নতুন বছর ইসলামিক নিয়মে জীবন যাপনের ১২ উক্তি
মানুষ সামাজিক জীব মানুষ সমাজে চলাফেরা করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই হোক বা ইচ্ছাকৃতভাবেই হোক ভুল ত্রুটি হয়ে যায়।এজন্য বিগত বছরে আমাদের চলাফেরা উঠাও বসায় অনেক ভুল ত্রুটি হয়ে গেছে এই জন্য এই ভুলগুলোকে সামনে রেখে নতুন বছর। আল্লাহতালার কাছে অন্তরের অন্তরস্থল থেকে আল্লাহতালার কাছে তওবা করি নতুন বছর যাতে আমাদের সুন্দরভাবে নেক আমলের সাথে কাটে এজন্য চেষ্টা করতে হবে। আমরা আমাদের নতুন
নতুন বছর ইসলামিক নিয়মে কাটানোর ইচ্ছা পোষণ করে বিভিন্নভাবে এ ইসলামিক পোস্টগুলো গুগলে সার্চ করে থাকে। আপনারা যারা জানতে চান বিগত দিনে যে ভুল ত্রুটিগুলো করেছি তওবা করে বাদ দিয়ে নতুন বছর ইসলামিক নিয়মে জীবন কাটাতে চাই তাদের জন্য পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ জানতে হলে আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।
পোস্ট সূচীপত্র
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আপনাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানাবো নতুন বছর ইসলামিক নিয়মে জীবন যাপনের দশটি উক্তি সম্পর্কে। জানতে হলে আপনারা আমাদের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই পোস্টটিতে থাকবেন তাহলে জানতে পারবেন কিভাবে নতুন বছর ইসলামিক নিয়মে জীবন যাপন করা যায় সে সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেরি না করে এ প্রশ্নের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই।
নতুন বছর ইসলামিক জীবন যাপনের ১২ উক্তি
মানুষ আল্লাহ তাআলার সেরা সৃষ্টি মানুষকে বলা হয় আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহতালা মানুষকে খুব যত্নের সাথে নিজ কুদরতি হাতে সৃষ্টি করেছে। আল্লাহ মানুষকে এবং জিন জাতিকে আল্লাহতালা ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তার মানে এটা নয় যে সব সময় এবাদত বন্দ। এখানে ইবাদত বন্দেগী বলতে বোঝানো হয়েছে যে তার ২৪ ঘন্টা যাতে আল্লাহর হুকুম আর নবীর তরিকায় হয় তাহলে ইবাদত হবে। ইবাদত মানে এটা নয় যে সারাদিন তাকে মসজিদে পড়ে থাকতে হবে সারা দিন কোরআন শরীফ নিয়ে পড়ে থাকতে হবে তসবি তাহলে নিয়ে পড়ে থাকতে হবে এটা করতে পারলে ভালো।
সেখানে২৪ ঘন্টা আল্লাহ তায়ালার এবাদত বলতে বোঝানো হয়েছে তার পুরো জীবন ব্যবস্থাটা যাতে আল্লাহ তাআলা হুকুম আর নবীর তরিকায় হয়ে যায়। যেমন তার ঘুম থেকে ওঠা এবং ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত যত কাজ আছে সে যদি আল্লাহর অপমান নবীর তরিকায় শুরু করে তাহলে তার ২৪ ঘন্টায় এবাদত হবে। যেমন ধরেন সে ঘুম থেকে উঠে আল্লাহ শুকরিয়া আদায় করার পরে ফজরের ওয়াক্তে ফরজ নামাজ আদায় করল সময় যদি থাকে তাহলে তো সুবিধা কোরআন পড়লে কিছু সময়। ব্যবসা করুক বা চাকরি করুক না কেন সময় মতো গিয়ে সেখানে তার দায়িত্ব সে ঠিকমতো পালন করে দায়িত্ব অবহেলা করে না।
কেউ যদি ব্যবসায়িক হয় দোকানদার হয় তাহলে সে সঠিকভাবে দোকানদারি করে মানুষকে সঠিক জিনিস দেয় সঠিক দাম নেই মানুষকে ঠকায় না কেউ যদি কর্মচারী হয় তাহলে সে সেখানে সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করবে দায়িত্ব পালনে অলসত করবে না। মালিক কে খুশি করবে আর এগুলো সম্ভব যখন তার ভিতরে আল্লাহর ভয় ঢুকবে যখন সে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে তার প্রতি আল্লাহ খুশি হবে এবং দোকানের মালিকও খুশি হব।
তাছাড়া মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার করা সুন্দর আচরণ করা বড়দের সালাম-কালাম করা ছোট দেশ স্নেহ করা এ সমস্ত কাজগুলো দৈনন্দিন চব্বিশ ঘন্টার আমল এর মধ্যে পড়ে। মোটকথা কেউ যদি নিজেকে ইসলামিক নিয়মে চালাইতে চাই তাহলে তাকে সর্বক্ষেত্রে সততা অবলম্বন করতে হবে সদাচরণ করতে হবে নরম হতে হবে কারো ক্ষতি করার চিন্তা করা যাবে না আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করতে হবে হুজুর সাল্লাল্লাহু সালামের নিয়ম অনুসারে চলতে হবে।
চলুন তাহলে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাই নতুন বছর ইসলামিক জীবন যাপনের ১২ উক্তি সম্পর্কে। জানতে হলে আপনারা আমাদের সাথে এই পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবে তাহলে আপনি জানতে পারবেন আপনার কাঙ্খিত বিষয় ওকে বিস্তারিত সবকিছু চলুন তাহলে আমরা জেনে নিন বিস্তারিত সবকিছু।
ইসলামিক নিয়মে জীবন যাপনের ১২ টি উক্তি
ইসলামিক নিয়মে জীবন যাপন করার যষ্টি উক্তি সম্পর্কে আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে নতুন বছরে ইসলামিক নিয়মে জীবন যাপন করার ১২ টি উক্তি সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই।
আল্লাহর দরবারে তওবা করা
আসুন আমরা আল্লাহর দরবারে তওবা কারো সম্পর্কে কিছু কথা। প্রথমত আপনাকে পেছনের দিনগুলোতে আপনার চলাফেরা ওঠাবসা হয়ে গেছে কমতি গুলো হয়ে গেছে এগুলো স্মরণ করে আল্লাহ তায়ালার কাছে খাস অন্তরে তওবা করা।
যে আল্লাহ আমি ভুল করে ফেলেছি আর কোনদিন এই কাজ করবো না। নত হওয়ার মতো কিছু বাক্য ব্যবহার করে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা। এবং ভবিষ্যতে আর এই ধরনের গুনাহের কাজ করব না বলে আল্লাহ তাআলার দরবারে ওয়াদাবদ্ধ হওয়া।
তারপর আমল করতে শুরু করে আপনার তওবা কবুল হয়েছে কিনা এটা শর্ত হল তওবা করার পরে পেছনে যে সমস্ত অন্যায় বা গুনাহ করেছেন এগুলোর প্রতি এমন ঘেন্না হয় যে। আগুনে ফেলা যেমন কষ্টকর পূর্বের আমি যেই গোনাগুলো পড়েছি ওগুলা করাও এরকম কষ্ট কর অর্থাৎ তওবা করার পর যদি আপনার পূর্বের গুনাহগুলো করতে ইচ্ছা না হয় তাহলে আপনার তওবা ধরা যায় কবুল হয়েছে।
ঈমানের অবস্থায় থাকা
ইসলামিক নিয়মে আমাকে চলতে হলে প্রথম যেটা করতে হবে সেটা আল্লাহতালার প্রতি আমাকে ঈমান আনতে হবে। এক আল্লাহতালা আমাকে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহতালা আমাকে রিজিক দেন। আল্লাহতালা আমাদের পালনকর্তা,তিনি সমস্ত সৃষ্টি জগতের মালিক তিনি যা চান তাই হয় তিনি রাত্রকে দিন আর দিনকে রাত করেন তার হুকুম ছাড়া একটা গাছের পাতাও নড়ে না। মূলকথা হচ্ছে আমাকে আল্লাহতালাকে নির্দ্বিধায় রব হিসেবে মেনে নিতে হবে আর হুজুর সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর জীবনাদর্শ আমাকে বুকে ধারণ করতে হবে তাহলে আমি পাক্কা ঈমানদার হব।
আর আর ঈমান আসলে আমাকে নেক আমল করতে ভালো লাগবে নামাজ পড়তে ভালো লাগবে আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগী করতে আমাকে ভালো লাগবে অন্যায়ের কাছ থেকে বিরত থাকার শক্তি একটা পাওয়ার আসবে।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত জামাতের সাথে আদায় করা। যতই কষ্ট হোক না কেন আমাকে নামাজ ছাড়া যাবে না নামাজ পড়তে হবে। যতই কাজের চাপ থাকুক না কেন যতই কষ্ট হোক না কেন শীত গরম যে কোন আবহাওয়াতেই নামাজ ছাড়া উচিত না নামাজ পড়তে হবে। এরকম অন্তরের মধ্যে বদ্ধমূল করতে হবে। যে যখন আমি আজান শুনবো তখনই আমি নামাজে চলে যাব আল্লাহতালার হুকুম আল্লাহ তাআলা আমাকে ভালবাসবে। আমার দুঃখ কষ্টগুলোকে দূর করে দিবে বিভিন্ন বিপদ থেকে হেফাজত করবে। মোটকথা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে ছাড়া যাবে না, তার সাথে সাথে নফল নামাজগুলো পড়লে আরো ভালো।
জ্ঞান বা এলেম অর্জন করা
আমাকে দুনিয়াতে আল্লাহর হুকুম এবং নবীর তরিকায় চলতে হলে অর্থাৎ দৈনন্দিন আল্লাহ তায়ালার হুকুমগুলোকে মানতে হলে আমাকে এগুলোকে শিখতে হবে। শিক্ষার নামটাই হচ্ছে জ্ঞান বা হেলেন আমি প্রতিদিন যে সমস্ত আমল গুলো করব সে সমস্ত আমল সম্পর্কে যদি না জানি তাহলে আমার চাইতে বিজ্ঞ যারা জ্ঞানী আলেম ওলামা আছেন যারা এগুলা সম্পর্কে জানেন তাদের কাছে জানবো আমি যদি নামাজের বিষয় না জানি তা জানবো।
আমি যদি কোন দোয়া সম্পর্কে না জানি কোরআন পড়তে না জানি কুরআনের বিভিন্ন সূরা গুলো না জানি এগুলো আমি কোন ভালো ইমাম সাহেব বা আলেমের কাছে কি শিখে নেব। এগুলা শেখা থাকলে তাহলে আমার আমল করতে সুবিধা হবে এবং আমার আমলগুলো ইবাদতগুলো সঠিক হবে।
সদ্ব্যবহার করা
সব সময় মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে বড়দেরকে সম্মান করতে হবে ছোটদেরকে স্নেহ করতে হবে হয় আর সকলের সাথে মার্জিত ভাষায় কথা বলতে হবে। মানুষের উপকার করতে হবে। কারো ক্ষতি করা যাবে না কারো সাথে কোন দুশমনি করা যাবে না। আমার চলাফেরা যদি কারো সাথে কোন কিছু হয়ে থাকে বাকিও মনে কষ্ট পেয়ে থাকে তাহলে তার কাছে গোপনে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। আমি যদি নতুন বছরে ইসলামিক নিয়মে চলতে চায় তাহলে আমার মধ্যে এই ধরনের গুণগুলো থাকা লাগবে।
দান সদকা করা
আমি যদি ইসলামিক নিয়ম এ জীবন যাপন করতে চাই তাহলে আমাকে আমার সাধ্য অনুযায়ী দান সদকা করতে হবে কেননা দান সদকা করলে সম্পদ বৃদ্ধি পায় সম্পদে আল্লাহতালা বরকত দান করেন। অল্প রোজগারে আল্লাহতালা বরকত দান করবে এজন্য গরিব দুঃখীকে নিজের স্বার্থ অনুযায়ী দান সদকা করা। এতে করে কি হবে আমার নেকি হবে আল্লাহ তাআলা আমার প্রতি খুশি হবে এবং আমার গুনাহ মাফ করে আমাকে নেকি দান করবে।
আল্লাহর জিকির করা
যদি আপনি ইসলামিক নিয়মে চলতে চান নতুন বছরে আর পূর্বে করা গুলো থেকে মাফ পেতে চান তাহলে আপনাকে আল্লাহ তাআলার জিকির করতে হবে আল্লাহর দরবারে তওবা করতে হবে ইস্তেগফার করতে হবে। আপনি আল্লাহ তাআলার বিভিন্ন জিকির করতে পারে আল্লাহ আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নাম আঙ্গুলে বা তসবির মাধ্যমে গুনে গুনে উচ্চারণ করতে পারেন প্রত্যেকদিন যেমন, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার,গুণবাচক নাম আছে আল্লাহ তায়ালার যেগুলো পড়লে আপনি সব পাবেন আপনার অন্তরের মধ্যে যে জড়তা আছে সেগুলো দূর হয়ে আপনার অন্তরের মধ্যে নূরানী ভাব চলে আসবে।
এইজন্য সর্ব অবস্থায় আল্লাহ তাআলার জিকির করা। আল্লাহ তালাকে স্মরণ করে আল্লাহতালার ভয় অন্তরে নিয়ে আসা আর যখনই কোন গুনাহের কাজ করার জন্য শয়তান আপনাকে চেষ্টা করবে তখন আপনি আল্লাহ তাআলা স্মরণ করবেন জিকির করবেন তওবা করবেন তাহলে আল্লাহতালা আপনাকে এ অন্যায় কাজ করা থেকে হেফাজত করুন।।
কোরআন হাদিস পড়া
অবসর সময়টাকে আপনি নষ্ট না করে বিভিন্ন চায়ের দোকানে বন্ধুদের সাথে ক্লাবে আড্ডা না দিয়া, আপনি অবসর সময়টা কোরআন পড়েন বিভিন্ন হাদিস পড়েন নবী সাহাবীদের জীবনী পড়েন। তাহলে কি হবে কোরআন পড়লে আপনার অন্তরের মধ্যে খারাপই দূর হয়ে যাবে এবং নেক কাজ করার আগ্রহ পয়দা হবে বিভিন্ন হাদিস পড়লে আপনি বিভিন্ন আমল সম্পর্কে জানতে পারবেন। সে আমলগুলো করতে আপনার আগ্রহ জন্ম নেবে আপনার নেক আমল করতে ভালো লাগবে।
আরো পড়ুন: উত্তম চরিত্রের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য
আপনি যদি বিভিন্ন হাদিসের কিতাব থেকে নবীদের ঘটনা সাহাবীদের ঘটনা পড়েন তারা কিভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করেছে ইসলামের মধ্যে দীক্ষিত হয়েছে ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে তারা কি কষ্ট পেয়েছে। এ সমস্ত ঘটনাগুলো যদি পর যদি পড়েন আর জানেন তাহলে আপনার মধ্যে এ সমস্ত কাজগুলো করার চাহিদা আসবে আগ্রহ জন্ম নেবে। অবসর সময় গুলোকে ফালতু নষ্ট না করে কিন্তু আপনি জিকির আজগার হাদিস কোরআন পড়ে কাটান তাহলে আপনার মধ্যে আস্তে আস্তে ইসলামের জ্ঞান ঢুকতে থাকবে। আর আপনি ইসলামিক নিয়মে চলাফেরা করতে পারবেন।
নেক লোকের সহবতে থাকা
সব সময়ই নেক্কার ব্যক্তিদের সাথে উঠাবসা করা তাদের সহচর্যে থাকা তাদের সংস্পর্শে থাকা। তাহলে আপনি নেক লোকের অভ্যাস গুলো নিজের মধ্যে তৈরি করতে পারবে। তাদের প্রতিদিনের আমল তাদের চলাফেরা কথাবার্তা লেনদেন আপনি শিখতে পারবেন যদি তাদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক থাকে তাদের সাথে চলাফেরা ওঠাবসা থাকে। যদি আপনি ইসলামিক নিয়মে চলাফেরা করতে চান জীবন যাপন করতে চান তাহলে আপনাকে নেককার ব্যক্তিদের সাথে উঠাবসা করা লাগবে তাহলে আপনি নিজেও নেক্কার হতে পারবে। কেননা আমাদের দেশে একটা প্রবাদ আছে এ প্রবাদটা সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। প্রবাদটা হল, সৎ সঙ্গে স্বর্গে বাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।
দ্বীনি পরিবেশে থাকা
দিনের পরিবেশ বলতে বোঝা যায় যে সমস্ত জায়গায় দিন নিয়ে আলোচনা হয় দ্বীন ইসলামের আলোচনা করা হয় সে সব সে সব জায়গায় ওঠাবসা করা। যেমন মসজিদ পরিবেশে বেশি বেশি থাকা অবসর সময় পেলে মসজিদ পরিবেশে যাওয়া যে সমস্ত জায়গাগুলোতে ইসলামের আলোচনা হয় ওয়াজ নসিহত করা হয় সেই সমস্ত জায়গায় যাওয়া। দ্বীন ইসলামের বিভিন্ন বক্তব্য শোনা বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত যাওয়া। তাহলে কি হবে এ সমস্ত কথাগুলো যদি আমি শুনেই তাহলে আমার অন্তরের মধ্যে এই কথাগুলোকে পালন করার চাহিদা আসবে। আর আমি এ সমস্ত কথা অনুযায়ী চললে মানলে আমি ইসলামিক নিয়মে জীবন যাপন করতে পারব।
আর একটা কথা না বললেই না এ সমস্ত কাজগুলো প্রথম প্রথম আমার একটু কষ্ট হবে যেমন প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফজরের ওয়াক্ত ঘুম থেকে উঠে নামাজে যাওয়ার কষ্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক তাছাড়া তো শয়তান আমাদেরকে ধোকা দেয় যাতে আমরা ভালো কাজ না করি। এইজন্য নিজেকে শক্ত হওয়া চেষ্টা করতে থাকা ছিড়ে না দেওয়া কারো ধোকায় কারো উপলবনে পড়ে দ্বীনের কাজ ভালো কাজ ছেড়ে না দাও ছেড়ে দিলেই আপনি ক্ষতিত করবেন আস্তে আস্তে করতে থাকলে আপনি উপকৃত হবেন আপনি ইসলামিক নিয়মে চলতে পারবেন।
শেষ কথা
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি নতুন বছরে ইসলামিক নিয়মে জীবন যাপন করার ১২টি উক্তি সম্পর্কে । এভাবে যদি আপনি আপনার জীবন যাপন করেন তাহলে অবশ্যই আপনি ইসলামিক নিয়মে চলাফেরা করতে পারবেন আপনি একটি ভাল মানুষ সৎ মানুষ নেককার মুসলমান হিসেবে সমাজে পরিচিত হবেন আল্লাহ আপনাকে ভালবাসবে মানুষ একটা সম্মান করবে। পরিশেষে একটা বিষয় হলো যে আপনাকে সব সময় শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকতে হয়। যখনই মনে করবেন যে আপনাকে ভালো কাজ করতে গিয়ে অলস ভাব মনে হচ্ছে কাজ করতে ইচ্ছা করছে না নামাজ পড়তে ইচ্ছা করছে না তাহলে মনে করবেন শয়তান আপনাকে ধোকা দিচ্ছে।
প্রিয় পাঠক আপনাদের কাছে আমার এই লেখাটি ভালো লাগবে বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশী প্রিয়জনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আর নিজেও নেক আমল করার চেষ্টা করবেন নেক্কার ব্যাক্তি হওয়ার চেষ্টা করবেন এবং অন্যকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করব তাহলে আপনি নিজে নেককার ব্যক্তি হতে পারবে এবং আল্লাহতালা আপনাকে ভালোবাসবে আল্লাহতালার খাস বান্দা হিসেবে গণ্য হবে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url