আবহাওয়া জনিত কারণে বাচ্চাদের সর্দি কাশি জ্বর সম্পর্কে আলোচনা

 আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি আবহাওয়া পরিবর্তনে বাচ্চাদের সর্দি জ্বর হয় কেন | আজকের এই পোস্টটি আপনারা যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জানতে পারবেন আবহাওয়া পরিবর্তনে ছোট বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশি হয় সে সম্পর্কে আজকেরে আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরব

আপনারা যদি জানতে আগ্রহ হন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ |  চলুন তাহলে বিলম্ব না করে আমরা আমাদের মূল বক্তব্যে চলে যাই |

পোস্ট সূচীপত্র

 ভূমিকা

 প্রিয় পাঠক আবহাওয়া পরিবর্তন হলেই ছোট বাচ্চাদের সর্দি কাশি জ্বর এই সমস্ত রোগ নিয়ে আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। কেননা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ছোট বাচ্চাদের সাথে সাথে বড়দেরও এ সমস্ত রোগ দেখা | গরমের সময় এক রকম আবহাওয়া থাকে আবার শীতের সময় আরেক রকম আবহাওয়া থাকে গরমের  শেষে এবং শীতের শুরুতে ঠান্ডা জনিত সর্দি-কাশি রোগ দেখা দেয় ছোটদের  বড় মানুষদেরও | আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে আবহাওয়া পরিবর্তনে বাচ্চাদের সর্দি কাশি জ্বর নিয়ে |

আবহাওয়ার পরিবর্তন 

আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ছোট বাচ্চাদের সর্দি কাশি জ্বর হয়ে থাকে কেননা গরমের শুরুতে আমরা একরকম আবহাওয়ার মধ্যে কাটাই সে সময় বাসায় ফ্যান এসি বিভিন্ন কিছু চলে | রুদ্র গরম আবহাওয়া আমাদের অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং গরমের শেষের দিকে যখন সকাল-সকাল ঠান্ডা আবহাওয়া ঠান্ডা বাতাস লাগে আবার দেখা যায় যে মধ্যরাতের পরেও ঠান্ডা লাগে ঘরে ফ্যান চলে | আর দেখা যায় যে দুপুর সময়টা আমাদের গরম লাগে  এই ঠাণ্ডা গরম আবহাওয়ার কারণে বাচ্চাদের সর্দি কাশি জ্বর হয় | এই বিষয়টা আমরা সকলেই জানি আমাদের কাছে এটা কমন বিষয় | বৃষ্টির মাধ্যম দিয়ে শীতের শুরুটা হয়  এটাও একটা সর্দি কাশির কারণ হয়ে দাঁড়া জ্বরের কারণ হয়ে |


শীত নামার আগ দিয়ে বৃষ্টির কারণে চলাফেরা ওঠাও বসার কারণে বৃষ্টির পানি গায়ে পড়ে গায়ে মাথায় পড়ে সে পানি শরীরে এবং মাথায় শুকিয়ে যায় এবং এই থেকেই শুরু হয় জ্বর সর্দি কাশি | এমনকি এই ঠান্ডা গরম আবহাওয়ায় শরীরে শুকিয়ে যাওয়া ঘাম থেকেও ঠান্ডা জ্বর কাশি সর্দি হয়ে থাকে। এটা ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হয় এমন কি বড়দের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে | এ সময় ছোটদের খেলাধুলার দ্বারা শরীরে যে ঘাম লাগে সে ঘাম শরীরে শুকিয়েও সর্দি-কাশি জ্বর হতে পারে।

শীতের সুরে বাচ্চাদের ঠান্ডা 

শীতের শুরুতে ঘরে ঘরে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগে | এটা একটা কমন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেক বাচ্চাদের আবার ঠান্ডা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সর্দি কাশি জ্বর ভালোই হয় না লেগে থাকে | এজন্য বাচ্চার মা-বাবাদের কে এ সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে | ভয় নাই শীতের কারণে বাচ্চাদের ঠান্ডা জ্বর সর্দি কাশি এগুলা হয় তবে এটা মারাত্মক বা ঝুঁকিপূর্ণ নয় | শীতের শুরুতে বাচ্চাদের ঠান্ডা জ্বর সর্দি-কাশি লাগার সম্পর্কে নিচে কিছু আলোচনা তুলে ধরা হলো |

ঠান্ডা গরম হাওয়া

গরমের শেষে শীতের শুরুতে স্বাভাবিকভাবে বাচ্চাদের সর্দি কাশি জ্বর , হয়ে থাকে কারণ ঠান্ডা গরম আবহার জন্য গরমের শেষের শীতের শুরুতে আবহাওয়ার একটা পরিবেশ থাকে খুব সকাল সকাল বা রাত্রের শেষ অংশে  ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে ঠান্ডা বাতাস থাকে এবং বেলা হলে রুদ্র আর গরম আবহাওয়া থাকে। যার কারণে ছোট বাচ্চাদের খুব সকালের রাত্রে ফ্যান চলবে এইখানের বাতাসে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগার কারণে সর্দি জ্বর কাশি ইত্যাদি হয়ে থাকে |

খেলাধুলা করা

আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বাচ্চারা  দিনের বেলায় বা বিকেলে খেলাধুলা করে | তারা মনের আনন্দে বিভিন্ন ধরনের খেলায় মেতে থাকে দূর ঝাপ লাফালাফি করে এ কারণে তাদের শরীর  থেকে ঘাম বের হয় আর ওই ঘাম খেলাধুলার মাধ্যমে শরীর থেকে ঝরে এবং বিকেলের আবহাওয়া বা বাতাসে ঘামগুলো শরীরে বসে যাই এর ফলেও বাচ্চাদের সর্দি-কাশি জ্বর হয়ে থাকে |

 মোটা পোশাক পড়ানো

 শীতের শুরুতে আমরা বাচ্চাদেরকে শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর পোশাক পরিয়ে থাকি | পোশাক পরানো ভালো সতর্ক থাকা ভালো তবে এ সমস্ত পোশাক পরিয়ে অনেক সময় বাচ্চারা ঘেমে যায় এজন্য আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে  বাচ্চা ঘেমে গেলে তার ঘাম মুছে দিতে হবে | না হলে সে সর্দি কাশি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যাবে এটা আমাদের জন্য লক্ষণীয় বিষয় | এ সময় বাচ্চাদেরকে পানি খাওয়ানো গোসল করানো এ সমস্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। পানি খাওয়ানো বা পুকুরে বা টিউবয়েলের পানিতে বা ট্যাংকিতে ধরে রাখা পানিতে গোসল করালে বাচ্চাদের সর্দি কাশি জ্বর হতে পারে।


রাত্রে বাচ্চাকে নিয়ে ঘুমানোর সময় এই খেয়াল রাখতে হবে যে ফ্যান চললে বাচ্চাকে যদি ঠান্ডা না লাগে সে দিকটা আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে | আবার তাকে ঠান্ডা বাতাস লাগা থেকে রক্ষা করতে মোটা কাঁথা অথবা কম্বল ব্যবহার করা যাবে না যাতে সে রাত্রে ঘেমে যায় এবং তার ঘাম শরীরে বসে যায় এভাবেও ঠান্ডা জ্বর সর্দি কাশি হতে পারে | এমনকি তাকে সকাল বেলার আবহাওয়াতে বাতাসে ঠান্ডায় ঘোরাফেরা করা যাবে না ঠান্ডা বাতাস ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে সতর্ক থাকতে হবে | 

ঠান্ডা খাবার খাওয়ানো

একটা জিনিস আমাদের সকলকে মাথায় রাখতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে বিশেষ করে মা-বাবা যারা আছেন শীতের শুরুতে ভুল করে বাচ্চাদেরকে ঠান্ডা কোন কিছুই খাবেন চাই আইসক্রিম হোক চাই জুস হোক এ সমস্ত খাবার থেকে বিরত থাকবেন | কেননা শীতের শুরুতে ঠান্ডা জিনিস খাওয়ালে বাচ্চাদের সর্দি কাশি হতে পারে এমনকি বড়দেরও হয়ে থাকে | 

শীতের শুরুর বৃষ্টি

 মনে রাখবেন শীতের শুরুতে যে বৃষ্টি হয় বৃষ্টিতে কোন সময় আপনার ছোট্ট সোনামণিকে ভিজতে দেবেন না বা কোনভাবেই যাতে তার শরীরে বৃষ্টির পানি পড়ে গায়ে বসে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন | নয়তো আপনার ছোট বাচ্চার শীতের সুরের বৃষ্টির পানিতে ভিজে  ঠান্ডা সর্দি কাশি জ্বর হতে পারে | 

আবহাওয়া জনিত রোগের করণীয়

 শীতের শুরুতে সতর্কতা অবলম্বন করার কোন বিকল্প নেই কিন্তু তারপরও যদি আপনার ছোট্ট সোনামনির সর্দি-কাশি জ্বর হয়ে যায় তাহলে আপনার করণীয় হচ্ছে | আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বাচ্চার দেখভাল ঠিকমতো করতে হবে বাচ্চাকে যাতে সর্দি কাশি জ্বর না ধরতে পারে সেজন্য খেয়াল রাখতে হবে |


 আরো পড়ুন:নবজাত শিশুর দেখাশোনা


বাচ্চাটি যাতে সর্দি কাশি জ্বর না লাগতে পারে এজন্য আপনার বাচ্চাকে আপনাকে যত্ন নিতে হবে। তাকে ঠান্ডা বাতাস ঠান্ডা পানি লারাঘাটা থেকে সতর্ক থাকতে হবে |  ঠান্ডা পানি অতিরিক্ত ব্যবহার না করতে পারে ঠান্ডা পানিতে বেশি সময় গোসল না করতে পারে এই দিকটা খেয়াল রাখতে হবে | এবং ঠান্ডা বাতাস যাতে বাচ্চাকে না লাগে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে |


 বিশেষ করে যখন ঘরে রাত্রে ফ্যান চালাবে তখন খেয়াল রাখবেন যে বাচ্চাকে ঠান্ডা লাগছে কিনা যদি বাচ্চাকে ঠান্ডা লাগে তাহলে ফ্যানের বাতাস হালকা করে দিবে না হলে তাকে হালকা চাদর দিয়ে তার শরীর ঢেকে দিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যাতে তার ঘেমে না যায় | এবং ঠান্ডা আর পাশাপাশি থাকে অতিরিক্ত গরম বা রোদ্রে বের করা যাবে না। অতিরিক্ত রোদে বা গরমে শরীর ঘেমে ঘাম বসে গেলে জ্বর সর্দি কাশি হতে পারে এই জন্য তাকে গরম বা রোদ্রে বের করা  যাবেনা |


খেলাধুলা করার সময় খেয়াল রাখতে হবে আপনার বাচ্চার শরীর ঘেমে গেলে যাতে ঘাম গায়ে বসে না যায় যদি সে খেলাধুলা করার দরুন তার শরীর ঘেমে যায় তাহলে তার শরীরটাকে গামছা দিয়ে মুছে ফেলতে হবে | অথবা একটা গামছা বাতোয়ালিয়া ধুয়ে চিপে তার শরীরটা ভালোভাবে মুছে দিতে হবে |

শেষ কথা

 আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বাচ্চাদের সর্দি কাশি কেন হয় এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে | আপনারা এ বিষয়টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং ভাল লাগা বিষয়গুলি আপনাদের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের কাছে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।


লেখার মধ্যে ভুল ত্রুটি হয়ে থাকবে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ক্ষমা করা মহৎ বড় ভুল ক্ষমা কারীকে আল্লাহতালা ভালোবাসা  সবাই ভালো থাকবেন সবার সুস্থতা কামনা করছি | 


আবহাওয়া জনিত কারণে বাচ্চাদের সর্দি কাশি জ্বর সম্পর্কে আলোচনা


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url