যশোর জেলার ১২ টি দর্শন দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা





যশোর জেলার ১২ টি দর্শন দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা


আপনারা যারা যশোর জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে চাই তাহলে আপনারা ঠিক জায়গায় এসেছেন আজকে আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে জানাবো যশোর জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্য আপনারা যারা জানেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে | আপনারা যারা



জানতে আগ্রহী তারা এই পোস্টটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন তাহলে আপনারা জানতে পারবেন যশোর জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নি |

 পোস্ট সূচীপত্র

 ভূমিকা 

প্রিয় পাঠক আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি যশোর জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আপনারা যারা যশোর জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক আশা করছি তারা আমাদের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন ধন্যবাদ |

যশোর জেলার দর্শনীয় স্থান

 বাংলাদেশের একটি অন্যতম ঐতিহাসিক প্রাচীনতম একটি জেলা | যশোর জেলার নাম সব জায়গায় বিদ্যমান বাংলাদেশের একটি অন্যতম জেলা আর এই জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং ভ্রমণ পিয়াসীদের জন্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঠাসা এই জেলা এই জেলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ঐতিহাসিক স্থান এবং দর্শনীয় স্থান |


ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত এই জেলা এই জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন বিখ্যাত কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এই জেলাকে ফুলের রাজ্য বলা হয় এই জেলা ফুলের রাজ্য নামের পরিচিত এবং এখানে পাওয়া যায় বিখ্যাত খেজুর যা এই জেলার পরিচিতিকে শক্তভাবে ধরে রেখেছে |চলুন তাহলে দেরি না করে আমরা আমাদের কাঙ্খিত আলোচনা শুরু করি যশোরের দশটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা শুরু করি |

 যশোর দশটি দর্শনীয় স্থান 

 যশোর জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দর্শনীয় স্থান আজকে আমরা আপনাদের সাথে পরিপূর্ণভাবে আলোচনা করতে যাচ্ছি যশোরের ১০ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আগ্রহী তারা অবশ্যই আমাদের সাথে একটু পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন আশা করছি তাহলে জানতে পারবেন যশোরের ১০ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে |

 যশোর কালেক্টর ভবন

তৎকালীন ব্রিটিশ আমলে এই যশোরের কালেক্টর ভবনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৮৬ সাল |প্রাচীন এই ভবনটি এখন ব্যবহারিত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যালয় হিসেবে | মূলত ব্রিটিশ আমলে এই ভবনটি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যবহার করা হতো যেমন জমির খাজনা খারিজ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে এই ভবনটি ব্যবহার করা হতো। এই ভবনটির মূল কাজ ছিল  ঋণ খেলাসিদের সম্পদ বিক্রয় করার কেন্দ্র হিসেবে |প্রাচীন এই ভবনটি প্রাচিনত্ত সৌন্দর্য ধরে রেখেছে এটাকে সংস্কার করার কারণে এবং এই ভবনটির সৌন্দর্য আরো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই ভবনের চারপাশ দিয়ে নানান রকমের ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে এবং একটি পুকুর রয়েছে যার কারণে এই ভবনের সৌন্দর্য আরো বেড়ে গেছে এবং অনেক পর্যটক এখানে ভিড় করে | 

বেনাপোল স্থল বন্দর

যশোরের একটি গ্রাম  শশা উপজেলার অবস্থিত বেনাপোল | ভারত ও বাংলাদেশের কাছে অবস্থিত বেনাপোল এটাতে একটি চেকপোস্ট রয়েছে একটি তল্লাশি খুঁটি আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর রয়েছে বেনাপোল বন্দরটি বেনাপোল ল্যান্ড পোর্ট নামে পরিচিত |বেনাপোল স্থল বন্দরটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় কলকাতা থেকে বেনাপোল এর দূরত্ব ফ্লাইট ৮০ কিলোমিটার | দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক  ৯০ ভাগ আসে এই বন্দর থেকে ফলে বেনাপূলে বাণিজ্যিক শুল্ক আদায়ের কাস্টমও রয়েছে |


শুধু যে ব্যবসার জন্যও তা নয় ভ্রমণের জন্য এই বন্ধুর দিয়ে দুই দেশের লোক চলাচল করে হাজারো  পর্যটক এ দেশ থেকে ওই দেশ ওই দেশ থেকে ওই দেশ ভ্রমণের জন্য আসে এবং সৌন্দর্য উপভোগ করে |বেনাপোলে যেতে হলে যে কোন জেলার রেল যোগাযোগ এবং সড়ক যোগাযোগ খুবই ভালো | আপনারা যেতে চাইলে আপনাদের যেকোনো জেলার শহর থেকে খোঁজ নিলেই আপনারা পাঁচ যোগে এবং ট্রেন যোগাযোগ অথবা কেউ যদি প্লেন যোগাযোগের যেতে চান সেটাও পারবে | 

যশোর রোড

 যশোর রোডটি নির্মাণ করেন  তৎকালীন সময়ের যশোরের রাজা তার মায়ের নাম অনুসারে কালিগঞ্জ নলডাঙ্গা জমিদার কালি পদ এই রাস্তাটি নির্মাণ করে এটি একটি ঐতিহাসিক রাস্তা |, লোকমুখে কথিত আছে এ রাস্তাটি জমিদার তার মায়ের নাম অনুসরণে রোডটির নাম রাখেন যশোদা দেবীর নাম অনুসারে | যশোর আজ কালীগঞ্জ থেকে কলকাতা গঙ্গা পর্যন্ত এই রোডটি নির্মাণ করবেন তার মায়ের কথা রোডের  দুই পাশে রিন্টি কড়াই গাছ নির্মাণ করেন | 


রাস্তার দুই পাশে যে রেন্ডি করে গাছগুলো লাগানো ছিল শত বছর আগে আজও সে গাছগুলো রাস্তার সৌন্দর্য শোভা কে বাড়িয়ে তোলে। মনের মধ্যে প্রাণবন্ত সৃষ্টি করে এই  এ সুন্দর পরিবেশের স্বাদ গ্রহণ করতে হাজার হাজার দর্শন আছে ছুটে আসে যশোরে এবং এই রাস্তার মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সকলের মনকে উৎফুল্ল করে | 

 বিনোদন ফ্যামিলি পার্ক যশোর


যশোর বিনোদন ফ্যামিলি পার্ক এটা যশোরের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়েজ আহমেদ ১৯৯৮ সালে এই বিনোদন ফ্যামিলিপার্ক  নির্মাণ করেন এটি যশোর জেলা  আনুমানিক পাঁচ কিলোমিটার দূরে যশোর ক্যান্টনমেন্ট সানতলা নামক স্থানে নির্মিত হয় | এই আকর্ষণীয় সুন্দর ফ্যামিলি পার্কে রয়েছে একটি মিনি চিড়িয়াখানা ছোট শিশু পার্ক নদী  রবিনহুডের ঘর একটি কৃত্রিম ঝর্ণা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মিলনমালা সহ সব ধরনের অনুষ্ঠান করার ব্যবস্থাপনা রয়েছে পিকনিক স্পট রয়েছে | 


আরো পড়ুন: যশোর ১০ টি পত্র তান্ত্রিক নিদর্শন


 এই পার্টি শুরুতে সকলের জন্য উন্মুক্ত করা ছিল পরবর্তীতে এটি টিকিট সিস্টেম করা হয়েছে এবং সপ্তাহে ৭ দিন খোলা থাকে সকাল আটটা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত খোলা থাকে | 

টিকিট খরচ: এই ফ্যামিলি পার্কে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিট খরচ হচ্ছে ২০ টাকা ঢুকতে লাগে এবং শিশুদের জন্য দশ টাকা আর বিভিন্ন রাইড এর জন্য শিশুদের জন্য লাগে ২০ টাকা করে | 

অনুষ্ঠানের খরচ : বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পানি খরচ রান্নাঘরের খরচ অথবা কার্পেটিং খরচে সমস্ত খরচ মিলিয়ে শুরু হয় ১০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা এবং মিলন মেলা বা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য এই পার্কের খরচ হচ্ছে প্রতি ঘন্টায় পাঁচশ টাকা করে বিনোদিন ফ্যামিলি পার্কে কেউ যদি বাস অথবা মাইক্রো অথবা জিপ গাড়ি কার ইত্যাদি মোটরসাইকেল এগুলো রাখে তবে একশ টাকা থেকে দশ টাকা এবং ২০ টাকা পর্যন্ত খরচ লাগে | প্রতিবছর হাজারো দর্শনার্থী এই ফ্যামিলি পার্কে ঘুরতে আসে পিকনিক করতে আসে এবং তারা আনন্দ উপভোগ করে |

ভাসমান সেতু 

এই সেতুটি যশোরে অবস্থিত যশোরের মুনিরামপুর ঝাপা বাওরের উপর ১৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ভাসমান সেতু নির্মিত হয়েছে এটা এখানকার জনগণের দুর্ভোগ দুর্দশার জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং তৈরি করার পর অনেকাংশে জনগণের দুর্ভোগ দূর হয়েছে। এবং সাথে সাথে এটা পর্যটক এরিয়া হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। 


এই সেতুটা তৈরি করার জন্য প্রথমে ঝাঁপড়া নামক একটি ফাউন্ডেশন সংগঠন তৈরি করা হয় এবং সেই সংগঠনটা স্বেচ্ছাসেবীরা স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে অর্থ দিয়ে বিভিন্নভাবে এই সেতুটি তৈরি | ৮৩৯ টি রঙিন রান দিয়ে এই সেতুটি তৈরি করা হয় এবং এর উপরে স্টিলের চলাচল করার জন্য পাদ দেয়া হয় এবং দুই পাশে চলাচলের সুবিধার্থে রেলিং করে দেওয়া হয় এই সেতুটিতে উঠতে পাঁচটা করে খরচ হয় চারপাশ দিয়ে সৌন্দর্যের পরিবেশ আছে মসজিদ আছে এখানকার যুবকরা আশপাশের ধান লাগায় | এখানে একটা প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে উঠেছে এবং এখানে লাখো লাখো মানুষ দেখতে ভিড় করে বাংলাদেশের প্রথম গ্রামের দীর্ঘতম সেতু |

শেষ কথা

 বাংলাদেশের মধ্যে একটি জেলা যশোর যেখানে অসংখ্য পর্যটক এরিয়া আছে যেগুলোতে ঘুরলে অবশ্যই পর্যটকরা তাদের মনের চাহিদা মেটাতে পারবে | এজন্য আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম যশোরের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আপনারা যারা এই পোস্টটি কে উপকৃত হয়েছেন আপনার আপনার আত্মীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের কাছেও এই পোস্টটি সম্পর্কে আলোচনা আশা করছি | ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন ধন্যবাদ সৃষ্টিকর্তা আপনাদেরকে ভালো রাখ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url