ময়মনসিংহের ১২ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা

আমরা যারা ময়মনসিংহ জেলা দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে  বিস্তারিতভাবে জানিনা তারা বিভিন্নভাবে গুগলে সার্চ দিয়ে খোঁজার চেষ্টা করুন এই জন্য আজকে আমরা এই আর্টিকেলে  নিয়ে এসেছি যারা ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে

জানতে চাই তাদের জন্য আজকের  আর্টিকেলটি  অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করব |

পোস্ট সূচিপত্র

 ভূমিকা

 প্রিয় পাঠক আমরা প্রত্যেকেই জানি বাংলাদেশের আনেছে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য দর্শনীয় তার মধ্যে একটি জেলা ময়মনসিংহ যেটা বাংলাদেশের একটি বৃহত্তর জেলা মধ্যে ধরা হয় আর এই জেলাতে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান যেগুলো প্রতিবছর দর্শনার্থীরা দেখার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসে | ময়মনসিংহ জেলাটি ভ্রমণ পিয়াসী লোকদের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান | চলুন তাহলে দেরি না করে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত আলোচনা শুরু করি |

ময়মনসিংহের ১২ টি দার্শনিক স্থান

আজকে আমাদের প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ময়মনসিংহের বারোটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা | ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদ, রাম গোলাপ ফুল জমিদার বাড়ি বিপন পার্ক, কাটারবাড়ী জমিদার বাড়ি

 ব্রহ্মপুত্র নদ ময়মনসিংহ

 বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত এই নদীটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভর | এটি একটি বিখ্যাত নদী এই নদী সম্পর্কে প্রচুর কবি সাহিত্য কবিতা এবং সাহিত্য লেখা হয়েছে।  ময়মনসিংহ জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদ | এই নদের দুই ধার ঘেঁষে এমন সুন্দর্য রয়েছে যা কল্পনার পাশ দিয়ে তৈরি হয়েছে পার্ক পিকনিক স্পট বিনোদন কেন্দ্র এবং ভ্রমণের উপযুক্ত জায়গা হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান | বোটানিক্যাল গার্ডেন এমনকি নৌকা ভ্রমণেরও ব্যবস্থা এই নদীর | এখানে প্রতিবছর পর্যটকরা আসে এবং তারা তাদের অবসর সময়কে প্রাণবন্ত করার জন্য সমস্ত কাজকর্ম ফিরে ব্যস্ততাকে ছেড়ে অবসাদ যাপন করতে আসে। এই নদী উৎপত্তিস্থল হতে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত মিলে গেছে |

রাম গোলাপপুর জমিদার বাড়ি 

এই জমিদার বাড়িটি ময়মনসিংহের একটি বিশেষ দর্শনীয় স্থান ১৮৫০ সালে জমিদার বাড়ি নির্মাণ করা হয় এক সময় জমিদার বাড়িটি জুলুসের সাক্ষী হিসেবে ছিল এখানে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ ছিল বাগান ছিল শান বাঁধানো পুকুর ঘাট ছিল ফুলের বাগান ছিল তিনতলা বিশিষ্ট এই জমিদার বাড়িটি দেশভাগের পর জমিদার এখান থেকে চলে যায় এবং অবহেলা অযত্নে এই জমিদার বাড়িত হয় প্রায় ধ্বংসের দিকে চলে গেছে | এটি ময়মনসিংহের একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয় এজন্য এটাকে সংরক্ষণ করা অতীব জরুরী |

 ময়মনসিংহ বিপন পার্ক

 ময়মনসিংহ বিপন পার্ক ময়মনসিংহের সবচাইতে পুরাতন  পার্ক এটি ২০০ বছর আগের পাঠ তবে এটাকে নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে এবং বেশ কিছু নতুন ভাবে সংস্কার করা হচ্ছে | যেমন পায়ে চলার রাস্তা ফুলের বাগান বসার এমনকি ঝুলন্ত বঞ্চনা দেয়া হয়েছে এবার | সীমান্ত প্রাচীর বসার বেঞ্চ এক কথায় দর্শনার্থীদের যাতে ভালো লাগে সকল মানুষ যাতে এখানে এসে অবসর সময় অবকাশ যাপন করতে পারে এজন্য তার থেকে সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে | এই প্রার্থী নতুন ভাবে তৈরি করা হয় এবং স্থানান্তরিত করে কংগ্রেস জুবলি রোড এ থিম পার্ক হিসেবে পুনর নির্মাণ করা হয় |

কাঠারবাড়ি জমিদার বাড়ি

 ২৫০ বছর পুরনো এই জমিদার বাড়ি একটি দৃষ্টিনন্দন। এবং ঐতিহ্য বহনকারী একটি জমিদার বাড়ি যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই ভ্রমণ করে গেছেন | সারা বছর এই দৃষ্টিনন্দন জমিনের বাড়িতে অসংখ্য লোক ভ্রমণ করতে আসে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক দর্শনার্থী এখানে এসে থাকে এবং হুমায়ূন আহমেদ ২০০৩ সালের এই জমিদার বাড়িতে ছবি নির্মাণ করে  |

বোটানিক্যাল গার্ডেন ময়মনসিংহ

 এই বোটানিক্যাল গার্ডেনটি ১৯৬৩ সালে নির্মিত এবং এখানে বিরল প্রজাতির বিভিন্ন উদ্ভিদ রাখা হয়েছে যা বিলুপ্তপ্রায় তবে সারা বাংলাদেশ জুড়ে এই কৃষি বিদ্যালয় একটা সুনাম রয়েছে | এই বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রায় ৮-১০ হাজার ধরনের ছোট বড় মিলিয়ে গাছ রয়েছে এবং ৬০০ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এটি প্রায় ২৫ একর জায়গা জুড়ে বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ সংগ্রহ নিয়ে এই বোটানিক্যাল গার্ডেন টি তৈরি করা |

আরো পড়ুন: বাংলাদেশের বিভাগীয় জেলা

এই বোটানিক্যাল গার্ডেনটিতে প্রবেশ করতে পারে শুধু  ময়মনসিংহ কৃষি বিদ্যালয় এর ছাত্র-ছাত্রীরা আর সাধারণ মানুষের জন্য প্রবেশ  করতে হলে টোকেন নিতে হবে শুক্র শনি সকাল নয়টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং রবি থেকে বৃহস্পতি দুপুর দুইটা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা হয়নি | এটা দর্শনার্থীদের জন্য একটা উপযুক্ত জায়গা তাদের অবসর সময়টাকে কাজে লাগানোর জন্য এরা সবাই আমন্ত্রিত | 

ময়না দ্বীপ ময়মনসিংহ

 ময়মনসিংহ শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে ব্রহ্মপুত্র গিসে এই বদ্বীপ কি অবস্থিত এটা যেমন স্বচ্ছ পানি তেমন এই অধিকের পাশে বিস্তৃত একটি লেবু বাগান রয়েছে যা এর সৌন্দর্য টাকে আরো বাড়িয়ে চলেছি এবং এর ছায়া নিবিড় পরিবেশ পর্যটকরা পেয়ে থাকে এবং শান্তির নিঃশ্বাস  তারা এখানকার সুন্দর্য উপভোগ কর | এখানে নৌকা চলে নৌকু ভ্রমণের ব্যবস্থাও রয়েছে যা দর্শনার্থীদের জন্য উপভোগের একটি আলাদা আমি তৈরি করে |

সবুজে ঘেরা প্রশান্তির একটা আমেজ এখানে পাওয়া যায় সারি সারি নৌকো নদীমাতৃক পরিবেশনদী কেন্দ্রিক মানুষের জীবন যাপন দেখে মনোমুগ্ধকর লাগেদেখা মিলে সারিবদ্ধ হাঁস পান করি বিভিন্ন রকমের পাখি এবং সন্ধ্যা রাগ দিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়ার সূর্য ডোবার সুন্দর একটা পরিবেশ এই পরিবেশ অবশ্যই আপনাদের মনোমুগ্ধকর লাগবে।

আলেকজান্দ্রিয়া ক্যাসেল

 এটি একটি নান্দনিক সৌন্দর্যপূর্ণ রাজপ্রাসাদ যেটা লোহা এবং কার্ড দিয়ে তৈরিদোতলা বিশিষ্টই রাজবাড়ীটি দেখতে খুবই চমৎকার। এটা ময়মনসিংহের একটি গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান এটা সৌন্দর্য যতই বলা যায় ততই কম স্থানীয়রা এটাকে বলে লোহার রাজপ্রাসাদ কেননা এটা তৈরি করার জন্য অত্যাধিক লোহা ব্যবহার করা হয়েছে |এই লোহার প্রসারটির চারপাশে ফুলের বাগান এবং কুকুর খাট প্রবেশ কিছু মূর্তির ভাস্কর্য আছে এবং এর দোতালায় মার্বেল পাথর দেওয়ার কারণে রাজবাড়ী টু ঠান্ডা থাকে গরম হয় না প্রতিবছর পর্যটকরা এখানে আনাগোনা করে |

মেঘমাটি ভিলেজ রিসোর্ট

 এই রিসটটি ময়মনসিং থেকে দূরে গ্রাম্য পরিবেশে ময়মনসিংহের একটি অঞ্চলভালুকা গ্রামে আধুনিক এরিসটটি তৈরি করা হয়েছে এই বিষয়টি দেখতে দৃষ্টিনন্দন এবং অনেক সুন্দর এবং এ বিষয়টিতে একটি সুইমিংপুল রয়েছেআর এই রিসটটিতে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ লাগানো হয়েছে অবশ্যই ভ্রমণ পিয়াসীদের জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা |

জয়নুল আবেদীন পার্ক

 এই পার্কটি একটি আধুনিক দৃষ্টিনন্দন পার্ক যেটা ব্রহ্মপুত্র নদের পাশ দিয়ে তৈরি এটা অবকাশ যাপনের একটি উপযুক্ত জায়গা এখানে ময়মনসিংহ জেলার জায়গার লোক আছে বাংলাদেশের মানুষ এখানে ভ্রমণ করতে আসেন এক কথায় এটা একটা উপযুক্ত জায়গা অবসর সময় কাটানোর নিয়ম |

ময়মনসিংহ কৃষি বিদ্যালয়

 এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের একটি অন্যতম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যেটা সকলের কাছে পরিচিতদেশ-বিদেশে সবখানে উপরে প্রতিষ্ঠিত ১৯৬১ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয় |ভিডিও কলেজ বিভিন্ন গাছ পালায় ঘেরা ফুল ফল গাছে এই বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে খেলার মাঠ  স্টেডিয়ামনান্দনিক সড়ক বিভিন্ন ভাস্কর্য মসজিদ গবাদি পশুর খামার পুকুর চাষ ইত্যাদি অনেক কিছু এ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যা পর্যটকদের কে আকৃষ্ট করে |

ময়মনসিংহ রাবার বাগান

 এই বাগানটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম বাগান যেখানে একটু জাতির গাছের কস কে বের করে রাবার তৈরি করা হয় এটি প্রায় ১০৬  একর জায়গা সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে সংরক্ষণ করে বাগানের চাষ করে এখান থেকে রাবার তৈরি করা হয়এবং এ রাবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয় এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ এর আয়ও হয় |

শশী লজ ময়মনসিংহ

 এই জমিদার বাড়ি ময়মনসিংহ জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত সে সময়ে সবচাইতে ধনাত্ম্য জমিদারের একটি অকৃত্রিম অতুলনীয় নির্মাণ শৈলেন এই বাড়িটি মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত এখানকার জমিদার নিঃসন্তান হওয়ার কারণে তার নিজের ভাইয়ের ছেলেকে দপ্তরটা এবং তার নাম অনুসারে এই বাড়িটির তৈরি করে এবং নামকরণ করা এই রাজবাড়ীটি ১৮৯৭ সালে ভূমিকম্পে ভূমিকম্পে ভেঙে যায় তখনকার জমিদার আবার এই রাজবাড়ীটাকে পুনঃনির্মাণ করেন হে রাজবাড়ীর সামনে একটি দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান রয়েছে এবং একটি ফোয়ারাও রয়েছে এবং একটি সুন্দর মূর্তি রয়েছে | যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে এ রাজবাড়িটির জায়গা নেই তৈরি করা হয়েছে | 

বিরিশিরি

ময়মনসিংহের নেত্রকোনায় অবস্থিত একটি সিনেমাটির পাহাড় এই পাহাড়টি বাংলাদেশের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান যেটা সিনেমাটির পাহাড় নামে পরিচিত রয়েছে এবং নীল জলরাশি ছোট বড় পাহাড় দর্শনার্থীদের মনকে আকর্ষণ করে এখানে বিভিন্ন রকম ছবির শুটিং করা হয় এই একটি নদী রয়েছে ওখানে গির্জা রয়েছে রাণীর পুকুর রয়েছে অসংখ্য দেখার মত পরিবেশে রয়েছে না  গেলে বোঝা সম্ভব না |

শেষ কথা

 এতক্ষণ আপনাদের সঙ্গে যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করছিলাম তাহলে ময়মনসিংহের দর্শনীয় কিছু স্থান নেই যেগুলো আপনারা অনেকেই গুগলে সার্চ দিন ঘাটাঘাটি করে থাকেন | এবং ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল আমরা নিয়ে এসেছি আপনারা যদি আর্টিকেল থেকে উপকৃত হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের আত্মীয় স্বজন বন্ধু-বান্ধবদেরকে শেয়ার করবেন ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন ধন্যবাদ |