নিপা ভাইরাসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা
আমরা অনেকেই নিপা ভাইরাস সম্পর্কে জানি আবার জানি না আবার অনেকে এই ভাইরাস সম্পর্কে জানি | আজকে আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাতে চলেছি নিপা ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু কথা যেখানে থাকবে নিপা ভাইরাসের লক্ষণ কি থেকে নিপা ভাইরাস ছড়ায় এবং এর চিকিৎসা সমস্ত বিষয় সমস্ত বিষয়ে আমরা আপনাদের সাথে বিস্তারিতভাবে এই আর্টিকেলে স্পষ্টভাবে আলোচনা করব নিশ্চয় আপনারা জানতে আগ্রহী নিপা ভাইরাস সম্পর্কে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ
হতে চলেছে আপনারা যদি জানতে চান তাহলে মনোযোগ দিয়ে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন তাহলে আপনারা জানতে পারবেন নিপা ভাইরাস সম্পর্কে | চলুন তাহলে দেরি না করে আমরা আমাদের কাঙ্খিত আলোচনা শুরু করি নিপা ভাইরাস সম্পর্কে।
পোষ্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন নিপা ভাইরাস সম্পর্কে নিপা নিপা ভাইরাস এমন কোন জটিল ভাইরাস না তারপরও যেকোনো ভাইরাসকে ছোট মনে করা যাবে না ভাইরাসটি দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে নিপা ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব জানতে হলে আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ চলুন তাহলে দেরি না করে |
নিপা ভাইরাসের লক্ষণ
প্রতিটা রোগ অথবা ভাইরাসের একটি লক্ষণ রয়েছে যেটার কারণে সংক্রামিত লোককে দেখলেই বোঝা যায় বা সেই রোগটা হলে বা ভাইরাসটা ছড়ালে মানুষের মধ্যে কিছু পরিবর্তন বা কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়। যার কারণে বুঝতে পারা যায় যে তার মধ্যে এই রোগ অথবা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে | নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর মাথাব্যথা পেশিতে ব্যথা গলা ব্যথা বমি হওয়া ইনফ্লুয়েঞ্জের মত উপসর্গ দেখা যায় | মাথা ঘোরা তৃষ্ণা পাওয়া তীব্র মাথাব্যথা করা প্রলাপ অনেক মানুষের নিউমোনিয়া তীব্র বুক ব্যথা সহ শ্বাসকষ্ট দেখা যায় | এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং বুঝতে হবে যে এটা নিপা ভাইরাসের লক্ষ্য |
ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার এক সপ্তাহ ১০ পর এই লক্ষণ গুলো দেখা দেয় এবং রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়ে যায় অনেক রোগী আক্রান্ত হয়ে মারা যায় পর্যন্ত |
নিপা ভাইরাস প্রথম কোথায় ছড়ায়
নিপা ভাইরাস প্রথমত মালোশিয়ায় এবং সিঙ্গাপুরে ছড়ায় এরপর বাংলাদেশ ইন্ডিয়াতে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন
NiV ছড়াই |সেখানকার মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়ায় এবং শোনা যায় যে বাদুরের লালা অথবা ফলে মলত্যাগ করার কারণে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে |
সাধারণত এই রোগ যদি বাঁদরের মধ্যে থাকে এবং এই বাদুড়ে খাওয়া ফল বা খেজুরের রস এই বাদুর খেয়ে থাকে এবং এর ফল অথবা বাদুড়ে খাওয়া খেজুরের রস কোন মানুষ যদি খেয়ে ফেলে তাহলে তার মধ্যে নিপা সংক্রামিত হবে | কয়েক বছর আগে আমরা মাইকিং এর মাধ্যমে আমাদের এলাকায় শুনেছিলাম নিপা ভাইরাসের কথা শুনেছিলাম যেখানে তারা মাইকিনের মাধ্যমে বলছিল যে এই রোগ বাহাদুর থেকে ছড়ায় শীতকালীন সময়ে উনারা মাধ্যমে বিশেষ করে বলছিল যে বাদুড়ে খাওয়া খেজুরের রস বা বাদুরের খাওয়া ফল খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে |
বিশেষ করে উনারা বলছিল যে আমাদের দেশে যেহেতু শীতকালীন সময়ে খেজুরের রস গ্রামের লোকেরা গাছে মাটির কলসি অথবা হাঁড়িটা নিয়ে সংগ্রহ করে থাকে আর এ রস দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি হয় এজন্য মাইকের মাধ্যমে আমাদেরক সকলে সতর্ক বার্তা জানিয়েছে | এজন্য আমাদেরকে বাদরে খাওয়া ফল অথবা খেজুরের রস থেকে দূরে থাকতো হবে।
কিভাবে ছড়ায়
নিপা ভাইরাস বাঁদরের মাধ্যমে ছড়ায় বাদুরের মধ্যে এ ভাইরাসটি পাওয়া যায়, আক্রান্ত বাদুর যদি খেজুরের রস খায় কোন ফল খেয়ে নেই অথবা সেখানে মলত্যাগ করে মানুষ ছাড়া বিভিন্ন পশু আক্রান্ত হয়ে থাকে বাদুর যদি গরু ছাগলের খাওয়া খরকুটা উড়ে পেশাব পায়খানা করে বা সেখানে মুখ দেয়। তার মলমূত্র অথবা লাল এর মাধ্যমে সে রোগ ছড়ায় এবং ওই খড়কুটো যদি গরু অথবা ছাগলে খায় তো এ রোগ তাদের মধ্যেও সংক্রামিত হবে ছড়াবে |
নিপা ভাইরাসের প্রতিকার
নিপা ভাইরাস একটি আতঙ্ক না দরকার আমাদের সচেতনতা আমরা ভয় না করে সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা গুলো ফলো করে চলবো তাহলে আমরা এ রোগ থেকে মুক্ত থাকবো। নিচে প্রতিকার সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।
খেজুরের কাঁচা রস খাবেন না
কোন ধরনের আংশিক ফল খাবেন না
ফলমূল সুন্দর করে ধুয়ে পরিষ্কার রাখবেন
নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে দ্রুত রোগীকে গাছের হাসপাতালে ভর্তি করবেন
আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে না যাওয়াই ভালো | যদি যান তাহলে তার কাছ থেকে এসে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে নিতে হবে |
ভয় না সতর্কতা
নিপা ভাইরাস হলে ভয় করবেন না সর্তকতা অবলম্বন করবে তাহলে নিজেও এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পাবে এবং অন্যরাও যাতে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পায় এজন্য তাদেরকে সতর্কতা মূলক উৎসাহ দিবেন সতর্ক থাকার জন্য আমাদেরকে কিছু দিকনির্দেশনা আমাদেরকে অবলম্বন করতে হবে সেগুলো হলো |
খেজুরের কাচা রস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এমনকি বিক্রি করা থেকেও
কোন ফল খেতে হলে তা ভালোভাবে ধুয়ে শুকানোর পর খেতে হবে এমনকি শাকসবজি নেওয়ার সময় দেখে নিতে হবে এবং রান্না করার আগ দিয়ে খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে রান্না করতে হবে |
সর্ব অবস্থায় বাদুড়ের লালা মলমূত্র এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে |
রান্না করা খেজুরের গুড় বা খেজুরের গুড়ের পায়েস ইত্যাদি খেজুরের গুড় বরস দিয়ে তৈরি যে কোন খাবার অথবা শাকসবজি অতিরিক্ত তাপে রান্না করতে হবে কেননা বেশি তাপে নিপা ভাইরাস নষ্ট হয়ে যায় |
আরো পরুন:ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রতিকার
নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর কাছে যাওয়া যাবে না যদিও খুব প্রয়োজন পড়ে তাহলে খুব সতর্কতার সঙ্গে যেতে হবে এবং তার সাথে সাক্ষাৎ করে চলে আসতে হবে এসে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত মুখ ধুয়ে নিতে হবে |
তার কাছে যেতে হলে মাক্স পড়ে যেতে হবে এবং দূরত্ব বজায় রাখতে হবে | তার প্রত্যেকটা জিনিস আলাদা আলাদা রাখতে হবে খাবার খালা খাবারের গ্লাস এমনকি কাপড় চোপড় সবকিছু আলাদা করতে হবে |
এই রোগীর প্রতিটা ব্যবহারিক জিনিসই উনারা আলাদা করে রাখবেন যদি এ রোগের মৃত্যুবরণ করে বা মারা যায় তাহলে তার কাফন দাফন করারও ব্যক্তি সতর্কভাবে কাফন দাফন করাবেন কেননা তার শরীরের রক্ত এ ছাড়া অন্যান্য জিনিস আমাদের গায়ে লাগলে আমাদের মধ্যেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে এজন্য যারা মৃত ব্যক্তিকে গোসল করাবেন তারা গোসল করানোর পর নিজেরাও ভালো হবে গোসল করে নেবেন এবং নতুন পোশাক পড়বে
জরুরী একটা কথা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দেরী না করে দ্রুত নিকটতর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাবে
শেষ কথা
আমরাই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারলাম নিপা ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আসলে ভাইরাস ভয়ের কোনো কারণ না এখানে আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে তাহলে এই সমস্ত ভাইরাস থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারবো। আর্টিকেল থেকে জানা এবং ভালোলাগা বিষয়গুলো আপনারা আপনাদের আত্মীয়-স্বজনের বন্ধু-বান্ধবের কাছে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ |
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url