পাপ কাজ বর্জনের উপায় সম্পর্কে আলোচনা

 


আমরা অনেকেই পাপ সম্পর্কে জানি এমন কোন মানুষ নাই যে পাপ সম্পর্কে জানেনা আজকে আমাদের এ্যাটে গেলে আলোচ্য বিষয় হচ্ছে পাপ নিয়ে এবং পাপ থেকে কিভাবে মুক্ত থাকা যায় পাপ কিভাবে বর্জন করা যায় এ সম্পর্কে কিছু আলোচনা যারা  আপনারা জানেন না পাপ সম্পর্কে এবং পাপ থেকে কিভাবে মুক্ত থাকা যায় পাপ কিভাবে বর্জন করা যায় এ সম্পর্কে আজকে  আর্টিকাল আপনাদের সামনে তুলে ধরবো |

পোস্ট সূচীপত্র :

 ভূমিকা

 প্রিয় পাঠক আমরা সবাই জানি পাপ সম্পর্কে  পাপ কাজ করলে কি হয় সমাজের মানুষ কিভাবে এগুলাতে নেয় এটা আমরা জানি | পাপ কাজের দ্বারা যে আমাদের কত ক্ষয়ক্ষতি হয় শারীরিক মানসিক সম্মানের ইজ্জত চলে যায় তারপর আমরা পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে পাপ কাজ করেই যায়। আজকে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাবো পাপ কাজ সম্পর্কে এবং এ থেকে কিভাবে মুক্ত থাকা যায় বর্জন করা যায় এই উপায় সম্পর্কে আজকের  আর্টিকালে আপনাদের সাথে আলোচনা  করব |

পাপ ও বর্জনের উপায়

আজকের এই পোস্ট থেকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো পাপ ও তা বর্জনের উপায় সম্পর্কে কিছু আলোচনা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে নিচে সম্পর্কে  উল্লেখ করা হলো। 

 গান-বাজনা সোনা

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিন গান বাজনা শোনা ক্ষতির দিক সম্পর্কে আলোচনা এবং এর থেকে মুক্তির বা বর্জনের উপায় সম্পর্কে জেনে | বিভিন্ন হাদিসের কিতাবে এবং কোরআন শরীফেও গান-বাজনা যে হারাম এ সম্পর্কে স্পষ্ট আলোচনা করা হয়েছে এ সমস্ত কিতাবগুলোতে স্পষ্টভাবে গান বাজনা হারামের ব্যাপারে তুলে ধরা হয়েছে | কোরআন মাজিদে বর্ণিত আছে কবিতা যদি সুর দিয়ে বাদ্যযন্ত্রের সাহায্যে আলোচনা করা হয় বা কবিতা পাঠ করা হয় তাহলে সেখানে যদি বালিক নারী বা বালিক পুরুষ কবিতা পাঠ করে এবং কবিতার শব্দগুলি অশ্লীল হয় বা শব্দগুলো পাপ শব্দ যুক্ত হয় তাহলে গান-বাজনা হারাম | 

আরো পরুন :ইব্রাহিম( আ) ধৈযের পরিক্ষা


তবে কেউ যদি কবিতাগুলো বাদ্যযন্ত্র বা সুর ব্যবহার না করে স্বাভাবিক শব্দে সুন্দর কথা ভাষাগুলো খুব সুন্দর হয় খারাপ ভাষা ব্যবহার না করে এবং মহিলা বা পুরুষ প্রাপ্তবয়স্ক এদেরকে দিয়ে আবৃত না করে শিক্ষনীয় বিষয় থাকে যার দ্বারা সবাই শিক্ষা পায় যেমন ইসলামী কবিতা ইসলামিক গান এগুলো তাহলে হারাম হবে বরংটি ইসলামী গান বা ইসলামী গজল কবিতা আবৃতি করলে নেকি হবে | 

গান বাজনা বর্জনের

 আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই গান-বাজনা গর্জনের উপায় সম্পর্কে কিছু কথা |

১ | গান বাজনার প্রতি আসক্ত হয় বা অভ্যাস অথবা আকর্ষণ অতিমাত্রায় থাকে তবে এই আকর্ষণ তার মধ্যে থেকে একেবারেই দূর করা মুশকিল  বা অসম্ভব | তার যদি মন চায় সে যদি মন থেকেই শক্ত নিয়ত করে বদ্ধমূল থাকে তাহলে এই বদ অভ্যাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব | গান বাদ্য শোনার আগ্রহ আসলেও তাকে মনের বিরুদ্ধে এটা থেকে বিরত থাকতো এবং গান বাজনা শুনলে যে পাপ হবে পাপের কারণে তাকে জাহান্নামে যেতে হবে এই চিন্তা ভাবনা তার মনের ভেতর সবসময় থাকতাম  তাহলে পাপ কাজ বর্জন করা সম্ভব হবে |


২ |  গান-বাজনার পরিবেশ এবং যে সমস্ত যন্ত্র দিয়ে গান-বাজনা শোনা যায় এ সমস্ত জিনিস থেকে দূরে থাকতে হবে এবং পারলে সব সময় ভালো পরিবেশ লোকদের সহবতে এবং কোরআন হাদিসের আলোচনা শুনতে হবে কোরআন হাদিস নিজে শ্রবণ করতে হবে এবং নিজে করতে হবে এবং আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে তাহলে সে এই খারাপ কাজ  দূরে বাদ্যযন্ত্র গান-বাজনা থেকে দূরে থাকতে পারবে |

অশ্লীল সিনেমা দেখা

 আসুন আমরা অশ্লীল সিনেমা দেখা পাপ এবং এ থেকে বিরত থাকা বা বর্জন করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন |

আজকে আমাদের সমাজে  প্রতি বয়সের ছেলেরা প্রধানত যে পাপ করে থাকে সেটা হল অশ্লীল সিনেমা বা অশ্লীল

 ছায়াছবি দেখে নিজেরা ধ্বংস হচ্ছে পাপ কাজে লিপ্ত হচ্ছে | এর দ্বারা তাদের মস্তিষ্ক এবং মন মানসিকতা সবকিছুই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ব্রেন কমে যায় | আর এগুলো হওয়ারই কারণ বর্তমান জামানায় ইউটিউব ফেসবুক  এন্ড্রয়েড মোবাইলে এই সমস্ত অ্যাপস ব্যবহার করেন | ফেসবুকের মাধ্যমে সব শ্রেণীর মানুষই আজকে বিভিন্ন পাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত বিশেষ করে অশ্লীল সিনেমা এমনকি অশ্লীল পোস্ট facebook এর দ্বারা মানুষ করে | আর youtube এর দ্বারা বা এন্ড্রয়েড ফোনে বিভিন্ন অ্যাপস এর দ্বারা মানুষ অশ্লীল সিনেমা অশ্লীল ছবি দেখে  নিজেদেরকে নিয়ে যাচ্ছে  ধ্বংসের প্রান্তে | 


অশ্লীল সিনেমা এডাল্ট সিনেমা এর প্রতি মানুষ এমন আসক্ত হয়ে গেছি যে যেমন নাকি মানুষ নেশার প্রতি আসক্ত হয়ে যায় সেরকম আজকেই অশ্লীল বা অ্যাডাল্ট ফিল্ম এর প্রতি মানুষ আসক্ত হয়ে। এই খারাপ এবং পাপ কাজ  এমনকি মানুষ ফেসবুক মেসেঞ্জার  ব্যবহার বিভিন্ন অশ্লীলতা পরকীয়ার মত বাজে কাজের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে যার কারণে সামাজিক সাংসারিক মানসিক বিভিন্ন রকম ক্ষতি ও মানসম্মান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এবং একটা পরিবার ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে |

 

বিভিন্ন সিনেমা ছবি এবং Facebook messenger ইউটিউব এগুলো ব্যবহার করার দ্বারা ৫ ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা পাপ   হয়ে থাকে যেমন, সময়ের অপচয় হয়, সম্পদের অপচয় হয় ,স্বভাব চরিত্র নষ্ট হয়. স্বাস্থ্য নষ্ট  বা ব্রেন নষ্ট হয়, ঈমান আমল নষ্ট হয়ে যায়, যদি সিনেমাগুলোতে নারীদের চরিত্র অশ্লীলতা বা আমরা যে facebook youtube ব্যবহার করি ক্লিন ছবি বা নারীদের ছবি বাদ দিয়ে শিক্ষণীয় ছবি তৈরি করে তৈরি করি তাহলে এই সমস্ত অশ্লীল পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা যাবে | আসলে অশ্লীল ছবি বা নারীদেরকে দিয়ে ছবি করানো অ্যাডভার্টাইজ করানো। এগুলো দেখা ফেসবুক মেসেঞ্জারে ব্যবহার করে ছবি  বা  অশ্লীল মেয়েদের ছবি সিনেমা এগুলা দেখা কবিরা গুন |


বাঁচার উপায়

  আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে  থেকে জেনে নেই অশ্লীল সিনেমা ফেসবুকে অশ্লীলতা থেকে বেঁচে থাকার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন | প্রথমত আমাদেরকে অন্তরের ভিতরে বদ্ধমূল হতে হবে আমরা যে অশ্লীল সিনেমা ইউটিউব মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে অশ্লীলতায় অভ্যস্ত আমরা যেই ধরনের বাজে কাজ করতেছি এগুলা অনেক বড় পাপ আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে দেখতেছেন আর এই পাপের শাস্তি দিবেন মৃত্যুর পরে এ কথা চিন্তা | অন্তরের ভিতর এই উপলব্ধি করা যে আমার কৃতকর্মের জন্য আল্লাহতালা আমাকে শাস্তি দেবে এবং তওবা ইস্তেগফার | আসলে একদিনে এই সমস্ত খারাপি আমাদের অন্তর থেকে যাবে না এজন্য আল্লাহর ভয় অন্তরে নিয়ে আসতে হবে আর সব সময় মৃত্যুকে স্মরণ করতো তাহলেই পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা সম্ভব |

মদ  হেরোইন গাজার নেশা

  আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে  নিই মদ গাঁজা হেরোইন আফিম এ সমস্ত নেশা করলে ক্ষতি এবং এর বাপ সম্পর্কে কিছু আলোচনা | শরীয়তের পরিভাষায় এ সমস্ত নেশা জাদ দ্রব্য একেবারেই হারা চাইছে সেটা অল্প হোক চাই বেশি হোক সর্ব অবস্থায় নেশা জাত দ্রব্য হারাম |  এই সমস্ত বাজে নেশা করলে মানুষের যে সমস্ত ক্ষতি হয় শারীরিক ক্ষতি হয় মানসিক ক্ষতি হয় আর্থিক ক্ষতি হয় ব্রেন কমে যায় শরীর নষ্ট হয়ে যায় শরীর দিয়ে দুর্গন্ধ বের হয় সে মানুষ থাকে না তার সাথে কেউ মিশতে চায় না এবং নেশাখোরকে কেউ পছন্দ করে না |


 এর কারণে পারিবারিক অশান্তি নেমে আসে একজন নেশাখোরের কারণে পরিবারে অশান্তি নেমে আসে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি সমাজের মানুষের কাছে মুখ দেখানো যায় না মান সম্মান নষ্ট হয়ে যায় কেউ নেশাখোরের সাথে চলতে চায় না নেশাখোরের সাথে ঘুরতে চায় না | আর নেশা মত খারাপ কাদের সঙ্গে কেউ জড়িয়ে গেলেন এ থেকে বের হওয়া অনেক মানুষকে অনেক কষ্ট হয় এজন্য কিছু পদ্ধতি আছে যা ব্যবহার করলে এই কালো থাবা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় |

১ | প্রথমত তাকে এই নেশা ছাড়তে হলে এই সমস্ত নেশা ক্ষতিকারক দিকগুলোর প্রতি তার ভয় থাকতে হবে যে আমি যদি নিশা শ্রবণ করি সেবন করি তাহলে আমার ক্ষতি হবে এবং তার প্রতি ঘৃনা আসতে হবে |

২ | একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে যে কোন নেশা চাইলেই সে সঙ্গে সঙ্গে ছাড়তে পারবে না এজন্য তাকে ঐ সমস্ত পরিবেশ বা সংঘ ছাড়তে হবে এবং তাতে এমন একটা পরিবেশে যেতে হবে থাকতে হবে যে ওই পরিবেশে কখনো এ সমস্ত জিনিস পাওয়া যায় না বা এই সমস্ত লোক থাকে না  এ ধরনের পরিবেশে গেলে নেশা ছাড়া সম্ভব |

৩ |  নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির মনের ভিতর এই চাহিদা থাকতে হবে যে তাকে নেশা ছাড়তে হবে যদি সে নেশা ছেড়ে ভালো হতে চায় তাহলে তাহলে ওই ব্যক্তির দ্বারা নেশা ছাড়া সম্ভব | এবং তাকে তিরস্কার না করে সবাই মিলে তাকে বুঝাইতে হবে এবং তার মধ্যে নেশা ছাড়ার শক্তি জন্ম দিতে হবে | সবচাইতে বড় কথা হলো নিজের চাহিদা বা ইচ্ছা শক্তি যদি প্রবল থাকে তাহলে নেশা ছাড়া সম্ভব | 

বিড়ি সিগারেট হুক্কা 

 আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই বিড়ি সিগারেট হুক্কা খাওয়ার পরিনিতিও পাপ সম্পর্কে কি কথা | বিড়ি সিগারেট হুক্কা ইত্যাদি সেবন  খারাপ কাজ | এগুলা সেবন করাকে মাকরুহে তানজিহি বলা হয়  আর এগুলা সেবন করার পর যদি মুখে গন্ধ থাকে তাহলে মসজিদে প্রবেশ করা হারাম শরীরে যে সমস্ত ফেরেশতা থাকে তাদের জন্য কষ্টদায়ক এই কারণে তারা বাজে গন্ধ সহ্য করতে পারে না | এছাড়া বিড়ি সিগারেট আসিনের গন্ধে নামাজ পড়া ঠিক হয় না আশপাশে মুসল্লী থাকলে তাদেরও কষ্ট হয় | এতে লাঞ্চের ক্ষতি হয় ঠোঁট কালো হয়ে যায় লিভারের ক্যান্সার ধরা পড়ো লিভার নষ্ট হয়ে যায়  ফুসফুস নষ্ট হয়ে যায় এমনকি শরীরের আরও গুরুত্বপূর্ণ পাসগুলো নষ্ট হয়ে যায় | এজন্য এই সিগারেট বা বিড়ি বা হুক্কা পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে 

বিড়ি সিগারেট গর্জনের উপায়

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই বিড়ি সিগারেট বর্জনের কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা নিচে উল্লেখ করা হলো | বিড়ি সিগারেট হুক্কা এগুলা সেবনের অভ্যাস খুব তাড়াতাড়ি ছাড়া সম্ভব না এই জন্য অনেক চেষ্টা করার পর বা যে ছাড়তে চায় তার চাহিদা থাকলে ছাড়া সম্ভব |


কোন মানুষের যদি এ সমস্ত খারাপ অভ্যাস ছাড়া আর চাহিদা হয় তাহলে সে ধৈর্য ধরে আস্তে আস্তে তাকেই সমস্ত খারাপ অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে | এবং এ সমস্ত যোগ্য কিনা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যারা খায় এদের সঙ্গেও পরিত্যাগ করতে হবে যারা খাই না যারা ভালো পরিবেশে থাকে ভালো পরিবেশ উঠাবসা করে চলাফেরা করে তাদের সাথে ওঠাবসা চলাফেরা করতে হবে |


নিজের মনকে বুঝাইতে হবে যে এই সমস্ত জিনিস  শ্রবণ করলে আর্থিক ক্ষতি শারীরিক ক্ষতি মানসিক ক্ষতি ব্রেনের ক্ষয় বিভিন্ন খারাপ দিকগুলো চিন্তা করতে হবে এবং নিজের মনকে বুঝাইতে হবে এগুলা আমার জন্য এটা আমার জন্য গুনাহ। এবং এটা থেকে বিরত থাকতে হবে আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে তওবা করতে হবে তাহলে আয় এসব মানুষ তো খারাপ অভ্যাস থেকে বিরত থাকা যেতে পারে | বড় কথা হল নিজের ইচ্ছাশক্তি তাই আসো নিজে থেকে যদি বদ্ধমূল হওয়া যায় যে আমি এই খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করব তাহলে এটা সম্ভব |

 অপচয় করা

 আসুন আমরা  অপচয়ের সম্পর্কে কিছু কথা এই পোস্ট থেকে জেনে নিন |  আমাদের মুসলিম ধর্মে অপচয় বা অতিরিক্ত খরচ করা নিষেধ আছে কেননা অপচয়িতা কে শয়তানের ভাই বলা আর অপচয় বা অপব্যয় করা কবিরা গুনাহ |

জিনা বা ব্যভিচার

আসুন আমরা এই পোস্ট জেনা বা  ব্যভিচার সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নিন | শরীয়তের পরিভাষায় জেনা বা ব্যভিচার কবিরা গুনাহ এটা জঘন্য একটা অপরাধ | অর্থাৎ নারী ও পুরুষের অবৈধ মেলামেশা এটাই হল জেনা আমাদের সমাজে তো বোঝেনা একটা ব্যবসায়ী পরিণত হয়েছে এমনকি জেনা করার বিভিন্ন স্পট রয়েছে যেখানে যেখানে নারী পুরুষ অর্থের বিনিময়ে অবাধে মেলামেশা করতে পারে কোন সমস্যা নাই | কিন্তু এটা শরীয়তের পরিভাষায় হারাম এবং এটার শাস্তিও কঠোর এমনকি মুসলিম কান্ট্রি গুলোতে এর শাস্তিও দুনিয়াতেই অনেক কঠোর করা হয়েছে। বিভাগ বিবাহিত অবস্থায় কোন নারী অথবা পুরুষ যদি এই জঘন্য কাজে লিপ্ত হয় তাহলে তাকে পাথর মারতে মারতে হত্যা করার আদেশ রয়েছে | বিবাহিত ছড়াও এই আদেশ রয়েছে তাহলে বলেন যারা ব্যবসা করতেছে তাদের কি হওয়া উচিত তাদেরকে আল্লাহ তাআলার ভয়  সামান্যতম হয় |

এই জন্য ব্যভিচার থেকে বেঁচে থাকার উপায়

 আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই জেনেভায় বিচার থেকে বেঁচে থাকার উপায় সম্পর্কে কিছু কথা আসুন তাহলে জেনে |

১ | প্রথমে এ কথা স্মরণ করা যে জেনা করলে জাহান্নামের কঠিন  শাস্তি ভোগ করতে হবে এটা স্মরণ করা |

২ |  যে সমস্ত কারণে জেনার চাহিদা হয় যেমন,মোবাইল ফোনে প্রেম আলাপ বন্ধ করা, মেসেঞ্জারে ক্রিমালাপের মাধ্যমে চ্যাট করা থেকে বিরত থাকা, গোপনে মেয়েদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে বন্ধ রাখ , মহিলাদের ক্ষেত্রে পর্দার সাথে থাকা বেপর্দায় ঘোরাফেরা এবং গায়েরে মহারমদের সাথে কথাবার্তা  বন্ধ রাখা |

৩ | জেলার মতো জঘন্য কাজ করার আগে এ কথা স্মরণ করা যে এটা মস্ত বড় গুনহা এটার শাস্তি আমাকে পেতেই হবে আল্লাহ তাআলা আমাকে দেখতেছে আর হ্যাঁ লিখতেছি এগুলা আমার সামনে কিয়ামতের দিন পেশ করা ওকে সবার সামনে লজ্জিত করা হবে আমাকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে এ সমস্ত কথাগুলোকে স্মরণ করতে থাকা |


 বিবাহ করে না থাকেনা বিবাহ করে নেওয়া | যেনা করার চাহিদা আসলে রোজা রাখা যদি বিবাহিত পুরুষের মধ্যে অন্য কোন নারীর চাহিদা লালসা থেকে থাকে তাহলে এই চিন্তা করা জাল্লাতালা তাকেই যা দিয়েছে আমার স্ত্রীকেও তাদের অতএব এ কথা চিন্তা করে বিরত থাকা | যে সমস্ত জায়গায় গেলে অবাধে ঘৃণা করা যায় ওই সমস্ত জায়গা পরিত্যাগ করা ঐ সমস্ত জায়গায় না যাওয়া |এমনকি যে নারীকে দেখলে জেনা প্রবঞ্চনা বাড়ে সেই নারী  থেকে দূরে থাকা  |যে সমস্ত কথা শুনলে  জেনা করার চাহিদা বেড়ে যায় এ সমস্ত পরিবেশে সমস্ত কথা না শোনা |


এমন একজন ব্যক্তি বায়ু এমন একজন বুজুর্গ সাথে চলাফেরা বা পরামর্শ নেওয়া বা তার সংস্পর্শে থাকে যে আপনাকে এই ধরনের গুনাহ থেকে বিরত রাখতে পারব  তার সহচর্যে থাকা কিংবা দাওয়াতে তাবলীগ নামের একটি মেহনত যেটা সারা বিশ্বব্যাপী চলছে এই মেহনতে তিন চিল্লা চার মাস সময় লাগানো এবং তাদের সংস্পর্শে থাকা তাহলে এই ধরনের খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা সম্ভব |


হস্তমৈথুন

 আসুন আমরা এই পোস্টটিকে জেনে নিয়ে হস্তমৈথুন সম্পর্কে কিছু কথা একটি বিরাট পাপ |  এই পাপের শাস্তি অনেক ভয়াবহ বিশেষ করে জোয়ান বালেগ পুরুষদের জন্য এই কাজ হয়ে থাকে উত্তেজনবশত তারা এই সমস্ত কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ বিভিন্ন বাজে সিনেমা এডাল ফিল্ম দেখে হস্তমৈথুনের মত বাজে পাপ করে থাকেন এটা করলে শারীরিক ক্ষতি মানসিক ক্ষতি ব্রেন কমে যায় শরীরের শক্তি কমে যায় ক্যালসিয়াম কমে যায় এমনকি লিঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এজন্য আমাদেরকে এই সমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে হবে | এই কাজ যে মহাপাপ এটার শাস্তিও খুবই কঠোর এটা মনে করে বিরত থাকতে হবে এবং শয়তানের ধোঁকায় পড়া যাবে।


 এসব পাপ অহরহ হওয়ার কারণ হচ্ছে এন্ড্রয়েড ফোন যেটা দিয়ে নেট ব্যাবহার করে ডাটার মাধ্যমে ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ দিলেই চলে আসে এবং  অশ্লীল এডাল ফিল্ম দেখে এই জঘন্য কাজ করে থাকে এজন্য আমাদেরকে এই সমস্ত এন্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকতে হবে | এ পাপের কাজ চিন্তা ভাবনা করা যাবে না একাকী থাকলে মানুষের অন্তরে শয়তান ধোকা দেয় এবং মোবাইল বা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এই সমস্ত ডিভাইসের মাধ্যমে মানুষ অশ্লীল সিনেমা দেখে এই কাজ করে এজন্য নির্জনে থাকা যাবে না সব সময় কোরআন হাদিসের বই পড়তে হবে  এবং ভালো মানুষদের সহচর্য থাকতে হবে আল্লাহ ওয়ালাদের সাথে থাকতে হবে তাহলে এই অভ্যাস পরিত্যাগ করা সম্ভব |


বয়স হয়ে গেছে কিন্তু বিয়ে করেননি বিয়ে করে ফেলতে হবে এবং নিজের ভিতর এই খারাপ পাপের প্রতি ঘৃণা এবং নিজের মনকে শক্ত করতে হবে যে আমি এ কাজটা করবো না করলে আমারই ক্ষতি এবং আল্লাহ তা'আলা আমার জন্য কিয়ামতের ময়দানে বড় শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছে আমাদের সবার সামনে শাস্তি দেওয়া হবে সবার সামনে আমাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে এই মনের কথা স্মরণ করানো আমি লজ্জিত হবো এই কথা ভেবে এই ধরনের খারাপ কাজ করা থেকে বিরত রাখতে হবে | 

গীবত  বা দোষ চর্চা করা

 আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নিই বিপদ বা দোষ চর্চার সম্পর্কে কিছু কথা | কারো ব্যাপারে অন্যের কাছে তার অগোচরে ওই ব্যক্তির  প্রকৃত দোষ বর্ণনা করার নামই হলো গীবত ধরেন আমি একটা দোষ বর্ণনা করলাম যেটা ওই ব্যক্তির নাই তবে সেটাকে  বুহতান বলে |কিছু দোষ আছে যেগুলো বর্ণনা করলে বিপদ হবে যেমন শারীরিক গঠন শরীরের কালার জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক প্রসাদ পরিচ্ছেদ কর্ম ইত্যাদি বিষয়গুলোতে কারো ব্যাপারে দোষ চর্চা করলে এগুলা বিপদ হবে অন্যের গীবত করা এটা হারাম | এমনকি এটা জেনার চাইতেও জঘন্য একটা অপরাধ বলা হয় হয় যে ব্যক্তি গীবত করল সে যেন মৃত ভাইয়ের গোশতকে | এমন কিএমন কি কেউ যদি এই গীবত শোনে তারও একই পাপ হবে | 


এই গুনাহের জন্য তওবা করলে চলবে না কারণ গীবত করা এবং গীবত শোনা দুটো এবং যার ব্যাপারে গীবত করা হয়েছে মাফ চাইতে হলে তার কাছে গিয়ে মাফ চাইতে হবে যে অমুক দিন আপনার অনেক ব্যাপার নিয়ে আমি অনেক মানুষকে বলেছিলাম অতএব আমি গীবত করেছি আপনার পরনিন্দা করেছি আপনি আমাকে মাফ করেন |


গীবত শুনে থেকে বিরত থাকা

 আসলে আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই গীবত শোনা থেকে বিরত থাকা সম্পর্কে কিছু কথা নিচে উল্লেখ করা হলো।

১ | কথা শোনার পরে অন্যের কাছে বর্ণনা না করা |


২ | কারো দোষ শোনার পরে দোষ খুঁজে না বাড়ানো |


৩ | কারো উপরে খারাপ ধারণা না করা |


৪ |  পারলে গীবতকারীকে গীবত ত্যাগ করার জন্য উপদেশ দেওয়া |


৫ | পারলে যার নামে গীবত করা হয় তার কাছ থেকে আসলে ব্যাপারটা জেনে নেওয়া |



গীবদের  পরিত্যাগ করা


১ | আসুন আমরা এ পোস্ট থেকে জেনে নিই গীবত পরিত্যাগ করা সম্পর্কে কিছু কথা নিচে উল্লেখ করা হলো |


২ |  গীবত আসলে রাগ ক্ষোভ ক্রোধ এগুলো থেকে হয়ে থাকে |


৩ | গীবত হয়ে গেলে  কারো বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে প্রশংসা করা |


৪ |  তার জন্য দোয়া ইস্তেগফার করতে থাকা |


৫ |  কারো ব্যাপারে গীবত হয়ে গেলে তাকে এই বিষয়ে জানিয়ে তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নাও | তবে যদি তার কাছে ক্ষমা চাইতে গিয়ে কোন সমস্যা হয় তাহলে তাকে না জানানো |


৬ | কারো বিপদ হয়ে গেলে নিজেও ইস্তেগফার করা এবং মনে মনে  এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যে আমি আর জীবনে কারো গীবত করবো না |


এছাড়াও আমরা অনেক ধরনের খারাপ কাজ করে থাকি যেটা সমাজের চোখে খুবই নিম্নমানের এটা তো আমাদের ইজ্জত সম্মান থাকেনা কিন্তু তার বড় বর্তমান জামানায় আমরা গুনাহের কাজ  গুলো করে থাকি তার মধ্যে আরো রয়েছি যেমন, মিথ্যা কথা বলা, গালিগালাজ করা, কাউকে দোষারোপ করা বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজ করেছেন করে এটাকে মনে করি সম্মান। কিন্তু যদি আমাদের আল্লাহ তাআলার ভয় মৃত্যুর ভয় থাকত তাহলে আমরা কেউ এসব কাজগুলো করতাম না দুনিয়াতে ভালোভাবে চলতে |

শেষ ভাবনা

 আজকের এই পোস্ট থেকে আমরা জানতে পারলাম কিছু খারাপ কাজ বা কিছু পাপ কাজ বদ অভ্যাস যেগুলো আমাদের জন্য করণীয় ছিল না কিন্তু অনেকেই এই ধরনের কাজগুলো করছি আজকে সমাজে সমস্ত কাজগুলো আরো ঘটছে এজন্য আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি এবং এ সমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকি আর যারা এই পরিস্থিতি উপকৃত হয়েছে তারা অন্যদেরকে উপকৃত হওয়ার জন্য বেশি বেশি শেয়ার করবেন ধন্যবাদ |


ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন মাফ করা বহুত বড় গুণ আল্লাহতালা মাফকারীকে পছন্দ করে |




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url