শীতে রক্তের চাপ বৃদ্ধির কারণ লক্ষণ কমানোর উপায়


শীত আসলে অনেকেরই রক্তচাপ বৃদ্ধির সমস্যা দেখা দেয়। ঠান্ডা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে শরীরের স্থিতিও । শরীরের উপরের অংশের বিভিন্ন  অংশে যেমন মাথা এবং ঘাড়ে ব্যথা দেখা দেয়। অল্পতেই দুশ্চিন্তাযুক্ত হয়ে গেলেন বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এ ধরনের অসুবিধায় পড়তে হয়।  তাই আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধির উপায় এবং এর থেকে রক্ষা পাওয়া  সম্পর্কে কিছু তথ্য আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা



করব।  আপনারা যদি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবে তাহলে আপনারা জানতে পারবেন রক্তের চাপ বৃদ্ধি পায় কেন এবং এর থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।  চলুন তাহলে দেরি না করে আমরা এই সম্পর্কে আর্টিকেল থেকে জেনে নিন।

পোস্ট সূচীপত্র

 ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো শীতের রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ এবং এ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্পর্কে কিছু তথ্য।  জানতে হলে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন তাহলে জানতে পারবেন এই সম্পর্কে। 

রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ

এ পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাবো রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। শীতে তাপমাত্রা কম থাকার কারণে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।  শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকার কারণে আমাদের শরীরের রক্ত চলাচল কমে যায় সংকুচিত হতে । শীতে রোদের তাপমাত্রা না থাকার কারণ আমাদের দেখা দেয় রক্তচাপের মত সমস্যা। তাই শীতে রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকলে আমাদেরকে একটু বেশি সতর্ক থাকা উচিত। কারণ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।  এমনকি এই হার্ট এটাকে আপনার মৃত্যু ঘটতে পারে। শীতে  রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

অ্যালকোহল পান করা

 শীতে নিজের শরীরকে গরম বা চাঙ্গা রাখতে অনেকে অ্যালকোহল পান করে।  কিছু শীতের সময় অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে আচমকায় নিজের অজান্তেই কমে যেতে পারে শরীরের তাপমাত্রা।  এর ফলে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে । তাপমাত্রা কমে গেলে সংকুচিত হয় শরীরের রক্তনালী। যার ফলে বৃদ্ধি পায় শরীরের রক্তচাপ। এজন্য শীতে শরীরকে চাঙ্গা রাখবে এরকম মনে করে শরীর হিট হবে এরকম মনে করে অ্যালকোহলযুক্ত কোন কিছু খাওয়া বা ধূমপান করা একেবারেই উচিত নয়।

শীতে বেশি কফি খাওয়া

 শীতকালে  কফি খাওয়া ভালো  কিন্তু অতিরিক্ত কফি খাওয়া আপনার জন্য ডেকে নিয়ে আসতে পারে সমস্যা । এজন্য কারো যদি রক্তচাপ থেকে থাকে তাহলে দিনে ১-২ বার কফি খাওয়া এর বেশি না খাওয়া।  না হলে আপনার জন্য বয়ে নিয়ে আসতে পারে বিশাল সমস্যা । 

 শীতে গরম পোশাক পড়া

 শীতকাল আসলে গরম পোশাক পরা । ঠান্ডা থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে বাঁচতে হলে আপনাকে মোটা পোশাক করতে হবে এবং তার পাশাপাশি পাতলা পোশাক ও ভেতরে পড়তে হবে।  শীতকালে যাদের রক্তচাপ আছে তাদেরকে ঠান্ডা লাগানো চলবে না।  ঠান্ডা লাগালে আপনার জন্য বড় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। 

শীতকালে খাবার খাওয়া

 শীতকাল আসলে খাবার দাবার একটু বিবেচনা করে খাওয়া এমন খাবার না খাওয়া যে আপনার  রক্তচাপ থাকলে তাতে খাওয়ারের কারণে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।  এজন্য খাবারকে বিবেচনা করা। প্রয়োজনমতো নিয়মমাফিক খাবার খাওয়া যে খাবার খেলে রক্তচাপ বেড়ে যাবে সে খাবার পরিহার করা। শাকসবজি বেশি বেশি খাওয়া শীতের যে সমস্ত শাকসবজি পাওয়া যায় সেই সমস্ত শাক সবজি খাওয়া।  

শীতে নিয়মিত শরীর চর্চা

 শীতে নিয়মিত শরীরচর্চা না করাই ভালো।  যাদের প্রতিদিন শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করার অভ্যাস আছে তারা শীতের সময় অতিরিক্ত শরীর চর্চা  না করাই ভালো। ঘন ঘন শরীরচর্চা না করে বা অতিরিক্ত পরিশ্রম না করা। এটাও খেয়াল রাখা যাদের রক্তচাপ আছে শীতকালে অতিরিক্ত পরিশ্রম না করা। অনেক সময় দেখা যায় যে অতিরিক্ত পরিশ্রম শরীরের ভেতরে এবং বাহিরের তাপমাত্রা তারতমবা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। হে তারতম্য টা হারিয়ে ফেলার কারণে শরীরে হৃদরোগের আশঙ্কা 

বেড়ে যায়। 

রক্তচাপ বৃদ্ধির লক্ষণ

রক্তচাপ বৃদ্ধির লক্ষণ সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো জানতে হলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই পোস্টটিতে আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ। 


 অনেক সময় দেখা যায় রক্তচাপ হলে সেভাবে বোঝা যায় না। তবে আবার কিছু মানুষের রক্ত হলে সাধারণ কিছু লক্ষণ বোঝা যায়। যেমন,


হঠাৎ মাথা ব্যথা রক্তচাপের একটি সাধারণ লক্ষণ ।  স্বাভাবিকভাবে হঠাৎ করে একজন মানুষের মাথাব্যথা অথবা চক্কর দেওয়া বা চোখে  চাপ অথবা ব্যথা অনুভব। 

হৃদপিন্ডের হাত হার্টবিট বৃদ্ধি পাওয়া এবং একজন ব্যক্তি দুর্বল ও ক্লান্ত অনুভব। 

হাত পায়ে ব্যথা এবং ব্যক্তি দাঁড়াতে অক্ষম হওয়া । 

বুকে ব্যথা এবং বুকের মধ্যে অস্থির ও ছটফটানি ভাব থাকা। 

একজন ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপে ভুগলে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সে চোখে ঝাপসা দেখবে। 


রক্তচাপ কমানোর উপায়

রক্তচাপ কমানোর উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো জানতে হলে আমাদের সাথে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবে। মানুষ রক্তচাপ চাইলে স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এমনকি রক্তচাপ কমানোর জন্য প্রাকৃতিক উপায় গ্রহণ করতে পারে। এখানে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো যা রক্তচাপ সহজেই কমাবে। 


ব্লাড প্রেসার এ ভুগছেন এরকম এরকম ব্যাক্তি খাবারে লবণ গ্রহণ কমাতে হবে। যাদের ব্লাড প্রেসার আছে এরকম ব্যক্তিকে খাবারে গোলাপি লবণ ব্যবহার করতে হবে। 


ঠান্ডা পানি শরীরের ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।  এজন্য যাদের ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ আছে তারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণের পানি খাওয়ার চেষ্টা করব।  কেননা ঠান্ডা পানি ব্লাড প্রেসার কি নিয়ন্ত্রণ করে। 


মানসিক চাপ এবং রাগকে কন্ট্রোল  করা । যোগব্যায়াম বা স্বাভাবিক ধ্যান সবসময়ই ঠান্ডা মেজাজে থাকা আপনাকে রক্তচাপ থেকে স্বাভাবিক রাখবে। 


শাকসবজি ফল ও সুষম  খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা।  কেননা শাকসবজি ফল ও সুষম খাবার নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে শরীর ভালো থাকে এজন্য প্রতিদিন এ ধরনের খাবার খাওয়ার চেষ্টা কর। 


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য চর্বি জাতীয় ফ্যাট যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা।  মগমা- ৩এবং ফেটি অ্যাসিড হার্ট কে ভালো রাখে। 


বিড়ি সিগারেট তামাক অ্যালকোহল এ সমস্ত জাতীয়  ক্ষতিকর দ্রব্য সেবন থেকে  বিরত থাকা। এগুলোর অভ্যাস থাকে তাহলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে এবং ক্ষতিও হতে পারে। 


 একজন রক্তচাপের রোগীকে নিয়মিত স্বাভাবিকভাবে নিয়মমাফিক ঘুমাতে হবে।  কমসেকম প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।  ঘুম রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্বাভাবিক। 


আরো পড়ুন: ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রতিকার


রক্তচাপ কমাতে হলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে আমাদেরকে খাবারদাবার এবং আমাদের জীবনযাত্রার অবস্থাকে পাল্টাতে হবে এবং নিজেই নিজের খেয়াল রাখতে হবে।  আমার শরীরের ভালো আমাকে ভাবতে হবে আমি যদি আমার নিজের শরীরের ভালো চাই তাহলে আমাকে এই ধরনের অভ্যাসগুলো  এড়িয়ে চলতে হবে। 

শেষ কথা

 আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে রক্তচাপের কারণ লক্ষণ এবং থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করছি।  আশা করছি আপনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে  আছেন আশা করছি যাদের এই আর্টিকেল ঠিক করে ভালো লেগেছে তারা অবশ্যই আপনাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে শেয়ার করবেন এবং ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন ধন্যবাদ। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url