শীতে বাচ্চাদের রোগ সম্পর্কে আলোচনা
শীত আসলেই আমরা আমাদের ছোট্ট সোনামণিদেরকে নিয়ে বিভিন্ন টেনশন থাকি বিশেষ শীত জনিত রোগ নিয়ে আর এই টেনশন টা বেশি ভাগ ওই মা-বাবাদের হয় যারা শুদ্ধ মা বাবা হয়েছে অর্থাৎ ছয় মাস বয়সের বাচ্চা দেড় মা-বাবার অনেক চিন্তা ভাবনায়। থাকতে হবে এবং তারা চিন্তাও করে যে এই বিভিন্ন রোগ থেকে ছোট্ট সোনামণিকে কিভাবে রক্ষা করা যায় | আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের এই বিষয়ে জানাতে চাচ্ছি যে শীত পড়লে বাচ্চাদের শীত জনিত কি কি রোগ হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের সাথে আলোচনা করব জানতে হলে পোস্টটি আপনারা শুরু
থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ | চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন আমাদের কাঙ্খিত বিষয় যে বিষয়টা আমরা প্রায়ই বাবা-মা গুগলে সার্চ দিয়ে জানতে চাই। কেনই বা জানবো না নিজের সন্তান বলে কথা এজন্য আজকের এই পোস্টটি সকল মা-বাবা মনোযোগ দিয়ে করবেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাহলে আপনারা জানতে পারবেন আপনাদের চিন্তা ও ভাবনার বিষয় শীতকালে বাচ্চাদের কি কি রোগ হয় |
পোস্ট সূচীপত্র
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক প্রত্যেক মা-বাবারই তাদের কলিজার টুকরা সন্তান নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকে প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে তাকে মানুষের মত মানুষ করা সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার ব্যবস্থা করা শিক্ষিত বানানো এ সমস্ত চিন্তা থাকে তবে তার সাথে সাথে মা বাবার এটাও চিন্তা থাকে যে বাচ্চা যাতে অসুখ-বিসুখ করে না ভোগে কেননা সামনে শীত চলে এসেছে এখন বাচ্চার সাথে সাথে বড়দের জন্য সমস্যা বয়স্কদের জন্যও সমস্যা কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে ছোট বড় শিশু সকলেই বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে | আজকে আমাদের ছোট বাচ্চাদের কি কি রোগ হয়ে থাকে চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নিন |
শীতকালে ছোট বাচ্চাদের রোগ
শীতকালে ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে এর মধ্যে কমন রোগ হচ্ছে সর্দি কাশি ঠান্ডা লাগা এছাড়াও বেশ কিছু রোগ হয়ে থাকে যেমন নিউমোনিয়া হাঁপানি হয় চর্মরোগ দেখা দেয় ডায়রিয়া হয় বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের ধরে ভাইরাস জ্বর হয় অতিমাত্রায় সর্দি কাশি হয়। আর এটা হওয়ার কারণ হলো যে শীত পড়ার কারণ শেষ হয়ে যাওয়ার পর যখন শীত নেমে আসে তখন এই সমস্যাটা দেখা যায় অর্থাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণ |
এজন্য আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে অবহেলা করা যাবে না বিশেষ করে এই সমস্ত বাচ্চা যারা শীগ্রই জন্ম নিয়েছেন অথবা ৬ মাস বয়সের বাচ্চাদের দিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে | এ ব্যাপারে পরিবারের সকল সদস্যকে একটু হলেও সতর্ক থাকতে হবে তাহলে এই শীতে বাচ্চাকে শীতজনিত রোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে |
শীতের ঠান্ডা আবহাওয়া
শীতের আবহাওয়া ঠান্ডা হওয়ার কারণে বাচ্চাদেরকে ঠান্ডা বাতাস এবং ঠান্ডা পানি থেকে দূরে রাখতে হবে সব সময় বাচ্চাদেরকে গরম আবহাওয়া রাখতে হবে এজন্য প্রথমত বাবা-মা আত্মীয় স্বজনদেরকে সতর্ক হতে হবে | শীতকালীন সময় গুলোতে বা অন্যান্য সময় গুলোতেও বাচ্চারা আগেই ঘুমায় এবং খুব সকালে উঠে যায় এমনকি রাত্রে তাদের বেশ কয়েকবার ঘুম ভেঙে এই জন্য বাচ্চাকে ঘুমানোর সময় মোটা কাপড় পরাতে হবে এবং বাচ্চার শরীর গরম রাখতে হবে ভ্যান চালানো বন্ধ করতে হয় করে দিতে হবে এবং যাতে জানালা কপার দিয়ে ঠান্ডা বাতাস না আসে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে জানালা কখনো বন্ধ করে দিতে হবে |
শীতে ঠান্ডা পানি বা আবহাওয়া
বাচ্চাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে যে গোসল করালে ঠান্ডা পানি দিয়ে না পানি হালকা গরম করে নিয়ে গোসল করাতে হবে এবং গোসল করানোর পর বাচ্চাকে সরিষার তেল মাখিয়ে গরম পরিবেশে রাখতে হবে হাওয়া বাতাসে যাওয়া যাবে না যদি এরকম জায়গা থাকে বাসার ভিতরে বারান্দায় বা উঠানে রোধ করে তাহলে বাচ্চাকে নিয়ে সে রোদে বসতে হয় আর যদি কারো বাসায় রুম হিটার থাকে তাহলে তো ভালই হয় |
শীতে গরম পানি বা খাবার
বুকের দুধের পাশাপাশি যদি সে খায় বা খেতে পারে এরকম খাবার ঠান্ডা না দিয়ে হালকা গরম করে খাওয়াতে হবে তাহলে বাচ্চা ঠান্ডা জনিত রোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারে কান্না খাবার গলা দিয়ে পেটে গেলে ঠান্ডা লেগে যেত পারে এজন্য খাবারের ব্যাপারেও ছোট শিশুদের জন্য বাবা মাকে সতর্ক হতে হবে যে খাবার খেলে বাচ্চার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে সে খাবার পরিহার করতে হবে |
শীতে গরম পোশাক পরানো
শীতকালে বাচ্চাকে সব সময় গরম পোশাক ফুলহাতা জামা মোটা গেঞ্জি পড়াতে হবে যাতে তার বুকে গলায় কানে ঠান্ডা না লাগে এরকম গরম উপযোগী পোশাক পরাইতে হবে কানে ঢুকিয়ে দিতে হবে যদি ঠান্ডা লেগেই যায় তাহলে বাচ্চাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াতে হবে বিভিন্ন জ্বর সর্দি কাশি এগুলো হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াতে হবে এছাড়াও ঘরোয়া কিছু নিয়ম আছে যেগুলো মানলে বাচ্চার ঠান্ডা জনিত রোগ থেকে মুক্ত থাকবে এবং যদি রোগ হয়ে যায় তাহলে এ কাজগুলো করলে বাচ্চা সুস্থ থাকবে |
আরো পড়ুন: ছোট বাচ্চাদের সুন্দর
শীত পড়লেই সামান্য সতর্কতার কারণে বাচ্চাদের ঠান্ডা জনিত রোগ জ্বর সর্দি কাশি নিউমোনিয়া হাঁপানি এমনকি চর্ম রোগ হতে পারে | এজন্য আমাদেরকে বিশেষ করে সতর্ক থাকতে হবে শিশুকে ভালো রাখতে হলে রোগ মুক্ত রাখতে হলে প্রথমে আমাদেরকে সতর্ক হতেন কারণ একটা ছোট বাচ্চাদের কিছু জানে না কিছু বোঝেনা আর আমরা বিবেকবান জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ সামান্য ভুলের কারণে নবজাত শিশুর বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে সেজন্য শীত মৌসুমটা আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে | অনেক সময় আমরা বাচ্চাদেরকে মেঝেতে ঘুমাই একটা কি নিজেকে ঘুমাতে দেওয়া যাবে না তাকে খাটের উপরে মোটা কাঁটা পেরে নরম করে জায়গাটা যাতে গরম হয় এরকম জায়গাতে ঘুমাতে যেতে হবে সাথে সাথে মুশরীয় দিতে হয় যাতে মশার কামড় থেকে বেঁচে থাকে। কেননা মশার কামড়ে হয়তো বা বাচ্চা বিভিন্ন রোগ হয়ে যেতে পারে |
বাচ্চার শীতকালীন রোগের লক্ষণ
বাচ্চার শীতের সময় যে সমস্ত রোগ দেখা দেয় সেগুলো লক্ষণ খুবই সহজেই বোঝা যায় শীতের সময় যদি বাচ্চা জ্বর সর্দি কাশি হলে অতিমাত্রায় কাশি হবে সর্দি হবে, গায়ে জ্বর আসবে | বাচ্চার রুচি কমে যাবে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেবে খেতে চাইবে না। অনেক সময় এ কারণে বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হয়ে যায়। শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এই জন্য বিশেষ করে ঠান্ডার সময় আমাদেরকে চেষ্টা করতাম যে কোনোভাবে যেতে বাচ্চাদের ঠান্ডা না লাগে আর ঠান্ডা লাগার কারণগুলো বাচ্চার সাথে যাতে না ঘটে, এদিকে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে।
শেষ কথা
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম শীতে বাচ্চাদেরকে ঠান্ডা জ্বর সর্দি কাশি লাগা থেকে দূরে রাখার বিষয়। বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আপনাদের যদি এ বিষয়গুলো ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবের কাছে শেয়ার করবে এবং আপনার মূল্যবান কমেন্ট লিখে পাঠাবে ধন্যবাদ | লেখার মধ্যে ভুল দুটি হল মাফ করবেন ভুলের ঊর্ধ্বে কেউ নাই |
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url