রী এদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে না অমুসলিম অর্থাৎ অন্য ধর্মের অনুসারীদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে না |
এরকম ব্যক্তি যার উপরে যাকাত ফরজ এরকম মালদার ব্যক্তির নাবালেক সন্তানকে যাকাত দেওয়া যাবে না মসজিদ মাদ্রাসা বা স্কুল কলেজে প্রভৃতি নির্মাণ কাজের উদ্দেশ্যে যাকাত দেওয়া যাবে না | মৃত ব্যক্তির কাফন দাফন বা ঋণ পরিষদের জন্য যাকাতের অর্থ থেকে অর্থ দেওয়া যাবে না | রাস্তাঘাট কূল কালবাট ইত্যাদি নির্মাণে যেখানে কোন মালিক নাই সেখানকার নির্মাণ কাজের জন্য যাকাত দেওয়া যাবে না |
দেশের সরকার যদি যাকাত ফান্ডে যাকাতের মাসালা অনুযায়ী যাকাতের অর্থই করে না তাহলে সরকারের যাকাত ফান্ডে যাকাত দেওয়া যাবে না | যাকাত দ্বারা মসজিদ মাদ্রাসার কর্মচারী বা স্টাফদের কে গরিব হলেও বেতন দেওয়া যাবে না |
যাকাত কাদেরকে দেওয়া যাবে
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই যাকাত কাদেরকে দেওয়া যাবে সে সম্পর্কে কিছু কথা | ভিক্ষুক বা ফকির যাদের নিকট পরিবার বা সন্তান-সন্ততির প্রয়োজন পুরা করার বা মেটানোর সমর্থ্য নেই |অথবা যাদের কাছে যাকাত ফেতরা ওয়াজিব হওয়ার পরিমাণ অর্থ সম্পদ থাকে না | এরকম মিসকিন যাদের উপার্জনের কোন ক্ষমতায় নেই | যাদের উপরে ঋণের বোঝা রয়েছে তাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে |
ইসলামী রাষ্ট্র হলে যাকাতের তহবিলের দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি | যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে লিপ্ত থাকে | মুসাফির ব্যক্তি যে নাকি সফরে থাকে বাড়িতে অনেক সম্পদ আছে অবস্থা কিন্তু সফর অবস্থায় একেবারে অসহায় বা কোনরকম অর্থই নাই |
যাকাত দেনেওয়ালার ভাই বোন ভাইস্তা ভাস্তি ভেগনা-ভাগ্নি চাচা চাচি ফুপু খেলা মামা-মামী শশুর শাশুড়ি জামাই সৎ বাপ ও সৎ মা ইত্যাদি, যদি এরা গরিব হয় তাহলে তাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে | আপনার অধীনে যে সমস্ত চাকর নকল আছে | তবে তাদের বেতন বাবদ করলে চলবে না |
যাকাত যাদেরকে দেওয়া উত্তম
আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই যাদেরকে যাকাত দেওয়া উত্তম সে সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নিন |
যিনি এলেন শিখনে ওয়ালা এবং পড়াশোনা করনেওয়ালা যদি যাকাতের হকদার হয় তাহলে এরূপ লোককে যাকাত দেওয়া সবচাইতে উত্তম | আপনার নিজস্ব কিছু আত্মীয়-স্বজন যারা যাকাত পাওয়ার যোগ্য তারা | এরপর বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা পাওয়ার হকদার এরপর অন্য প্রকার হকদার |
শেষ ভাবনা
আজকে আমরা প্রত্যেকে জানতে পারলাম যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত সম্পর্কে কিছু আলোচনা আপনারা যারা এই আলোচনা থেকে উপকৃত হয়েছে তারা অন্যদেরকে উপকৃত হওয়ার জন্য বেশি বেশি শেয়ার করবেন আপনাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবকে জানাবেন এই পোস্টটিতে যাকাতের সম্পূর্ণ বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে পারেনি কিছু বাকি থেকে গেছে সামনে কোন একটা পোস্টে আমরা চেষ্টা করব বাকি অংশটুকু দেওয়ার জন্য এই পোস্ট পাওয়ার জন্য আপনারা
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url