দাঁত শিরশির করা ও দাঁতের ব্যথা নিয়ে আলোচনা
শ্রোতা বন্ধুরা আপনারা অনেকেই দাঁত শিরশির ভাব ও দাঁতের ব্যথায় ভুগছেন এই কথা চিন্তা করে আজকে আমরা এই আর্টিকেলটি তুলে ধরেছি। আপনারা যারা দাঁত শীর্ষের দাঁতের ব্যথায় ভুগছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাহলে আপনারা যারা দাঁত শিরশির করা বা ব্যথা করা সম্পর্কে আলোচনা করে তা যদি জানতে চান তাহলে এই পোস্টটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে
পড়বেন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন ধাত শিরশির করা ও দাঁত ব্যথার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে | তাহলে চলুন দেরি না করে আমরা আজকের এই পোস্টের মূল কথাই চলে যায় |
পোস্ট সূচিপত্র:
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আমরা সকলেই জানি দাঁত আমাদের শরীরে সৌন্দর্য বর্ধনকারী | যদি কারো দাঁত না থাকে সেই বুঝতে পারে দাঁতের মর্ম কি | দাঁত পরিপাটি থাকলে সুন্দর থাকলে মানুষ যে কোন জায়গায় কমফোর্টেবল ফিল করে হাসিখুশি থাকে কিন্তু যদি দাঁত না থাকে বা দাঁতে কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেই মানুষটাই কত কষ্টে থাকে | সে প্রাণ খুলে হাসতে পারে না কোথাও যেতে পারে না এজন্য দাঁত আমাদের সৌন্দর্যের প্রতি ছোট বড় ছেলে মেয়ে সকলেরই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে চলুন আজকে আমরা এই দাঁত নিয়ে আলোচনা শুরু করব |
দাঁতশিরশির করা
দাঁত শিরশির করা বা ব্যথা করা এ সমস্যাগুলো মানুষের কাছে খুব বড় সমস্যা বলে মনে হয় না | বেশি মিষ্টি অথবা ঠান্ডা গরম টক জাতীয় খাবার খেলে দাঁত শিরশির বা ব্যথার কারণ | দাঁত শিরশির করলে এড়িয়ে গেলেও চলবে না |
কারণ দাঁত শিরশির অথবা ব্যথা করলে দাঁতের রুটের ক্ষতি হতে পারে | তাই দাঁত শিরশির করলে এবং ব্যথা হলে, দেরি না করে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা করতে হবে |
যদি ডাক্তারির চিকিৎসার দ্বারায় কিছুটা আরাম অনুভব হয় তাহলে চাইলে ঘরোয়া চিকিৎসা না যেতে পারে |
এজন্য সবচাইতে উপযোগী হলো গরম পানি এবং মিশিয়ে গর গরসহ কুলি করা গরম লবণ ও পানি মিশ্রণ করে গড় গড় করলে দাঁতের শিশি রানী ভাবো ব্যথা ও মারি ফোলা দূর হয়ে যায়।
দাঁত ব্যথার করা
প্রতিদিন খাওয়ার পর কমসেকম দুই বেলা ব্রাশ করা ব্রাশ না করলে দাঁত ব্যথা করবে স্বাভাবিক মাড়ি ফুলে যাবে স্বাভাবিক | প্রতিদিন কেউ যদি ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজে অর্থাৎ আলতো করে তাহলে দাঁতের ব্যথা শিরানি ভাব বা ফুলে যাওয়া ব্যথা করার একটি অন্যতম কারণ এজন্য আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে কিন্তু দাঁতে যাতে খাবার না যায় | এছাড়াও কিছু কারণ আছে যেমন বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করা এ সমস্ত কারণেও দাঁতের ক্ষতি হতে পারে যাতে ব্যথা হওয়া দাঁত ক্ষয় হয়ে যাওয়া রক্ত পড়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে |
দাঁত শিরশিরানীও ব্যথার লক্ষণ
দাঁতের অযত্ন অবহেলার কারণ শিরশিরানি ও ব্যথা অনুভব হয় এজন্য আমাদেরকে প্রথম কাজ করতে হবে তাদের প্রতি যত্নবান হতে হবে ঠিকমতো দাঁত ব্রাশ করতে হবে এবং দাঁতের জন্য ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে দাঁতের যে সমস্ত রোগগুলো হয় এর রোগ ভালো হয় সে সমস্ত ওষুধ খেতে হবে | বিশেষ করে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে যে আমরা যাতে সিগারেট না খাই মদ্যপান না করি বিভিন্ন মাদকের সাথে জড়িত না থাকে |
যদি আমরা মাদক ব্যবহার করি তাহলে দাঁতের জন্য অনেক ক্ষতিকর হবে দাঁত শিরশির করবে মারে ফুলে যাবে ব্যথা করবে এমনকি রক্ত পড়তে পারে | এই জন্য আমাদেরকে নিজে থেকে মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে তাতে খাবার লেগে থাকলে তা ব্রাশ করে পরিষ্কার করতে হবে গরম পানি লবণ মিশিয়ে বারবার কুলি করতে হবে | তাহলে দাঁতের ব্যথা বা শিরশিরানি দূর করা সম্ভব এছাড়াও কিছু কথা বা বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো।
যেসব কারণে সমস্যা হয়
নিয়মিত ব্রাশ না করা |
ব্রাশের মাথা বা যে অংশ দিয়ে ব্রাশ করা হবে নরম হতে হবে
খাবার খেয়ে যাতে খাবার লেগে রাখা যাবে না |
ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যাবে না
গরম পানি ব্যবহার করতে হবে
ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যাবে ব্রাশ করার সময়
টক জাতীয় খাবার ও পানি পরিহার করতে হবে |
ঠান্ডায় আইসক্রিম খাওয়া যাবেনা |
সব ধরনের মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে |
নিমের পাতা
গাছের মাড়ি ব্যথা করলে নিম পাতা গরম পানি পড়ে হালকা লবণ দিয়ে দুই তিন বেলা প্রতিদিন গড়গড় সহ কুলি করতে হবে | এটা দাঁতের জন্য খুবই ফলদায়ক হবে এবং দাঁতের ব্যথা বা শিরভাব অল্প সময়ের মধ্যে কোন | এছাড়া রসুন ব্যবহার করা দাঁতের ব্যথা স্থানে অথবা শিশির ভাব করা জায়গায় রসুন সরিষার তেল হালকা থেঁতিয়ে গাতে ধরে রাখলে ব্যথা স্থানে অথবা শিশির ভাবের স্থান তাহলে দাঁতের ব্যথা বা শিরশির ভাব অল্প সময়ের মধ্যে কাজ করে। এবং ভালো হয়ে যায় |
আদাগরম পানি
দাঁতের ব্যথা বা শিরশির ভাব দূর করতে আধা অনেক উপকারী উপকারী গুণ রয়েছে | আধা কে কুচু কুচু করে কেটে বা থেতলে গরম পানির সাথে মিক্স করে গড়গড়ানি করলে অল্প সময়ের জন্য দাঁতের ব্যথার জন্য অনেক উপকারী হয় এবং ব্যথা সেরে যায় |
দাঁতের রসুন লাগানো
দাঁতের ব্যথায় রসুন আরেকটি উপকারী দ্রব্য যেটা দাঁতের ব্যথা দূর করতে খুবই সহায়তা করে এবং তৎক্ষণিক কাজ করে আমরা দাঁতের ব্যবহার করতে পারি তাও কুচি কুচি করে কেটে অথবা বিলীন করে ব্যথা স্থানে বা শির শির ভাব স্থানে লাগাতে হবে |
মাড়ি দিয়ে রক্ত
মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ অনেকগুলো হতে পারে যেমন নিয়মিত ব্রাশ না করলে ঠিকমতো দাঁতের যত্ন না নিল যাতে তাদের যত্নে বলতে আমরা বুঝি দাঁতের পরিচর্যা যেমন দাঁতকে সুস্থ এবং ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন দুইবার ব্রাশ করতে হবে তার পাশাপাশি মেসওয়াক করতে হবে মেসওয়াক দাঁতের মাড়ি শক্ত করে রক্ত পড়া বন্ধ করে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করে |
ঠিকমতো ব্রাশ না করা অথবা হরমোনের কারণেও দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়তে পারে তুম দিছে |
অথবা মাদক সেবন করা অথবা যে সমস্ত খাবারগুলো খাওয়ার পরে দাঁতের মাড়ি যে ছেটে যায় অযত্ন তার কারনে পরিষ্কার করা হয় না এবং থেকে যায় সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়া জন্য দাঁতের এবং মাড়ির ক্ষতি করে এ কারণে ও দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে
আক্কেল দাঁত কি
সাধারণত আক্কেল দাঁত মানুষের ওঠে ২৫ বছর বয়সে এই দাঁত যখন ওঠে অনেকেরই খুব ব্যথা করে কয়েক দিন ব্যথা থাকে |৩২ পাটি দাঁত হয় মানুষের কারো কারো বেশি হয় তবে এই রাতগুলোর শেষ অংশের মাড়ির দাঁত বলা হয় মারির দাঁতের পেছনের দাঁতগুলো আক্কেল দাঁত কারো কারো ২৫ বছরের বের হয় এবার কারো কারো বেশি বয়সেও বের হয় |
আমাদের সমাজে একটা কথা প্রচলন আছে যুবক বয়সের ছেলেদের আক্কেল দাঁত বের হল বলা হয় আক্কেল এমনি এমনি বের হয় এবং এই আক্কেল দাঁতের প্রতিশব্দ আরবি শব্দ | আক্কেল দাঁত উঠার সময় অনেক ব্যথা করে এজন্য অনেকে ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকে | এই দাঁত উঠানো খুব মুশকিল কেননা এমনিও একজন যুবক মানুষের কোন কারণে বা কারণ ছাড়া মাড়ির দাঁত তুলতে খুব কষ্ট হয় এবং যার উঠানো হয় সে খুবই ব্যথা পায় | এজন্য এটাও ভুল কথা যে আক্কেল দাঁত উঠিয়ে ফেলতাম |
আক্কেল দাঁত রাখবেন না ফেলে দিলেন
আক্কেল দাঁত আমরা মনে করি রাখলেই সমস্যা কিন্তু আল্লাহতালা তো আমাদেরকে আক্কেল দাঁত দিয়েছেন। এটা তার নিজের শক্তি বলে বা নিজে নিজেই হয় নিশ্চয়ই আল্লাহতালা এটা কোন কারণবশতই দিয়েছেন। এই জন্য একটি তাজা জাত উঠালে খুব কষ্ট হয় এই জন্য চাইলে রেখে দিতে পারেন | এই দাঁতগুলো মাড়ির শেষে ওঠার কারণে সাইজে অনেক ছোট হয় স্বাভাবিক দাঁতের আকারের চাইতে দাঁতের আকার ছোট হওয়ার কারণে অনেক সময় খাবার আটকে থাকে ব্রাশ করার সময় ব্রাশ ওখানে পৌঁছানো মুশকিল হয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়।
কিন্তু তারপরও দাস এজন্য নিজে থেকে এই দাঁত উঠানো ঠিক না যদিও এটা আপনার কোন কাজে না লাগে বা কিছু সমস্যার সৃষ্টি করে তারপরও নিজে থেকে যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করা তাহলে দাঁতটিতে খাবার জমবে না অথবা মহিলা লেগে লেগে পাথর হবেন | আর দাঁতের ব্যাপার হলো নিয়মিত ব্রাশ করা টুথপেস্ট দিয়ে এজন্য কোন দেশ ভালো হবে এটাও ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ডাক্তারের কাছে জেনে নেওয়া | এবং প্রতিদিন দুইবার ব্রাশ করা এছাড়াও মাঝে মাঝে প্রয়োজন পড়লে স্ক্যানিং করা | আর বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পরে অর্থাৎ রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করে ঘুমান তাহলে মুখের মধ্যে যে ব্যাকটেরিয়া গুলা জমে পায়খানা করে এটা করতে পারবে না |
শেষ কথা
আজকে আমরা এই পোস্ট থেকে জানতে পারলাম দাঁতের যত্নের কিছু কথা দাঁত একটু অমূল্য সম্পদ। দাঁত আমাদের নিজেদের সৌন্দর্যকে বাড়ায় এজন্য দাঁতের যত্ন নেওয়া চাই | আজকের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে আপনাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের কাছে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ | এবং ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন ক্ষমা অনেক বড় একটি গুণ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url