শীতে প্রাকৃতিকভাবে ঘরবাড়ি গরম রাখার ১০ টি উপায়
শীত বাড়ার সাথে সাথে যেন আমাদের ঘরবাড়ি আবহাওয়া সবকিছুই যেন ঠান্ডা হয়ে যায়। ঘরবাড়ির আসবাবপত্রও যেন ঠান্ডা হয়। কোন কিছুতে হাত দিলে ঠান্ডা অনুভব হয় যেকোনো জিনিসের হাত দিই না কেন ঠান্ডা লাগে। যেহেতু শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডাও বেড়ে যায় এবং প্রতিটা ঘরের আসবাবপত্রই চেয়ার টেবিল খাট মেঝে সবকিছুই যেন ঠান্ডা হয়ে পড়ে। বর্ধমান পরিস্থিতি অনুযায়ী জিনিসপত্রের দাম অনুসারী রুম হিটার কেনার সমর্থ্য আমাদের সকলের
হয়ে ওঠেন। এই জন্য আমরা আপনাদেরকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো শীতে প্রাকৃতিক নিয়মে ঘরবাড়ি গরম করার 10 টি উপায় সম্পর্কে। যা আপনাদের জন্য অনেক উপকারী হবে জানতে হলে আমাদের সাথে এই আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন আশা করছি চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আমরা আপনাদের কাছে তুলে ধরছি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শীতের প্রাকৃতিকভাবে ঘরবাড়ি গরম করার দশটি উপায়। যারা জানেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। জানতে হলে এই পোস্টটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন তাহলে জানতে পারবেন শীতে প্রাকৃতিকভাবে ঘরবাড়ি করার 10 টি উপায় সম্পর্কে চলুন তাহলে জেনে নেই।
শীতে প্রাকৃতিকভাবে ঘরবাড়ি গরম রাখার 10 টি উপায়
গরমের আবহাওয়া শেষ হওয়ার পরে যখন শীত আসে তার সাথে সাথে পরিবেশসহ ঘরবাড়ি আসবো প্রতি সব কিছুই ঠান্ডা হয়ে যায়। এই জন্য আমাদের সকলের পক্ষে রুম হিটার কেনা সমর্থ্য থাকে না যাদের সামর্থ্য নেই তাদের জন্যই আজকে আর্টিকেলটি আমি আলোচনা করতে শুরু করেছি আপনার যদি শেষ পর্যন্ত সাথে থাকেন তাহলে আপনার জানতে পারবেন প্রাকৃতিক শীতে প্রাকৃতিক ভাবে ঘরবাড়ি গরম রাখার দশটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
এই ১০ টি উপায় সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো,
জানালা বা জানালার গ্লাস বন্ধ রাখা
জানালা বা জানালার গ্লাস বন্ধ রাখা সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো। শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়লে ঠান্ডা বাতাস ঘরের জানালা বন্ধ রাখাই ভালো। এতে করে বাইরের বাতাস এসে ঘরকে ঠান্ডা করতে পারবে না কেননা শীতকালে ঠান্ডা বাতাস আমাদের জন্য ক্ষতিকারক কারণ শীতকালে ঠান্ডা বাতাসে আমাদের বিভিন্ন ঠান্ডা জনিত রোগ হয়ে যেতে পারে। যদি মনে হয় যে দিনের বেলায় জানালা খুলে রাখলেই ভালো তাহলে দিনের বেলায় জানালা খুলে রাখতে পারবেন কিন্তু বাতাস বোহালে রাত্রিবেলায় বন্ধ করে দেওয়াই ভালো তার সাথে সাথে যদি জানালার পর্দা থাকে তবে আরো ভালো শীতের ঠান্ডা বাতাস ঘরে প্রবেশ না করার ক্ষেত্রে। কেননা শীতের কালে ঠান্ডা বাতাস ঘরে প্রবেশ করলেই ঘর ঠান্ডা হয়ে যাবে।
এমনকি ঘরে থাকতে কষ্ট হবে ঠান্ডা লাগবে আর ঠান্ডা লাগার কারণে ঠান্ডা জনিত রোগ হওয়াটাই স্বাভাবিক। এইজন্য সতর্ক থাকতে হবে ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে কোনভাবে বাতাস ঘরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
ঘরের মেঝেতে কার্পেট বিছানো
শীতকালে ঘরে কার্পেট বিছানা, এটা অনেক জরুরী বিষয় কেননা শীতকালে ঘরের মেঝে অনেক ঠান্ডা হয় আর যে সমস্ত বাড়িতে শখের বসে আপনারা টাইলস লাগিয়েছেন সে সমস্ত ঘরে কার্পেট বিছাতেই হবে। কেননা টাইলস যুক্ত ঘরে ঠান্ডা বেশি লাগে।না এমনি মেঝে তাও অনেক ঠান্ডা থাকে এজন্য ঠান্ডা থেকে বাঁচতে হলে মেঝেতে কার্পেট অথবা পার্টি বিছিয়ে দিতে পারে। কেননা মেঝে অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকার কারণে খালি পায়ে হাঁটলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে ।
এজন্য ঘরের মেঝেতে কার্পেট বিছানো বা খেজুরের পার্টি বা সবই ছাড়া তাহলে শীতকালে খালি পায়ে মেঝেতে চলাফেরা করল কোন অসুবিধা হবে না বা ঠান্ডাও লাগবে না।
ঘরের দরজা জানালায় পর্দা
আপনাদেরকে আমরা আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানাবো শীতে প্রাকৃতিকভাবে ঘরবাড়ি গরম রাখতে ঘরে দরজা বা জানালায় পর্দা টানানো সম্পর্কে কিছু কথা। শীতের সময় যেহেতু আলো বাতাস ঘরের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে জানালা দিয়ে প্রবেশ করে ঠান্ডা বাতাস জানালা দরজা দিয়ে প্রবেশ করার কারণে ঘর ঠান্ডা হয়ে যায় আমাদেরকে ঠান্ডা লাগে এই জন্য ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ না করতে পারে এজন্য আমাদেরকে পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে সেটা হলো।
আরো পড়ুন: শীতে বাচ্চাদের রোগ
দরজায় এবং জানালায় মোটা কাপড়ের পর্দা বানিয়ে দিতে হবে তাহলে বাইরে ঠান্ডা বাতাস খুব সকালবেলায় বাতাস চলাচল করে বা রাত্রিবেলায় বাতাস চলাচল করে তাহলে দরজা ও জানালায় মোটা পর্দা টাঙিয়ে দিলে এই বা ঠান্ডা বাতাস কে পর্দা আটকে দিবে। এবং শীতে ঠান্ডা বাতাস ঘরের দরজা জানালা দিয়ে পুরোপুরি ভাবে প্রবেশ করতে পারবে না। এতে করে ঘর অনেকাংশে ঠান্ডা কমে গিয়ে ঘরের মধ্যে গরম লাগবে। আর দরজা জানালার পর্দা গুলো একটু বড় হতে হবে লম্বা হতে হবে অনেক সময় অনেক দরজা জানালার ফাঁক দিয়ে বা ফুটো দিয়ে ঠান্ডা বাতাস ঢুকে যায়। দরজা জানালার পর্দা গুলো যদি লম্বা এবং সাইডে একটু বড় হয় তাহলে সেই ফুটো বা ফাক গুলো থেকে বাতাস ঢুকলে সেটা আটকে দেয়।
উষ্ণ বিছানার চাদর
শীতকালে আমাদের বিছানাও অনেক ঠান্ডা হয়ে থাকে যেটা ঘরের ভিতরে প্রভাব ফেলে খাটে শুয়ে থাকতে বা বুঝতে কোন কিছুই করতে ভালো লাগেনা। এই জন্য বিছানায় সুতির চাদর উষ্ণ চাদর অথবা অল্প দামের যে কম্বল পাতলা কম্বলগুলো পাওয়া যায় সেগুলো বিছাতে পারেন এই কম্বল বা এই সুতির চাদর গুলো বিছানাকে ঠান্ডা হতে দেয় না বিছানা গরম রাখে সাথে সাথে ঘরের উপরেও গরম প্রভাব পড়ে।
উষ্ণ আলো
শীতকালে ঘরের মধ্যে উষ্ণ আলো অর্থাৎ শীতকালে যে রোদ বের হয় বা রোদ হয় সে রোদ ঘরের মধ্যে করতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা দিনের বেলায়। অতিরিক্ত শীতে রোদ উঠে না এজন্য ঘরের মধ্যে চাইলে আপনি মোমবাতি বা বিভিন্ন রকমের বাতি জ্বালিয়ে রাখতে পারে। অথবা যে বাসায় উঠোন আছে সে উঠোনে আগুন জ্বালানোর ব্যবস্থা করতে পারে। ঘর গরম রাখার পুরনো একটা পদ্ধতি হচ্ছে আগুন জ্বালানি। সতর্কতার মাধ্যমে আপনার বাসার উঠান যদি একটু বড় হয় সেখানে আপনি আগুন জ্বালানোর ব্যবস্থা করতে পারেন আগুন জ্বালার মাধ্যমেও ঘর গরম থাকে।
গরম পানির ব্যাগ
শীতকালে ঘর গরম রাখতে গরম পানির ব্যবহার করা সম্পর্কে কিছু কথা। গরম পানির ব্যাগ শীতকালে আপনি ব্যবহার করতে পারেন পানি গরম করে সেই ব্যাগে রেখে আপনার শোয়ার বিছানা বসার সোফা বা চেয়ার টেবিল এগুলো গরম রাখতে পারেন কেননা শীতকাল যে হোক আর গরমই হোক বিছানা বা চেয়ার টেবিল ঘরের মধ্যে থাকা এ আসবাবপত্রগুলো বেশি ব্যবহার হয়।
জলন্ত কয়লার পাত্র
আসুন আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাই ফিরতে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরবাড়ি গরম রাখার উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের সঙ্গে তুলে ধরবো আমাদের সাথে থাকবে। শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য আরেকটি উপযোগী মাধ্যম হচ্ছে জ্বলন্ত কয়লা পাত্রে রাখ। আগে অনেক বাসায় চুলা যন্ত্র সেই চুলার জ্বলন্ত কয়লা বিশেষ করে অ্যালুমিনিয়াম অথবা স্টিলের পাত্র অথবা টিনের পাত্রে জ্বলন্ত কয়লা রেখে জ্বলন্ত কয়লার তাপে ঘর গরম রাখা হতো। এ পদ্ধতিটা অনেক আগের পদ্ধতি এখনো বেশ কিছু জায়গায় এই পদ্ধতি অবলম্বন করে ঘর গরম রাখা হয়।
বাবুল রেপ
শীতকালীন সময়ে বাবুল গ্যাপ একটি উপযোগী মাধ্যম বা সহজ মাধ্যম ঘরকে গরম রাখার জন্য। এ বাবুল রেপ যদি আপনি আপনার দরজায় এবং জানালায় ঝুলিয়ে রাখেন তাহলে ভিতরের আবহাওয়াকে বাইরে আসতে দেবেনা এতে করে আপনার ঘর গরম থাকবে। তবে এখানে একটি যে বিষয় মনে রাখতে হবে যে দিনের বেলায় সূর্যের আলো থাকা অবস্থায় খুলে ফেলতে হবে।
উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা
আপনি ঘরকে শীতের টাইমে গরম রাখতে হলে আপনার ঘরে উজ্জ্বল কালার ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আপনার ঘর কিছুটা গরম থাকবে এক্ষেত্রে যদি আপনি সাদা রং ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ঘর গরম হবে না ঠান্ডা থাকবে। এই জন্য রং ব্যবহার করার আগে সবসময়ই উজ্জ্বল রং ঘর বা বাড়িতে ব্যবহার করে।
পাওয়ার যুক্ত লাইট ব্যবহার করা
পাওয়ারযুক্ত লাইট বলতে আমরা বুঝি উচ্চ ক্ষমতাশীল লাইটগুলো। এখন তো আমরা কম পাওয়ারের এলইডি লাইট ব্যবহার করি যে বাল্ব গুলি ঘরকে গরম করতে পারে না। তবে আগে হলুদ লাইট যে ব্যবহার হত ওই লাইটে ঘর গরম হত যদি ঘরের মধ্যে ১০০ অথবা ২০০ ওয়াটের লাইট থাকে তাহলে একটি ঘর গরম হয় হলুদ আলো সম্পূর্ণ লাইট গুলোতে।
এই হলুদ লাইট গুলো যদি ঘরে ১০০ পাওয়ার দুইটি জানানো যায় তাহলে ঘর গরম হয়ে যাবে তবে একটা বিষয় হলো বিদ্যুৎ বেশি খরচ হবে।
শেষ কথা
শীতকালে নিজেকে সতর্ক রাখার কোন অবকাশ নাই। কারণ একটু অসুস্থতা হলেই ছোট হোক চাই বড় হোক সকলেরই ক্ষতি হতে পারে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ হতে পারে। এজন্য অবহেলা না করে শীতকালে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে নিজেকে ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে ঘরবাড়ি, গরম রাখতে এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারেন। এই সমস্ত বিষয়গুলো ভালো লাগবে আপনি আপনাদের বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনের কাছে বেশি বেশি শেয়ার করতে পারেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url